বিয়ের দ্বিতীয় দিন !

আসসালামু আলাইকুম। শুভ সকাল আমার বাংলা ব্লগ। আশা করছি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনারা সকলে বেশ ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে আমিও বেশ ভালো আছি। আমরা যেন সর্বদা সুস্থ সুন্দর এবং ভালো থাকতে পারি সে কারণে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করি।

আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার চমৎকার দিন শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হয়েছি। বিয়ের দ্বিতীয় দিন আমি আমার পরিবার ও আত্মীয় স্বজনদের সাথে বেশ ভালো একটা সময় অতিক্রম করেছিলাম। এরই ধারাবাহিকতায় আমি আজকে আপনাদের মাঝে বিয়ের দ্বিতীয় দিন টপিক নিয়ে ব্লগ লিখার জন্য উপস্থিত হয়েছি। আশা করছি আপনারা সকলেই তা উপভোগ করবেন এবং আপনাদের বেশ ভালো লাগবে। আমার বাংলা ব্লগ এর সকল সদস্য আমন্ত্রিত !!

এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে ইতিপূর্বেই একটি চমৎকার ব্লগ উপহার দিয়েছিলাম। সেখানে আমি ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি আমার বিয়ের বিভিন্ন কার্যক্রম। হঠাৎ করেই বিয়েটা শেষ করেছিলাম এবং বিয়ের প্রতিটি মুহূর্ত স্মরণীয় হয়ে আছে আমার জীবনে। কারণ হঠাৎ করেই আমার জীবনেও বিয়ের ফুল ফুটবে বিষয়টি আমি কল্পনা করতে পারিনি এবং বিষয়টি সত্যিই এখনো আমার কাছে কল্পনার মতোই।

যাইহোক অবশেষে সৃষ্টিকর্তা আল্লাহর অশেষ রহমতে সঠিকভাবে আমার বিয়ের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছিল। তবে এরপর বিয়ের দ্বিতীয় তম দিনে আমার সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল এবং দিনটি আমার কাছে বেশ স্মরণীয় একটি দিন।

বিয়ের দ্বিতীয় দিন আমার শ্বশুরবাড়ি থেকে কয়েকজন আত্মীয় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল। তাদের আগমনে আমার পরিবার এবং আমরা সকলেই বেশ খুশি ছিলাম এবং অনেক বেশি ভালো লেগেছিল।

বিয়ের দ্বিতীয় তম দিনে যখন নতুন আত্মীয় আমাদের বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল তখন আমরা তাদের আপ্যায়ন শপিং এবং তাদের সমস্ত বিষয়াদি ম্যানেজ করতে বেশ ব্যস্ত ছিলাম। তবে এর ভেতরেও সব থেকে আনন্দদায়ক মুহূর্তে ছিল আমার বউয়ের ছোট ভাইয়ের সাথে আনন্দঘন মুহূর্তগুলো উপভোগ।

বউয়ের ছোট ভাই রয়েছে। তার নাম ছিল হামজা। হামজার বয়স যদিও মাত্র পাঁচ বছর তবে সে কথা বলে একদম বয়স্ক মানুষের মতো। তার কথা শুনে যে কোন মানুষ হাসতে বাধ্য হবে এটাই স্বাভাবিক।

তাছাড়াও আমরা অনেক দুষ্টামি করতে পছন্দ করে। আমাদের বাড়িতে কালো বিড়াল ছিল এবং বিড়াল গুলোর সাথে আমার ছোট ভাই সারাদিন অনেক দুষ্টামি এবং খেলাধুলা করছিল তা দেখে আমার অনেক বেশি ভালো লাগছিল।

বিয়ের দ্বিতীয় দিন, পরিবার আত্মীয়-স্বজন নিয়ে আমি বেশ আনন্দিত ছিলাম। এরপর আমার একটি বিশেষ কাজের জন্য শপিংয়ে যেতে হয়েছিল। কারণ আমাদের আঞ্চলিকতা রক্ষা করতে নতুন আত্মীয়দের সাথে সম্পর্ক আরও গভীর রাতে তাদেরকে ভালো আপ্যায়ন ও পোশাক উপহার দেওয়া একটি সাধারণ রীতি। তাই যেহেতু আমরা আমাদের আঞ্চলিকতা বজায় রাখতে চাই এবং সে কারণে আমিও আমার ছোট ভাই ও তার পরিবার নিয়ে শপিং এ গিয়েছিলাম।

যেহেতু এখন শীতকাল তাই আমরা আমাদের আত্মীয়দেরকে শীতের পোশাক উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। অবশেষে আমাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হয়েছিল এবং আমরা সাধারণভাবে সকল ঋতুতে ব্যবহারের উপযোগী এমন পোশাক উপহার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম।

আমরা আমাদের পার্শ্ববর্তী বাজারে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে শপিং এর জন্য নির্দিষ্ট একটি দোকান নির্বাচন করেছিলাম। এখানে বেশ কিছু শপিং করেছিলাম এবং সর্বমোট ৬০০০ টাকার শপিং করতে হয়েছিল আমাদেরকে।

শপিং করা অবস্থায় আমি আমার ছোট ভাই এর সাথে বেশ আনন্দদায়ক মুহূর্ত উপভোগ করেছিলাম এবং পুরো দিনের কার্যক্রম আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছিল।

এরপর বাসায় ফেরার পর অতিথিদের আপ্যায়ন করেছিলাম খুব ভালোভাবে। এরপর আমিও গোসল শেষ করলাম এবং দুপুরের খাবার খাওয়ার পর তাদের সাথে নতুন শ্বশুরবাড়িতে রওনা দিয়েছিলাম।

মুখে হালকা হালকা হাসি ছিল, অনুভূতিটা বেশ ভাল ছিল।

এরপর নতুন আত্মীয়দের সাথে শ্বশুরবাড়িতে যেতে হয়েছিল আমাকে এবং আমার পরিবারকে। বিয়ের রীতি অনুযায়ী বিয়ের দ্বিতীয় দিন আমরা আমার নতুন শ্বশুরবাড়ি উদ্দেশ্যের রওনা দিয়েছিলাম।

আর এভাবেই আমার বিয়ের দ্বিতীয় তম দিন আমি বেশ ভালোভাবে উদযাপন করেছিলাম। স্মরণীয় এই দিনটাকে আমি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির কাছে শেয়ার করতে পেরে আনন্দিত। কারণ সব সময় আমার বাংলা ব্লগ আবেগ অনুভূতি এবং বাস্তব চিত্র নিয়ে ব্লগ অনেক বেশি পছন্দ করে। তাই আমিও এখানে ব্লগ লিখে স্বাচ্ছন্দ বোধ করি।

আমি আশাবাদী আজকের এই ব্লগ আপনাদের বেশ ভালো লেগেছে। যদি এতোটুকু ভালো লেগে থাকে তাহলে আপনাদের সুন্দর মন্তব্য আশা করছি। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ, আল্লাহাফেজ