লাইফস্টাইলঃবিরক্তিকর ট্রেন জার্নি।
শুভেচ্ছা সবাইকে।
কেমন আছেন সবাই? আশাকরি ভালো আছেন।আমিও ভালো আছি।প্রত্যাশা করি সবাই সবসময় ভালো থাকেন,নিরাপদে থাকেন। আজ ২৮শে মাঘ ,শীতকাল,১৪৩১ বঙ্গাব্দ। ১১ইফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ।
বেশ কিছুদিন গ্রামের বাড়িতে কাটিয়ে গতকাল রাত ১ঃ৩০টায় বাসায় পৌছাই।এর কারন রেলওয়ের অব্যবস্থাপনা। এ নিয়ে এর আগেও পোস্ট লিখেছি। কিন্তু গতকাল ছিল চরম অব্যবস্থাপনা। আমাদের ট্রেন ছিল বিকাল ৩ঃ২০ মিঃ। তাই সময়ের ২০ মিঃ আগেই আমারা স্টেশনে পৌছাই। স্টেশনেই এসেই জানতে পারি। ট্রেন ৪৫ মিঃ লেট। তাই স্টেশনে অপেক্ষা করতে হয় প্রায় ১ ঘন্টা। যখন ট্রেন স্টেশনে এসে পৌছায় তখন আমাদের নির্দিষ্ট বগিতে উঠে নিজের বরাদ্দ সিটে গিয়ে বসি। প্রায় ১০ মিঃ পর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে স্টেশন ছাড়ে। কিন্তু ট্রেনের গতি ছিল খুবই কম সেই সাথে চলছে অন্য ট্রেনকে সাইড দেয়া জন্য দাঁড়ানো। ট্রেন এর গতি দেখেই বুঝা যাচ্ছিল যে আমাদের পৌছাতে রাত ১২ টা বাজবে। কিন্তু তা না হয়ে বেজে গেলো ১ঃ৩০ মিঃ।
এরই মাঝে রেলওয়ের আরেক চরম অব্যবস্থাপনার ঘটনা যুক্ত হলো আমাদের বগির এসি নস্ট হয়ে। বলেনতো এসি বগির এসি কাজ না করলে কি আর সিটে বসে থাকা যায়। তাবে সিটে বসে থাকা গেছে কেবল শীতকাল ছিল বলে আর সেই সাথে রাতে ট্রেন জার্নি হওয়ায়। এসি ঠিক করার চেস্টা করা হয় কিন্তু কোন স্পেয়ার পার্টস না থাকায় আর ঠিক করা সম্ভব হলো না। তাই এসি কম্পার্ট্মেন্ট আমরা এসি ছাড়াই থাকলাম। কিন্তু ট্রেনের এসি নস্ট হয়ে গেছে ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না, তা জানানোর প্রয়োজন বোধও করলো না ট্রেন কর্তৃপক্ষ । যখন আমাদের সফোকেশন হচ্ছে এবং গরম লাগছে তখন ট্রেন কর্তৃপক্ষকে জিজ্ঞাসা করলে তারা তখন জানায় যে এসি নস্ট হয়ে গেছে ঠিক করা সম্ভব হচ্ছে না।কিন্তু এই ঘটনার জন্য তাদের কোন ধরনের দুঃখ প্রকাশ করাত দূরে থাক তা জানানোর প্রয়োজনই বোধ করেননি। দুঃখ প্রকাশ করা কোন ধরনের কালচারই আমরা রপ্ত করতে পারিনি মনে হয় তাদের আচরন দেখে।
আর ট্রেনের এসি বগি গুলোর জানালাগুলো খোলার কোন ব্যবস্থা নেই। সেই সাথে নেই বগিতে কোন পাখা। যা এ ধরনের পরিস্থিতির সামাল দিতে পারে। যখন বগিতে সাফোকেশন হচ্ছে তখন যাত্রিরাই দু'পাশের পাশের দরজা খুলে দিয়েছে। যাতে সাফোকেশন থেকে কিছুটা রক্ষা পেতে পারে। এই অবব্যবস্থাপনার মধ্যেই আমরা ঢাকা বিমান বন্দরে পৌছে যাই। ট্রেন থেকে নেমে সিএন জি নিয়ে বাসায় পৌছাই। বাসায় ফিরে ভাত রান্না করে বাড়ি থেকে দেয়া তরকারী দিয়ে খেয়ে ঘুমাতে ঘুমাতে রাত ৩ টা বেজে যায়। মাঝে মাঝে রেলওয়ের এ ধরনের অব্যবস্থাপনার জন্য মনে হয় বাসেই যাতায়ত করি। কিন্তু শারিরিকভাবে পারি না বলেই কষ্ট করে হলেও রেলেই যাতায়াত করি। যদি এই রুটের ট্রেন জার্নিটা চট্টগ্রাম রুটের মত হতো তাহলে ট্রেন জার্নিটা স্বস্থিদায়ক হতো। আনন্দদায়ক ট্রেন জার্নি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থনার কারনে দিন দিন নিরানন্দ হয়ে উঠছে। আশাকরি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিবেন। আজ এই পর্যন্তই সবাই ভালো থাকবেন- আনন্দে থাকবেন। শুভ রাত্রি।
