লাইফ স্টাইল: আমার কাটানো ব্যস্তময় একটা দিন।
আমার প্রিয় বন্ধুগন, সবাই কেমন আছেন? সবাইকে আমার আন্তরিক মোবারকবাদ এবং অন্তরের অন্তস্থল থেকে আপনাদেরকে জানাই শুভেচ্ছা।
আমার কাটানো ব্যস্তময় একটা দিন। |
---|
বন্ধুরা আমি আজকে আপনাদের মাঝে আমার ব্যস্তময় একটি দিনের ঘটনা তুলে ধরব। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
সবারই দিন শুরু হয় সকাল থেকে।আর সে ধারাবাহিকতায় আমিও সকাল আটটায় ঘুম থেকে উঠলাম। তারপরে ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করি, নাস্তা করার পরেই আমি বের হচ্ছিলাম বাজারে যাব। তখনই দেখতে পাই আমারে জেঠু মশাই কে হাইছে করে নিয়ে এসেছে হসপিটাল থেকে। এর আগের দিন রাত্রে আমি সহ ওনাকে হাইছে উঠিয়ে দিয়েছি চট্টগ্রাম হসপিটালে নিয়ে যাওয়ার জন্য। সম্ভবত তিনি স্ট্রোক করেছিল।
আমি যখনই বের হয়েছিলাম তখন দেখি উনাকে গাড়ি থেকে নামাচ্ছে। তখন আমি নিজেও উনাকে ধরে ঘরে যেতে সাহায্য করলাম। জেঠুর সাথে জেঠাতো বোনের হাজবেন্ড গিয়েছিল। তাকে জিজ্ঞাসা করলাম ডাক্তার কি বলল। তিনি বললেন যে ওনাকে বাড়িতে ট্রিটমেন্ট দেওয়া হয়েছে।যতদিন বাঁচে এভাবেই থাকতে হবে। বিষয়টি শুনে খুব খারাপ লাগলো।
যাইহোক সেখানে কিছুক্ষণ থেকে আমি চলে গেলাম বাজারে। যাওয়ার পরে বাড়ির জন্য কিছু কেনাকাটা করলাম এবং সেগুলো পাঠিয়ে দিলাম রিক্সায় করে। এরপর দোকানে গেলাম,সেখানে কিছুক্ষণ সময় অতিবাহিত করলাম। এরপর এক বড় ভাই কল দিল তার একটা মেইলে সমস্যা হচ্ছিল, সেটা একটু ঠিক করে দেওয়ার জন্য। তখন তার সাথে মিট করলাম এবং তার মেইলটা ঠিক করে দিলাম।
এরপর আম্মু ফোন দিল বাড়িতে লাকড়ির প্রয়োজন।যেহেতু আমাদের বাড়িতে লাইনের গ্যাস নেই,তাই সিলিন্ডার ইউজ করতে হয়। তবে সব সময় তো আর সিলিন্ডার ইউজ করা যায় না। তাই লাকড়ির প্রয়োজন হয়। তখন চলে গেলাম সো-মিল। সেখান থেকে লাকড়ি কিনে বাড়িতে পাঠালাম। লাকড়ি কিনতে গিয়েও অনেকটা হয়রানি হতে হয়েছে। একেক জায়গাতে এক এক রকম দাম। অবশেষে নিজেদের এরিয়ার পাশে একটি সো-মিল ছিল। সেখানে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে ২৫০ টাকা দরে মন কিনে নিলাম।
যাইহোক লাকড়ি রিক্সায় উঠিয়ে দিয়ে পাঠিয়ে দিলাম। এরপর আবার দোকানের দিকে গেলাম। সেখানে আরো কিছুক্ষণ সময় দিলাম। তারপর দুপুরবেলা বাড়িতে ফিরে আসলাম। ফিরে আসার পরে জানতে পারি আমার এক জেঠাতো ভাই ফ্রান্স থেকে এসেছে। সে নাকি আমার খোঁজ করেছিল আমাদের ঘরে এসে। কারন তার বিয়ের প্রিপারেশন বৈঠক, মানে যেটাকে আমরা হর্দ বলি। সেই হর্দের দাওয়াত দেওয়ার জন্য এসেছে। কিন্তু আমাকে না পেয়ে আম্মুর কাছে বলে গিয়েছে।পরে আম্মু আমাকে বলে বিষয়টি।
আমি খাওয়া-দাওয়া করে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে আবার চলে যাই দোকানে। যাওয়ার পর কিছুক্ষণ বসলাম দোকানে। এদিক থেকে আরেকটা বিপদ ঘটেছে দোকানে।যে লোককে রাখা হয়েছে দোকানে তাকে ভীমরুলে কামড়িয়েছে। যার কারণে তার অবস্থা সিরিয়াস। তাই তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেই হিসেবে দোকানে কেউ নেই। আমাকে বিকেলবেলা বসতে হচ্ছে। অবশেষে চারটার দিকে নাস্তা করার জন্য বের হলাম।
