ভয়ংকর রাতে ভয়ংকর সুন্দর গিফট (ভালোবাসা দিবস)
ভয়ংকর রাতে ভয়ংকর সুন্দর গিফট
ঘটনাটি কাল রাতের। আসলে এই রাতের ঘটনাটাকে আমি কি ভাবে উপস্থাপন করবো বুঝতে পারছিনা। এটা কি সত্যি ভালো লাগার একটা বিষয় নাকি খুবই ভয়ংকর একটা বিষয় সেটাও বুঝতে পারছিনা। আর এই ঘটনাটি পড়ে সবকিছুর উত্তর জানাবেন আপনারা। আমার বিয়ের তিন বছর প্রায়। আর মাত্র ২৬ দিন পর আমাদের বিয়ের তিন বছর পূর্ণ হবে কিন্তু এই তিন বছরের মধ্যে আমি একদিনও একা একা ঘরে থাকিনি। আমার শাশুড়ি দুইদিন হলো জরুরি একটা কাজে অন্য একটি জেলায় গিয়েছে, উনার ফিরতে আরো সপ্তাহ খানেক দেরি হবে। আমার উনি ঢাকা থেকে আসে প্রতি সপ্তাহ কিন্তু এখন প্রায় একমাস হয়ে গেছে উনার আসার কোনো নাম ঘন্ধ নেয়। উনার নাকি অফিসের কাজের অনেক চাপ যাচ্ছে তাই আমিও আর কিছু বলি না। সাথে আমার একজন ভাগ্নি আছে তাকে নিয়ে ভয়ে ভয়ে আল্লাহ আল্লাহ করে দুইরাত পার করলাম।
প্রতিদিনের মতো কাল রাতেও আমি আমার সকল কাজ শেষ করে আমার উনার সাথে ফোনে কথা বলে ঘুমানোর চেষ্টা করলাম। এমনিতেই একা একা আছি ভয়ে, তার মধ্যে উনি ভুতের কথা বলে আমাকে আরো ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। যাইহোক এসব কথা শুনতে রাজি না আমি তাই ফোন রেখে ঘুমিয়ে গেলাম। রাত তখন গভীর, টিনের চালে একটু পর পর ঠুশ- ঠাশ শব্দ হতে লাগলো। আবার কে যেন দরজায় নক করছে। এসবের শব্দে আমার ঘুম ভেঙে গেলো। ফোনটা হাতে নিয়ে দেখি রাত তখন আড়াইটা। ভয়ে আমার শরীর ঠান্ডা হয়ে আসছে। সব গুলো রুমের লাইট অন করে দিলাম আমার পাশে থাকা ভাগ্নিকেও ডাক দিলাম। দুইমিনিট পর জানালার মধ্যে শব্দ হতে লাগলো। মনে হচ্ছে কেউ একজন বাহির থেকে জানালা খোলার চেষ্টা করছে।
এরই মধ্যে আমি ঘরে থাকা একটা হকিস্টিক আর আমার ভাগ্নি একটা মোটা কাঠের লাঠি নিয়ে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি কারণ যদি চোর হয়ে থাকে তাহলে একটা বাড়ি দিবো মাথায় আবার মনে হচ্ছে চোর না হয়ে যদি জীন-ভুত কিছু হয় তাহলে আমরা শেষ। কিন্তু একটা ভয়ংকর ব্যাপার হলো শব্দটা এক জায়গায় না। একবার জানালায় তো আবার দরজায়। আবার টিনের চালে কিছু দিয়ে ঢিল মারার শব্দ আবার বাহির থেকে ঘরের দেয়ালে কেউ ঘুষি দিচ্ছে এসবের শব্দ। সব কিছু মিলিয়ে যেন আমরা পাগল হয়ে যাচ্ছি। কোনো কিছু বুঝতে না পেরে আমি আমার উনাকে কল দিচ্ছি কিন্তু সে ফোন ধরছে না। প্রায় চার থেকে পাঁচবার কল করার পর ঘুম ঘুম অবস্থায় বলে উঠলো কি হয়েছে ? এত রাতে কল কেন দিয়েছো? আমি সবকিছু বললে সে আমার মনের ভুল কিংবা বাতাসে এসব শব্দ হচ্ছে বলে ফোন রেখে দিলো।
আর এটা আসলেই কিসের শব্দ কনফ্রাম না হয়ে আমি আশেপাশে কাওকে জানাবো সেটাও কেমন জানি মনে হচ্ছে। এভাবেই চলে গেলো প্রায় আধা ঘন্টার উপর। আর ঠিক আধা ঘন্টা পর দরজায় একটু জোরে জোরে নক করার শব্দ। ভিতর থেকে চিৎকার করে বলতে লাগলাম কে ? কে ? কে বাহিরে ? ঠিক তখনি খুব পরিচিত একটা কণ্ঠ ভেসে আসলো কানে
(চলবে..........)
