পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি
হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
এখনো অনেকটাই অসুস্থ। সুস্থ হতে অনেকটা সময় লাগবে। আর মুখে একদম রুচি নেই বললেই চলে। যাইহোক আজকের টাইটেল দেখে হয়তো অনেকেই অবাক হবেন। তবে কথাটা কিন্তু ঠিক। আপনার পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। আজকে এই কথাটা হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি। আপনাদেরকে আমি সেদিন বলেছিলাম আমার শশুরবাড়িতে জমি জমা নিয়ে বেশ কিছু ঝামেলা চলছে।অবশেষে সে ঝামেলার অবসান হলো।
আল্লাহর রহমতে এবং আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির দৌলতে সেই জমিগুলো আপনাদের ভাইয়া এবং আমি হাতে নিতে পেরেছি। আমাদের ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া। অনেকগুলো টাকার ব্যাপার তাছাড়া বেশ দৌড়াদৌড়ি করতে হয়েছিল দলিল পত্র নিয়ে। সকালবেলা উঠে এই ব্যাংকে গিয়েছিলাম।ব্যাংক মানেই তো ঝামেলা এটা অনেকেই জানেন। অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমরা আমাদের কাঙ্খিত অর্থ পেয়ে গিয়েছিলাম।
এরপর সেই টাকা নিয়ে আবারো যেতে হয়েছিল জমি রেজিস্ট্রি অফিসে।গিয়ে দেখলাম সবকিছু রেডি আমাদের জন্য অপেক্ষা করা হচ্ছিল। এরপর আমরা আমাদের দলিল হাতে বুঝিয়ে দিয়ে তাদের অর্থ তাদের দিয়ে সেই কাজগুলো শেষ করি। ভাগ্যিস বাবুকে বাসায় রেখে গিয়েছিলাম কেননা আমাদের সব কাজ সারতে প্রায় সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল। সারাদিন দৌড়াদৌড়িতে পেটে কিছু পরেনি। আর বাড়ি থেকেও সকালে তেমন কিছু খেয়ে আসি নি অসুস্থ খেতেও পারছিলাম না।
এদিকে আপনাদের ভাইয়ারও ক্ষুধা লেগে গেছে। তাই আমরা আর দেরি না করে চলে গেলাম একটু খাওয়া-দাওয়া করতে তামান্না বিরিয়ানি হাউজে। আমাদের শহরে এই রেস্টুরেন্টটি বেশ নামকরা। এখানে বিরিয়ানি থেকে শুরু করে বাঙালি সব খাবারের আইটেম পাওয়া যায়। আপনাদের ভাইয়া অর্ডার করেছিল কাচ্চি বিরিয়ানি। আর আমি যেহেতু অসুস্থ তাই ভারী খাবার খাব না এর জন্য নিয়েছিলাম সাদা ভাত, ভর্তা, ছোট মাছের চচ্চড়ি, ডাল এবং রুই মাছ ভুনা।প্রত্যেকটা খাবার খুবই মজার ছিল। আর আমরা খুবই ক্ষুধার্ত ছিলাম তাই বেশ তৃপ্তি করেই খেয়েছিলাম বলা যায়।
যখন খাবার পেটে পড়লো তখন এই কথাটাই মাথায় আসলো যে সত্যিই পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। যখন ক্ষুধার্ত ছিলাম সারাদিন কাজ করে একটুও শান্তি পাইনি আর কিছু ভালোও লাগছিল না যেই খেলা যেন দুনিয়ায় ঠান্ডা হয়ে গেল আমাদের।যাইহোক আজ যেখানেই বিদায় দিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
জি আপু ভাইয়ার একটি পোস্টে পড়েছিলাম জমি সংক্রান্তি ঝামেলার কথা। তবে এ কথা ঠিক যে যত কথাই বলি না কেন পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। এত এত ঝামেলার মাঝে একটু খেয়ে নিয়ে বেশ ভালো করেছেন। দোয়া রইল যেন সকল সমস্যার অবসান হয়।
