বোনের সাথে কামরুল হাসান পার্কে একদিন (পর্ব -১)।

in আমার বাংলা ব্লগlast month

হ্যালো..!!

আমার প্রিয় বন্ধুরা,

আমি @purnima14 বাংলাদেশী,

আজ- ২২শে জানুয়ারি , বুধবার, ২০২৪ খ্রিঃ

কভার ফটো


1000016462.jpg

কয়েকটি ছবি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।



আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমি নিজেও ভালো আছি। আমি সবসময় চেষ্টা করি নিজেকে হাসি খুশি রাখার। আমি "আমার বাংলা ব্লগের" মাধ্যমে আপনাদের সামনে আমার ক্রিয়েটিভিটি তুলে ধরবো।সবাই বলে একটা বোন থাকলে বান্ধবী প্রয়োজন হয় না। আমি মনে করি আসলে এই কথাটা সত্য, যদি একটা বোন থাকে ঘুরতে যাওয়ার মানুষের অভাব হয় না। আমি যেহেতু মেসে থাকি সেহেতু বন্ধু বান্ধবীদের সাথে ভালোই ঘোরাঘুরি করি। আমার বোন মাঝে মাঝে আমার মেসে ঘুরতে যাই। সেখানে যায় আমার সাথে কুষ্টিয়া শহরে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। আমিও সময় পেলেই বোনকে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি এদিকে সেদিকে। অনেকদিন আগের কথা, বোন আমার মেসে গিয়ে আবদার করেছিল সে পার্কে ঘুরতে যাবে। সেজন্য আমি বোনকে নিয়ে কুষ্টিয়ার কামরুল হাসান পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ঘোরাঘুরি শেষে খাওয়া-দাওয়া করেছিলাম। সেদিন আর ঘোরাঘুরির কিছু অংশ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। চলুন তাহলে দেরি না করে শুরু করা যাক।



1000016466.jpg

সেদিন ছিল শুক্রবার। সেদিন বোন আমার মেসে গিয়ে আবদার করল দিদি চলো ঘুরতে যাই। বোনের আবদার আমি আমার যথাসাধ্য রাখার চেষ্টা করি। বোন গ্রামে মা-বাবার সাথে থাকে। ইচ্ছে করলেও কোথাও ঘুরতে যেতে পারেনা। ওর মতো আমিও যখন মা-বাবার কাছে থাকতাম তখন আমিও ঘুরতে যেতে পারতাম না। মা বাবা কাজের ব্যস্ত তাই বোনকে নিয়ে কোথাও বেরোনোর সময় পায়না। তাই আমি যতটুকু সময় পাই বোন আমার কাছে ঘুরতে গেলে আমি তাকে কুষ্টিয়ার নানান জায়গায় ঘুরতে নিয়ে যায়। বোনের আবদার মত সেদিন বিকাল চারটা নাগাদ আমি আর বোন কামরুল হাসান পার্কের দিকে রওনা দিই।

1000016468.jpg
কামরুল হাসান পার্ক আমার মেস থেকে দশ মিনিটের রাস্তা। সেজন্য আমরা পায়ে হেঁটে সেখানে পৌঁছে গেলাম। বাচ্চাদের খেলাধুলা এবং সময় কাটানোর জন্য কুষ্টিয়ায় মধ্যো কামরুল হাসান পার্ক বেশ জনপ্রিয়। প্রতিদিন বিকেলে এখানে অনেক বাচ্চারা তাদের অভিভাবকদের সাথে ঘুরতে আসে। এখানে বাচ্চাদের খেলার জন্য বিভিন্ন ধরনের খেলনা রয়েছে। এখানে রয়েছে নাগরদোলা, দোলনা,ট্রেন আরো বিভিন্ন ধরনের জিনিস।

