আমরা যখন মোটরসাইকেল নির্দিষ্ট করে নিলাম। এরপর দামদর ঠিকঠাক হলো। তখন তারা আমাদের আপ্যায়ন করার জন্য প্রথমে চা আর বিস্কুটের ব্যবস্থা করল। এদিকে ভাই বলছিল সন্ধ্যা হয়ে গেছে, দ্রুত মোটর সাইকেল নিয়ে বাড়ি চলে যাওয়াটাই আমাদের জন্য বেটার কিন্তু তারা যেন সুন্দর ব্যবহার করে আপ্যায়নের চেষ্টা চালাতে থাকলো। বললো মোটরসাইকেল মাত্র পছন্দ হল, টাকা একটু পরে দিন আগে নাস্তা করে নিন। তখন আমি আর মিঠু বলাবলি করলাম মোটরসাইকেল বিক্রয় হয়ে গেছে হয়তো মোটামুটি লাভ রয়েছে বলে এত সুন্দর আপ্যায়ন দেখাচ্ছে এখন। তবে আর কি করার আমরাও বসে পড়লাম চা পান করার জন্য। চা পান করার পাশাপাশি বেশ অনেক বিষয়ে গল্প হল মোটরসাইকেল ড্রাইভ নিয়ে, লাইসেন্স নিয়ে। এছাড়াও গল্প হল পথে ঘাটের দুর্ঘটনা নিয়ে।


চা পান করার মুহূর্তে ওনারা বেশ সুন্দর গাড়ি চালানোর নির্দেশনা বললেন। আর কখন কিভাবে সার্ভিসিং করতে হবে সেই সমস্ত বিষয় বলেন। তবে পূর্বে ধারণা পেয়েছিলাম যেখান থেকে মোটরসাইকেল কেনা হয় সেখানে সার্ভিস করলে কিছুটা টাকা পয়সা কম লাগে কিন্তু এদের এই জায়গায় টাকা পয়সা একটু বেশি লেগে যায়, কারণ এরা সার্ভিস করার জন্য নিজস্ব চুক্তি করা আলাদা মোটর মেকানিক্স এর দোকান দেখিয়ে দেয়। আর তারা বেশি টাকা ধরে। আর এমনটা বেশ আমাদের পাড়ার অনেকজনা ভুক্তভোগী রয়েছে। তাই নিরবে শুধু তাদের নির্দেশনা শুনে গেলাম। বাকিটা নিজেদের জ্ঞানের চলতে হবে।


এরপর চা বিস্কুট খাওয়া শেষে ভাই টাকা গুনের দেয়া শুরু করল। গাড়ির দাম হয়েছিল ১ লাখ ২৮ হাজার টাকা। এই মুহূর্তে আমাদের কাছে এক লাখ ২৪ হাজার টাকা ছিল। বলল ৪০০০ টাকা পরের দিন দিয়ে গেলেই হবে। আমরাও তাদের বলে দিলাম আগামীকাল সন্ধ্যার সময় এসে টাকা দিয়ে যাব। তবে আমাদের সাথে উপস্থিত ছিল আমাদের বামুন্দী বাজারের ফুল-খালু,তাই উনারা বলে দিলেন আপনারা আপনাদের মত টাকা দিয়ে যাবেন কাল হোক আর যেদিন হোক।



এরপর উনারা উনাদের জমা বাকির খাতায় সবকিছু ঠিকঠাকভাবে লিখে নিলেন। অতঃপর আমাদের ছবি উঠালেন, হাতে একটা কাগজের বড় চাবি ধরিয়ে। ভাই আর আমার বন্ধু মারুফ খুব আনন্দের সাথে তারা চাবি ধরে ফটো উঠালো। এরপর মোটরসাইকেলের চাবি দেওয়া হল আমাদের হাতে। তবে নতুন গাড়ি চালানোর দায়িত্ব আমি নিলাম না কারণ সে মুহূর্তে গাড়ি চালানোর অভ্যাসটা একটু কম ছিল। কারন নিজের গাড়ি ছিল না পরের গাড়ি চালিয়ে বেড়িয়েছি। আর হঠাৎ করে নতুন গাড়ি চালানো বাজারে হাই রোডে বড় কঠিন। তাই গাড়ি চালানোর দায়িত্ব মারুফ নিজে নিলো। মোটরসাইকেল শোরুম থেকে বের করে নিয়ে রাস্তায় উপস্থিত হলাম এরপর মারুফ চালিয়ে আসলো। তারপর আব্বা ভাই আর মিঠুকে পাঠিয়ে দিলাম বাড়িতে। সবশেষে আমি মারুফার খালু কিছুক্ষণ গল্প করলাম বিভিন্ন বিষয় নিয়ে। এরপর খালুর কাছ থেকে বিদায় গ্রহণ করলাম। তারপর আমি আর মারুফ বাড়ি চলে আসলাম।





পোস্ট বিবরণ
ব্লগার | sumon09 |
ডিভাইস | Infinix Hot 11s |
লোকেশন | বামুন্দি বাজার |
ক্যামেরা | 50mp |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন কেনাকাটা বিষয়ক পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকবেন সবাই। সকলের জন্য শুভকামনা রইল,আল্লাহ হাফেজ। |

Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
বাহ দারুন একটি বাইক কিনেছেন মামা দেখে বেশ ভালো লাগলো। বিশ্বাস মটরস আমাদের এলাকার বেশ পরিচিত একটি শোরুম। মোটরসাইকেল পছন্দ হয়েছিল এবং টাকা দেওয়ার সময় আপনি বেশ কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনার বাড়ির সকলে গিয়েছিলেন মোটরসাইকেল কিনতে এবং মোটরসাইকেল কেনা শেষে নাস্তা খেয়েছেন জানতে পেরে আরো বেশি ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ এটা আমাদের এলাকার পরিচিত।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আপনি যখন গাড়ি কিনতে গিয়েছিলেন সাথে আপনার বড় ভাই এবং আপনার বাবাও গিয়েছিল বিষয়টা আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। এছাড়াও গাড়ি পছন্দ করা হলেই টাকা পেমেন্ট করে গাড়ি নিয়ে চলে আসতে হয়। তাই আপনাদের চা দিল এবং চাখার সময় তারা বেশ কিছু নিয়ম-কানুন আপনাদের বলে দিল বিষয়টা খুবই ভালো লাগলো। আর আপনার পছন্দের গাড়িটি ক্রয় করলেন বিষয়টা জানতে পারি খুব ভালো। আর বর্তমানে মোটরসাইকেল আমাদের খুবই প্রয়োজনীয় একটি যানবাহন বললেই চলে। কারণ দ্রুত কোথাও যাওয়ার জন্যই মোটরসাইকেলের বিকল্প নেই। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাই,মোটরসাইকেল খুবই প্রয়োজনীয় জিনিস।
সবাই শুধু নিজের স্বার্থের চিন্তা করে। অনেক সময় মোটরসাইকেলের শোরুম গুলোর সাথে কিছু সার্ভিসিং সেন্টার গুলোর যোগাযোগ থাকে। আর তারা লোক পাঠিয়ে দেওয়ার ফলে নিজেরাও কিছু পারসেন্টেন্স পেয়ে যায়। কি আর করার ভাইয়া। সব কিছু দেখে তবুও চুপ করে থাকতে হয়।
হ্যাঁ একদম ঠিক বলেছেন আপু