শিব(মহাদেব) এর সুন্দর একটি চিত্রাঙ্কন।
আমার বাংলা ব্লগবাসী
সবাইকে আমার নমস্কার,আদাব।আশাকরি আপনারা সকলেই ভালো আছেন,সুস্থ আছেন?ঈশ্বরের অশেষ কৃপায় আমিও ভালো আছি,সুস্থ আছি।
আমার বড় মেয়ের বেশকিছু চিত্রাঙ্কন আমি ইতিমধ্যেই শেয়ারে করেছিলাম আপনাদের সাথে।আজ আবারও একটি চিত্রাঙ্কন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি আশাকরি আপনাদের সকলে অনেক ভালো লাগবে।
মহাদেব এর সংক্ষিপ্ত পরিচয়।
জড় জগতের তিনটি অবস্থা সৃষ্টি, স্থিতি এবং প্রলয়। ব্রহ্মা হলেন সৃষ্টিকর্তা, বিষ্ণু হলেন পালনকর্তা, আর শম্ভু বা দেবাদিদেব মহাদেব হলেন সংহার কর্তা। সমগ্র জড় জগৎ জড় প্রকৃতির তিনটি গুণের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সত্ত্ব গুণের অধীশ্বর হলেন বিষ্ণু। রজ গুণের অধীশ্বর হলেন ব্রহ্মা এবং তম গুণের অধীশ্বর হলেন শিব বা শম্ভু। শিব’ শব্দটির অর্থ হলো ‘মঙ্গলময়’। তা সত্ত্বেও শ্রীমদ্ভাগবতের বর্ণনা থেকে আমরা জানতে পারি ভগবান শিবের নির্মল স্বর্ণাভ দেহ ভষ্মের দ্বারা আচ্ছাদিত। তার জটাজুট শ্মশানের ধূলির প্রভাবে ধূম্র বর্ণ।
মাটির সরা |
---|
অ্যাক্রেলিক কালার |
পেন্সিল |
তুলি |
প্রথম ধাপ
প্রথমে মাটির সরা সাদা রং দিয়ে পুরোটা রং করে নিয়েছে।তারপর শুকানোর জন্য রেখে দিয়েছে যাতে অন্য রং গুলোর সাথে মিশে না যায়।
দ্বিতীয় ধাপ
সাদা রং শুকিয়ে গেলে পেন্সিল দিয়ে মুখের পুরো আউট লাইনটি এঁকে নিয়েছে।তারপর নীল রং দিয়ে মুখের অংশটি এঁকে নিয়েছে।
তৃতীয় ধাপ
এবার কালো রং দিয়ে চোখ,ভ্রু,কপালের ত্রিনয়ন,এবং চুলগুলো এঁকে নিয়েছে।এবং নীল রং দিয়ে নাকের অংশটি গাঢ় করে এঁকে নিয়েছে।
চতুর্থ ধাপ
এবার লাল রং দিয়ে ঠোট দুটো এঁকে নিয়েছে।তারপর কালো রং দিয়ে চোখের পাঁপড়ি গুলো এঁকে নিয়েছে।
পঞ্চম ধাপ
এবার এ্যাশ রং দিয়ে চুলের অংশ গুলো এঁকে নিয়েছে এবং ত্রিনয়ন এ সাদা তিনটি দাগ যাকে ত্রিপুণ্ড্র বলে সেটি সাদা রং দিয়ে এঁকে নিয়েছে।
ষষ্ঠ ধাপ
এ্যাশ ও কালো রং দিয়ে গলার সাপ টি এঁকে নিয়েছে।তারপর সাদা রং দিয়ে চুলের জটায় একটি চন্দ্র এঁকে নিয়েছে। তারপর মেটে হলুদ রং দিয়ে জটায় রুদ্রাক্ষমালা ও কানের দুল এঁকে নিয়েছে।
সপ্তম ধাপ
এবার সবুজ ও লাল রং দিয়ে প্রকৃতির দৃশ্য এঁকে নিয়েছে। তারপর আকাশী ও সাদা রং দিয়ে বরফের পাহার এঁকে নিয়েছে।আর এরই মধ্যে দিয়ে পুরো চিত্রাঙ্কন টি সম্পন্ন হয়েছে।
ফাইনাল লুক
এই ছিলো আজকের শিব(মহাদেব) এর চিত্রাঙ্কন।আমি প্রতিটি ধাপে ধাপে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে।কার কেমন লেগেছে অবশ্যই মতামতের মাধ্যমে জানাবেন। আর যদি কোনো ভুলত্রুটি থেকে থাকে তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
ধন্যবাদ।
বাংলা উইটনেস।
OR
আপু আপনার বড় মেয়ের এর আগে অনেক পেইন্টিং দেখেছি। এবার আরও সুন্দর পেইন্টিং দেখতে পেলাম।মাটির সরার মধ্যে খুব সুন্দর পেইন্টিং করেছেন। আপনার মেয়ের এই পেইন্টিং খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। আপনার মেয়ের জন্য আর্শীবাদ রইল সে যেন বড় হয়ে আরও ভালো কিছু করতে পারে।
