শিথিল লকডাউন
দেশে করোনাভাইরাস বেড়ে চলেছে। করোনাভাইরাস বেড়ে চললেও লোকজনের অবসরের কোন জো নেই। সবাই সবার মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। সেটা প্রয়োজনের তাগিদেই হোক আবার অন্য কোন কারণেই হোক। রাস্তায় বেরোলে লোকের অভাব নেই। গাড়ি-ঘোড়া পুরোদমে চলছে। রাস্তায় লোকজনের ভিড় দেখে মনে হচ্ছে করোনাভাইরাস দেশে আর নেই।
আসছে ২১ তারিখে কোরবানির ঈদ। ঈদ উপলক্ষে ১৫ তারিখ থেকে দেশে সরকার কর্তৃক লকডাউন শিথিল করা হয়েছে। লকডাউন শিথিল করায় কর্মস্থল ত্যাগ করে নাড়ির টানে সবাই যে যার নিজ গৃহে ফিরছে। কারণ কোরবানির ঈদ সবাই গ্রামের বাড়িতে করতে চায় । সবার একটাই চাহিদা পরিবার পরিজনদের সঙ্গে ঈদ উৎসবের আনন্দ ভাগাভাগি করে নেওয়া। লকডাউন শিথিল করায় দেশের শপিংমল, যানবাহন , বাজার ঘাট থেকে শুরু করে যাবতীয় সকল কার্যক্রম চালু করে দেয়া হয়েছে। যার ফলে দেশের সকল জায়গা লোকে লোকারণ্য। পরিবহন ব্যবস্থা, শপিং মল, যানবাহন, বাজার ঘাট সকল জায়গায় লোকজনের ভিড় বেড়ে গেছে। যার প্রভাব পড়ছে প্রতিদিনের করনা ভাইরাসের আক্রমণ এবং মৃত্যুহারে। করোনা ভাইরাসের মৃত্যুর হার পূর্বের তুলনায় দিন দিন বেড়েই চলেছে। সরকারের দেয়া নির্দেশাবলীও তেমন একটা মেনে চলছে না। বগুড়া শহরের অবস্থা দেখে পুরো দেশের খবর কিছুটা হলেও আন্দাজ করা যাচ্ছে। ঢাকা থেকে লোকজন দেশের বিভিন্ন শহর গুলোতে তাদের নিজ নিজ বাড়ি ফিরছে। ফলে গণপরিবহন গুলো থেকে করোনাভাইরাস বেশি ছড়াচ্ছে।
এই কঠিন পরিস্থিতি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে আত্মসচেতনতাই মুখ্য বিষয়। লোকজনদের নিজ থেকেই সকল নিয়ম কানুন মেনে চলতে হবে। সরকারের দেয়ার নির্দেশাবলী মেনে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে যানবাহনগুলোকে চলাফেরা করতে হবে।
শপিং মলগুলোতে সাবধানতা মেনে চলতে হবে। নিজের নিরাপত্তা নিজের কাছে এই মতবাদে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রত্যেকে নিজ নিজ নিরাপত্তা মাধ্যমে করোনাভাইরাস থেকে পরিত্রান পাওয়া সম্ভব।
খুব সুন্দর লিখেছেন।আশা করি খুব তাড়াতাড়ি এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবো।
লকডাউন শিথিল তারমানে এই নয় যে করোনা নাই ।যাইহোক ভালো লিখেছেন । নিরাপদে থাকুন সুস্থ থাকুন ।ধন্যবাদ।
ভালো লিখেছেন ভাইয়া।কিন্তু মানুষ এসব বিষয়ে বড্ড বিমুখ।ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার পোস্টটি অনেক সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।