1000016467.jpg
পার্কে ঢোকার জন্য প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ২০ টাকা করে। আমি আর বোন ৪০ টাকা দিয়ে দুটো টিকিট কেটে পার্কের মধ্যে প্রবেশ করি। পার্কটি ছিল বেশ সুন্দর। এখানে আমি এর আগেও কয়েকবার এসেছি। তখন আমি অনেকটাই ছোট ছিলাম। আমি এসেছিলাম আমার বড় ভাই বোনদের সাথে। আর এখন আমি বোনকে নিয়ে এসেছি। পার্কে ঢুকতে প্রথমেই রয়েছে সুন্দর একটি গেট। গেটের সামনে রয়েছে তৈরি করা একটি সুন্দর পুকুর। যেটা আপনারা উপরের ফটোপ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন। এর মধ্যে রয়েছে অনেকগুলো শাপলা ফুলের গাছ।

1000016465.jpg
এখানে রয়েছে আরও অনেক ধরনের স্থাপনা। এখানে অনেক ধরনের প্রাণী তৈরি করে রাখা আছে। যা ছোটদেরকে খুবই আকর্শিত করে। ছোটদের খেলার জন্য এত ধরনের খেলনা রয়েছে যে ছোটরা এখানে আসতে মরিয়া হয়ে থাকে। আমি আর বোন মিলে প্রথমে পুরো পার্কটা ঘুরে দেখলাম। পার্কের বিভিন্ন ফটোগ্রাফি করলাম।

1000016464.jpg
ফটোগ্রাফি করার শেষে বোনের নিজস্ব কিছু ছবি তুলে দিলাম। পার্কের পাশেই রয়েছে পুকুরপাড়। সেখানে গিয়ে দুজন মিলে বেশকিছু সময় কাটালাম। তারপর আমরা দুজনে পার্কের বিভিন্ন খেলনাই ওঠা সিদ্ধান্ত নিলাম। এখানে যে কোন কিছুতে ওঠার জন্য টিকিট মূল্য ৩০ টাকা করে। আমি আর বোন মিলে প্রথমেই উঠলাম দোলনায়। এই দোলাটি চারিদিকে ঘুরে দোলনাটি ইলেকট্রিক ভাবে চলতে থাকে। আমি আর বোন মিলে দোলনায় উঠে বেশ মজা করলাম।
1000016463.jpg
তারপর আমরা আবার বেশ কিছু সময় হাঁটাহাঁটি করলাম। এখানে হাঁটাহাঁটি করার মত অনেক জায়গা রয়েছে। এখান থেকে বেশ কিছু ফুলের ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করেছিলাম। ফটোগ্রাফিগুলো ইতিমধ্যে আপনাদের সাথে ফটোগ্রাফি পোস্টে শেয়ার করেছি। এখানে হাঁটাহাটি করার জন্য পযাপ্ত জায়গা রয়েছে।
1000016469.jpg
হাঁটাহাটি করার সময় বেশ কিছু ফটোগ্রাফি ক্যাপচার করে নিয়েছিলাম। তারপর দেখা হয় পরিচিত এক আন্টির সাথে। তার সাথে বেশ সময় ধরে কথা বলি। কথা বলা শেষ করে আমরা আবার টিকিট কাউন্টারের দিকে যায়।সেখান থেকে আমরা আবার টিকিট কেটে নিলাম।
আজ এই পর্যন্তই।পরবর্তী পর্বে আপনাদের সাথে বাকি অংশ শেয়ার করবো।



ছবির বিবরণ

ডিভাইস: গুগল পিক্সেল ৭ প্রো
ক্যামেরা: ৫০ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ১০ জুন ২০২৪ খ্রিঃ
লোকেশন:কুষ্টিয়া



প্রিয় বন্ধুরা,আমার আজকের ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে সবসময় পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই সুস্থ ও সুন্দর থাকবেন।



আমি কে !

