|| গাছের ডালে লক্ষী পেঁচার আগমন ||
নমস্কার বন্ধুরা
আজ আমি আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আবারও নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজকে আমি অনেকদিন পর আবারও একটি লাইফ স্টাইল পোস্ট করব। আশা করি পোস্টটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে,আর দেরি না করে শুরু করা যাক।
গত বৃহস্পতিবার দিন দুপুরবেলা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বাড়ির উঠোনে একটু হাঁটাহাঁটি করছিলাম। তখন দেখলাম এক ঝাঁক পাখিরা কিচিরমিচির করছে, বহুবার তাড়ানোর চেষ্টা করছিলাম, কিন্তু কিছুতেই যাচ্ছিল না। তারপর দেখলাম উঠোনে কি একটা পড়ে আছে, কাছে এগিয়ে গিয়ে দেখলাম কোনো একটি ছোটখাটো পাখির মাথা। তখন ভাবলাম হয়তো, বড় কোনো পাখি এই পাখিটিকে মেরে ফেলেছে, তাই পাখিরা একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ভ্রান্তি আমার দূর হয়ে গেল। দেখলাম, গাছের ডালে একটি ছোট্ট সুন্দর লক্ষ্মী পেঁচা বসে আছে। আমি তো দেখতে পেয়ে খুব খুশি হলাম। দৌড়ে ঘরে গিয়ে ফোনটা নিয়ে আসলাম, পাখিটির কিছু ফটো তোলার জন্য, আর মা কেউ দেখার জন্য ডাক দিলাম। তাই দেখে আবার, আশেপাশের কয়েকজনও এসেছিল সুন্দর পাখিটিকে দেখতে। তার মধ্যে একজন ছিল একদম ছোট্ট বাচ্চা।
ছোট্ট বাচ্চাটি তো সবেমাত্র কথা বলতে শিখেছে, তাই সে তার মিষ্টি গলায় "আউল" বলছিল। শুনতে কিন্তু ভারী সুন্দর লাগছিল সেটা। যাই হোক, এর আগে কখনো এত কাছ থেকে লক্ষ্মী পেঁচা দেখার সুযোগ হয়নি। প্রথম বারের মতো এই সুযোগটা পেয়ে খুব ভালো লাগছিল। এর আগে বেশ কয়েকবার দেখেছি দূর থেকে , অন্য কারো বাড়িতে। তবে সেগুলো ছিল আকারে একটু বড়। কিন্তু প্রথমবার ছোট্ট একটা মিষ্টি লক্ষী পেঁচাকে দেখলাম। পেঁচাটির মুখটি দেখতে অনেক সুন্দর ছিল। কিন্তু বেচারা ছোট্ট পেঁচা , যেহেতু একা ছিল তাই তাকে বহু পাখিরা ঘিরে ধরেছিল। সেই জন্য ভয়ে সে, গাছের পাতার উপরে চুপটি করে বসে ছিল। পাখি গুলোকে অনেক তাড়ানো সত্বেও কিছুতেই তারা যাচ্ছিল না। খুবই বিরক্ত করছিল ছোট্ট পেঁচাটিকে।
শুধু এই পাখিগুলি নয়, কিছুক্ষণ পর দেখলাম বড় দুটো কাকও এসে তাকে ঠুকরাচ্ছিল। তাই জন্য ভয়ে পেঁচাটি গাছের পাতার আড়ালে গিয়ে ঢুকে বসেছিল শেষের দিকে। আমরা তাকে আর দেখতেই পাচ্ছিলাম না। তবে সামান্য একটু দেখা যাচ্ছিল,যার ফলে আমরা বুঝতে পারছিলাম পেঁচাটি তখনও সেখানে রয়েছে। কিছুক্ষণ পর আমরা ঘরে ঢুকে গেছিলাম, কিন্তু পাখিগুলো তখনো পেঁচাটিকে নিয়ে কিচিরমিচির করছিল। বিকেলের দিকে পাখিদের কিচিরমিচির বন্ধ হয়ে গিয়েছিল, তখন হয়তো পেঁচাটি সেখান থেকে উড়ে গিয়েছিল। যাইহোক, বেশ কিছুক্ষণের জন্য সবাই মিলে খুব আনন্দ করেছিলাম আর পেঁচাটির বেশ কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
পোস্ট বিবরণ | লাইফ স্টাইল |
---|---|
ডিভাইস | poco m6 pro |
ফটোগ্রাফার | @pujaghosh |
লোকেশন | বনগাঁ |
ছোট বাচ্চাটা যে বেশ খুশি হয়েছে সেটি ভালোই বুঝতে পারলাম। আর বৃহস্পতিবার গাছের ডালে এমন লক্ষ্মী পেঁচার আগমন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি দারুণ কয়েকটি ছবিও শেয়ার করেছেন। তবে পাখির মাথার বিষয় টি আমার কাছে ক্লিয়ার হলো না...
লক্ষ্মী পেঁচার আগমন উপলক্ষে আপনার লেখাগুলো পড়ে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এধরনের পাখিগুলো দেখতে কিছুটা অদ্ভুত তাই অন্যান্য পাখিরা এদেরকে তাড়িয়ে দেওয়ার জন্য কিচিরমিচির করে। তবে এ ধরনের পেঁচা পাখি দেখে ছোটবেলায় খুব ভয় পেতাম আমি।