নাস্তা করা কালীন এক চাচাতো ভাই এর সাথে দেখা।সে বলে কি ব্যাপার হর্দের অনুষ্ঠানে যাবানা। তখন আমি বললাম যে আমি তো ভুলেই গিয়েছিলাম। ঠিক আছে যাব আমি, তবে দোকানে কাউকে রেখে আসি। এর মধ্যে আমার ছোট ভাই ও দোকানে এসে উপস্থিত। তাকেও দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল। তখন দোকানে কয়েকটি ছাত্রকে থাকতে বলি এবং আমরা চলে যাই স্টার রেডিসন হোটেলে। যেখানে হর্দের আয়োজন করা হচ্ছে। সেখানে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ জনের মতো লোক হবে।আর এতে দুপক্ষের লোকই ছিলো।
যাইহোক রীতিমত যারা মুরুব্বী শ্রেণীর লোক ছিলেন তারা বিয়ের বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা করলেন। আর টুকানামা বা হর্দনামা রেডি করে ফেলেন। এরপর শুরু হল খাওয়ার পালা। হর্দে খাওয়ার জন্য তারা অর্ডার করেছিল চিকেন পোলাও। স্টার রেডিসনের চিকেন পোলাও আবার অনেক সুস্বাদু ও নামকরা একটি খাবার। যাইহোক সবার জন্য এই একই খাবার তৈরি হয়েছিল। চিকেন পোলাওর মধ্যে এক পিস চিকেন রোস্ট ও একটি ডিম ছিল, সাথে সালাদও ছিল।আবার সবাইকে একটি কোক এবং একটি ছোট পানি দেয়া হয়েছিল।
রীতিমতো সবাই হাত ধুয়ে খাওয়া স্টার্ট করলো। আর যারা সেখানে খেতে চায়নি তাদের জন্য পার্সেল এর ব্যবস্থা করা হয়েছিলো। আমরা সেখানে খাওয়া-দাওয়া করে বিদায় নিয়ে নিলাম।আর আগামী বৃহস্পতিবার শুক্রবার আমার সে জেঠাতো ভাইয়ের বিয়ে। যাই হোক সেখানে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আমি এবং আমার ছোট ভাই দুজনে দোকানে চলে আসি।
রাত্রিবেলায় যেহেতু তেমন একটা ভীড় নেই দোকানে।তাই ছোট ভাইকে বললাম ঠিক আছে আমি চলে যাচ্ছি, তুই থাক। এরপর আমি চলে আসি বাড়িতে। বাড়িতে আসার পরে ফ্রেশ হয়ে আম্মুকে বলি এক কাপ রং চা দিতে। রং চা খাওয়ার পরে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিলাম। তারপরে মোবাইলে কিছুক্ষণ ডিসকোর্ড এ চ্যাট করলাম। তো বন্ধুরা এই ছিল ব্যস্তময় একটি দিনের কথোপকথন। আশা করছি আপনাদের ভালো লেগেছে। কষ্ট করে ব্লগটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
আজ আর নয়, আপনার নিকটতম এবং প্রিয়জনদের সাথে সুস্থ ও নিরাপদে থাকুন, নিজের যত্ন নিন। আপনার দিনটি শুভ হোক
VOTE @bangla.witness as witness
OR


ফোনের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
ক্যামেরা.মডেল | এম ৩২ |
ক্যাপচার | @nevlu123 |
সম্পাদনা | রিসাইজ &সেচুরেশন। |
অবস্থান | বাংলাদেশ |
আমি বাংলাদেশ থেকে ইমদাদ হোসেন নিভলু।আমার স্টিমিট আইডি হল @nevlu123।আর Nevlu123 নামে আমার একটি ডিসকোর্ড অ্যাকাউন্ট আছে।বর্তমানে আমার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আর সেই তিনটি প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি আমি স্টিমিট এ কাজ করি।জাতিগতভাবে আমি মুসলিম। কিন্তু ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি। কারণ আমি বাংলা ভাষায় কথা বলি, তাই ভাষাগতভাবে আমি বাঙালি।আমার সবচাইতে বড় শখ হচ্ছে বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করা।এ পর্যন্ত আমার তিনটি দেশ ভ্রমণ করা হয়েছে যদিও আরও ইচ্ছে রয়েছে অন্যান্য দেশ ভ্রমণ করার।যাইহোক শখের মধ্যে আরো রয়েছে গান,ভিডিও ইডিটিং ফটোগ্রাফি, ভিডিওগ্রাফি আর্ট এবং টুডি থ্রিডি ডিজাইন এর কাজ।
Thank you, friend!


