কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি 📸
হ্যালো",
আমার বাংলা ব্লগ বাসি, সবাই কেমন আছেন? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহর রহমতে ভালো আছি। সবার সময় ভালো কাটুক এই কামনাই করছি।
সবাইকে আমার এলোমেলো ফটোগ্রাফি পোস্টে স্বাগতম। শরীরটা একদমই ঠিকঠাক যাচ্ছে না। কমিউনিটিতে রেসিপি প্রতিযোগিতা চলছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করব কিন্তু একদমই সুস্থ নয়। তারপরও চেষ্টা করব অংশগ্রহণ করার। কি নিয়ে পোস্ট লিখব কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছিলাম না। এমত অবস্থায় আমি প্রতিনিয়ত যেটা করি সেটাই করছিলাম। আর সেটা হচ্ছে গ্যালারি ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম কোনো কিছু আছে কিনা লেখার মতো। অবশেষে বেশ কিছু ফটোগ্রাফির দেখা মিলল যেগুলো অনেক আগের করা ছিল।
ভাবলাম সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করি। হয়তো আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। আর এই ফটোগ্রাফি গুলো আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে। সেই ভালোলাগা থেকেই শেয়ার করছি।
ফটোগ্রাফি-১
প্রথমে যে ফটোগ্রাফি টি শেয়ার করছি এটি হচ্ছে জবা ফুলের কলি। বেশ অনেকদিন আগে আমাদের এলাকায় একটি ছোট্ট পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলাম সেখান থেকে এই ফটোগ্রাফিটি করেছিলাম। ছোট্ট একটা গাছে কেবলমাত্র কলি আসতে শুরু করেছে। সেই কলিগুলো দেখতে খুবই সুন্দর লাগছিল তাই ফটোগ্রাফি করে রেখেছিলাম। কত সুন্দর লাগছে তাইনা?
ফটোগ্রাফি-২
এবারে আবারো একটি ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করছি। এই ফুলটির নাম আমার জানা নেই। এটি রাস্তার পাশে কিংবা জঙ্গলে বেশি দেখা যায়। এই নাম না জানা ফুলগুলো দেখতেও কম সুন্দর না। ফুল সব সময় সুন্দর সেটা যেখানেই ফুটুক না কেন। এই ছোট ছোট হালকা গোলাপি রঙের ফুল গুলো দেখতে বেশ ভালো লাগছিল আমার কাছে। তাই একসাথে অনেকগুলো ফুল হাতের মুঠোয় নিয়ে ফটোগ্রাফি করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি-৩
এই সময়টাতে রাস্তার পাশে এই ফুলগুলো খুবই দেখা যায়। ছোটবেলায় এই ফুলগুলো দিয়ে কত খেলেছি। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই ফুলগুলোকে আমরা ভ্যাটের ফুল বলে থাকি। এই গাছগুলোর পাতা অনেক তেঁতো।কিছুদিন আগে একটা পুকুরপাড় থেকে এই ফুলের ফটোগ্রাফিটি আমি সংগ্রহ করেছিলাম।
ফটোগ্রাফি-৪
গ্রামাঞ্চলে সবাই ধানের যে খড়গুলো থাকে সেগুলো দিয়ে ঝাড়ু তৈরি করে। বাজারে যে ঝাড়ু কিনতে পাওয়া যায় সেগুলোর প্রচলন গ্রামে খুব একটা দেখা যায় না। শীতকালে আমার এক বড়মা এবং চাচি মিলে রোদে বসে এই ঝাড়ু গুলো তৈরি করছিলেন এবং আমি বসে বসে সেই ঝাড়ু তৈরি করা দেখছিলাম। আমাদের বাড়ির মাটির রান্নাঘরেও কিন্তু ঝাড়ু দেওয়ার কাজে এই খড়ের ঝাড়ু ব্যবহার করা হয়।
ফটোগ্রাফি-৫
বাচ্চারা অনুকরণ প্রিয়। বড়দের যে কাজগুলো করতে দেখে বাচ্চারাও তাই করার চেষ্টা করে। কিছুদিন আগে কিছুদিন বলতে শীতকালে বাড়ির উঠোনে আমন ধানের চাল করার জন্য ধান শুকাতে দেওয়া হয়েছি। আমার মা সে ধান পা দিয়ে উল্টে দিচ্ছিলেন। আর আমার ছেলেও চেষ্টা করছিল আমার মায়ের মতো করে ধান উল্টে দেওয়ার। আমি দূর থেকে বসে বাবুর এই মুহূর্তটা ক্যাপচার করে রেখেছিলাম।
তো যাই হোক এই ছিলা আমার বেশ কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি। আশা করছি ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। আর যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাদের সুন্দর মতামতের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না। আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। দেখা হবে পরবর্তীতে নতুন কিছু নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।
❤️আমার পরিচয়❤️
আমি হাবিবা সুলতানা হীরা । জাতীয়তাঃ বাংলাদেশী। পেশাঃ গৃহিণী। শখঃ নতুন নতুন রেসিপি বানাতে ভালো লাগে। তাছাড়া গান গাওয়া, আর্ট করা, ফটোগ্রাফি করা ও বাগান করতে আমি বেশ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমি স্টিমিটে ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে যুক্ত হই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1904607423320777180?t=CVP4Hlc-WNnX_aZSujId9Q&s=19
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1904609212250153456?t=IsOoMvGyBEq8sphnc5IbGg&s=19
https://x.com/HiraHabiba67428/status/1904610952047460831?t=pX3Z-6OstriyJDIIgOOKfA&s=19
@tipu curate
Upvoted 👌 (Mana: 2/7) Get profit votes with @tipU :)
চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি দেখতে পেলাম আপু আপনার পোস্টে। প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়েছে। গ্রামের নানা ধরনের কাজের ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লাগলো। হ্যাঁ আপু বাচ্চার অনুকরণ প্রিয়।বাচ্চারা যা দেখে তাই করার চেষ্টা করে। আমরাও ছোটবেলায় তাই করতাম। চমৎকার ফটোগ্রাফি গুলো সহ দারুন উপস্থাপনা ভালো লাগলো। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।