জ্বী আপু জমিজমা সংক্রান্তি ঝামেলা খুবই কঠিন এবং প্রথমবার এর সম্মুখীন হয়েছি। যাইহোক সবকিছু মিলিয়ে ফেলেছি এটাই অনেক। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সত্যি তাই পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি।এই পেটের জন্য মানুষ খুন, ছিনতাই করে থাকে যদিও বা সেগুলো করে তৃপ্তির খাবার খাওয়া সম্ভব নয়।জেনে ভালো লাগলো অবশেষে জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যা মিটেছে জেনে ভালো লাগলো।আসলে বাবা মায়ের উচিত সব ঝামেলা মিটিয়ে উচিত সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য। ধন্যবাদ পোস্ট টি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
দুনিয়াতে যা কিছু হচ্ছে সবকিছুই তো পেটের জন্যই তাইনা আপু। যাই হোক অসুস্থ থাকা সত্ত্বেও যে জমিজমা নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ি করেছেন এবং অবশেষে সব ঝামেলা মিটিয়ে ফেলেছেন এটা শুনে বেশ ভালো লেগেছে। আর ভাইয়া সহ দুজনে মিলে বেশ ভালোই ভরপুর খাওয়া দাওয়া করেছেন। আসলে অসুস্থ থাকলে মুখের রুচি ফেরাতে এরকম ভর্তা ভাজি দিয়ে ভাত খেতে ভালো লাগে।
হ্যাঁ আপু ক্ষুধার্ত ছিলাম সারাদিন পেটে কিছু পরেনি। তাই বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলাম দুজনে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পেটের ক্ষুদা থাকলে তখন অন্য কিছুই ভালো লাগে না।
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1890443389667082383?t=7VME9k8nMfXMNucCKN9tTA&s=19
খাওয়ার জন্য ই দুনিয়ায় এতো কিছু।আর সেই পেট যখন খাবার খেয়ে ঠান্ডা হয় তখন দুনিয়া ও ঠান্ডা হয়ে যায়। আপনাদের জমি সংক্রান্ত ঝামেলা মিটিয়ে সারাদিন পর খাবার খেয়ে বেশ তৃপ্তি পেয়েছেন বলেই আজ পোস্টটি শেয়ার করলেন।অনুভূতি গুলো পড়ে ভালো লাগলো আপু। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপনার মূল্যবান মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলে খাবার খেলে অনেক বেশি শান্তি লাগে। পেট শান্তি পেলে দুনিয়া আসলেই শান্তি লাগে। অবশেষে আপনারা আপনাদের জমি হাতে পেয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। সবকিছু নিয়ে অনেক দৌড়াদৌড়ির উপরে ছিলেন এটা তো বুঝতেই পারছি। আসলে এসব বিষয় মানেই হচ্ছে দৌড়াদৌড়ি। যাইহোক সবশেষে তৃপ্তি সহকারে খাওয়া-দাওয়া করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো।
সত্যি আপু অনেক বড় ঝামেলার বিষয় এগুলো। আমার তো দম বের হয়ে যাচ্ছিল। সব শেষ করে খাওয়া-দাওয়া করে একটু শান্তি পেয়েছিলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
আপনি যেন পুরোপুরিভাবে সুস্থ হয়ে যান এটাই কামনা করি। আপনি একেবারে ঠিক একটা কথা বলেছেন। আপনার কথার সাথে আমি নিজেও একমত আপু। খাবারের কাছে কোনো কিছুই বড় নায়। তৃপ্তি সহকারে খাবার খেয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। আর জমিজমা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো মিটে গিয়েছে শেষ পর্যন্ত, এটা শুনে ভালো লেগেছে। অনেক ব্যস্ততার মধ্যে দিন কেটেছে বোঝা যাচ্ছে।
জি ভাইয়া সারাটা দিন খুবই ব্যস্তময় কেটেছে বলতে গেলে দৌড়ের উপর ছিলাম। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
অনেক বড় একটি ঝামেলার সমাধান হয়েছে আপনাদের। কারণ জমিজমা সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো বেশ জটিল। যাইহোক এটা কিন্তু আসলেই ঠিক, পেট শান্তি তো দুনিয়া শান্তি। আপনারা দু'জন রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।