পোস্ট বিবরণ
শ্রেনী | লাইফস্টাইল |
---|---|
পোস্ট তৈরি | @selina 75 |
তারিখ | ১১ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ ইং |
লোকেশন | ঢাকা,বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমি সেলিনা আখতার শেলী। জন্মসূত্রে বাংলাদেশী। জন্ম,বেড়ে ওঠা চট্টগ্রাম শহরে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে অনার্স-মাস্টার্স। দীর্ঘ দিন সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের অধিকার রক্ষায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থায় কাজ করেছি। স্বামীর বাড়ী দিনাজপুরে,বর্তমানে ঢাকায় থাকি।ঘুরে বেড়ানো,বই পড়া,অজানাকে জানা,নিত্য নতুন রান্না ও বিভিন্ন ধরণের হাতের কাজ করা আমার শখ।দেশাত্ববোধ,দেশীয় শিল্প,সাহিত্য ও সংস্কৃতি আমার অন্যতম ভালো লাগা। এদেশে জন্মগ্রহণ করে আমি গর্বিত।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Daily task
আপনার অভিজ্ঞতা শুনে খুবই হতাশ হলাম। রেলওয়ের এমন অব্যবস্থাপনা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা, এসি নষ্ট থাকা এবং কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা সত্যিই যাত্রীদের জন্য অস্বস্তিকর। আশা করি, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান করবে এবং ভবিষ্যতে যাত্রীরা আরও ভালো অভিজ্ঞতা পাবে। তবে, আপনার সাহসিকতা এবং ধৈর্য্য দেখে সত্যিই প্রশংসা করতে হয়।
চট্টগ্রামের ট্রেন দু;টো জার্নি বেশ আরামদায়ক। কিন্তু উত্তরবঙ্গের ট্রেন জার্নি দিন দিন খারাপ হচ্ছে। কবে যে আরামদায়ক হবে! ধন্যবাদ আপু।
https://x.com/selina_akh/status/1889362600355570108
আমি কয়েকবার ট্রেন জার্নি করেছি। তবে আমার কাছে ঢাকা যাওয়ার জার্নি টা খুব বেশি বিরক্তকর লেগেছিল। কারণ স্টেশনে স্টেশনে এতবার থামিয়েছিল যেটা অনেক বেশি বিরক্তিকর। আর মানুষের চাপ ছিল বেশি। আপনাদের এখানে এসি বগি বুক করার পরও এসি নষ্ট, তাও তাদের কোন রেসপন্স নেই এটা শুনেই অবাক লাগছে। আসলে আমিও বাসে জার্নি করতে খুব একটা পারি না এজন্যই ট্রেনে জার্নি করা হয় মাঝে মাঝে।
ঢাকা চট্টগ্রামের দু'টো ট্রেন আছে যেগুলো কোথাও থামে না সমস্যা না হলে। সেই দু'টো ট্রেন জার্নি বেশ আরামদায়ক ।মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।
সবসময় টিকেট পাওয়া যায় না সেগুলোতে। মাঝে মাঝে লোকাল পড়ে যায়।
ট্রেন জার্নি আমার খুব ভালো লাগে করতে।কিন্তু ট্রেন জার্নি করার মতো কোথাও তেমন যাওয়া হয়না।এক চট্টগ্রাম গিয়েছিলাম।আপনি ট্রেনে গিয়ে বেশ বিরক্তিকর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। এসি বগি বুক করার পরেও এসি নষ্ট। কিন্তু এতে তাদের কোন দুঃখতাপ নেই জেনে অবাক ই হলাম।রাত ১২ টায় আসার কথা থাকলেও ১.৩০ শে এসে পৌঁছাতে পারলেন ঢাকায়।খুবই বাজে ব্যাপার।সত্যিই রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করতে হয় এই বিষয়টি নিয়ে।
আমারও ট্রেন জার্নি পছন্দ। আর বাস জার্নি করতে পারি না। তাই কস্ট করে হলেও ট্রেন জার্নি করি। তবে দিন দিন উত্তর বঙ্গের ট্রেন সেবা খারাপ হচ্ছে। মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ আপু।