লেখনি-আয়না(১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
যে যা লিখছি,সবই তো লেখনির অন্তর্গত-নাকি?তবে সব তো আর অর্থবহুল হয়না।যা মনে আসলো,তাই লিখলাম।হ্যাঁ সেটাও হয়তোবা লেখনি কিন্তু অর্থ বহন না করলে তা পাঠকের কাছে নিতান্তই হাস্যরসের একটি বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
তো আমি যা লিখতে যাচ্ছি,হয়তোবা সেটাও আপনাদের কাছে অর্থহীন কিছুই মনে হবে।আসলে এভাবে কোনোদিন কিছু লেখা হয়নি।বলতে গেলে আজই প্রথম।মনের ভাবগুলো জাস্ট একটু ছন্দ মিশিয়ে উপস্থাপনের চেষ্টা করেছি,আরকি।
W3W
মূল বিষয়ে যাওয়ার আগে সেটার পিছনের কাহিনীটা বলি আগে।
মেস পাল্টিয়েছি সপ্তাহ খানেক হয়েই এলো।তো জিনিসপাতি লার করার সময় হয়তোবা আমার আয়নাটা আমি আগের মেসে ছেড়ে এসেছি।আর আয়নাটা কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা তো জানেনই।বাইরে বের হওয়ার আগে ভেবেই বের হই আয়না কিনতে হবে কিন্তু বাইরে গিয়ে আর মনে থাকেনা।তো সেই আয়নার অভাববোধ থেকেই গতকাল সকালে কয়েকটা ছন্দ মেলানোর চেষ্টা করেছিলাম।
যেটা ছিল এমন-
মনটা কেনজানি বড্ড বেসামাল!
আয়নাটা ফেলে এসেছি,
এখন প্যারা খাচ্ছি সকাল আর বিকাল।
প্রাইভেটে যাওয়ার আগে মুখটা যে দেখবো,সে উপায়টাও নেই।
ফ্রন্ট ক্যামেরা তো সেল্ফির জন্য,তাই দিয়ে মুখ দেখে কি আর তৃপ্তি পাওয়া যায়?
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে ইংলিশ প্রাকটিস করবো,তাও হচ্ছেনা।
মনটা আসলেই বেসামাল!
বাহিরে গেলে যে একটা আয়না কিনবো,তাতেও মনটা মেলায়না তাল।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে বারবার মুখ দেখতে আসতো ভালোই ফিল!
হয়তো সেই ফিলটাই এখন মিস করি আর সেজন্যই একটা আয়না কিনতে মন করে কিলবিল।
কিন্তু মন যে বেসামাল,
বাহিরে বের হলে হাজার কাজের মাঝে পাকায় গোলমাল।
জানিনা,শব্দ চয়ন এবং প্রয়োগ কতটা ঠিক ছিল,মিনিট ২০ সময় লেগেছিল এটুকুতেই।এরপর আর ধৈর্য্যও কুলায়নি এবং শব্দভান্ডারের গভীরেও প্রবেশ করতে পারিনি।ইতি টানতে হয়েছিল এখানেই। লেখার আগে কোনো পরিকল্পনাই ছিলনা।মন চাইলো,ফোনের নোটপ্যাড বের করে এমনি লিখছিলাম।তো কয়েক লাইন লেখার পর মনে হলো,খুব একটা খারাপ কিছু হয়নি হয়তো।তাই সাহস করে আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।নাহলে,আমি বাপু আজও এমন ধরনের কিছু আপনাদের মাঝে আনতাম না।যদি মন চায়,দুই চারটা লাইন বানিয়ে কমেন্টে বলিয়েন।ভাল্লাগবে আমার☺️

সবার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা জানিয়ে বিদায় নিচ্ছি।
Cc.@farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Date. 10/09/22
সত্যি বলতে ভাই প্রথম প্যারাই বাজিমাত করেছেন। 20 মিনিটে দারুণ মিলিয়েছেন ছন্দগুলো। আর এই শিক্ষাজীবনে মেস পরিবর্তন করার যে কী ঝামেলা বলে বোঝানো যাবে না। ভালো ছিল ভাই আপনার আয়না সমাচার।।
ভালোবাসা নিয়েন ভাই আমার☺️🥰
ওরে বাবা বিশ মিনিটে এত কিছু লিখে ফেললেন। আমি আসলে লিখতে প্রচুর পরিমাণে সময় নিয়ে থাকি। কোনভাবেই যেন মেলাতে পারি না। বিশেষ করে কোন কোন লেখা দেখতে একদিন লেগে যায়। আর আপনি প্রথম লিখেছেন বলছেন আবার ২০ মিনিটে এত সুন্দর লেখা। সত্যি বেশ ভালো লাগলো
সকালে ৭ টায় ছিল প্রাইভেট,৬ টা ১০ এ ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে এসে ভাবলাম একটু মুখটা দেখি আয়নায়।বাট কাছে তো আয়না ছিলনা।
প্রাইভেটে যাওয়ার আগে লিখেছিলাম ওই কথাগুলো।
আপনার ভালো লাগাই আমার স্বার্থকতা। ভালোবাসা অফুরান।
অনেক সুন্দর ছিলো আপনার লেখা ৷ আয়নার অভাব নিয়ে অনেক সুন্দর একটি কবিতা লিখেছেন ৷ বলতে গেলে আয়না অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস যেটা না থাকলে অনেক সমস্যা , যদিও মেয়েদের ক্ষেত্রে একটু বেশিই ৷ আপনি বেশ ছন্দে সাথে কবিতাটি লিখেছেন ৷ ভালো লাগলো পড়ে ধন্যবাদ আপনাকে ৷
কবিতা কিনা জানিনা,শুধু মনের ভাবগুলো ব্যক্ত করেছি এই আরকি।
ধন্যবাদ আপনাকেও এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য। ভালোবাসা রইলো 😊❤️🩹