লাইফস্টাইল পোস্ট || যমজ পুত্র সন্তানের বাবা হওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম,
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা ,আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আশা করি সবাই খুব ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে খুব ভালো আছি।
প্রতিদিনের মতো আজকেও আমি আপনাদের সামনে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি একটি লাইফস্টাইল পোস্ট শেয়ার করবো আপনাদের সাথে। আজ দুপুর ১টার সময় যমজ পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছি আলহামদুলিল্লাহ এবং এই পোস্টের মাধ্যমে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। আসলে ডেলিভারির সময় ছিলো আগামী মাসের ৩০ তারিখ। যেহেতু টুইন বেবি, সেহেতু ডক্টর বলেছে হয়তো ৩৬ সপ্তাহ পার করা যাবে না। তবে ৩৬ সপ্তাহ পার করতে পারলে ভালো হবে। বাচ্চা দুটি তাহলে পরিপূর্ণ হবে। গতকাল সন্ধ্যার পর হঠাৎ করে বাচ্চার নড়াচড়া কম মনে হচ্ছিলো আমাদের।
এম্বুলেন্সের ভিতর থেকে তোলা ছবি
তাই সাথে সাথে হসপিটালে গিয়ে বাচ্চা দুটির হার্টবিট চেক করি এবং সব ঠিকঠাক ছিলো বিধায়, আমরা বাসায় চলে গিয়েছিলাম। তো কাল রাত ৩টার পর ঘুমিয়েছিলাম এবং আমার ওয়াইফ সকাল ৭টার সময় টয়লেটে যাওয়ার পর দেখতে পায় ব্লিডিং হচ্ছে। তো আমরা যে ডক্টরকে দেখাই,উনাকে আমি সাথে সাথে ফোন করে সবকিছু বলি এবং উনার হোয়াটসঅ্যাপে ব্লিডিং এর ছবি তুলে পাঠাই। উনি বললো হসপিটালে ভর্তি করতে। উনি ধানমন্ডি থেকে রওনা দিয়ে, হসপিটালে আসার পথে,অপারেশন থিয়েটার রেডি করতে বলে। কিন্তু সকালে ১টা বেবির হার্টবিট পাওয়া যাচ্ছিলো না। তাই কালার ডপলার আলট্রাসাউন্ড করতে বলে। তো আলট্রাসাউন্ড করার পর বাচ্চা দুটির হার্টবিট পাওয়া যায়।
কিন্তু বাচ্চার নড়াচড়া একেবারে কম ছিলো। এমনকি দুই বাচ্চা পেটের মধ্যে টয়লেট করে দেয়। তাই সবমিলিয়ে বাধ্য হয়ে সিজার করতে হলো আজকেই। দুপুর ১টার সময় আমার যমজ পুত্র সন্তানের জন্ম হয় নারায়ণগঞ্জ চাষাড়ার হেলথ রিসোর্ট হসপিটালে। খবরটা শুনে যে কি ভালো লেগেছিল, সেটা ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়। কিন্তু পরক্ষণেই সব খুশি উড়ে গেলো। কারণ ১টা বেবির ওজন এসেছে ২ কেজি এবং ১টা বেবির ওজন এসেছে ১,৬৮০ গ্রাম। ১,৬৮০ গ্রাম যে বেবির ওজন এসেছে, তাকে সাথে সাথে এনআইসিইউ তে ভর্তি করতে বললো শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার। তো একটু পর খেয়াল করলো,যে বেবির ওজন ২ কেজি এসেছে, তার ঠান্ডার সমস্যা রয়েছে। তো বাধ্য হয়ে ২ জনকে এনআইসিইউ তে ভর্তি করতে হবে।
কিন্তু হেলথ রিসোর্ট হসপিটালে এনআইসিইউ নেই। তাই ২ বেবিকে সাইনবোর্ড প্রো এক্টিভ হসপিটালে দুপুর ২.৪৫ মিনিটে এনআইসিইউ তে ভর্তি করতে হলো। হেলথ রিসোর্ট হসপিটাল থেকে এম্বুলেন্স দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় আমি এই ফটোগ্রাফিটা ক্যাপচার করেছিলাম। তো আমার ওয়াইফ এখন এক হসপিটালে ভর্তি এবং আমার ২ বেবি এখন অন্য হসপিটালে ভর্তি। তাছাড়া বেবি দুটিকে দেখে নিজেরই কান্না পাচ্ছিলো। কারণ অনেক গুলো পাইপ নাক মুখ দিয়ে লাগিয়ে রেখেছে। আসলে জীবনে এমন পরিস্থিতির শিকার হবো,সেটা ভাবতেও পারিনি। আমি এখন হসপিটালে বসে বসে পোস্টটি লিখছি। আমার ওয়াইফ আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছে এখন। কিন্তু আমার দুই পুত্র সন্তান এনআইসিইউ তে ভর্তি। আপনারা সবাই আমার দুই পুত্র সন্তানের জন্য দোয়া করবেন, যাতে করে তারা দ্রুত সুস্থ হয়ে যায় এবং তাদেরকে নিয়ে বাসায় ফিরতে পারি।
পোস্টের বিবরণ
ক্যাটাগরি | লাইফস্টাইল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @mohinahmed |
ডিভাইস | Samsung Galaxy S24 Ultra |
তারিখ | ১৪.৪.২০২৫ |
লোকেশন | নারায়ণগঞ্জ,ঢাকা,বাংলাদেশ |
বন্ধুরা আজকে এই পর্যন্তই। আপনাদের কাছে পোস্টটি কেমন লাগলো, তা কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আবারো ইনশাআল্লাহ দেখা হবে অন্য কোনো পোস্টে। সেই পর্যন্ত ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন আল্লাহ হাফেজ।
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার পরিচয়