আপনাদের দোয়া ও শুভকামনা আমার মেয়ের জন্য অনেক বড় পাওয়া আপু।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য।
দিদি আপনার বড় মেয়ের হাতের এই পেইন্টিংটি সত্যি খুব সুন্দর হয়েছে। এর আগে অবশ্য ওর পেন্টিং আমার দেখা হয়নি। তবে আজকের পেইন্টিং দিয়ে দেখে বুঝতে পারলাম ও কিন্তু খুব ভালো পেইন্টিং করে। ও যেমন ভালো গান করে তেমন ভালো পেইন্টিং ও করে। এত সুন্দর একটি পেইন্টিং আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ওর জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আপু ও আগে আরও অনেক বেশি ভালো পেইন্টিং করতো।পড়াশোনার চাপের কারনে এখন আর চর্চা নেই তাই খুব একটা ভালো হয় না।আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
আপু আগেও দেখেছি আপনার বড় মেয়ের আর্ট।চমৎকার আঁকে কিন্তু। আজকের অংকনটি রঙতুলির ছোঁয়ায় চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছে।দারুন লাগলো আপু।গানের পাশাপাশি আর্ট ও খুব ভালো ই করে।ধন্যবাদ আপু সুন্দর এই আর্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের দোয়া ও ভালোবাসায় আমার মেয়ে ভালো কিছু করার আগ্রহ পায়। ধন্যবাদ আপু।
আপনার বড় মেয়ের এরকম আর্ট আমি এর আগেও দেখেছি। তবে আজকে দেখছি আপনার বড় মেয়ে অনেক সুন্দর একটা আর্ট করেছে যেটা দেখে আমি তো চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। আপনার বড় মেয়ে কিন্তু অনেক সুন্দর পেইন্টিং করতে পারে। এই পেইন্টিংটা সে অনেক বেশি ধৈর্য ধরে, সময় নিয়ে, নিখুঁতভাবে এবং দক্ষতার সাহায্যে অঙ্কন করেছে যা দেখে বুঝা যাচ্ছে দিদি। আপনি আমাদের মাঝে পেইন্টিং টা ভাগ করে নিয়েছেন দেখে আরো ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু আগেও ওর কয়েকটি পেইন্টিং শেয়ার করেছিলাম।আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুমি হলাম আপু।দোয়া করবে।ধন্যবাদ আপু।
এধরনের কালারফুল আর্টগুলো দেখতে চমৎকার লাগে আপু।আর এই আর্ট গুলো করতে বেশ ধৈর্য্য এবং সময়ের প্রয়োজন।আপনি আর্ট এর প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন,যেটা দেখে যে কেউ সহজেই আর্টটি তৈরি করে নিতে পারবেন।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টেটি শেয়ার করার জন্য।
জ্বি আপু কালারফুল আর্ট গুলো দেখতেই সত্যি ভীষণ ভালো লাগে।অনেক সময় লাগে জন্যই এখন আর আর্ট করতে দেই না সামনে ওর পরীক্ষা।আশাকরি পরীক্ষা শেষে আরও ভালো ভালো আর্ট শেয়ার করবো।ধন্যবাদ আপু।
হর হর মহাদেব 🙏🙏🙏। তোমার বড় মেয়ে বর্ষার তো গুণের শেষ নেই দিদিভাই। মাটির সরায় এক্রেলিক রঙ এর সাহায্যে দারুণ একটি অংকন করেছে। ওর উপস্থাপনাও বেশ ইউনিক। অনেক অনেক ভালোবাসা আর আশির্বাদ রইলো বর্ষার জন্য।
হর হর মহাদেব।🙏🙏🙏
মাসিমনির মতো গুণী যদি না হয় তাহলে কেমনে চলে বলো!আশীর্বাদ করিও তোমাদের মুখ উজ্জ্বল করতে পারে যেনো।ধন্যবাদ।