জেনারেল রাইটিং: "একাকিত্ব"
নমস্কার
জেনারেল রাইটিং: "একাকিত্ব"
বন্ধুরা,প্রতিনিয়ত আমি ভিন্ন ভিন্ন পোষ্ট করতে ও লিখতে ভালোবাসি।তাই আজ আমি আপনাদের সামনে আবারো উপস্থিত হয়েছি সম্পূর্ণ ভিন্নধর্মী একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি আপনাদের সঙ্গে জীবনের একাকিত্ব সম্পর্কে আমার নিজস্ব অনুভূতি শেয়ার করবো।আসলে জীবন কত অদ্ভুত!কখনো হাজারো মানুষ পাশে থাকে আবার একটা সময় কেউবা পাশে থাকে না।এক্ষেত্রে কারো কারো মত ভিন্ন হতে পারে তবে আমি শুধুমাত্র আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশ করছি।আশা করি অনুভূতিটি ভালো লাগবে আপনাদের সকলের কাছে।যাইহোক তো চলুন শুরু করা যাক----
আজ সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েই যাচ্ছে তাই আবহাওয়া বেশ শীতল।আর এমন আবহাওয়াতে আমার বেশ একাকিত্ব মনে হয় নিজেকে।মনে হয় নিঃসঙ্গ এই জীবন, একাকিত্বের বেড়াজাল ঘিরে ধরে আমাকে।কিন্তু এই একাকিত্ব কোনো ভালোবাসা বা প্রেমের বন্ধনে আবদ্ধ নয়।প্রেমের সঙ্গে এর বিন্দুমাত্র সম্পর্ক নেই।আমি ছোটবেলা থেকে এমনই,অনেক জোরে বৃষ্টি হলে নিজেকে কেমন একঘেয়েমি লাগে।আর যদি সেসময় বিরহের বা কষ্টের কোনো গান চালিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তো আমার কান্না পেয়েই যায়।জানি না এমনটা কারো হয় কিনা,কিন্তু সকলের মুখ থেকেই শুনি বর্ষাকাল মানেই রোমান্টিক কিছু।তবে হ্যাঁ, বৃষ্টি হলে ঘরের বাইরে যেতে আমার একদম মন চায় না।শুধুই খেতে ইচ্ছে করে আর মুভি দেখতে ইচ্ছে করে।কিন্তু তার মাঝেও কোথাও যেন একাকিত্বের ছোঁয়া লেগেই থাকে।
আসলে একাকিত্ব কাকে বলে?
একাকিত্ব বলতে সহজ ভাষায় অন্যদের থেকে আলাদা থাকার অবস্থাকে বোঝায়।আবার অন্যদের মাঝে থেকেও একাকীত্ব অনুভব করা যায়।যেমনটা আমি করি,আসলে এটা একটা আবেগ।
একাকিত্বের আসলে কোনো নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই।একাকিত্ব ভয়ংকর চোরাবালির মতো,যা নিমিষেই মানুষের অস্তিত্বকে বিলিন করে দিতে পারে।অনেকে তার সঙ্গী হারিয়ে একাকিত্ব জীবন পার করে, তো অনেকে তার পিতা-মাতার কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে একাকী সময় পার করে।আবার অনেকে বন্ধুদের থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়ে একাকিত্বের স্বাদ গ্রহণ করে।কিন্তু এটা খুবই কষ্টকর একটি বিষয়,এই আবেগ কাউকে বোঝানো যায় না।এর কোনো নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য থাকে বলেও আমার মনে হয় না।শুধু মনে হয়, নিজেকে কষ্ট দেওয়ার অন্যতম পন্থা এই একাকিত্ব।
