গ্রামের মানুষদের জন্য ইফতারের আয়োজন

in আমার বাংলা ব্লগ4 days ago

হ্যালো",

আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।

সবাইকে আমার নতুন একটি ব্লগে স্বাগতম। আজকের ব্লগটি আমার জন্য অনেক স্পেশাল এবং আপনাদের কাছেও আশা করছি ভালো লাগবে। ভালো কোনো কাজ করতে পারলে সত্যিই অনেক ভালো লাগে। অনেক দিনের ইচ্ছে ছিল গ্রামের মানুষদেরকে একটু ভালো খাওয়াবো। যদিও এটা আমার একার পক্ষে সম্ভব ছিল না। তাই আমার চাচারা, বাবা এবং আমি সহ এই উদ্যোগটা নিয়েছিলাম।আল্লাহর রহমতে সেই আশা পূরণ করতে পেরেছি।

1000038324.jpg

দেখতে দেখতে রমজান মাস প্রায় শেষের দিকে আর হয়তো দুটো রোজা কিংবা তিনটে রোজা হতে পারে। তারপরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর। সময়গুলো কত দ্রুত চলে যায়। শহরে হয়তো এই নিয়মগুলো নেই কিন্তু গ্রামে মসজিদে প্রত্যেকদিন কোনো না কোনো বাড়ি থেকে ইফতার দিতে হয়। এটি একটি সামাজিক নিয়মও বলা চলে। ২৬ রোজার দিন আমাদের ইফতারের দিন পড়েছিল। ওই যে বললাম আমার একটা বড় ইচ্ছা ছিল গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষকে খাওয়াবো আমি। যেহেতু এটা আমার পক্ষে একা করা সম্ভব ছিল না তাই আমি আমার বড় চাচা, ছোট চাচা এবং আমার বাবার সাথে পরামর্শ করি।

1000038323.jpg

তারা আমার এই ইচ্ছাকে সাধুবাদ জানায় এবং সবাই মিলে টাকা দিয়ে এই আয়োজন করি। আমাদের আয়োজনে ছিল আমাদের উত্তরবঙ্গের বিখ্যাত একটি খাবার আলুঘাটি এবং সাদা ভাত।পাঁচ মণ আলু এবং তিন মণ চাল লেগেছিল আমাদের এই আয়োজনে। যেহেতু দায়িত্বটা আমাদেরই ছিল তাই বুঝতে পারছেন কতটা ব্যস্ত ছিলাম। তাই খুব বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। আমার ছেলে তো এত মানুষ দেখে ভীষণ খুশি কারণ ও প্রথম এরকম একটা অনুষ্ঠানে সামিল হতে পেরেছে। গ্রামে যে কোনো উদ্যোগ নিবেন খুব সহজেই সেটা সমাধান হয় কেননা গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষ সেই আয়োজনে অংশগ্রহণ করে।

1000038322.jpg

গ্রামের প্রত্যেকটা নারী-পুরুষ আমাদের এই কাজে সাহায্য করেছে। অনেকটা চিন্তায় ছিলাম যে আমরা পুরো গ্রামে খাবার পৌঁছাতে পারবো কিনা। যাক অবশেষে সেই দুশ্চিন্তা দূর হয়েছে কারণ সবকিছু খুব ভালোভাবেই হয়েছে এবং সবাই খুবই খুশি হয়েছে। পুরুষ এবং মহিলাদের আলাদা আলাদা বসানো হয়েছিল।

সৃষ্টিকর্তা আমাদের সবাইকে এরকম ভালো কাজ করার তৌফিক দান করুন। আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে আমার এই আয়োজন অবশ্যই জানাবেন। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।

❤️আমার পরিচয়❤️

আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।

1000000117.png

1000000119.gif

1000000118.png

Sort:  

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.

 3 days ago 

দারুন উদ্যোগ ছিল ভাবি। ইফতার শুধু বাড়িতেই করে বা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখেছি প্রত্যেকেই নিজে নিজে পরিবারের মধ্যে করে। কিন্তু গ্রাম ও যে নিজের পরিবার এবং তাদের সাথেও আনন্দ বিলি করে নেওয়া যায় তার চিন্তাভাবনা সবার মধ্যে থাকে না। আপনার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই এবং সবকিছু ভালোভাবে মিটে গেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো।

 3 days ago 

গ্রামের মানুষ কে এভাবে খাওয়াতে আমার ও ভীষণ ভালো লাগে।আমাদের গ্রামেও এমনটা করা হয়।আমরা ও এমন আয়োজন করি।আপনাদের উদ্যোগ দেখে আমার খুব ভালো লাগলো।আজকে আমরা ও ইফতারের আয়োজন করছি।আশাকরি সবাই কে খুব সুন্দরভাবে খাবার গুলো পৌঁছাতে পারবো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।

 3 days ago 

গ্রামের মানুষদেরকে খাওয়ানোর একটা ইচ্ছা পূরণ হয়েছে আপনার। এ ধরনের অনুভূতিগুলো আসলেই খুব ভালো লাগে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে কাটিয়েছেন। খুব সুন্দর আয়োজন করেছেন গ্রামের সবার জন্য। সবাই বেশ তৃপ্তি।করে খেয়েছে নিশ্চয়ই। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য।

 2 days ago 

পাঁচ মন আলু আর তিন মন চাল তাহলে তো দেখছি বেশ ভালো আয়োজন করা হয়েছিল। উত্তরবঙ্গের আলু ঘাটির প্রশংসা অনেক শুনেছি। কিন্তু সেভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। অনেক ভালো লাগলো আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.24
JST 0.031
BTC 83500.62
ETH 1844.99
USDT 1.00
SBD 0.73