খোলা চিঠিঃ "প্রিয় মায়াবিনী" // আমার বাংলা ব্লগ // [ ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২১ ] 10 % to @shy-fox
২৯ই ভাদ্র, ১৪২৮ বঙ্গাব্দ
খোলা চিঠিঃ "প্রিয় মায়াবিনী"
প্রিয় মায়াবিনী,
আশা করি, তুমি ভালো আছো। হ্যাঁ, আমিও ভালোই আছি, কিন্তু তোমায় খুব মিস করছি। জানো মায়াবিনী, তোমায় না দেখতে খুব ইচ্ছা হয়। কিন্তু কি করবো বলো, সব ইচ্ছাগুলো তো আর পূর্ণতা পায় না। আমার না পাওয়া ভালোবাসা হয়েই নয়তো থেকো তুমি। মায়াবিনী জানো, এখনো আমার মনে পড়ে সেই দিনের স্মৃতিগুলো। যখন আমরা দুজন দুজনাকে না দেখে থাকতে পারতাম না, কথা না বলে থাকতে পারতাম না। জানো মায়াবিনী, বড্ড মিস করি, সেই দিনের রাত জেগে কথা বলার জন্য অপেক্ষা করাটাকে। অপেক্ষা করতে করতে একটা সময় ঘুমিয়ে পড়তাম। হঠাত ঘুম ভেঙ্গে গেলে মোবাইল ফোনের মেসেজ বক্সে একটু উকি মেরে দেখতাম, তুমি মেসেজ দিছো কিনা। যখন দেখতাম, তুমি মেসেজ দিতে দিতে হাপিয়ে গেছো, তখন তোমার রাগ আর অভিমান ভাঙ্গানোর হাজারো চেষ্ঠা আমি করতাম। আর আমি আমার প্রথম চেষ্ঠাতেই রাগ কমাই নিতা, কিন্তু বাকিগুলো দেখতা আমি তোমার কতটুকু কেয়ার করতে পারি।
জানো মায়াবিনী, আমারো না অভিমান হয়, বড্ড অভিমান। তুমি যে এখন আর আমার সাথে কথা বলো না, আমার সাথে দুষ্টুমি করো না। হ্যাঁ, আমি এখনো অভিমান করে আছি তোমার প্রতি। তোমার প্রতিটা অবহেলার প্রতি। কিন্তু আমার এই অভিমানগুলো ভাঙ্গানোর জন্যে আজ তুমি নেই মায়াবিনী। আমার প্রতিটা অভিমানগুলো আজ জায়গা পায় প্রতিটি পাতায়, প্রতিটি ইটের কোনায়। কোনো এক রঙ উঠা দেওয়ালে অভিমানগুলো লিখে রাখি, "ভালোবাসি তোমায় মায়াবিনী, বড্ড বেশি"।
তুমি কি জানো মায়াবিনী, তুমি চলে যাওয়ার পর আমি বড্ড একা হয়ে গেছি? জানো না তো! আর জানবাই বা কেমন করে? তুমি আছো যে ওই দূর আকাশে। মায়াবিনী, তোমার ওই মায়াবি হাসিটা না আর কারো মুখেই দেখতে পাই না। সবার হাসিটা কেমন যেনো পানসে পানসে মনে হয়। তুমি যখন হাসতে আর আমি তোমার ওই হাসি দেখতাম, তখন মনে হতো, আমি মনে হয় পৃথিবীর একজন সুখী ব্যক্তি। আমার মতো সুখী এ দুনিয়াতে আর কেউইইই নেই। কিন্তু কথায় আছে না,সব সুখ কপালে বেশি দিন থাকে না।
মায়াবিনী, তুমি কি শুনতে পাচ্ছো, আমার এই আহাজারি, আমার এই আর্তনাদ, আমার এই বিষাদগ্রস্ত চেহারা। দেখতে পাচ্ছো না তো, আর দেখতে পাবাই বা কেমনে, তুমি আছো যে ওই দূর আকাশে।
হ্যাঁ, তোমার চলে যাওয়ার আজ ২৫টি বছর হয়ে গেলো। ফেলে গেছো পৃথিবীতে আমাকে একা করে। কেনো নিয়ে গেলে না আমাকে তোমার সাথে ওই তারাদের ও রাজ্যে? কেন, নিয়ে গেলে না তোমার সাথে তোমার ওই দেশে। ধুকে ধুকে আজ আমি একধাপ করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছি আর ততই যেনো মনে হচ্ছে আমি তোমার কাছে যাচ্ছি। মায়াবিনী তুমি ভেবো না আমি খুব শীঘ্রই তোমার কাছে আসছি।
