সারাদিন এর দৌড় ঝাপ।
গত বৃহস্পতিবার আমরা দীদাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য পাবনা নিয়ে যাই কারন সেদিন ঈশ্বরদী সরকারি হাসপাতাল দীদার কোন ট্রিটমেন্ট করে নি কারন তারা কোন ঝুঁকি নিতে চায় নি। পাবনার ডাক্তার এর ঔষধ আর স্যালাইন এর ভিতর ইনজেকশন দিয়ে দিদা একটু সুস্থ বোধ করছিলো। কিন্তু গতকাল এর আগের রাতে ক্যানেল নড়ে যাওয়াতে স্যালাইন পুরোপুরি শেষ না করেই আমরা খুলে দেই। দীদাও বেশ ভালো ঘুমিয়ে পড়ল। হঠাৎ আজ সকাল মানে ২৪ তারিখ সকাল থেকে দিদা শ্বাসকষ্ট হচ্ছিলো।দীদার প্রতিদিন এর ইনহেলার করা হলো অবস্থা খারাপ দেখে নেবুলাইজ করা হলো তাও কোন ফল না পেয়ে আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যায়। এবং জরুরি বিভাগে ভর্তি করি। সেখানে অক্সিজেন দিলে, একটা কর্টান নামক ইনজেকশন পুশ করলো, আমরা হাত পা এ সরিষার তেল দিলাম গরম করার জন্য।
কিন্তু এবার ও তারা ট্রিটমেন্ট করবে না কারন পাবনায় দেখানো ডাক্তার এর উপর তারা কোন সিদ্ধান্ত নেবে না। আর দীদা আগেই বলছিলো এখানে সাময়িক ট্রিটমেন্ট দেয়। আর আমরা বললাম যে স্যালাইন টা এন্টিবায়োটিক দিয়ে দেওয়া হচ্ছে সেটা কি দিবো তারা সে বিষয় নিয়েও কোন মতামত দেয় নি।তবে তার দিতেই বলছিলো আমরা সাহস পাই নি। কিন্তু তারা সেই জরুরি অবস্থা টি অনেক সুন্দর করে সামলে নিয়েছে। যাতে দীদা একটু সুস্থ বোধ করে। তাদের কে অনেক ধন্যবাদ।
বাধ্য হয়ে আমরা সেই পাবনার ডাক্তার এর নাম্বার এর।জোগার করার চেষ্টা করি। নাম্বার না পেয়ে আমি আর আমার এক মামা পাবনার উদ্দেশ্যতে রওনা দেই, সেখানে বক্ষ ব্যাধি হাতপাতালে খোঁজ নিলাম তিনি কাশিনাথ পুর চলে গেছে, নাম্বার চাইলাম দিলো না। কোথায় বসে সে ঠিকানা নিয়ে রওনা দিলাম কাশিনাথ পুর। সেখান গিয়ে সব কিছু বলার পর তিনি স্যালাইন চালু করতে বললেন আর চারটা টেস্ট দিলেন। সেগুলো করে তাকে দেখাতে হবে।
তারপর আবার বাসার দিকে রওনা দিলাম। বাসায় আস্তে আস্তে ৬ টা পার। এখন স্যালাইন চলে। দীদা একটু সুস্থ। সারাদিন ধরে রাস্তায় আমি ও ক্লান্ত।
আজ আর নয়। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে আমার আজকের পোস্ট টি। ভুল ত্রুটি গুলো ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ার জন্য ধন্যবাদ সবাইকে। সম্পুর্ন পোস্ট টি পড়ে আপনার মতামত জানাবেন।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.