সকালের রোদ মাথায় নিয়ে আমরা দুজন, আমি আর আমার খালাতো ভাই, রওনা দিলাম নাশিক প্লান্ট এন্ড পটের উদ্দেশ্যে। প্রকৃতির কোলে একদিন কাটানোর এই পরিকল্পনা অনেক দিন ধরেই ছিল, কিন্তু সময়ের অভাবে তা আর হয়ে ওঠেনি। আজ সেই দিনটি এসে গেছে, আর আমরা দুজনেই বেশ উত্তেজিত।

যাত্রা শুরু:
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে প্রস্তুতি নিয়ে আমরা বেরিয়ে পড়লাম। গাড়িতে বসেই শুরু হলো গল্প, হাসি, আর ভবিষ্যতের নানা পরিকল্পনা। খালাতো ভাইয়ের সাথে সময় কাটানো মানেই হলো একটু অন্যরকম আনন্দ। তাঁর সাথে কথা বলতে বলতে পথ কেটে যেতেই সময় লাগে না।

নাশিক প্লান্ট এন্ড পটে পৌঁছানো:
প্রায় এক ঘণ্টার যাত্রার পর আমরা পৌঁছে গেলাম নাশিক প্লান্ট এন্ড পটে। গেট দিয়ে ঢুকতেই চোখে পড়লো সবুজের সমারোহ। চারপাশে নানা রকমের গাছপালা, ফুলের বাগান, আর ছোট ছোট পথ। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য দেখে মনটা একদম ফুরফুরে হয়ে উঠলো।

প্রকৃতির মাঝে হাঁটা:
আমরা দুজনেই প্রকৃতিপ্রেমী, তাই হাঁটা শুরু করলাম প্লান্ট এন্ড পটের ভেতর দিয়ে। পথে পথে দেখা হলো নানা রকমের গাছের সাথে। খালাতো ভাই আমাকে গাছের নাম আর তাঁদের বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে বলতে লাগলেন। তাঁর জ্ঞান আমাকে বেশ মুগ্ধ করলো। আমরা ফুলের বাগানে কিছুক্ষণ সময় কাটালাম, ফুলের সুবাস নিয়ে মুগ্ধ হলাম।

পিকনিক স্পটে বিশ্রাম:
কিছুদূর হাঁটার পর আমরা পৌঁছে গেলাম একটি পিকনিক স্পটে। সেখানে আমরা আমাদের খাবার খুলে বসলাম। খালাতো ভাইয়ের হাতের তৈরি স্যান্ডউইচ আর ফলের সালাদ খেয়ে মনটা ভরে গেল। খাওয়ার মাঝে আমরা নানা রকমের গল্প করলাম, হাসি-ঠাট্টা করলাম। এই সময়টা ছিল পুরোপুরি আমাদের দুজনের।

ফটো সেশন:
পিকনিক স্পট থেকে উঠে আমরা আবার হাঁটা শুরু করলাম। এবার আমাদের লক্ষ্য ছিল কিছু সুন্দর জায়গায় ফটো তোলা। আমরা নানা জায়গায় দাঁড়িয়ে ফটো তুললাম, কিছু সেলফি নিলাম। খালাতো ভাইয়ের সাথে এই মুহূর্তগুলো ছিল সত্যিই স্মরণীয়।

বিকেলের আড্ডা:
বিকেলের দিকে আমরা একটি ছোট ক্যাফেতে গিয়ে বসলাম। কফি আর কিছু স্ন্যাক্স নিয়ে আমরা আড্ডা দিলাম। এই সময়ে আমরা আমাদের ভবিষ্যতের নানা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করলাম। খালাতো ভাইয়ের পরামর্শ সবসময়ই আমার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ।

ফেরার পথে:
সূর্য ডুবে গেল, আর আমরা ফেরার পথে বেরিয়ে পড়লাম। গাড়িতে বসে আমরা সারাদিনের অভিজ্ঞতা নিয়ে কথা বললাম। খালাতো ভাইয়ের সাথে এই দিনটি ছিল সত্যিই অসাধারণ। প্রকৃতির মাঝে সময় কাটানো, গল্প করা, আর একসাথে কিছু মুহূর্ত কাটানো—এই সবকিছু মিলিয়ে এটি ছিল একটি স্মৃতিময় দিন।

অনুভূতি:
খালাতো ভাইয়ের সাথে এই দিনটি কাটানো আমার জন্য খুবই বিশেষ ছিল। আমরা দুজনেই প্রকৃতির মাঝে নিজেদের হারিয়ে ফেলেছিলাম। এই দিনটি আমাকে প্রকৃতির সৌন্দর্য আর সম্পর্কের গুরুত্ব সম্পর্কে নতুন করে ভাবতে শিখিয়েছে। খালাতো ভাইয়ের সাথে এই অভিজ্ঞতা আমার মনে থাকবে অনেকদিন।

এই ছিল আমার খালাতো ভাইয়ের সাথে নাশিক প্লান্ট এন্ড পটে কাটানো একটি স্মৃতিময় দিনের গল্প। আশা করি, আপনাদেরও ভালো লেগেছে।

আমার আজকের ব্লগটি আমি এখানেই শেষ করলাম।আশাকরি আপনাদের সবার খুব ভালো লেগেছে আমার আজকের ব্লগটি । ভালো লাগলে অবশ্যই লাইক,কমেন্ট করে আমাকে উৎসাহিত করবেন।আজ এই পর্যন্তই।আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

আমার বাংলা ব্লগের ভাইয়া ও আপুদের সবাইকে ধন্যবাদ। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী কোন ব্লগে।

আল্লাহ্ হাফেজ

ক্যামেরা পরিচিতি

Device	Motorola g34 5g
Camera	52 MP
County	Bangladesh
Location	Rangpur, Bangladesh

আমার নাম মোঃ আবু বকর (সিদ্দিক) ।আমি একজন বাংলাদেশের নাগরিক।আমি বাংলায় কথা বলতে ভালোবাসি এবং আমার মাতৃভাষা বাংলা।আমি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়,রংপুর কারমাইকেল কলেজ এর(IHC)ডিপার্টমেন্ট থেকে অনার্স করতেছি।আমি পড়ালেখা করার পাশাপাশি স্টিমিট প্লাটফর্মে কাজ করি। সবথেকে বড় পরিচয় আমি "আমার বাংলা ব্লগ"কমিউনিটির একজন সদস্য।আমি ২০২৪ সালের জুলাই মাসে এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হই। এই প্লাটফর্মের সাথে যুক্ত হতে পেরে নিজেকে অনেক ভাগ্যবান মনে করি।বিশেষ করে নতুন নতুন জায়গা ভ্রমণ করতে ভীষণ ভালো লাগে আমার।পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। আমার সব থেকে বড় ইচ্ছা আমি একজন উদ্যোক্তা হব।আমি মনে করি ধৈর্য,পরিশ্রম, বিশ্বস্ততা এগুলো সফল হতে সম্মুখ ভূমিকা পালন করে। ধন্যবাদ।

Vote@bangla.witness as witness

Or

Set@rme as your proxy

আমার ব্লগটি ভিজিট করার জন্য সবাইকে অসংখ্য "ধন্যবাদ।