আজ - বৃহস্পতিবার
০৩ মাঘ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
১৮ জানুয়ারি, ২০২৪ খ্রিষ্টাব্দ

হাই! বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি হঠাৎ রাউটারের অনু বন্ধ হয়ে যাওয়ায় নতুন চার্জার কেনার উদ্দেশ্যে বামুন্দি বাজারে উপস্থিত হওয়া, আর বিশেষ কিছু কেনাকাটার অনুভূতি নিয়ে। আশা করি এই পোস্ট থেকে অনেক কিছু জানতে পারবেন।
কোন কিছু কেনাকাটার প্রয়োজন হলে আমি আর আমার বন্ধু মারুফ দুজন মিলে চলে যায় বামুন্দিবাজারে। দীর্ঘদিন বাজারে কেনাকাটা করে অনেক দোকানদারদের সাথে আমাদের সুপরিচিত সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। তাই ইলেকট্রনিক্সের কোন কিছু কিনতে হলে চলে যায় কাফিরুল ভাইয়ের দোকানে। হঠাৎ করে আমাদের ওয়াইফাই লাইন বন্ধ হয়ে গেল। পাড়ায় খোঁজ নিয়ে দেখলাম ওয়াইফাই লাইন চালু রয়েছে কিন্তু আমাদের লাইনে কি হলো। সন্ধান করে দেখলাম রাউটারের চার্জারটা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রধানত রাউটারের চার্জার নেওয়ার জন্য বামুন্দিবাজারে উপস্থিত হলাম, পাশাপাশি টুকিটাকি জিনিস কেনাকাটা। তাই প্রথমে উপস্থিত হয়ে গেলাম কাফিরুল ভাইয়ের দোকানে।

Photography device: Infinix hot 11s
Location
যাওয়ার সময় মারুফকে বলেছিলাম অনুটা খুলে নিয়ে যেতে, তাহলে সবচেয়ে বেশি ভালো হবে। মারুফ ঠিক সেই কাজই করলো। এরপর দোকানে বসে আমরা অনু সাথে চার্জার লাগিয়ে সেট করে ভালো মানের একটি গ্যারান্টি যুক্ত চার্জার নিয়ে নিলাম।


Photography device: Infinix hot 11s
Location
পাশাপাশি আমার সৌর প্যানেলের জন্য পাঁচ গজ ৭০/৭৬ তার নিলাম। সৌর বিদ্যুতের তারের খুবি দাম। সামান্য এই পাঁচ গজ তারের দাম পরল ৪৫০ টাকা। যাই হোক লাইন ভালো রাখতে হলে দাম তো একটু বেশি লাগবে কিন্তু এত বেশি দাম। আপনারা জানেন আমি ওয়াইফাই লাইন সৌর লাইনের সাথে যুক্ত করে চালাই। তাই একে ধরে কারেন্টের প্রয়োজন হয় না।

Photography device: Infinix hot 11s
Location
এরপর চলে আসলাম নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস কেনাকাটার উদ্দেশ্যে একটি পাইকারি ও খুচরা মুদি দোকানে। এই ভাইয়ের সাথে মারুফের বেশ আগে থেকে সম্পর্ক, তারপর থেকে আমার সাথে পরিচিত হয়েছে। অন্যান্য দোকানগুলোর তুলনায় আমরা দুইজন এ দোকান থেকে বেশ সঠিক দামে এই জিনিস কেনাকাটা করে থাকি। অন্য দোকানদার রা যেমন দাম ধরে থাকে ঠিক তার চেয়ে কিছুটা হলেও আমাদের কাছে অনেক কম ধরে। এক্সিডেন্ট এরপর ডাক্তারে বলেছিল বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পেস্ট ব্যবহার করবেন, যেহেতু দাঁতে আঘাত পেয়েছিলাম। তাই কোলগেটের পরিবর্তে এবার মেডিপ্লাস নিলাম। তবে দামটা কোলগেটের চেয়ে অনেক কম।



Photography device: Infinix hot 11s
location
এরপর ঠান্ডায় হাত পা সুরক্ষিত করার জন্য লোশন জাতীয় জিনিস নিয়ে নিলাম। যাইহোক মোটামুটি অন্যান্য দোকানের তুলনায় কিছুটা হলেও কমে পেয়েছি। কারণ, বিভিন্ন কিছু কেনার জন্য যখন আমরা দোকানে উপস্থিত হয়ে পাশের যখন যেটা চোখে দেখতে পায় তখন সেটার দাম জানার চেষ্টা করি আমরা দুজন। আর এ থেকে নিশ্চিত বলতে পারি। কারণ আমরা দুজন সমস্ত বিষয়ে কিছুটা হলে সজাগ থাকার চেষ্টা করি, কোন কিছু কেনা কাটার সময় ঠকছি না তো।



