আমাদের রাজাবাজার (১০% বেনিফিশিয়ারি লাজুক খ্যাকের জন্য)
আমার বিচরণক্ষেত্রের প্রায় সব জায়গা এবং সব ঘটনাই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি বলা চলে।কিন্তু,আজ হঠাৎ করে মনে হলো আমি যেখানে বাজার করি সেই জায়গাই তো আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়নি।তাই আজ অন্যকিছু নিয়ে না ভেবে,বাজারের কথা নিয়েই বসলাম।

নামটার সাথে বাজারের একটা মিল আছে বলা চলে।রাজা নামটার মাঝে যেমন বিশালতার একটা ভাব পাওয়া যায়,তেমনি এই রাজা বাজার জায়গাটাও বিশাল বড়।কি উদ্দেশ্যে রাজা বাজার নাম রাখা হয়েছে তা আমার জানা নেই।লোকমুখে তেমন কিছু শুনিওনি।বড়গোলা মোড় থেকে একটু ভিতরের দিকেই রাজা বাজার।অন্যভাবে বলতে গেলে,সাতমাথা থেকে একটু পিছনের দিকে।করতোয়া নদীর ধারে রেল লাইনের এপাশে ওপাশে বাজারের অবস্থান।যেহেতু,দিনের বেলা আমাদের পাচজনের কেউই সময় পাইনা তাই বাজার করতে গেলে আমরা রাতেই যাই।দিনের বেলার দৃশ্য কেমন থাকে তা আমি বলতে পারবোনা,তবে রাতের কথা বলতে গেলে বলবো-রাজা বাজার ইজ অলয়েজ অন ফায়ার🥴।

বাজারটা আসলেই বিশাল বড়।তরি-তরকারি থেকে শুরু করে খাতা-কলম সবকিছুর দোকান-পাট দিয়ে ভরা।আর লোকজনের সমাগম এতো বেশি থাকে সবসময় যে,বাজারের ব্যাগের উপর হাত না রেখে যে পকেটে মানি ব্যাগ থাকে সে পকেটে হাত দিয়ে রাখতে হয়।
পাইকারি-খুচরা সবধরনের দোকানই রয়েছে।বিশেষ করে আলু,পেয়াজের চাহিদা বেশি হওয়ায় এগুলোরই পাইকারি বিক্রেতা বেশি।
বাজারের বিভিন্ন অংশে বিভিন্ন রকমের দোকান।এক পাশে পাইকারি সবজি বিক্রেতা,এক পাশে খুচরা বিক্রেতা।একদিকে মনোহারি দোকান,একদিকে মাছ,মাংস।একদিকে খাবারের দোকান,একদিকে আবার বিভিন্ন জাতের হকার।মানে পরিবেশ সবসময় গরম।
যেপাশটায় মাছ বিক্রি হয় সেখানে ঢুকলে তো মনে হয় যেন কোনো নদীর ভেতর নেমেছি।চারিদকে শুধু মাছ, মাঝে কয়েকটা মানুষ।সত্যি বলতে মাছের বাজারে ঢুকলে বেশ খারাপ লাগে।বাসায় থাকতে বাবার সাথে যখন বাজারে যেতাম,গলদা চিংড়ি থাকলে কিংবা বড় কোনো মাছ পেলেই বাবা কিনতো আমার জন্য।কিন্তু,এখানে এতো বড় বড় মাছ থাকা সত্ত্বেও খেতে পারিনা।মিলের বাজেট যে সীমিত 🙂।
রাতের বেলা কেনাকাটা করে একদিক থেকে সুবিধা পাওয়া যায়।অনেকসময় দেখা যায়,পরেরদিনের জন্য মাল নামছে তেমন সময় গিয়েছি আর টাটকা জিনিসগুলোই পাওয়া যায় তখন।আবার শেষ সময়ে ঘুরে দিবেনা জন্য অল্প দামেও ভালো জিনিস পাওয়া যায়😁।
চানাচুর,বিস্কুট, কেক মানে যাবতীয় বেকারি সামগ্রি বেশ অল্প দামেই কেজি দরে পাওয়া যায়।
মাছ বিক্রেতাদের থেকে মনে হয়,যারা মাছ কাটে তারাই বেশি লাভবান হয়😂।বাপরে লাইনে দাঁড়িয়ে মাছ কেটে নিতে হয় আর মুরগী কেটে নিতে গেলে তো ১৫/২০ মিনিটেও সিরিয়াল পাওয়া যায়না।
যেদিন বাজারে যাই,সেদিন পাচজন একসাথেই যাই। সেজন্য বাজার করে বেশ মজাও পাওয়া যায়।আর আমার বাজারে গিয়ে ভালো লাগে কারণ,নানা জাতের মানুষ দেখতে পারি।তাদের সম্পর্কে ধারনা পাই।আর তার থেকেও বড় কথা হলো,অভিজ্ঞতা গ্যাদার করা যায়।যা আমার কাছে ভালো লাগে।
আজ এ পর্যন্তই থাক তাহলে,সবাই ভালো থাকবেন।আল্লাহ হাফেয।
Cc. @farhantanvir
Shot on. Oppo f19 pro
Location
Date.07/08/22
অনেক সুন্দর ভাবে রাজাবাজারের রাত্রিকালীন পরিস্থিতি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝা যাচ্ছে এটি অনেক বড় একটি বাজার। আপনি ঠিকই বলেছেন ভাই, দিন দিন যেভাবে দ্রব্য সামগ্রীর দাম বেড়ে চলছে, চাইলেও বাজেট স্বল্পতার কারণে সকলের পক্ষে বড় মাছ খাওয়া সম্ভব নয়। ধন্যবাদ আপনার পোষ্টের জন্য।
ভালোবাসা নিয়েন ভাই 🥰🌸
সত্যিই রাজা বাজার টা দেখতে একদম রাজার মতই। আপনি তো দেখছি বাজারের প্রত্যেকটা জিনিস খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখিয়েছেন। দিনে সময়পান না বলে রাতের বাজার টা তুলে ধরেছেন। রাতেও দেখছি বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর মাছ দেখা যাচ্ছে। তার সাথে সবজিগুলো দেখছি বিভিন্ন ধরনের। বেশ ভালোই লাগলো আপনার পোস্ট দেখে।
আপনার ভালো লাগাই আমার স্বার্থকতা 🖤
রাজাবাজারের রাজা সাথে বাজারে অনেক টা মিল আছে। অনেক দিন হলো বাজারে যাওয়া হয় না। কবে লাস্ট গেছি সেটা মনে নাই সঠিক। আসলে বাজার করা একটি বড় অভিজ্ঞতা ।সবাই এটা পারে না। আপনার বাজারে দেখছি সবরকম এর জিনিস পাওয়া যায়।বাজার গেলে বোঝা যায় জিনিস এর দাম কতো যে করে সেই ভালো বুঝতে পারে। সবকিছু যে দাম বাজার করতে গেলে পকেট ভর্তি টাকা নিয়ে গেলে ব্যাগ ভর্তি বাজার করা হয় না। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর কিছু বাজারের চিএ তুলে ধরার জন্য। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
এতো সুন্দর মন্তব্যের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ 🥰🖤ভালোবাসা নিয়েন🤎