রেসিপি পোস্ট- পুরান ঢাকার মাঠা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই বেশ ভালই আছেন। আমিও মহান আল্লাহর রহমতে ও আপনাদের দোয়ার বরকতে বেশ ভালই আছি। আমি @maksudakawsar.আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন নিয়মিত ইউজার।নিয়মিত ইউজার হিসাবে আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করে যাই প্রতিদিন কমপক্ষে একটি পোস্ট করে আপনাদের সাথে থাকতে।
একে তো পবিত্র মাহে রমজান মাস। তার উপর চারদিকে প্রচন্ড রকমের গরম। সারাদিন রোজা থাকার পর মনে হয় অনেক পিপাসা পেয়েছে। বুক গলা সব যেন শুকিয়ে আসে। এ সময়ে আমাদের দেহে প্রচুর পরিমান পানীয় জাতীয় খাবারের প্রয়োজন হয়। যা আমাদের দেহকে হাইড্রেড করতে পারবে। পারবে দেহ কে প্রফুল্লতা এনে দিতে সমস্ত শরীরে ।
বন্ধুরা আপনারা হয়তো মাঠার নাম শুনেছেন। আর আপনারা এও হয়তো বা জানেন যে মাঠা আমাদের দেহের জন্য কতটা উপকারী। এই রমজানে সারাদিন রোজা রাখার পড়ে ইফতারিতে যদি রাখা যায় এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা মাঠা, তাহলে তো আর কোন কথাই নাই। ইফতারিতে এক গ্লাস মাঠা আপনাদের কে এনে দিতে পারে দেহে সতেজতা।আর আজ আমি আপনাদের মাঝে পুরান ঢাকার বিখ্যাত একটি মাঠার রেসিপি নিয়ে উপস্থিত হলাম।
আশা করি প্রচন্ড এই গরমের মধ্যে আমার তৈরি করা পুরান ঢাকার বিখ্যাত মাঠা আপনাদের সবার কাছে বেশ ভাল লাগবে। আর আপনারা সবাই বাসায় একবার তৈরি করে নিলে বেশ প্রাণবন্ত লাগবে নিজেকে। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি কেমন হলো সেটা কমেন্টন্টের মাধ্যমে জানাতে ভুলবেন না যেন।
★টক দই
★চিনি
★লেবু
★পুুদিনা পাতা
★পানি
★বিট লবন
★বরফ
ধাপ-১
প্রথমে একটি বড় পাত্রে টক দই ঢেলে নিবো।
ধাপ-২
এবার পেয়ালায় ঢেলে রাখা সেই টক দইয়ের ভিতর পরিমার মত চিনি দিতে হবে।
ধাপ-৩
এবার সেই টক দই এর মধ্যে পরিমান মত বিট লবন দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৪
এবার একটি বড় আকারের লেবু ভাল করে ধুয়ে কেটে নিতে হবে এবং টক দিই মধ্যে লেবুটির রস দিয়ে দিতে হবে।
ধাপ-৫
পেয়ালার মধ্যে যা যা নেওয়া হয়েছে সেগুলো খুব ভাল করে মিক্সড করে নিতে হবে।
ধাপ-৬
এবার মিক্সড করা টক গুলো একটি জগে ঢেলে তাতে কয়েক টুকরা বরফ দিয়ে দিতে হবে। যাতে করে একটু ঠান্ডা থাকে।
ধাপ-৭
এবার জগের মধ্যে পরিমান মত পানি দিতে হবে। তারপর একটি গ্লাস নিয়ে একবার জগ হতে গ্লাসে এবং গ্লাস হতে জগে ঢেলে ঢেলে মাঠাটা একটু ঘন করে নিতে হবে।
ধাপ-৮
এবার দুটো গ্লাসে মাঠাগুলো ঢেলে নিতে হবে এবং তারপর কয়েকটি পুদিনা পাতা দিয়ে দিতে হবে। পুদিনা পাতা মাঠার স্বাদ আরও কিছুটা বাড়িয়ে দিবে।
শেষ ধাপ
গ্লাসে ঢেলে তাতে পুদিনা পাতা দিলেই হয়ে যাবে আমাদের ঠান্ডা ঠান্ডা মাঠা।
তো তৈরি হয়ে গেল পুরান ঢাকার বিখ্যাত মাঠা রেসিপি। রেসিপিটি করার সময় আমি প্রতিটি ধাপের ছবি তোলে রেখেছি আপনাদের জন্য। আশা করি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে বেশ ভাল লাগবে। |
---|
ডিভাইস ও মডেল | vivo-S-22 |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @maksudakawsar |
কেমন লাগলো আমার আজকের ইউনিক রেসিপি? জানাতে ভুলবেন না যেন। |
---|
আপু আপনার মাঠা দেখে লোভ সামলাতে পারছি না। আমার খুব পছন্দ মাঠা। প্রতি রমজানে প্রায় অনেক দিনই মাঠা খাওয়া হয়। সারাদিন রোজা রেখে সন্ধ্যায় এই ঠান্ডা ঠান্ডা মাঠা খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে পুরান ঢাকার মাঠা তৈরির পদ্ধতি বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার আর শরীর ঠান্ডা করা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সারাদিন রোজা রেখে এই গরমে ইফতারিতে এক গ্লাস মাঠা এনে দিতে পারে দেহে প্রশান্তি।
