শখের গাভীটাকে ধরে রাখতে পারলাম না😭
হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সময়টা এতটা খারাপ যাবে কল্পনা করতে পারিনি। শারীরিক মানসিকভাবে খুবই অসুস্থ। তারপরও ধীরে ধীরে সেরে উঠছিলাম। তবে যে বিষয়টি আমার সাথে ঘটে গেল সেটার জন্য মোটেই প্রস্তুত ছিলাম না। জানিনা কোন পাপের সাজা পাচ্ছি। আপনারা অনেকেই জানেন আমার ছোট্ট একটি খামার আছে।আমার অনেক দিনের শখ ছিল আমার ছোট্ট একটা বাড়ি হবে আর বাড়িতে গরু থাকবে হাঁস-মুরগি সবকিছু থাকবে। যাইহোক গ্রামে বাড়ি করার আগেই আমি আমার খামারটি করেছিলাম।
প্রথমত দুটো গরু কিনেছিলাম আমি।দুটো থেকে বাড়তে বাড়তে মোট পাঁচটি গরু হয়েছিল। কিন্তু গত কয়েক মাস আগে ল্যাম্পি ভাইরাসে আমার দুটো বাচ্চা গরু মারা যায় এটা আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। এরপর আমার খামারে তিনটা গরু রয়ে গিয়েছিল। সেই প্রথম যে দুটো গরু কিনেছিলাম এবং পরে আরেকটা বাছুর হয়েছিল। যাইহোক হঠাৎ করে গত পরশুদিন সন্ধ্যেবেলা দেখলাম একটা গরু বেশ ছটফট করছে।অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বুঝতে পারার সাথে সাথে ডাক্তার ডাকি।
ডাক্তার এসে দেখাশোনা করে বলল গরুর ফুড পয়জনিং হয়েছে। এরপর উনি বেশ কিছু ঔষধ লিখে দেন সেগুলো আমি বাজার থেকে এনে তৈরি করে আমার বাবা আর আমি সেই গরুকে খাইয়ে দেই।এবং গরুটা অনেকটাই সুস্থ হয়ে যায়। অনেক ভয়ে ছিলাম কেননা গরুটা সাত মাসের প্রেগন্যান্ট ছিল। কিন্তু গতদিন সকালে গরুর অবস্থা বেশ খারাপ হয়ে পড়ে। কোনোভাবে খাবার খাদ্যনালীতে যায়। এবং মুখ দিয়ে অনবরত লালা পড়তে থাকে। সাথে সাথে আবারো ডাক্তার ডাকা হয়। ডাক্তার এসে বললেন খাবার কোনভাবে শ্বাসনালীতে চলে গিয়েছে এবং নিউমোনিয়া চাপ দিয়েছে। এটাকে টিকিয়ে রাখা যাবে না।
কথাটা শোনার পর যেন মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ল। সত্যি কথা বলতে অনেক শখের আমার গরুটা। এবং আমার গরুগুলো খুবই শান্ত। আরো বেশি খারাপ লাগছিল সেই গরুর ভিতর বেড়ে ওঠা ছোট্ট বাছুরটার কথা ভেবে। যাইহোক কি আর করার অবশেষে তাকে আমরা আর ধরে রাখতে পারিনি। জানিনা হয়তো খামারটা আমি টিকিয়ে রাখতে পারব না কারণ এই নিয়ে আমার খামারের তিনটা গরু চলে গেল। বাকি গুলো কি হবে সৃষ্টিকর্তাই জানেন।
আসলে বুঝতে পারছি না আমার সাথে হচ্ছেটা কি। তবে যেটাই হোক খুব তাড়াতাড়ি যেনো সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পাই। সত্যি বলতে আর নিতে পারছি না। ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে যাচ্ছে। সবার কাছে দোয়া ছাড়া কিছুই চাওয়ার নেই। সবাই ভালো থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1890097232562794573?t=XsycKjXSuzfzGvgCuw8Yog&s=19
খুবই দুঃখজনক ও মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে আপনার সাথে।আপনার সখের খামার আস্তে আস্তে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। পালিত পশুর মৃত্যুতে কতোটা কষ্ট হয় তা আমি জানি লাম্পিতে ও এই ফুড পয়জনিংএ আমাদেরও গরু মারা গিয়েছিল। আপনার গরুটির পেটে বাচ্চা ছিলো জন্য বেশি অসুস্থ হয়ে গেছে। খারাপ লাগলো খুব।ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নিয়েছেন জন্য।
যেহেতু আপনাদের গরু মারা গেছে তাহলে তো বুঝতেই পারছেন আপু আমার কতটা কষ্ট হচ্ছে। নিজের হাতে পালিত এই পশুগুলোর মৃত্যু দেখা অনেক কষ্টের।
আপনার কাছে কথাটা শুনেছিলাম। শুনে খুবই খারাপ লেগেছিল আপু। আসলে শখের জিনিসগুলো খুব বেশিদিন টেকে না এটাই সত্যি কথা। আপনি খুব শখ করে গরুগুলো পালন করেছেন। তবে পরপর তিনটা গরু মারা গিয়েছে শুনে খুব খারাপ লাগছে। বেশি খারাপ লাগছে এই গরুটার জন্য। ডাক্তার ওষুধ সবকিছু থাকা সত্ত্বেও আপনারা এটাকে বাঁচাতে পারলেন না। যাইহোক ধৈর্য হারাবেন না, ধৈর্য ধরে থাকলে অবশ্যই ভালো কিছু হবে।
হ্যাঁ আপু এটা ঠিক বলেছেন শখের জিনিসগুলোই তাড়াতাড়ি হারিয়ে যায়। খুবই খারাপ লাগছে।
অনেক সময় না চাইতেও আমাদের প্রিয় কিছু জিনিস হারাতে হয়। আপনার দুটি গরু থেকে পাঁচটি গরু হয়ে ছিল শুনে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু সমস্ত বিষয়গুলো জানার পর খুবই খারাপ লাগছে। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া ভরা খামার টা খুবই ভালো লাগতো দেখে কিন্তু পরপর গরু গুলো মারা যাওয়ার পর খুবই কষ্ট হচ্ছে।