সাতক্ষীরা শহরে আবাসিক হোটেল খোঁজার ভোগান্তি
আজ - বৃহস্পতিবার
হ্যালো বন্ধুরা,
সারাদিনের ক্লান্ত শরীর, তিন বন্ধুর মধ্যে খুব খোব সৃষ্টি হলো এবং মনে মনে রাগ জাগলো। এদিকে আমার বন্ধু জুলহাস একটু পায়ের সমস্যার সম্মুখীন। কারণ আজ থেকে দীর্ঘ ১৫ বছর আগে তার পায়ে কাঠের বল লেগে একটি রগ ছিড়ে গেছে তাই খুব কষ্টে তাকে চলতে হয়। আজ পর্যন্ত সঠিক অপারেশন হয়নি দেশের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা হয়েও ঠিক করতে পারেনি। এমনকি ভারতে যাওয়ার জন্য বিভিন্ন কাগজ পাতি করেছে সে। এই মুহূর্তে সে ক্লান্ত শরীরে বসে থাকলো কিছুক্ষণের সময়ের জন্য। সে বলল বন্ধু আবারও যদি ফিরে আসতে হয় এই হোটেলে গ্যারান্টি নেই তাই একটি হোটেল কার্ড নিয়ে নাও এবং ফটোগ্রাফি করে রাখো কাজে লাগতে পারে। তার এই উপস্থিত বুদ্ধিজ্ঞানে আমি মুগ্ধ হয়ে ফটোগ্রাফি করে নিলাম। এমনিতে বিভিন্ন কিছু ফটোগ্রাফি করছিলাম কিন্তু এ বিষয়ে তেমন একটা ধারণাই ছিল না আমার। তাই বন্ধুর বুদ্ধি বিবেক আমার কাছে অতি প্রশংসনীয় মনে হল।
এরপর জন প্রতি ১০ টাকা করে ভাড়া দিয়ে চলে গেলাম হোটেল হাসানে। হোটেল হাসান সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের কিছুটা পশ্চিম। অর্থাৎ পূর্ব পাশ থেকে পশ্চিম পাশে ফিরে গেলাম কিন্তু কোন কাজ হলো না। হোটেল হাসানের ম্যানেজার বলল: 'একদিন নয় ছয় দিনের জন্য আমাদের হোটেলের রুমগুলো বুকিং হয়ে গেছে। আমি তো আপনাদের বড় ভাই কে বলেই দিয়েছি আমরা রুম দিতে পারব না তবু কেন আমাদের কাছে আপনাদের পাঠিয়েছে?' এমন একটা কথা শোনার পর আমাদের তিন বন্ধুর খুবই রাগ সৃষ্টি হয়েছিল কারণ দীর্ঘ পথ অতিক্রম করে জার্নি করে এসেছি এই মুহূর্তে আমাদের একান্ত থেমে থাকার প্রয়োজন বা ঘুম মারার প্রয়োজন যদি উনি আমাদের দায়িত্ব না নিতেন তাহলে আমরা পূর্বেই আবাসিক হোটেল দেখে নিতাম আর তার দায়িত্বে এসে কেন এমন সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে আমাদের যা মেনে নেওয়ার মতো নয়।
এরপর ১৫ টাকা জনপ্রতি খরচ করে চলে গেলাম পূর্ব সাইটের হোটেল টাইগার প্লাজায়। সেখানে শুনেছিলাম একটি রুম খালি রয়েছে। আমি বন্ধুদের বললাম খিদে পেটে হয়রানি ভাবে ছোটাছুটি করা ঠিক হবে না। আগে পাশের হোটেল থেকে খেয়ে যায় তারপরে অন্য চিন্তা, খিদে পেটে কষ্ট করা ঠিক নয়। নিকটস্থ একটি খাবারের হোটেল থেকে খেয়ে নিলাম। যাইহোক তখন আর কোন দিকে লক্ষ্য না রেখে আমরা সেদিকে ছুটে চললাম যেহেতু আমাদের হোটেল পাওয়া প্রয়োজন। এদিকে আরো দুই তিনটা হোটেলের সন্ধান পেয়েছিলাম কিন্তু ভালো মানের হবে কিনা সেই ভাবনায় আগে ভেবে দেখলাম হোটেল টাইগার প্লাজা দামি হোটেল সেখানে বেশি খরচ দিয়ে সব মানুষ সবসময় ওঠেনা। তাই ভাবলাম খরচ যাই হোক না কেন উঠতে হবে আমাদের যেন শান্তিতে একটু ঘুমাতে পারি। আমার দুই বন্ধু হোটেল টাইগার প্লাজায় এসে ম্যানেজারের সাথে কথা বলল এবং আমাদের একটি রুমের সন্ধান দিল তবে জনপ্রতি চারশো টাকা করে মোট বারোশো টাকা জমা দিতে হল আমার বন্ধু মিলন বারবার বলতে থাকলো এক রাতের জন্য ৪০০ টাকা তবু আমি বললাম চুপ থাকো এটা কোন বিষয় নয়। তবে আমরা পূর্বে যে হোটেল ঠিক করেছিলাম সেখানে প্রতি রাতে ৬০০ টাকা তিনজনার। এখানে তার ডবল খরচ। তবে হোটেলটা আমার খুব পছন্দ হয়েছিল তাই আমি আর অন্যদিকে হাত বাড়াতে দিলাম না বললাম এখানেই থেকে যেতে হবে আমাদের রাত তখন সাড়ে নটা এই মুহূর্তে পথে পথে ঘুরা ঠিক হবে না। যাইহোক শেষমেষ আমরা হোটেল টাইগার প্লাজায় থেকে গেলাম এবং ভিতরে প্রবেশ করে দেখলাম মনের মত একটি রুম মনে হল। যাইহোক প্রত্যেকটি হোটেলের মোবাইল নম্বর এই পোষ্টের মধ্যে শেয়ার করলাম আপনাদের সুবিধার্থে যেন পরবর্তীতে কোন কারনে আপনারা খুঁজে পেতে পারেন এবং আমারও কাজে আসতে পারে। আর এভাবেই সাতক্ষীরা শহরে অনেক ভোগান্তির পর ঐদিন রাতে তিন বন্ধু হোটেল বুকিং করেছিলাম। এবং তার পরের দিন সকালে পরীক্ষা দিতে গিয়েছি।
পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ।
ভাইয়া শেষ ভাল যার সব ভাল তার। অনেক জাগায় ঘুরাঘুরি করে অবশেষে হোটেল টাইগার+ এ এসে জায়গা হলো। আপনার মত আমার কাছেও হোটলটি অনেক ভাল লেগেছে। ৬০০ টাকা বেশি না। আমাদের দিকে ১০০০ টাকা করে। ধন্যবাদ ভাইয়া।