Photography device: Infinix hot 11s
location
যাই হোক এভাবে আমার দীর্ঘক্ষণ অনেক কিছু কেনাকাটা করে ফেললাম। আর দেখতে দেখতে বেশ রাত ঘনিয়ে এসেছে,মাগরিবের আজান কখন যেন হয়ে গেছে। মোটামুটি সবকিছু কেনাকাটা হয়ে গেলে, বললাম সুন্দর করে প্যাকেট করে দিতে।


Photography device: Infinix hot 11s
location
এরপর আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস হাতে নিয়ে টাকা পরিশোধ করে দিলাম এবং দোকান থেকে সেলফি উঠালাম। মাথায় টেনশন, বাড়িতে যেয়ে রাউটার লাইন ঠিক করতে হবে। এরপর রয়েছে পোস্ট কমেন্ট চ্যাটিং। আসলে রাউটার লাইনের সমস্যা হলে সেই দিনটাই যেন নষ্ট হয়ে যায়, কোন কাজ হয়ে ওঠেনা। তাই দ্রুত বাসার দিকে রওনা দিয়েছিলাম।

Photography device: Infinix hot 11s
location

পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকা হয় যেনো। আল্লাহ হাফেজ। |
বামুন্দি বাজার নামটা বেশ সুন্দর।আর আপনি আপনার কাজটি ভালোভাবে মিটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।আর শীতের দিনে লোশন ব্যবহার করাটা খুবই জরুরি।আমিও পন্ডস ব্যবহার করি কারন সুগন্ধটা ভালোই লাগে।ধন্যবাদ ভাইয়া।
হ্যাঁ শীতের দিন এইগুলাই লাগে
খুবই ভালো লাগে ভাইয়া কোন জিনিস দরকার পড়লে আপনারা বামুন্দী বাজারে চলে আসেন এবং সকলের সাথে ভালো সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে জেনে ভীষণ ভালো লাগলো এবং নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো কিনে আবার বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলেন। ভীষণ ভালো লাগলো মুহূর্তগুলো পড়ে।
হ্যাঁ ভাই আমরা বামুন্দি বাজারে ছাড়া কেনাকাটা করি না
কোথাও কিছু কেনাকাটা করতে গেলে আপনি আর আপনার বন্ধু মারুফ দুজনেই গিয়ে কিনে নিয়ে আসেন জেনে ভালো লাগলো। আসলে কোন বন্ধুর যদি সব সময় পাশে থাকে তাহলে যেকোনো বিপদেও তাকে পাওয়া যায়। আর আপনারা দুজন ভালো বন্ধু এটা সবসময় বজায় রাখবেন। কামরুল ভাইয়ের দোকানে গিয়ে আপনি আপনার রাউটারের চার্জার টা কিনেছেন দেখে ভালো লাগলো। এটা ঠিক বলেছেন ভাইয়া পরিচিত কোন দোকান থাকলে ওখান থেকে খুব সহজেই যে কোন জিনিস কেনা যায়। তাছাড়া আপনারা আরো অনেক কিছুই কিনলেন। এই শীতকালে শরীরের যত্ন নেওয়াটা অনেক জরুরী। কারণ এবারের শীত অনেক প্রচুর। ভালো লাগলো আপনাদের কেনাকাটার পোস্টটি পড়ে ধন্যবাদ।
আমরা দুইজনে একসাথে কেনাকাটা করে দীর্ঘদিন
বামুন্দি বাজার থেকে অনেক কিছুই কিনলেন। যে জিনিষ গুলো নিলেন সব গুলোই দরকারি জিনিষ। আমিও একটি অনু লাগিয়েছি তবে এখন পর্যন্ত কোন সমস্যা হয়নি। অনুর চার্জারটি কত টাকা দিয়ে নিলেন সেটা জানলে ভালো হতো। ধন্যবাদ।
ভাই ৮০ টাকা নিয়েছিল
বামুন্দি বাজারে গিয়ে তো ভালোই কেনাকাটা করেছেন দেখছি প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র। ওয়াইফাইয়ের ব্যাটারি এবং লোশন কিনেছেন।পরিচিত দোকান থাকলে কেনাকাটায় সুবিধা হয় অনেক।ধন্যবাদ আপনাকে কেনাকাটার যাবতীয় সব শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু এই বাজার থেকে মোটামুটি প্রত্যেক সপ্তাহে কেনাকাটা করি