ভয়ংকর রাতে ভয়ংকর সুন্দর গিফট (শেষ পর্ব )
ভয়ংকর রাতে ভয়ংকর সুন্দর গিফট
কন্ঠটা পরিচিত হলেও যেন আমি আমার নিজেকে বিশ্বাস করতে পারছিলাম না যে আসলেই এটা সে। মানে আমার উনি। আমি কিছুক্ষন আগেইতো ফোনে কথা বললাম, সে ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে আমার সাথে কথা বলছিলো। এই মুহূর্তের মধ্যে সে কিভাবে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসতে পারে ? সে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে হাসছে আর বলছে আমি সত্যি আসছি তুমি দরজাটা খুলো কিন্তু তবুও আমি বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। তখন আমি আবারো কনফ্রাম হওয়ার জন্য তার ফোনে ফোন দিলাম। সে ফোন রিসিভ করে স্বাভাবিক ভাবে কথা বলছে, বললো আমি সত্যি আসছি তুমি দরজা খুলো। এর পর যেন আমি একটা বড় ও স্বস্তির নিঃশ্বাস নিলাম ও দরজাটা খুলে দিলাম।
![]() | ![]() |
---|
তাকে দেখার পর নিজের চোখকে বিশ্বাস করাতে না পারলেও একজন জলজেন্ত আস্ত মানুষ আমার সামনে দাঁড়িয়ে আছে এটা সত্যি বাস্তব। সে খুব হাসছে আর আমি রাগে যেন কাঠ হয়ে আছি। তখন ওকে কি বলে কিংবা কি দিয়ে শাস্তি দিবো সত্যি আমি জানিনা। সে আজ কোনো ব্যাগ নিয়ে আসেনি শুধু হাতে একটা গিফটের প্যাকেট। প্রতিবার সে আমাকে বলে আসলেও এইবার খালি ঘরে আমাকে ভয় দেখানোর জন্য প্ল্যান করে বাড়িতে এত রাত করে আসে। সত্যি সেদিনের মতো এত ভয় আমি কখনো পেয়েছি বলে আমার মনে হচ্ছে না। তার হাতে থাকা গিফটের প্যাকেট টা আমার হাতে দিয়ে বললো এই নাও এটা তোমার জন্য আমার পক্ষ থেকে ভালোবাসা দিবসের ভালোবাসাময় একটা গিফট। ওর এসব পাগলামি দেখে আমি আর নিজের রাগটা ধরে রাখতে পারলাম না।
![]() | ![]() |
---|
তারপর প্যাকেটটি খুললাম। খোলার পর সত্যি আমি এতটা অবাক হয়ে গেলাম যা বলে বুঝানো কখনোই সম্ভব না। প্যাকেটের ভিতর একটা বাক্স আর সেই বক্সটি খোলার পর দেখলাম একটা মেজেন্ডা কালারের শাড়ি, সাথে আছে শাড়ির সাথে মেচ করা গলার হার, চুরি , হাত ঘড়ি,লিপস্টিক , আইলেনার, মাথার খোঁপা ও তিনটা চকলেট । এই সবকিছু দেখার পর আমি ওকে কি বলবো সত্যি আমার মুখের ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম। একটা মানুষ কতটা ভালোবাসতে পারলে এই গভীর রাতে ভালোবাসার মানুষের কাছে গিফট নিয়ে হাজির হতে পারে আমার জানা নেই। বক্সের ভিতরে থাকা প্রতিটি গিফট আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। সত্যি সবকিছু অনেক ভালো ছিল। এগুলো দেখতে দেখতে আর এগুলো নিয়ে কথা বলতে বলতে কিভাবে যেন ভোর হয়ে গেলো টেরই ফেলাম না।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
ভোর চারটা বেজে ত্রিশ মিনিট। সে এই অবস্থাতেই বের হয়ে গেলো আবারো ঢাকার উদ্দেশ্যে কারণ ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হলেও চাকরির খেত্রে এসব ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই। তখন সত্যি আমার খুব মায়া হলো কিন্তু কিছুই করার নেই। আজ খুব মনে পড়ছে তার এই পাগলামি গুলোর কথা, তাই ভাবলাম সকলের মাঝে ডাইরির পাতার সাথে সাথে আমার মনের কথা ও অনুভূতি গুলো কিছুটা শেয়ার করা যাক।
সমাপ্ত
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

সত্যি আপু আগেই আন্দাজ করতে পেরেছিলাম ভাইয়া এসেছে। বিশেষ করে আপনাকে যে এত সুন্দরভাবে সারপ্রাইজ দিল এটাই ভালো লেগেছে। আর গিফট বক্সের ভিতরে প্রত্যেকটা জিনিস কিন্তু খুবই সুন্দর। বিশেষ করে শাড়িটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। ঠিক সেইম কালারের একটা শাড়ি আমারও আছে। আর ঠিক ঐদিন ভোরবেলায় আবারো চলে যেতে হয়েছে এটা ভীষণ খারাপ লাগলো। আসলে কি করবে চাকরির জন্য বাধা।
আপু আমি আগেই এমনটা ধারনা করেছিলাম।আপু পোস্ট পড়ে বেশ ভালো লাগলো।এই রকম ভালোবাসা দুই জনেরই থাকুক এই প্রত্যাশা করি।শাড়ি টা বেশ সুন্দর হয়েছে। সব কিছুই সুন্দর। ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
যাক অবশেষে আমাদের ধারণাই ঠিক হলো। ভাইয়া আপনাকে সারপ্রাইজ দিতে চলে এসেছেন। সত্যিই এভাবে মাঝে মাঝে কেউ সারপ্রাইজ দিলে ভালোই লাগে। তবে প্রথমে কিন্তু বেশ ভয় ভয় লাগছিল আপনার সেটা বুঝতেই পারছি। শাড়িটা দেখতে কিন্তু ভীষণ সুন্দর লাগছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
আসলে ভাইয়ার সারপ্রাইজটা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে আপু।তাই না।আসলে ভাইয়া যে আপনাকে কতটা ভালোবাসে তার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোর জন্য না বলে এসে আপনাকে চমকে দিয়েছে।তবে প্রথমে কিন্তু বেশ ভয় পেলেও ভাইয়াকে দেখে ভয়টি ভালোবাসায় রুপান্তরিত হয়েছিল।তবে ভোরেই আবার ভাইয়া চলে যাওয়াতে আপনার মনটাও খারাপ লাগারই কথা।আসলে কি আর করার চাকুরির জন্য তো যেতে হবেই।
আপু ভাইয়া আপনাকে ভয়ংকর রাতে ভয়ংকর সুন্দর গিফট নিয়ে ভয়ংকর ভাবে সারপ্রাইজ দিলো। এই পাগলেমো গুলোই স্মৃতির পাতায় জমা থাকবে। আপনার মনের অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য, ধন্যবাদ আপু।
অনেক ভাল লাগলো আপু।সারপ্রাইজ গিফট পেলে সত্যি ই খুব ভাল লাগে। অফিসটা এত বেরসিক কেন? এই দিনটিতে ছুটি দিয়ে দিলেই পারতো। যাক জীবনে অনেক সুখ ও শান্তি বয়ে আসুক।ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আসলেই ভাইয়ার সারপ্রাইজ টা কিন্তু অসাধারণ হয়েছে আপু। তবে ভাইয়াকে ভোরবেলাতেই চলে যেতে হলো কথাটা শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আসলেই ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস হলেও চাকরির ক্ষেত্রে ভালোবাসার কোনো মূল্য নেই। আপনার ও ভাইয়ার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।