VOTE @bangla.witness as witness
OR

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
_

নিশ্চয়ই ভাই জান এসে ভয় দেখিয়েছিলো নাকি🤪🤪।আসলেই ভয়ের কথা তবে বেশ মজাও পাচ্ছি। আপু গিফটা কি ছিলো। ইশ পরবর্তী পর্বের জন্য আমাদেরকে জুলিয়ে রাখলো।ভালো লাগলো,বেশি বেশি ভয় পান যেন তাই আশা রাখছি😉😉হা হা। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ
কে ছিল আর গিফট কি ছিল সব জানতে পারবেন কালকের পর্বে।
আমাদেরকে জুলিয়ে রাখার জন্য জন্য তীব্র প্রতিবাদ😜😜
এটাই তো মজা।
এবার বুঝতে পারলাম সব প্ল্যান কার। সেই জন্যই ভাইয়া আগে থেকেই ভূতের ভয় দেখাচ্ছিল। যাতে করে প্ল্যান টা আরো ভালোভাবে সাকসেসফুল হয়। নিশ্চয়ই ভাইয়া আপনাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে চলে এসেছেন। সাথে কিন্তু বেশ ভালো ভয় দেখিয়েছেন। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে আরও কি জানতে পারি। অপেক্ষায় রইলাম আপু।
আপনি মনে হয় অনেকটাই বুঝে গিয়েছেন এটা কার কাজ। যাক কালকের পর্বে সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
নিশ্চয়ই ভাইয়া এসে আপনাকে ভয় দেখিয়েছে আপু। আসলেই বেশ ভয়াবহ অভিজ্ঞতা ছিল তবে গল্প শুনে বেশ মজা লাগলো। পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
প্রথমে ভুতের ভয় তারপর সেই রাতেই ভুতের মত আচরণ করা ব্যাপারটা অনেকটাই বুঝা যাচ্ছে কার কাজ হতে পারে। গিফট নিশ্চয়ই স্পেশাল কিছু ছিল । তবে অনেক ভয় পেয়েছেন সেটা বুঝতে পেরেছি। ভাগ্নি না থাকলে হয়ত বেহুঁশ হয়ে যেতেন, হা হা হা। ধন্যবাদ আপু।
হ্যা সত্যি বেহুশ হয়ে যেতাম।
সবকিছুই তো ঠিক ছিল। বেশ মজার একটা কাহিনী পড়ছিলাম। একদম মোক্ষম সময়ে এসে থামিয়ে দিলেন। কিন্তু পুরো পোস্ট পড়ে কিছুটা আন্দাজ করতে পারছি কে এসেছে। বিশেষ করে হকিস্টিক, লাঠি এইসব কিছু নিয়ে বসে আছেন এটা পড়ে ভীষণ হাসলাম। অবশ্য নিজের সেফটির জন্য এসব করাটাই ভালো। কারণ এখন আবার কোন কিছুর ভরসা নেই। তবে পরবর্তী কাহিনীটা পড়তে ইচ্ছে করতেছে।
আপু পরের পর্ব পোস্ট হয়ে গেছে। বাকিটা পড়লেই সব বুঝতে পারবেন।
আপু ব্যাপারটা কিন্তু বেশ ইন্টারেষ্টিং ছিল। আপনি আর আপনার ভাগ্নি যে প্রস্তুতি নিছেন, যদি বেচারা চোর হয় তাহলে এখান থেকেই হাসপাতালে অথবা কবরে যেতে হবে। দেখি কার ভাগ্যে হকিস্টিকের মাইর আছে,আবার ভাইয়াও হতে পারে,হি হি হি।