বিষয় -- আমার ছেলেবেলা " কাঠ গোলাপের গল্প " | | @shimulakter | | ৯।১০।২০২২ ইং | |
হ্যালো
“আমার বাংলা ব্লগ” এর সকল ভারতীয় ও বাংলাদেশী ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন সবাই? আশাকরি সবাই ভাল আছেন।আমিও আপনাদের শুভকামনায় ও ভালবাসায় বেশ ভালোই আছি।আমি @shimulakter বাংলাদেশ,ঢাকা থেকে আপনাদের সাথে যুক্ত আছি। “আমার বাংলা ব্লগ “ এর ভারতীয় ও বাংলাদেশী যত সদস্য আছে সবাইকে আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বন্ধুরা,আমি আজ কোন রেসিপি বা কবিতা নিয়ে আসিনি।আমি আজ আমার ছেলেবেলার কাঠ গোলাপ ফুলকে নিয়ে আমার অনুভূতির একটি গল্প নিয়ে এসেছি।আশাকরি আমার ছেলেবেলার গল্পটি আপনাদের ভাল লাগবে। গল্পটি তবে শুরু করি ---
কাঠ গোলাপের গল্প |
---|
আমার বয়স তখন ৬/৭ বছর হবে।আমরা তখন পুরান ঢাকাতে থাকতাম। আমি পুরান ঢাকার একটি গার্লস স্কুলে তখন পড়ি।স্কুল বাসা থেকে কাছেই ছিল।কাজিনদের সাথেই হেঁটে হেঁটে যেতাম।আমাদের স্কুলের কিছু আগেই এক বাড়ির সামনে একটি কাঠ গোলাপের গাছ ছিল।গাছটির বেশকিছু অংশ গেটের বাইরে ঝুলে থাকত।আর সেই ডালটাতেই অনেক অনেক কাঠ গোলাপ হয়ে থাকত।সবচেয়ে ভাল লাগা কাজ করত যখন ওই পথটুকু পার হয়ে স্কুলে যেতাম।এত সুন্দর ফুলের ঘ্রান ছড়াত আমি মন্ত্রমুগ্ধের মত সেই পথটুকু পার হতাম।
সোর্স
এত ফুলের মুগ্ধতায় আমি মুগ্ধ
ছোটবেলা থেকে শিক্ষা পেয়ে এসেছি,পথে কিছু পরে থাকলে তুলবে না,কেউ কিছু দিলে খাবে না।এ শুনতে শুনতেই আসলে বড় হয়েছি।তবে যাই বলুন শিক্ষা যেটাই পাইনা কেন,গাছের বড় ডালটাই ছিল রাস্তার পাশে।আমি মর্নিং শিফটে ছিলাম।সকাল ৭.৩০ টার সময় স্কুলে যেতাম।সেই পথে এত ফুল পরে থাকত তা বলে বোঝাতে পারব না।যে শিক্ষাই পাই না কেন,এত ফুল দেখে আমার মন মানত না।রাস্তা বলে কথা, এ জন্যই এত সংকোচ।স্কুলের ভেতর গাছটা হলে ত কথাই ছিল না।কিন্তু রাস্তা,রাস্তায় কিছু পরলে ত তোলা যাবে না,এমনটাই ত শুনে এসেছি সব সময়।
সোর্স
স্কুলের খুব কাছে এলে কিছুটা পেছনে থাকতাম
স্কুলের খুব কাছাকাছি এলে আমি কাজিনদের থেকে একটু আলাদা হতাম।এরপর এদিক-সেদিক তাকাতাম।ছোট থেকে শুনে শুনে পথ থেকে কিছু তুলে নেয়া কেমন যেন সঙ্কোচ অনুভব করতাম।কিন্তু এত এত ফুলগুলো ত আর ফেলে রাখা যায় না।একটু বেলা হলে ত রিকশা এসে পিশে ফেলবে এত সুন্দর ফুলগুলো।এটাও তো মানা যায় না, তাই না।
সোর্স
এত সুন্দর একটি ফুল পথের ধারে ফেলে যেতে কার ই বা মন চায়,আমার তো মন চায়না ফেলে যেতে।
বন্ধুরা,সকালের এই সময়টাতে তখন স্কুলের ছাত্রী ছাড়া পথে তেমন মানুষ ছিল না।আমি তাদের দেখে নিয়ে এক এক করে ফুল তুলতে থাকতাম।কি যে সঙ্কোচ লাগত তখন, তা বলে বুঝাতে পারব না।একবার চোখ পথের দিকে দিতাম, আর একবার ফুল তুলতাম।দেখতাম,কেউ দেখছে কিনা আমায়।সেদিনের সেই ভাল লাগার অনুভূতি আজও মনে দোলা দিয়ে যায়।
সোর্স
ফুলের মুগ্ধতায় আমি বিভোর