🥀🌹আমি মহিন আহমেদ। আমি ঢাকা বিভাগের নারায়ণগঞ্জ জেলায় বসবাস করি এবং আমি বিবাহিত। আমি এইচএসসি/ইন্টারমিডিয়েট পাশ করার পর, অনার্সে অধ্যয়নরত অবস্থায় দক্ষিণ কোরিয়াতে চলে গিয়েছিলাম। তারপর অনার্স কমপ্লিট করার সুযোগ হয়নি। আমি দক্ষিণ কোরিয়াতে দীর্ঘদিন ছিলাম এবং বর্তমানে বাংলাদেশে রেন্ট-এ- কার ব্যবসায় নিয়োজিত আছি। আমি ভ্রমণ করতে এবং গান গাইতে খুব পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি এবং আর্ট করতেও ভীষণ পছন্দ করি। আমি স্টিমিটকে খুব ভালোবাসি এবং লাইফটাইম স্টিমিটে কাজ করতে চাই। সর্বোপরি আমি সবসময় আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে আন্তরিকতার সহিত কাজ করতে ইচ্ছুক।🥀🌹
ডেইলি টাস্ক স্ক্রিনশট এবং লিংক:
https://x.com/mohin3242127/status/1911829372220346401?t=x543eyUWld-XRhseD8VeVA&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1911830311207604532?t=8G69y6GNJfPYnZ8YW4eHpQ&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1911831226182484063?t=U-F1TUHXuUtyi5kjjD1iPw&s=19
https://x.com/mohin3242127/status/1911831970876964991?t=-DfIFvKkOJqMDNP_FVnMmg&s=19
X-promotion
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
যমজ সন্তান হলে এরকম সমস্যা হয়েই থাকে আপনি একদমই চিন্তা করবেন না। তাছাড়া তাড়াতাড়ি তুলে নেয়া হয়েছে যেহেতু বাচ্চাগুলো পরিপূর্ণ হয়নি সে ক্ষেত্রে অল্প বিস্তার একটু সমস্যা থাকতেই পারে সেগুলো সময়ের সাথে সাথে ঠিক হয়ে যাবে। আপাতত দুটো হসপিটাল আপনাকে একটু সামলে নিতে হবে। আর সর্বোপরি আপনাকে অনেক অভিনন্দন। আজ থেকে জীবনের অন্যরকম আর এক যাত্রা শুরু হল। এখন আপনি বাবা হিসেবে অনেক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করবেন। আর সেগুলোর জন্যই আগাম শুভেচ্ছা জানিয়ে রাখলাম।
চোখের সামনে বাচ্চা দুটির কষ্ট দেখতে ভীষণ খারাপ লাগছে। ওদের জন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন আপু।
ভাইয়া আপনাকে প্রথমেই অভিনন্দন জানাচ্ছি। বাবুরা যেন পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠে এই দোয়া করি। অনেক অনেক দোয়া রইলো ভাইয়া। আশা করছি সব কিছু ঠিক হয়ে যাবে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। মহান আল্লাহ তায়ালা যাতে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করেন,সেজন্য বেশি বেশি দোয়া করবেন আপু।
যমজ বাচ্চা হলে এরকম সমস্যা হয় ভাইয়া। চিন্তার কোন কারণ নেই। আশা করি আপনার বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যাবে। আমার মামার যমজ বাচ্চা। ওদের ডেলিভারির সময় এরকম সমস্যা হয়েছিল। আপনার ওয়াইফ সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করছি খুব তাড়াতাড়ি সবাই সুস্থভাবে বাড়ি ফিরবে। নতুন অতিথিদের জন্য দোয়া রইল।
হ্যাঁ আপু সেটা সবাই বলছে। কিন্তু মন তো মানছে না। বেশি বেশি দোয়া করবেন আপু।
অভিনন্দন জানাচ্ছি ভাই। এরকম কঠিন পরিস্থিতি গুলোতে মাথা ঠান্ডা রেখে কাজ করতে হবে ভাই। এটা আমিও জানি যে নিজের বাচ্চার একটু সমস্যা হলেই মানুষ সান্তনা দিলেও মন ছটফট করে। তবে প্রতিটা পদক্ষেপ ঠান্ডা মাথায় নিবেন। দোয়া করছি বাচ্চারা এবং বাচ্চার মা সহ প্রত্যেকে যেন সুস্থ থাকে।
দোয়া করবেন ভাই, যাতে করে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেও সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অসংখ্য অভিনন্দন, আপনি দুটি পুত্র সন্তানের পিতা হয়েছেন জেনে খুবই ভালো লাগছে। তবে আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি আপনার দুজন পুত্র সন্তানই খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুক এবং তারা তাদের বাবা-মায়ের কাছে সুস্থ ভাবে ফিরে আসুক।
বাচ্চা দুটি পুরোপুরি সুস্থ হলেই শান্তি। দোয়া করবেন দাদা।
একসাথে দুইটি পুত্র সন্তানের বাবা হয়েছেন আনন্দটা সত্যি অন্যরকম। বাচ্চা এবং বাচ্চার মায়ের জন্য রইল মন থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অনেক অনেক দোয়া। আল্লাহর কাছে অনেক দোয়া করি তারা যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। তবে দুজন দুই হসপিটালে আশা করছি খুব দ্রুত মা এবং বাচ্চা এক জায়গায় থাকবে।
আজকে আমার ওয়াইফকে একই হসপিটালে নিয়ে আসছি। বেশি বেশি দোয়া করবেন আপু, যাতে করে আমার বাচ্চা দুটি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে যায়।