লাইফ স্টাইল।। ফুচকা, চটপটি done।।
হ্যাল্লো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই?আশা করি আপনারা সবাই অনেক ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি।আমি @shahid540 বাংলাদেশ থেকে।বন্ধুরা আজকে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।চলুন আজকের ব্লগ টি শুরু করা যাক।
অনেক দিন পেরিয়ে গেল। চোখ বুলায় নিলাম আজকে একবার ফোনের গ্যালারির দিকে। স্ক্রল করতে করতে চোখে পড়লো বড় আপু এবং রাফির সাথে কাটানো একটা সুন্দর মুহূর্তের দৃশ্য। রাফি হচ্ছে আমার বড় বোনের ছেলের নাম। মূলত ফুচকা খাওয়াটা হচ্ছে কেবল মাত্র তার জন্যই হয়েছে। আমার আবার অত ফুচকা খাওয়ার রুচি নাই বাবু এবং বড় আপু বলাতে তাদের সাথে চলে গেলাম। সময়টা যদিও বা আগের কিন্তু সুন্দর একটা মুহূর্ত ছিল। যাদের বড় আপু আছে কেবলমাত্র তারাই বুঝতে পারবেন এটার কি রকম আনন্দ ফিল হয়। কিছু কিছু সম্পর্ক রয়েছে যেগুলো খুব কাছের আপন না হলেও মানুষ গুলো খুব প্রিয় হয় মানুষগুলো খুব আপন হয়।
এখন উপরের যে বাচ্চাটিকে দেখতে পাচ্ছেন এটি হচ্ছে আমার বড় আপুর ছেলে মানে আমার ভাগনা। অনেকদিন পর যখন আপুর বাসায় পৌছালাম বাবু আমাকে দেখে যথারীতি অবাক, বলছে মামা তুমি আমাদের ভুলে গেছো। আমি খুব ভালো করেই জানতাম যে সে খুব চকলেট পছন্দ করত তাই আপুর বাসায় যাওয়ার পূর্বে বেশ কিছু চকলেট কিনে নিয়েছিলাম আগেই বাবুর জন্য। সেগুলো বের করে দিলাম ব্যাস খুশিতে আমায় জড়িয়ে ধরল। তারপর বেশ কিছুক্ষণ ধরে আপুর বাসায় বসে গল্প করলাম এবং রেস্ট নিলাম। হঠাৎ বড় আপু বললেন অনেক দিন থেকে ফুচকা খাওয়া হয়নি, ঠিক তখনই বাবু ও বলল আমিও ফুচকা খাব তাই বাধ্য হয়ে বেরিয়ে বললাম ফুচকা খাওয়ার উদ্দেশ্যে।
সময়টা ছিল বিকেল চারটার দিক। বেশ সুন্দর একটি পরিবেশ। আর তেমন একটা গরমও ছিলনা আবার ঠান্ডাও নয়। যাইহোক সবমিলিয়ে একদম আনন্দ উপভোগ করার মতো ওয়েদার। বাসা থেকে কিছু দূর আসতেই রিক্সায় উঠলাম আমরা। তো যেখানে ফুসকা পাওয়া যায় সেখানে আমরা চলে আসলাম। মূলত বিকেলের এই সময়টাতে অনেক জায়গায় ফুটপাতে ফুসকার দোকান পাওয়া যায়। তারপরে বেশ কিছু কথাবার্তা বললাম আমরা রিক্সার মধ্যেও আমার লেখাপড়া কেমন চলছে ক্যারিয়ার কেমন চলছে এইসব আর কি। ঠিক দশ মিনিট পরে আমরা একটি ফুচকার দোকানে পৌঁছে গেলাম।
তারপরে আমরা দু প্লেট ফুচকা এবং একটি চটপটি অর্ডার করলাম। ফুসকাই খাইতাম সবাই কিন্তু বাবু বলছিল সে চটপটি খাবে। তাই ছোট মানুষের সাথে আর বেশি জেদ না করে তার পছন্দের খাবার অর্ডার দিয়ে দিলাম। বেশ কিছুক্ষণ গল্প করার পরপরই আমাদের জন্য ফুচকার প্লেট এগিয়ে দিলেন ফুচকাওয়ালা। আমি যেহেতু ফুচকা পছন্দ করি না তাই আপুর প্লেটে বেশ কয়েকটি ফুচকা তুলে দিলাম। তবে ফুচকা গুলো কিন্তু ছিল বেশ মজাদার। আর মেয়ে মানুষ বুঝতে পারছেন তো এগুলো জিনিস দেখলে জিভে যেন জল চলে আসে তাদের। তারপর ফুচকা খেতে খেতে মেয়েদের ফুচকা খাওয়া নিয়ে আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আমরা আলোচনা করলাম যেগুলো অতি সিক্রেট, তার মধ্যে একটা বলি সেটা হচ্ছে মেয়েদের ভাত না খেলেও চলবে যদি তাদেরকে নিয়মিত চারবেলা করে ফুচকা খেতে দেওয়া হয় হা হা হা।