এতটুকুতেই আমি শান্ত হইনি বন্ধুরা।আমি ফুল এরপর বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে রেখে দিতাম। তাতে কি যে সুন্দর ফুলের ঘ্রান বের হত,আজ ও সেই ঘ্রান আমি অনুভবে পাই। ফুলগুলো নিয়ে আমি যথার্থ ই ফুলের ব্যবহার সেদিন করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে,ছেলেবেলায় খুব ছোট ছোট যে কোন কিছুতে অনেক বেশি ভাল লাগা মিশে থাকে।সেই কথা আজ ও মনে হলে আমার খুব ভাল লাগে।তখন থেকেই কাঠ গোলাপ আমার ভালোলাগার জায়গা নিয়ে মনের মাঝে বসে আছে। তাই এই কাঠ গোলাপের গল্পটি আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।আশাকরি আপনাদের আমি আমার অনুভূতি লেখার মধ্যে দিয়ে কিছুটা হলেও বোঝাতে পেরেছি।
আজ এ পর্যন্তই।আবার কোন নতুন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হব।সবাই সুস্থ থাকবেন।ভাল থাকবেন।
অনেক ভাল লাগল আপনার ছোট বেলার স্মৃতি জানতে পেরে।আসলে ফুলের নিষ্পাপ সৌন্দর্যের কাছে সব নিষেধ গুলো যেন কোথায় হারিয়ে যায়। আমি তো কাঠগোলাপ পাড়তে গিয়ে, তারকাটা দিয়ে হাত কেটে ফেলেছিলাম।
আহারে, 😥ভাইয়া হাত কেটেও মনে হয় শান্তি ফুল পেয়ে তাই না। অনেক ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এটা নতুন কিছু নয় ছোট বেলায় মা যখন স্কুলের ব্যাগ কাধে দিয়ে বলে ৷ রাস্তায় কোনো কিছু পরে থাকলে নিবি না ৷ অচেনা কেউ কিছু দিলে নিবি না ৷ প্রতিদিন এসব কথা আর বলি ঠিক আছে ৷
আসলে তখনকার বয়সটা ছিল অবুঝ মন যখন যেটা ভালো লাগে ৷ হয়তো কিছুটা বুঝতাম তবুও অবুঝের মতো ৷
যা হোক আপনার কাঠ গোলাপের গল্পটা পড়ে ভালো লাগলো ৷ আপনি রোজ স্কুলে যাওয়ার পথে ফুল গুলে কুড়িয়ে নিতেন আর বইয়ের পাতায় রেখে দিতেন ৷
আসলে এটা আর বাড়ি থেকে যেটা বলে তার মধ্যে একটু ভিন্নতা আছে ৷
যা হোক ভালো লাগলো ঢাকাইয়া আপু৷ হিিহিহিহহিহ ৷
আপনার মন্তব্য পড়ে শেষে একটু হাসিও পেলো- ঢাকাইয়া আপু। 🤣🙏অনেক ধন্যবাদ আমার ব্লগটি পড়ার জন্য। অনেক শুভকামনা ভাইয়া আপনাকে।
আপু আপনি তো দেখছি আজকে অনেক ছোটবেলার কাহিনী লিখে ফেলেছেন। আপনার বয়স যখন ৬,৭ বছর ছিল কাজিনের সাথে হেঁটে হেঁটে যখন স্কুলে যেতেন কাট গুলাপ বাসনায় রাস্তা টুকু পার হওয়ার সময় মনমুগ্ধকর হয়ে যেতেন এই বিষয়টি সত্যি অনেক ভালো। আমাদের বাড়ির পাশে একটি কাঠ গোলাপ গাছ রয়েছে আপু আমাদের বাড়ি থেকে ঘ্রাণ পাওয়া যায় অনেক ভালো লাগে।সত্যি আপনার লেখার মাধ্যমে আপনি আপনার অনুভূতি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আমার ছেলেবেলার অনুভূতি আপনার ভাল লেগেছে জেনে অনেক ভাল লাগলো। অনেক অভিনন্দন আপনাকে।