চোখ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়ার কারন খুঁজে বেড়ানো যতটা কঠিন ততটাই কঠিন এই একাকিত্ব জীবন। সবার মাঝে থেকেও অনেকে নিঃসঙ্গ জীবন পাড়ি দেয় অজানা এক ধূলিময় আবেগের বশে।চোখ খুলে নিঃশ্বাস নেওয়ার কারণ হয়তো অনেকেই খুঁজে থাকবে চিরচেনা কারো হাসির মাঝে,কখনো বা মায়ের মায়াভরা দৃষ্টির মাঝে আবার কখনো নতুন কোনো বন্ধুর আগমনের মাঝে।যে বন্ধু ঝড়ো হাওয়ার মতো জীবনে আগমন করে।হয়তো বন্ধুর থেকে বেশি ভূমিকা পালন করে সেই।।
জীবন কত অদ্ভুত তাইনা!কখনো হাজারো মানুষ পাশে থাকে আবার একটা সময় মানুষ সম্পূর্ণ একাকী জীবন পার করে।তখন কেউ পাশে থাকে না,ঠিক তখনের মুহূর্তটা কেমন হবে? নিশ্চয়ই, পাথরের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত জলের মতোই হবে।আবার হিমশীতল আবহ বরফ হয়ে সেই পাথরগুলোকেই ভেঙে টুকরো করে ফেলবে। আগামীকালও কেউ এভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার কারন খুঁজে বেড়াবে কিনা জানিনা! তবে একাকিত্ব যাকে স্পর্শ করে তাই ধ্বংস হয়ে যায়। তাই হয়তো একাকিত্ব একটা অভিশাপ।যতক্ষণ সহ্য করা যাবে ততক্ষণ এই অভিশাপ বয়ে বেড়াতে হবে।তবে এই সহ্যেরও একটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে।তাই এই ছোট্ট জীবনে একাকিত্বকে বর্জন করে চলা-ই ভালো।।
পোষ্ট বিবরণ:
শ্রেণী | জেনারেল রাইটিং |
---|---|
ডিভাইস | poco m2 |
অভিবাদন্তে | @green015 |
লোকেশন | বর্ধমান |
আমার পরিচয় |
---|
আমি সবসময় ভিন্নধর্মী কিছু করার চেষ্টা করি নিজের মতো করে।কবিতা লেখা ও ফুলের বাগান করা আমার শখ।এছাড়া ব্লগিং, রান্না করতে, ছবি আঁকতে,গল্পের বই পড়তে এবং প্রকৃতির নানা ফটোগ্রাফি করতে আমি খুবই ভালোবাসি।
আসলে আপু জীবনটা অদ্ভুত। জীবনে রয়েছে উতান পতন রয়েছে সংগ্রাম। যতদিন বেঁচে থাকব ততদিন কত কিছুই আমাদের সামনে আসবে। তবে খুবই ভালো লাগলো আপনার একাকিত্বের এই রাইটিং দেখে। খুব সুন্দর লিখেছেন আপনি।
ঠিক বলেছেন আপু,জীবনে উত্থান-পতন থাকবেই।আর সংগ্রাম করেই বাঁচতে হবে আমাদের, ধন্যবাদ আপনাকে।
এই একাকীত্ব সময় মানুষ তখনই বেশি পার করে, যখন কিনা তার আশেপাশের মানুষগুলো তাকে অনেক বেশি ঠকায়। কিন্তু নিজেদের ইচ্ছায় যদি বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবার কাছ থেকে আলাদা হয়ে মানুষ একাকীত্ব থাকে তাহলে অনেক কষ্ট হবে। এই একাকীত্ব টা একটা মানুষকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে পারে। একাকীত্ব যদি আমাদের সঙ্গ দিতে আসে, তাহলে ওটাকে পরিত্যাগ করা উচিত। একটা মানুষ যদি একাকীত্ব বোধ করে তাহলে তার মাথায় অনেক নেগেটিভ চিন্তাভাবনাও আসে। এই একাকীত্বটা আসলেই কিন্তু অভিশাপ হয়ে দাঁড়ায় মানুষের জন্য।
আসলেই একাকিত্বকে ত্যাগ করতে হবে, আর আশেপাশের মানুষজন ও এর প্রভাব ফেলে।ধন্যবাদ আপু।