আশা করছি আমার আজকের এই লেখাটি বেশ ভালো লেগেছে আপনাদের। আমার লিখে যাওয়া এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল, সেই সাথে আমার পোস্টের নিচে করা আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলিও থেকে যাবে অনন্তকাল।তাই গভীর আশা ব্যক্ত করছি আপনাদের দুর্দান্ত মন্তব্য গুলো দেখতে পাবো কমেন্ট বক্সে।
Device | Redmi 9A |
---|---|
Camera | 13 MP |
Country | Bangladesh |
Location | Rangpur, Bangladesh |
vote@bangla.witness as a witness
ফুচকা চটপটি খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনি। আসলে মাঝেমধ্যে এমন বাইরের পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করতে খুবই ভালো লাগে। আমিও মাঝেমধ্যে চেষ্টা করে থাকি আপনার ভাবিকে নিয়ে বাইরে পরিবেশে খাওয়া দাওয়া করার।
ভাই আপনার ভাগ্নে কিন্তু অনেক কিউট। আপনার বড় আপু ও তার ছেলের সাথে ফুচকা চটপটি খাওয়ার খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। সত্যি যাদের বড় আপু নেই তারা বোঝে না বড় আপুরা ছোটদের কেমন আদর করে। দু প্লেট ফুচকা ও এক প্লেট চটপটি বেশ মজা করে সময় অতিবাহিত করেছেন। আমার কাছে তো ফুচকা ও চটপটি খেতে ভীষণ ভালো লাগে।
ভাগ্নে কিউট তো বটে কিন্তু ফাজিল ও বটে। কিন্তু এই ফুচকা নাম যে লিফলেট ফুসকা এটা কিন্তু জানতাম না আপু। অজানা একটা বিষয়ে কমেন্টের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া ওটা ভুল করে লিফলেট উঠে গেছে ওখানে হবে দু প্লেট। ধন্যবাদ ভাইয়া।
মামার সাথে ভাগ্নে ঘুরতে অনেক পছন্দ করে। আর মামা ভাগ্নে মিলে মজার সব খাবারগুলো খেয়েছেন দেখে খুবই ভালো লেগেছে ভাই। খাবার গুলো সবারই অনেক পছন্দের খাবার। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই এই পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কোথায় আছে না ভাই মামা ভাগ্নে যেখানে আপদ নাই সেখানে, আর মামা ভাগ্নে যেখানে বেজায় মজাও হয় সেখানে হি হি হি। সুন্দর মন্তব্য করেছেন ভাইয়া ধন্যবাদ।
খুব সুন্দর একটা লাইফ স্টাইল পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেখানে ফুচকা খাওয়ার অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আমি এটা খুবই পছন্দ করি। তবে অনেকদিন খাওয়া হয়ে ওঠেনা। আপনাদের এই ফুচকা খাওয়ার মুহূর্ত দেশে যেন ফুচকা খাওয়ার প্রতি উৎসাহ সৃষ্টি হলে।
যে আপু ফুচকা মেয়ে মানুষরা একটু বেশি পছন্দ করে। সময় করে খেয়ে নিবেন আপনিও। সুন্দর একটি মন্তব্য শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু
ফুচকা চটপটি এগুলো বেশ ভালোই লাগে খেতে। বিকেলবেলা একটু বের হলে এগুলো খাওয়ার মজাই আলাদা। আপনার বোন এবং রাফির সাথে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বেশ ভালো লাগলো আপনাদের কাটানো এই মুহূর্তগুলো দেখে। খাবারের ফটোগ্রাফি বেশ লোভনীয় ছিল। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু বিকেল টাইমটা একটু বেশি স্পেশাল। আর ফুচকা এবং চটপটি খাওয়া হলে তো দারুন লাগে। যাইহোক সুন্দর করে গুছিয়ে কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ আপু।