আপনার এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আমার ছোটবেলার স্মৃতির কথা মনে পড়ে গেল আপু। আমাদের গ্রামে একটা বড় বাগান রয়েছে আর সেখানে রয়েছে একটা বড় কাঠ গোলাপের গাছ। স্কুলে যাবার পথে আমরা সেই গাছ থেকে ফুল সংগ্রহ করতাম আর আপনার মতই বইয়ের মধ্যে রেখে দিতাম। ফুলের সেই মধুর ঘ্রাণ আমি এখনো পাচ্ছি।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। সত্যি ছেলেবেলার দিন গুলো খুব মধুর ছিল। আজ ও মনে পরে।ভাল লাগলো আপনার মন্তব্য পেয়ে। অনেক শুভকামনা আপনার জন্য।
আমি ঠিক আপু আপনার মতো ফুল বইয়ের ভাঁজে ভাঁজে রেখে দিতাম। আর অনেক সুন্দর ঘ্রান বের হতো। আপনার ছেলেবেলা " কাঠ গোলাপের গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও ভাইয়া। আমার মত আপনিও ফুল বইয়ের মাঝে রেখে দিতেন, বিষয়টি ভাল লাগলো। অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আসলে আপু ছোটো বেলায় এটা প্রায়ই হতো। তবে ফুলের ক্ষেত্রে এই থিউরি না মানাই ভালো। ফুল তো সবার জন্য উন্মুক্ত আর সেটা যদি রাস্তায় পরে থাকে তাহলে তো কথাই নাই। আমিও ছোটো বেলায় অনেক বকুল ফুল কুড়িয়েছি। এমন কি এখনো করি গ্রামে গেলে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আসলে রাস্তায় পরে থাকা জিনিস সংকোচ লাগেই। তাও আমি থেমে ছিলাম না। 🤣অনেক অভিনন্দন আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আমরাও এটাই শুনেছি কখনো কোন কিছু পড়ে গেলে বা পথে পেলে তা তুলে নিতে নেই। কিন্তু ফুলের ক্ষেত্রে সেটি মানা যায় না। যাইহোক মজা পেলাম আপনি আপনার পথের দিকে তাকাচ্ছেন আবার ফুল তুলতে ব্যস্ত হচ্ছে। তবে আমিও আপনার মত আমার কোন ফ্রেন্ড ফুল গিফট করলে বইয়ের পাতা বা ডাইরির পাতায় রেখে দিতাম। কাঠগোলা ফুল আমার কাছেও বেশ ভালো লাগে কিন্তু কখনো স্বচক্ষে দেখা হয়নি।
অনেক ভাল লাগলো আপু আপনার সুন্দর মন্তব্য পেয়ে। 🥰কাঠ গোলাপ দেখেননি শুনে কিছুটা অবাক ও হলাম।🤔অনেক ধন্যবাদ আপু। 😊
আপনার লেখার মাঝে একটি সমস্যা হলো অনেক বেশি ছবি ইউজ করেছেন।যদি ছবিগুলো আপনার তোলা হতো তাহলে সমস্যা হতোনা।জেনারেল রাইটিং এর ক্ষেত্রে পোস্টের মাঝে এতো বেশি ছবি ইউজ করবেন না যদি তা আপনার তোলা না হয়।
ঠিক আছে আপু, মনে থাকবে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার ছোটবেলার কাঠ গোলাপের গল্পটি পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন আপনি ছোটবেলার মা-বাবার কাছে এগুলো শুনেছি যে পথে কিছু পড়ে থাকলেও তা তুলবে না এবং কেউ কিছু দিলেও তা নিবে না। এটাও সত্যি বলেছেন যে ফুল কুড়ানোর সময় একবার ফুলের দিকে তাকান আর একবার রাস্তার দিকে তাকান কেউ আছে কিনা। এটা আমাদের বেলাতেও হয়েছিল যখন কোন একটি ফুল রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখতাম তখন আমরা এগুলো তুলে নিতাম। আর বইয়ের ভাজে ভাঁজে ফুল রাখা এটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু। আমার গল্পটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভাল লাগলো। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল। 🥰