ইতি,
তোমার এই পাগলেটে জামাই।
আশা করি, আমার এই ব্লগটি আপনাদের ভালো লেগেছে। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই শেষ করছি।
আমার সম্পর্কে কিছু কথাঃ-
আমি মোঃ আবু হেনা সরকার। আর আমার ডাক নাম সাগর। আমি একজন স্বাধীন চেতনাময়ী ছেলে। যে সবসময় স্বাধীনতাকে প্রাধান্য দেই। আমি লিখতে, পড়তে, ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি, বিশ্লেষন এবং কোনো অজানা বিষয় সম্পর্কে জানতে ভীষণ আগ্রহী ও ভালোবাসি। আমি একজন মিশুক ছেলে। সবার সাথে মিশতে আমার অনেক ভালো লাগে।
ভাইয়া অসাধারণ হয়েছে আপনার মায়াবিনীকে নিয়ে লেখা চিঠিটা।ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
ভাই মায়াবিনি গল্পটি পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো, কিন্তু ভাই বাস্তবে এই গল্পের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা না করাটাই ভালো। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
জ্বি ভাই, বাস্তবে এর চরিত্রকে খোজাটা বোকামি হয়ে যাবে। 😁😁
মায়াবিনী কে নিয়ে অনেক মায়াবী ভাষায় আপনার পোস্টটি উপস্থাপনা করেছেন।
খুবই হৃদয় ব্যাথিত হয়ে গেলো ভাই।অনেক সুন্দর লিখেছেন আপনি।আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই, পুরোটা পড়েছেন দেখে ভালো লাগলো।
চিঠি অনেক আবেগ মেশানো আর ভালবাসায় আবেগ না থাকলে ভালবাসা অর্থহীন।
জ্বি আপু ঠিক বলেছেন।
খুব আবেগ দিয়ে লেখছেন দেখছি।আচ্ছা এই মায়াবিনী টা কে শুধু খোলা চিঠিতেই জায়গা পেয়েছে না আপনার জীবনেও ছিল তার অস্তিত?
এটি শুধুমাত্র একটি গল্প ছিলো ভাই। বাস্তবে এই গল্পের চরিত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই।
আপনার গল্প পরে ভালো লাগলো ভাই।
অনেক সুন্দর করে আবেগের কথা প্রকাশ করেছেন।
আপনার বায়াবিনীর জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া 💖
এটি শুধুমাত্র একটি গল্প ছিলো ভাই। বাস্তবে এই গল্পের চরিত্রের কোনো অস্তিত্ব নেই।
মায়াবিনী কে কিভাবে হারালেন ভাই,জানতে চাওয়া আমার অবুঝ মন!! অনুভূতির চাদরে ঘিরা আপনার গল্প
গল্পে গল্পে হারিয়েছে গল্পের নায়ক। আমি তার শুধুমাত্র একজন লেখক।
অনেকটা আবেগগণ হয়ে পড়েছিলাম গল্পটা পড়ে।২৫ টা বছর চলে গেলেও আপনি আপনার মায়াবিনীকে মনে রেখেছেন।এটাই বা কতজনই মনে রাখে।অনেক ভালো লাগলো পড়ে ভাই।
আমার বয়স মাত্র ২১। আর এ গল্প শুধু আমি লিখেছি। 😁
মায়াবীনির চিঠিটা পড়ে বেলা বোস গানের কথা মনে পড়ল। মায়াবীনি চলে যাওয়ার পরে এতো আহাজারি যেমনটা বেলা বোস যাওয়ার পর অঞ্জন দও করেছিল। খুবই হৃদয় বিদারক।
কমেন্টটিও আমাকে হৃদয় বিদারক করে দিলো ভাই।
😢😢😮😮🙂