দীর্ঘদিন পরে বাবার বাড়ি যাওয়ার মূহুর্তে
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ এর সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? নিশ্চয় মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে সবাই বাড়ির সকল সদস্যকে নিয়ে ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে এবং আপনাদের সকলের দোয়ায় ভালো আছি, সুস্থ আছি।সকল কে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের পোস্টঃ
দীর্ঘদিন পরে বাবার বাড়ি যাওয়ার মূহুর্তে
বরাবরের মতো আজ ও আমি আপনাদের মাঝেএসেছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে প্রতি দিন নতুন কিছু নিয়ে আসতে পারলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে।যাইহোক যতটা সম্ভব চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের পোস্ট করার জন্য। আজ কয়েক দিন আগে আমি গিয়েছিল আমার বাবার বাড়ি। আসলে প্রায় চার পাঁচ মাস পরে যাওয়া। যদি আমার শশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি যেতে সময় লাগে বিশ মিনিট। আসলে এর মাঝে যাওয়া হত, যেহেতু আমার মা বাড়িতে ছিল না তারজন্য আর যাওয়া হয়নি। এবার ঈদেও যায়নি।তবে গত শুক্রবারে আমার ভাইয়া আমাদের তিন বোনকে দাওয়াত দিয়েছিল, তাই সেই দিন গিয়েছিলাম।সত্যি বলতে বাবার বাড়ি তো বাবার বাড়ি যতই যায় না কেনো বারবার যেতে ইচ্ছে করে। যাইহোক দীর্ঘদিন পরে গেলে তো কথায় নেই। তো চলুন শুরু করি আমার আজকের পোস্ট।
আমার বাবার বাড়ি যদিও কাছে, তারপর হাইওয়ে রোড দিয়ে যেতে হয়। তাই আমরা একটা রিক্সা ভাড়া করে নিয়েছিলাম, সেই রিক্সা করেই আমাদের নামিয়ে দেব।তাই আমরা বাড়ি থেকে বের হয়েই রিক্সায় উঠলাম।
আমরা যখন রিক্সা দিয়ে যেতে লাগলাম, আসলে চারপাশের সবুজ প্রকৃতি গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। যেহেতু আমরা গিয়েছিলাম দশটার দিকে তখন তেমন রোদ ছিল না তাই প্রকৃতি দেখতে অনেক সুন্দর লাগছিল। আমি আমার বাবার বাড়ি সব সময় অটোরিক্সা করে যায়,তাই এমন এভাবে কখনো গাছপালা দেখা সম্ভব হয় না।রাস্তার চারপাশে সবুজ গাছ গুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগছে। আসলে আমাদের দেশের সবুজের সমারোহ দেখলে মন প্রাণ জুড়ে যায়। আমরা রিক্সার বসে এভাবে সবুজ দশ্য দেখতে অনেক ভালো লেগেছে আসলে এমন দৃশ্য আমার মনে হয় সবারই ভালো লাগে।
আমার বাবার বাড়ি যেতে দুটি স্ট্যান্ড পড়ে, তাই প্রথম প্রথম স্ট্যান্ডে গিয়ে আমরা একটু দাঁড়ালাম । এখানে দাড়ানোর উদ্দেশ্য হলো আমরা কিছু মিষ্টি নেব।যদিও আমি বেশির ভাগ সময় ফল নিয়ে যায়, তবে এবার আপনাদের ভাইয়া সাথে তাই ভাবলাম একটু মিষ্টি নিয়ে যায়। তারপর আপনাদের ভাইয়া মিষ্টি আনতে গেলে আমি বাচ্চাদের নিয়ে রিক্সায় বসে আছি। আর আপনাদের ভাই মিষ্টি আনতে গিয়েছিল, তাই আর মিষ্টির ছবি তুলতে পারিনি।সত্যিই তো বাবার বাড়িতে পরিবার নিয়ে এভাবে যেতে অনেক ভালো লাগে
