হ্যালো বন্ধুরা,
আপনারা সবাই কেমন আছেন? আশা করি, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে অনেক অনেক ভালো রয়েছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো রয়েছি। 'আমার বাংলা ব্লগ'এর সকল ভাইবোন বন্ধুদেরকে আমার পক্ষ থেকে সালাম এবং অভিনন্দন জানিয়ে শুরু করতে যাচ্ছি আজকের নতুন একটি পোস্ট। আজকে আমি আপনাদের মাঝে উপস্থিত হয়েছি ঢাকা শহরে বেশ হয়রানীর মুহূর্তে স্বস্তির বৃষ্টি নিয়ে কিছু অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আশা করি, এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু জানতে পারবেন।

গত বুধবার, আমার মায়ের রক্ত স্বল্পতার কারণে রক্ত ম্যানেজ করার জন্য পথে বের হব। অচেনা কোন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে যোগাযোগ নিব তাই সকাল থেকেই রেডি হচ্ছি। এই মুহূর্তে অবস্থান করছিলাম খালাম্মাদের নিজের বাসা ঢাকা সাভার বিশ মাইলের, পানধোড়া বাজারে। বের হতে প্রায় এগারোটা ঠিক এই মুহূর্তে হঠাৎ বৃষ্টি আসলো। বৃষ্টির জন্য পথে বের হয়ে আবার যেন ফিরে আসলাম বাসায়। ঢাকা শহরে এসে উপস্থিত হয়ে এ যেন প্রথম বৃষ্টির দেখা মিলল অনেক প্রতীক্ষার পর। কারন আমরা ঢাকা শহরে এসেছি গত ১৯ এ মে ২০২৪ রবিবারে। রবি থেকে বুধবারের মধ্যে প্রচন্ড গরম দিনকাল ছিল। বাড়ি থাকতেও হালকা বৃষ্টি হয়েছে দুইদিন তবে সেই মুহূর্তে বিশেষ কোন কারণে বাইরে বের হতে হয়নি। আর ঢাকাতে এসে বিশেষ প্রয়োজনে প্রথম বের হতেই বৃষ্টির বাধা। তবে এই বৃষ্টিটা ছিল যেন স্বস্তির বৃষ্টি। বেশ ভালো লাগছিল প্রচন্ড গরমের এই ঢাকা শহরে। যেন শীতল বাতাস আর ঝিরিঝিরি বৃষ্টি মনে কিছুটা প্রশান্তি এনে দিয়েছিল। যেন আশেপাশের ফলের গাছগুলো প্রাণ খুঁজে পেয়েছিল এই বৃষ্টিতে।


আমাদের বাসা থেকে বের হয়ে পথে যেতে কিছু চিনি হাঁস আর পাতি হাঁসের দেখা মিলল। বৃষ্টি হলে এই সমস্ত গৃহপালিত পাখিগুলোর বেশ আনন্দ লাগে। তারা কাঁদার মধ্যে চরাই করে খেয়ে বেড়ায়। ঠিক তেমনটাই দেখে বেশ ভালো লেগেছিল। পথ যেতে আমিও বেশ কিছু ফটো ধারণ করছিলাম।


কিছুটা পথ এগিয়ে কবরস্থান রোডে একটি অটোরিকশা পেলাম। এরপর আমি আর আমার খালাতো মেজ ভাই হেলাল একসাথে গাড়িতে উঠে বসলাম এবং সিদ্ধান্ত নিলাম ঢাকা সাভার নবীনগরের দিকে যাব। অর্থাৎ জাতীয় স্মৃতিসৌধ অতিক্রম করে বাইশ মাইলে ডক্টর জাফরুল্লাহর হাসপাতালে উঠবো। আর এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে আমরা সামনে এগিয়ে যেতে থাকলাম। তবে পথ যেতে লক্ষ্য করলাম বেশ ভালই বৃষ্টি হয়েছে। যেন পানধোয়া বাজার বৃষ্টিতে ধুয়ে গেছে। যেদিকে তাকাই সেদিকে শুধু বৃষ্টির পানি জমে রয়েছে।


জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন উত্তর পাশের জামে মসজিদ অর্থাৎ বিশ মাইলের এরিয়াটা সম্পূর্ণ লক্ষ্য করলাম বৃষ্টিতে ভিজে এক অন্যরকম সুন্দর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে। আমরা জানি বৃষ্টি ভেজা ঘাস গাছপালা দেখতে ভালো লাগে। এই দিনের পূর্বে উপস্থিত হওয়ার প্রত্যেকটা দিন এই পথ দিয়ে চলাচল করেছি, যেন রোদ গরমে পথচলা রিকশায় বসে থাকা বেশ কঠিন মনে হতো, রাস্তার ধুলো চোখে লাগতো। কিন্তু এই মুহূর্তে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করছিলাম বৃষ্টি হওয়ার কারণে। আর এখানে বিল্ডিং এর পাশে থাকা জায়গায় বিকেল মুহূর্তে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা খেলাধুলা করে। আর বিভিন্ন বাসগল মহিলারা এখানে বসে গল্প করেন। তবে যা বুঝতে পারলাম এই বৃষ্টি ভেজা দিনে তাদের জন্য আরও সুযোগ সুবিধা সৃষ্টি হবে বিকেল মুহূর্তে।



আর এভাবে যেন এসে পৌঁছে গেলাম ঢাকা সাভারের জাহাঙ্গীরনগর উত্তর গেটের বিশ মাইল বাজারের ফ্লাইওভারের পাশে। খালাম্মাদের বাসা থেকে হাইরোডের এই ফ্লাইওভার এর নিকটে আসতে একজন প্রতি ১০ টাকা করে ভাড়া। তবে বিকেলে এই গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। যেহেতু এটা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের এরিয়া তাই এ বিষয়টা মাথায় রাখতে হয়। বিকল্প পায়ে হেঁটে যাওয়ার পথ রয়েছে ভিতরে প্রবেশ করার জন্য। আবার আরো একটু উত্তর দিকে অর্থাৎ সাভার ক্যান্টনমেন্টের নিকটে একটা রাস্তা রয়েছে সে রাস্তা দিয়ে পানধোয়া বাজারে যাওয়া যায়। তবে যাই হোক গাড়ি থেকে নেমে রাস্তায় দেখলাম বেশ কিছু কিছু জায়গায় পানি বেধে রয়েছে অর্থাৎ বুধবারে দুপুর টাইমটায় বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছিল এই পানধোয়া বাজার থেকে বিশ মাইল বাজার এরিয়ার দিকে। আর এমন বৃষ্টি ভেজা পরিবেশটা আমাদের জন্য যথেষ্ট স্বস্তি এনে দিয়েছিল প্রচন্ড এই রোদ গরমে চলাচলের মুহূর্তে।


পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

পুনরায় কথা হবে পরবর্তী কোন পোস্টে, ততক্ষণ ভালো থাকুন সকলে। আল্লাহ হাফেজ। |

ভাইয়া আপনার পোস্ট পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে এমন একটি গ্রাম রয়েছে, বাজার রয়েছে তা এই জীবনে প্রথম জানলাম। আর সেখানে গিয়ে আপনি স্বস্তির বৃষ্টি দেখা পেয়েছেন জেনে খুশি হলাম। তবে এখন আমাদের এখানে হালকা বৃষ্টি পড়ছে। অচেনা জায়গা সম্পর্কে বেশ ধারণা পেয়েছি।
এরই মধ্য দিয়ে কিন্তু বৃষ্টি হয়ে গেছে।
ভাইয়া ধীর্ঘদিন যাবৎ বৃষ্টির অপেক্ষায় আছি। আমরা তো বৃষ্টি চোখেও দেখতে পারি না। বৃষ্টি হচ্ছে এমন পোষ্ট দেখলেও শান্তি লাগে। যেহেতো সাভারের দিকে বৃষ্টি হয়েছে,আমাদের দিকেও বৃষ্টি হবে। সেই আশায় বসে আছি। আপনার অনুভূতি দারুন ছিল। ধন্যবাদ।
এখন কিন্তু বৃষ্টি দেখা পেয়ে গেছেন।