Screenshot_20231102_205038_Facebook-01.jpeg

আমি পূর্ণিমা বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @purnima14। আমি আমার মাতা-পিতা এবং নিজের মাতৃভূমি ও মাতৃভাষাকে ভালবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে সিভিল টেকনোলজিতে ডিপ্লোমা ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, কবিতা লিখতে ও আবৃত্তি করতে, গান শুনতে, যেকোনো ধরনের রেসিপি তৈরি করতে ও প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" কমিউনিটিতে কাজ করতে পেরে আমি গর্বিত



সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ
@purnima14



VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png
OR
SET @rme as your proxy
witness_vote.png

standard_Discord_Zip.gif

Sort:  
 last month 
1000016524.png1000016525.png1000016526.png

Daily task

 last month 

বোন কিংবা ভাই থাকলে আসলেই ঘুরতে যাওয়ার মানুষের অভাব হয় না। আপনি বড় বোন হয়ে ছোট বোনের আবদার পূরণের লক্ষ্যে কামরুল হাসান পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন তাকে নিয়ে এটা দেখে বেশ ভালো লাগলো। আমিও চেষ্টা করি অবশ্য ছোট ভাই বোনদের ইচ্ছা গুলো যথাসাধ্য ভাবে পূরণ করার জন্য। আপনার বোনের সাথে দেখতেছি খুবই সুন্দর সময় উপভোগ করেছেন। এরকম মুহূর্তগুলো এবং ভাই বোনের সম্পর্ক গুলো অটুট থাকুক অনন্তকাল।

 last month 

যত বেশি ঘোরাঘুরি করা যাবে তত বেশি মন ভালো থাকবে। বোনকে নিয়ে কামরুল হাসান পার্কে বেড়াতে গিয়েছিলে জেনে খুবই ভালো লাগলো। এই পার্কের পাশে কুষ্টিয়া শহরে অনেক দিন ছিলাম কিন্তু দুঃখের বিষয় এই পার্কে কখনোই যাওয়া হয়নি। বোনকে নিয়ে দোলনায় উঠেছিলে জেনে ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকলাম। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 last month 

যেহেতু আপনার বোন আপনার সাথে আবদার করছিল তাই আবদারটা পূরণ করলেন শুনে ভালো লাগলো। কামরুল হাসান পার্ক দেখতে খুবই সুন্দর। এরকম পার্কে গেলে বিভিন্ন দৃশ্য দেখা যায় খুব ভালো লাগে। পার্কের এরিয়াটা খুবই সুন্দর লাগছে। বিস্তারিত বর্ণনায় পড়ে অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ।

 last month 

আমিও পার্কে গিয়ে এভাবে একদিন দোলনায় চড়ে ছিলাম বেশ ভালোই লেগেছিল। আপনি আর আপনার বোন মিলে ইলেকট্রিক দোলনায় চড়েছেন জেনে ভালো লাগলো। পার্ক এর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। পরবর্তী পর্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম আপু ধন্যবাদ।

 last month 

সময় পেলেই এদিক ওদিক ঘুরতে যাওয়ার ব্যাপারটা সত্যিই দারুন। আপনি কামরুল হাসান পার্কে ভ্রমণ করে চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সত্যিই পার্কটি ভীষণ সুন্দর এবং মনোরম পরিবেশে বেস্টিত। আর ঘুরা ঘুরি করার পর খাবার খেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last month 

কামরুল হাসান পার্কের সুন্দর সুন্দর দৃশ্য গুলো দেখে মনে হচ্ছে পার্ক টি অনেক বেশি সুন্দর।আর বোনের সাথে যে কোন জায়গায় ঘুরতে গেলে অনেক বেশি মজা হয়। আপনি দেখছি আপনার বোনের সাথে কামরুল হাসান পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। আপনারা পার্কের মধ্যে খুবই সুন্দর একটি সময় উপভোগ করেছেন।

 last month 

কামরুল হাসান পার্কের সৌন্দর্য অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনি। বেশ বিভিন্ন রকমের চিত্র দেখতে পারলাম আপনার জন্য। অনেক ভালো লাগলো বোনের সাথে উপস্থিত হয়েছেন আর সেখানে সময় কাটিয়েছেন জেনে।

 last month 

বোনের সাথে কামরুল হাসান পার্কে একদিন পর্ব -১ শেয়ার করেছেন। আসলে আমার ও ঘোরাঘুরি করতে বেশ ভালোই লাগে। আপনি আপনার বোনের সাথে কামরুল হাসান পার্কে ঘোরাঘুরি করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর একটা মুহূর্ত পার করেছেন। আপনার দ্বিতীয় পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 96428.85
ETH 2753.27
SBD 0.65