খুবই মজাদার এবং ইউনিক ধরনের একটি রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পুরান ঢাকার এই মাঠা রেসিপিটি আমার কাছে অনেক বেশি নতুন এবং ইউনিক মনে হয়েছে। এ রমজানে আসলেই গলা শুকিয়ে একদম নিস্তেজ হয়ে থাকে আর এ সময় একগ্লাস ঠান্ডা মাঠা হলে দেহ নতুন করে প্রাণ ফিরে পায়। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি ভাইয়া ইফতারিতে এক গ্লাস মাথা খাওয়া হলে সন্ধ্যার পর শরীরটা অনেক ঝরঝরা লাগে। ধন্যবাদ
আপু আপনার মাঠা রেসিপি দেখে লোভ লেগে গেল। সত্যি আপু এই গরমে রমজান মাসে পানীয় খাবার খেলে অনেক ভাল লাগে।আপনি পুরান ঢাকার বিখ্যাত মাঠা তৈরি করেছেন, এমন মাঠা কখনো খাওয়া হয়নি। দেখি একদিন অবশ্যই তৈরি করব।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু অবশ্যই একদিন বাসায় তৈরি করবেন। আশা করি আমার জন্য একটু পাঠাবেন।
এখন অনেক বেশি গরম রোজা রেখে এরকম ঠান্ডা ঠান্ডা এক গ্লাস মাঠা খেতে পারলে শরীরের ক্লান্তি অনেকটাই দূর হয়ে যাবে। আপনার তৈরি করার মাঠা দেখে খেতে ইচ্ছে করছে।আপনার মাঠা তৈরির প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছে। সুস্বাদু ও লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সত্যি বলেছেন আপু ঠান্ডা ঠান্ডা এক গ্লাস মাঠা শরীরের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয়।
আপনি তো দেখছি এই রেসিপি নিয়ে খুবই পরিশ্রম করেছেন। আসলে পুরান ঢাকার মত আপনি চমৎকার ভাবে মাঠা তৈরি করেছেন যা দেখে আমার একটু খেতে ইচ্ছে করছে ।আমাদের জন্য একটু পার্সেল করে দিলেই তো পারেন। আসলে অনেক ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি দেখে ।এত সহজেই মাঠা তৈরি করা যায় জানতাম না।
আপু পার্সেল তো করতেই চাই। এত বড় ড্রাম কিভাবে পার্সেল করব।এসে খেয়ে গেলে ভালো হতো না।
এই রমজান মাসে যে পরিমাণ রোদের তাপ আর যে পরিমাণ গরম পরছে তাতে ইফতারের সময় যদি এরকম মাঠা তৈরি করে খাওয়া যায় তাহলে প্রশান্তি মিলে যায়। কীভাবে মাঠা তৈরি করতে হয় সেটা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।
প্রশান্তি মানে বিশ্বাস করেন ভাইয়া এক গ্লাস মাঠা শরীরকে করে তুলে উদ্যমী
মাঠা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আর মাঠা আমার খুবি প্রিয়।তাই আপনার রেসিপি পরিবেশন আমার খুবি ভালো লেগেছে, দেখে শিখে নিলাম পরবর্তী তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই রেসিপিটা দেখলে যেন কোনভাবেই লোভ সামলাতে পারে না। পুরান ঢাকাতে গিয়ে অনেকবার খাবার সৌভাগ্য হয়েছে এটা আমার। আপনি দেখছি খুবই দারুণভাবে রেসিপিটা তৈরি করতে সক্ষম হয়েছেন।
আমার মত তাহলে আপনিও মাঠার স্বাদ গ্রহণ করলেন।
আপনি খুবই মজাদার একটা রেসিপি তৈরি করেছেন। পুরান ঢাকার মাঠা রেসিপি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। এরকম রেসিপি গুলো খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি। আপনার রেসিপি'র কালার দেখেই তো আমার জিভে জল চলে এসেছে। এরকম মজাদার রেসিপি গুলো যত দেখি ততই ভালো লাগে। রোজার সময় দিনের বেলায় এরকম রেসিপি গুলো দেখলে একেবারেই ভালো লাগেনা শুধু খেতে ইচ্ছে করে। যাই হোক ভালো লাগলো আজকের রেসিপিটা।
আপু এরপর থেকে এ ধরনের রেসিপি ইফতারের পরে দেয়ার চেষ্টা করব। ইস সুযোগ থাকলে পাঠিয়ে দিতাম।