তারপর যেতে যেতে আরো কিছু রাস্তার ছবি তুলে নিলাম। আসলে আমার মেয়েরা এভাবে গাড়ি গুলো দেখে অনেক আনন্দ অনুভব করেছে। আমি ও অনেক দিন পরে আপনাদের ভাইয়ের সাথে রিক্সা করে বেড়ালাম। বেশ ভালোই লেগেছে এভাবে রিক্সা দিয়ে যেতে।সত্যি বর্তমান অটোরিকশা হয়ে, রিক্সায় ঘোরাঘুরি বন্ধ হয়ে গেছে প্রায়। কিন্তু রিক্সার ঘুরার মজাই আলাদা।যাইহোক অবশেষে বাবার বাড়িতে ভালো মত পৌঁছে গেলাম। তবে এবার অনেক বেশি ভালো লেগেছে রিক্সায় আসার কারণে। আসলে এভাবে আপনজনে সাথে থাকলে সব সময় ভালো লাগবে। আশাকরি আপনাদের কাছে ও ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় | তথ্য |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @parul19 |
ডিভাইস | LGK30 |
লোকেসন | লিংক |
আজ এখানেই বিদায় নিচ্ছি। আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে অন্য কোন লেখা নিয়ে। সেই পর্যন্ত সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
আমি পারুল। আমার ইউজার নেম@parul19। আমার মাতৃভাষা বাংলা। বাংলাদেশ আমার জন্মভূমি।আমি ফরিদ পুর জেলায় বসবাস করি।আমার দুটি মেয়ে আছে। আমি বাংলাই লিখতে ও পড়তে ভালোবাসি। আমি নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে ও ঘুরতে পছন্দ করি।এই অপরুপ বাংলার বুকে জন্মনিয়ে নিজেকে ধন্যমনে করি।ধন্যবাদ বাংলা ব্লগে এই বাংলা সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু বাবার বাড়িতে যত যাওয়া হোক না কেন কিন্তু যতবার যাওয়া হয় ততবার মনে হয় প্রথম বার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে যাচ্ছি। জামাইরা হচ্ছে শ্বশুর বাড়িতে সব সময় নতুন তাই যাবার সময় একটু মিষ্টি নিলে ভালো দেখায়। অনেক সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন অনেক ভালো লেগেছে।
আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগল, ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়ার সাথে রিক্সায় করে বেরিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো আপু। বাবার বাড়িতে যাওয়ার আনন্দ অনেক বেশি। আপনি বাবার বাড়িতে যাওয়ার মুহূর্ত গুলো ক্যামেরাবন্দি করেছেন দেখে ভালো লেগেছে। ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনাকে ও অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার মত আমারও রিকশায় ঘোরাঘুরি করতে খুব ভাল লাগে। তবে আজকাল অটোরিক্সা এসে রিক্সার চল উঠে গেছে। সব মেয়েদেরই মনে হয় এইরকম বাবার বাড়ি যেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেকদিন পর বাবার বাড়ি ঘুরতে গিয়েছিলেন। বেশ মজা করেছেন মনে হয় সবাই মিলে।
আসলে ভাইয়া বাবার তো বাবার বাড়ি,ভালো লাগার জায়গা, ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেকদিন পর নিজের বাড়িতে যাওয়ার একটা অন্যরকম আনন্দ আছে। তবে দূরত্বটা আরেকটু বেশি হলে বোধহয় বেশি ভালো হতো 😉। রিকশা করে ভ্রমণটা আমার সব থেকে বেশি ভালো লাগে। আপনিও খুব ভালোভাবে বাড়িতে পৌঁছে গেছেন এবং নিশ্চয়ই এখন খুব ভালো একটা সময় কাটাচ্ছেন। অনেক শুভেচ্ছা রইল।
তা অবশ্যই ঠিক বলেছেন দূরত্ব একটু বেশি ভালো হত, তবে কাছে হলেও তেমন যাওয়া হয় না, ধন্যবাদ আপনাকে।
বাবার বাড়ি যাওয়ার জন্য প্রত্যেকটা মানুষেরই আকাঙ্ক্ষা থাকে। কবে যাবো এই চিন্তা ভাবনা সব সময় মাথার ভিতর ঘুরপাক খেতে থাকে। আর অনেকদিন পর বাবার বাড়িতে যাচ্ছেন সত্যি মুহূর্তটি অনেক আনন্দের ছিল।
জি ভাইয়া অনেক দিন পর গেলে আনন্দটা একটু বেশি থাকে, ধন্যবাদ আপনাকে।