দুই বন্ধুমিলে ওয়াজ মাহফিলের মেলা থেকে ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি
হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম, ওয়াজ মাহফিলের মেলা থেকে দুই বন্ধু মিলে ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করতে। আশা করবো আমার এই সুন্দর অনুভূতি আপনাদের কাছে বেশ ভালো লাগবে।
আজ থেকে বেশ অনেকদিন আগে, ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময়। আমাদের গ্রামের দক্ষিণ দিকে একদম শেষ প্রান্তে একটি মাদ্রাসা রয়েছে। স্থানটার নাম করিমমোড়। সেখানে বেশ বড় ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছিল। দুই দিনব্যাপী সেই ওয়াজ মাহফিল হয়েছিল। প্রথম দিন ওয়াজ মাহফিল হয়েছিল, দিনটা আমি মিস করে ফেলেছিলাম। তবে তার পরের দিন যখন জানতে পারলাম ওয়াজ মাহফিল হবে। আমি আর আমার বন্ধু মারূপ সিদ্ধান্ত নিলাম সে ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ করব এবং সেখান থেকে বেশ বিভিন্ন রকমের খাবার খাব। ঠিক তেমনি সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমরা সন্ধ্যার সময় ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে অংশগ্রহণ করলাম এবং বিভিন্ন রকমের জিনিস দেখলাম ও ফটো ধারণ করতে থাকলাম। এরপর বিভিন্ন আইটেমের খাবার দেখতে পারলাম। তার মধ্য থেকে বেশ কয়েক রকমের খাবার আমরা দুই বন্ধু কিনে খেয়েছিলাম। বেশ কয়েক রকম খাবারের মধ্যে ফুচকাটা ছিল আমার কাছে বেশ অনেক ভালো লাগার। সেখানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম বেশ কয়েক জায়গায় ফুচকা তৈরি করছে এবং অনেক মানুষকে কিনে খাচ্ছে। আমি মোটামুটি ফুচকা খেতে খুবই পছন্দ করি। কিন্তু মাঝেমধ্যে ফুচকা তৈরীর বিষয়ে তথ্য পেলে খাওয়ার রুচি হারিয়ে ফেলি।
আমার পরিবার যথেষ্ট স্বাস্থ্য সচেতন। তাই এইরকম বাইরের খাবার খেতে দিতে চান না। মাঝে মাঝে অনেক সুন্দর ভাবে বুঝিয়ে মানা করে থাকেন। তবুও বাইরের এ সমস্ত খাবারগুলো খেতে ভালো লাগে এই জন্য খাওয়া হয়ে যায়। দুই বন্ধু উপস্থিত হয়ে দেখতে পারলাম কত মানুষ ফুচকা খাওয়ায় ব্যস্ত। ফুচকার ভ্রাম্যমান দোকানগুলো বেশ সুন্দরভাবে সাজিয়েছে বিভিন্ন খাবারের আইটেম দিয়ে। এছাড়াও অনেক সুন্দর ভাবে ডেকোরেশন করা। বিভিন্ন আকর্ষণে অনেক মানুষের ভিড় ফুচকা খাওয়ার জন্য। তাদের মধ্যে আমরা দুই বন্ধু যেন এসে উপস্থিত হয়ে গেলাম এবং ফুচকা অর্ডার করলাম। ছেলেটা আমাদের বাড়িয়ে যেন জানতে চাইলো কয় পিস ফুচকা রেডি করে দিব। আমার বন্ধু তার ইচ্ছা মত বলে দিল। ছেলেটার শোনা মাত্র আমাদের জন্য ফুচকা রেডি করতে শুরু করলো।
শুধু যে ফুচকা খাওয়া নিয়ে মানুষ ব্যস্ততা কিন্তু নয়। সেখানে ১২ ভাজা বিভিন্ন রকমের চিকেন ফ্রাই, চিংড়ি মাছের রেসিপি, চটপটি থেকে শুরু করে আরো অনেক কিছু। তবে এখানে আরো দুইটা জিনিস বেশি লক্ষ্য করা যায় তা হচ্ছে বিভিন্ন রকমের আচার ও রঙিন পান। যাই হোক যতক্ষণ ফুচকা রেডি করল ততক্ষণ চারিপাশের বিভিন্ন রকমের খাবারের আইটেমগুলো দেখতে থাকলাম। এরপর এক প্লেট ফুচকা আমাদের সামনে রেডি করে দিয়ে দিল। আমরাও দুই বন্ধু তেতুল গোলা পানির সাথে ফুচকা ভিজিয়ে খেতে থাকলাম। খেতে বেশ ভালো লাগে কিন্তু অতিরিক্ত খাওয়া হয়ে গেলে আবার সমস্যা রয়েছে। তাই এই চিন্তা আমরা দুই বন্ধু মাথায় রেখে ছিলাম। যেহেতু প্রথমে জিলাপি দিয়ে শুরু করেছিলাম। জিলাপি টাও ছিল বেশ অনেক। ১ কেজি জিলাপি নিয়ে ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে খাওয়া শুরু করেছিলাম আমরা। এরপর ফুচকা সহ বিভিন্ন রকমের খাবার। তবে ফুচকা খেতে বেশ ভালো লেগেছিল। দুই বন্ধু পাশাপাশি দাঁড়িয়ে অতীতের বেশ অনেক সুন্দর সুন্দর স্মৃতি স্মরণ করলাম আর ফুচকা খেলাম। কারণ এটাই তো প্রথম নয়, এছাড়া বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলের মেলাতে অংশগ্রহণ করেছি আর এভাবে বিভিন্ন রকমের খাবার খেয়েছি। দুই বন্ধু একই সাথে এভাবে দীর্ঘদিন চলার অভ্যাস রয়েছে বলেই বেশ মনে পড়ছিল অতীতের দিনগুলো।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
বিষয় | ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি |
---|---|
লোকেশন | Location |
ফটোগ্রাফি ডিভাইস | Infinix hot 11s |
ফটোগ্রাফার | @sumon09 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
10-01-25
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.