শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস||১৪ডিসেম্বর

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

হ্যালো আমার বাংলা ব্লগবাসী।আশা করি ভাল আছেন।আমিও ভাল আছি।আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট।

20221215_192356.jpg

আপনাকে যদি প্রশ্ন করি পড়া কার কাছে শিখেছেন? আপনি আপনার শিক্ষকের নাম বলবেন।যদি প্রশ্ন করি রান্না কার থেকে শিখেছেন তবে হয়ত উত্তর দেবেন মায়ের কাছে থেকে।অর্থাৎ আমরা সব কিছুই কারো না কারো থেকে শিখি।মানবজীবনের দোলনা থেকে শুরু করে কবর পর্যন্ত শিক্ষা।আর এই প্রত্যেক শিক্ষার পেছনে একজন না একজন মানুষ থাকেন।

আপনি যে কোন পেশা তেই যান সেই পেশার খুটিনাটি বিষয়গুলো আগে আপনাকে শিখতে হবে।সেই শিক্ষা আপনাকে দেবে সেই পেশার অভিজ্ঞ ব্যক্তিগন।বই খাতায় কিন্তু সব থাকে না,আর এই না থাকা জ্ঞান কে অর্জন করতে হয় অভিজ্ঞ সিনিয়র দের থেকে।একটি দেশকে যদি একটি শরীর হিসেবে কল্পনা করা যায়,তবে ইনারা হলেন সেই শরীরের মস্তিষ্ক।তাই ইনাদের বলা হয় বুদ্ধিজীবী।

এখন আপনাকে যদি প্রশ্ন করি একটি দেশ কে ১০০ বছর পিছিয়ে দিতে আপনি কি করবেন? আপনার মাথায় হয়ত অ্যাটম বোমা আরো অনেক মারণাস্ত্র ঘুরবে।কিন্তু এতে অনেক সমস্যা আছে।আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা সহ আরো অনেক কিছু।এর থেকে সহজ উপায় হলো সেই দেশের মস্তিষ্ক ধ্বংস করে দেওয়া।এতে জাতি টিকে থাকবে কিন্তু ধুকে ধুকে বাচবে।সে বাচা মরারই শামিল।

১৯৭১ সালের শেষের দিকে যখন পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর হার অবশ্যম্ভাবী, তখন তারাও নিজেদের পরাজয় সম্পর্কে নিশ্চিত হয়।বাঙালীরা পাকিস্তানীদের থেকে সবসময় সব দিক থেকেই এগিয়ে ছিল,এত দিন নানারকম শোষণ করে দাবিয়ে রেখেছিল।কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হলে বাংলাদেশ তাদের থেকে সব দিক থেকেই এগিয়ে যাবে এটা তারা মানতে পারে নি।তাই তারা একটি জঘন্য, নিষ্ঠুর পরিকল্পনা করে বাংলাদেশ কে কয়েক যুগ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য।

তারা বাংলাদেশের সকল পেশার সেরা লোকদের একটি তালিকা তৈরি করে।তারপর তাদের এদেশীয় দোসর রাজাকার,আল-বদর,আল-শামস বাহিনীদের নির্দেশ দেয় তাদের এই ঘৃণ্য পরিকল্পনা বাস্তবায়নে।আর এদেশের সেই নরকের কীটতুল্য মানুষগুলো রাতের আধারে ডেকে নিয়ে হত্যা করে দেশের সেই সূর্যসন্তান দের। ফলে দেশ পিছিয়ে যায় কয়েকযুগ।আজ সেই সূর্য সন্তানরা বেচে থাকলে আমাদের দেশ সব ক্ষেত্রেই আরো অনেক উন্নতি করত।বিজয় দিবসের পূর্বমুহুর্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি জাতির সেই সূর্যসন্তান দের।

VOTE @bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

banner-NEW.png
break2.jpg
আমি বৃত্ত মোহন্ত (শ্যামসুন্দর)। বর্তমানে ছাত্র। নতুন কিছু শিখতে, নতুন মানুষের সাথে মিশতে আমার খুব ভাল লাগে। তেমনি বই পড়া আর ঘুরে বেড়ানো আমার পছন্দের কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম। মুক্তমনে সব কিছু গ্রহণ করার চেষ্টা করি আর মনে প্রাণে বিশ্বাস করি,"বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র"।
break2.jpg

Sort:  
 2 years ago 

শুরুতেই সকল বুদ্ধিজীবীদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই।
ক্লাস ৫ এর সমাজ বইয়ে একজন বুদ্ধিজীবীর নাম ছিল,জ্যোতিন্দ্রময় গুহঠাকুরতা।এই নামটা আমি উচ্চারণও করতে পারতাম না আর বানান খুব বেশি ভুল করতাম।
যাইহোক,জাস্ট স্মৃতিটা শেয়ার করলাম।দেশের সম্পদ ছিলেন তারা,সেসময় বেঁচে থাকলে হয়তো পাক বাহিনীর নীল নকশা বাস্তবায়ন আরো কঠিন হয়ে যেতো।

 2 years ago 

শহীদ বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে আপনি ভাল একটি পোস্ট করলেন। সেই ভয়ঙ্কর ১৪ই ডিসেম্বর রাতে রাজাকার, আল বদর দের হাতে যারা শহীদ হয়েছিলেন তাদের মধ্যে ছিল জহির রায়হানও। আমি আজকের এইদিনে প্রত্যেক বুদ্ধিজীবির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

 2 years ago 

সর্বপ্রথম স্রদ্ধা জানাই সেই সকল বুদ্ধিজীবিদের যারা ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানিদের হাতে শহীদ হয়েছেন।আজ তা্রা বেচে থাকলে আমাদের দেশটি শিক্ষা ,সংস্কৃতি সহ সকল ক্ষেত্রে এগিয়ে যেত ।উনাদের হারিয়ে আমরা পিছিয়ে পরেছি কয়েক বছর।সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।

 2 years ago 

শহীদের প্রতি রইলো সশস্ত্র সালাম,বিনম্র শ্রদ্ধা এবং অকৃত্রিম ভালোবাসা।

পাক হানাদার বাহিনীরা আমাদের দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শহীদ করলো। দেশকে মেধা শূন্য করার নীল নকশা করেছিল ১৪ই ডিসেম্বর। আজকের এই দিনে সকল বুদ্ধিজীবীদের প্রতি রইলো বিনম্র শ্রদ্ধা। আপনাকে ধন্যবাদ জানাই পোস্টটি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.25
JST 0.034
BTC 94343.80
ETH 2658.47
USDT 1.00
SBD 0.67