I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
💐🙏❣🙏💐
https://x.com/Nevlu123/status/1711586306776850582?s=20
ভাইয়া আপনাকে অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর করে আপনার ব্যস্ত একটি দিনের কাহিনী লিখলেন । আমি পড়তে পড়তে কোথায় যেন হারিয়ে গিয়েছি। প্রথমে দোয়া করছি আপনার জেঠুর জন্য আল্লাহ যেন তাকে সুস্থ করে দেন। তারপর আপনি একে একে এক ভাইয়ার মেইল ঠিক করে দিলেনয মার জন্য লাকড়ি কিনলেন ২৫০ টাকা মন দিয়ে। দোকানে গিয়ে বসলেন।এরপর আবার দাওয়াত খেতে গেলেন। তারপর আবার ভাইকে নিয়ে দোকানে এসে বসলেন। তারপরে বাসায় গিয়ে মারহাতের বানানো অমৃত এক কাপ রং চা খেয়ে সারাদিনের ক্লান্তিটা দূর করে দিলেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে এত সুন্দর করে লেখার জন্য। ভালো লাগলো।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। সুন্দর মতামত প্রধানের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে আপনার সারাদিনের একটি ব্যস্তময় দিনের কথা সুন্দর করে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। তার সাথে যে ছবিগুলো তুলেছেন সব মিলিয়ে ভালো লেগেছে। হ্যাঁ ভাইয়া গ্রাম এর সময় গুলো একটু ব্যস্তই থাকে। তবে সব মিলিয়ে আপনি সারাদিনের ব্যস্ততার কথাগুলো খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছে। সবচাইতে ভালো লেগেছে রাতের বেলা বাসায় যাবার পর আপনার মার হাতে এক কাপ রং চা খেয়েছেন আর সেটাতে আপনার সারাদিনের ব্যস্ততার সমাপ্তি ঘটিয়েছেন এবং তারপর disc কোড এ সবার সাথে চ্যাট করেছেন। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে খুব সুন্দর করে ব্লকের ভাষাগুলো লিখার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু। 💐💐
আপনার দিন টা তো দেখছি বেশ ভালই ব্যস্ততার সাথে কেটেছিল। আসলে এমন কিছুদিন হয়ে থাকে যেই দিনগুলোতে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয়। সকালে লাকড়ি কিনতে যাওয়া থেকে শুরু করে আবার দাওয়াত খেতে যাওয়া সব মিলিয়ে নিশ্চয়ই দিনটি খুব ভালোই কেটেছিল। যাহোক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ব্যস্ততম দিনের অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমারও সেটা মনে হয় এমন কিছুদিন হয়ে থাকে যেই দিনগুলোতে সারাদিনই ব্যস্ত থাকতে হয়।
পুরো দিনের ব্যস্ততা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। অনেক ব্যস্ত সময় কাটালেন। আসলে একজন দায়িত্ববান মানুষের অনেক কাজ থাকে সারাদিন মিলে। সেগুলো যদিও সংক্ষিপ্ত কথায় শেষ করা যায়। কিন্তু সারা দিনের ছোটাছুটি মানুষকে অনেক বেশি ক্লান্ত করে ফেলে। তো অবশেষে অনেক কাজ করলেন। কিন্তু বিকেল বেলায় দারুণ খাওয়া দাওয়া করলেন। হর্দ করার সময় খাবারের মেনু টা দারুণ ছিল। সব মিলিয়ে দিনটা অনেক সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করলেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
একদম মনের কথা বলেছেন সারা দিনের ছোটাছুটি মানুষকে অনেক বেশি ক্লান্ত করে ফেলে।
সত্যি বেশ ব্যস্ততার একটি দিন কাটালেন। আপনার জেঠু স্ট্রোক করেছে জেনে খারাপ লাগলো। উনার জন্য দোয়া রইলো। দাওয়াতে নিশ্চয়ই ভালো কিছু মুহূর্ত পার করেছেন। খাবারের ব্যবস্থা তো ভালোই ছিল। আপনার ব্যস্তময় দিন সম্পর্কে জেনে ভালো লাগলো।
জি আপু খাবারের ব্যবস্থা অনেক ভালোই ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই সারাদিন তো ভালোই ব্যস্ততার মধ্যে দিন কেটেছে আপনার। একদিনে তো দেখছি অনেক কাজ করে ফেলেছেন। আপনার জেঠুর জন্য অনেক অনেক দোয়া রইল। দাওয়াতে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন ভাই। ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝা যাচ্ছে খাবার খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। সবমিলিয়ে পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো ভাই। শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলেই ভাই খাবার খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে।
তাহলে তো দেখছি ভালোই ব্যস্ততায় দিন কেটেছে।আর জেঠাতো ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে গেল আবার সেই হর্দের অনুষ্ঠান তুমিও ছিলে যেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সবার উদ্দেশ্যে পুরো দিনের কর্মসূচি শেয়ার করার জন্য।
জি জেঠাতো ভাইয়ের বিয়ে ঠিক হয়ে গেল।অসংখ্য ধন্যবাদ তোমাকে।