লাইফস্টাইল // আমড়া গাছে ঘুঘুর বাসা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিম কমিউনিটির বন্ধু গন আমি @kibreay001 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (০৮-১১-২০২৩)
আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি @kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি আমড়া গাছে ঘুঘুর বাসা । আসলে গত দুইদিন ধরে বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। আজকে সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠে হাতমুখ ধুয়ে অল্প কিছুসময় লেখাপড়া করতে বসেছিলাম। তারপরে খাওয়া দাওয়া শেষ করে প্রথমে প্রাইভেট পড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। প্রাইভেট পড়া শেষ করে আবারও সেখান থেকে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আজকে কিছু বই কিনেছি এবং একটি ব্যাগ কিনেছি তারপরে বাড়িতে এসেছি। বাড়িতে আসার পরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করে নামাজ আদায়ের উদ্দেশ্যে মসজিদে গিয়েছিলাম। বাড়িতে এসে আবারো আপনাদের মাঝে পোস্ট লেখার জন্য বসে গেলাম। তবে চলুন আজকের পোস্ট আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
গতকাল বিকেল বেলায় আমি আমাদের উঠানে হাঁটতে ছিলাম তখন দেখি আমাদের আমড়া গেছে ঘুঘুর বাসা করেছে। ঘুঘুর বাসাটি একদম আমড়া গাছের নিচের ডালে করেছে। আমাদের বাড়ির উঠান থেকেই ঘুঘুর বাসা হাত দেওয়া যায়। তারপরে আমি অনেক দূর থেকে অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের আমড়া গাছের ছবি তুলেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। প্রত্যেকদিন আপনাদের মাঝে চেষ্টা করি নতুন নতুন কিছু টপিক নিয়ে পোস্ট করার জন্য। আসলে এই ঘুঘুর বাসাটি আমাদের আমড়া গাছে অনেকদিন আগে করেছে। ঘুঘুর যখন খাওয়ার সময় হয় আমাদের বাড়ির উঠানে এসে নেমে বসে তখন সেখান থেকে কিছু খাবার খেয়ে আবারও বাসায় ফিরে যায়। এভাবেই প্রত্যেকদিন অতিবাহিত হচ্ছে।
তারপরে আমি আমার মোবাইলের ক্যামেরা একটু জুম করে ছবি তুলেছিলাম ঘুঘুর বাসার। তখন বাসায় ডিমের তাওয়া দিয়েছিল। আসলে আমার দেখেও তখন ঘুঘু ভয় পেয়েছিল না। আসলে আমাদের অত্যন্ত পরিচিত হয়ে গিয়েছে। আমাদের বাড়িতে অনেক ছোট ছেলে মেয়ে থাকার পরেও এই ঘুঘুর বাসায় কেউ কখনো জ্বালায় না। আশা করি অল্প কিছুদিনের মধ্যেই ঘুঘু দুইটি বাচ্চা ফোটাবে ডিম থেকে। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে। সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানা কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness

OR
আমি তো অবাক হয়ে গেছি ভাইয়া ঘুঘুর এতো সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন তবুও আপনাকে ভয় না পেয়ে গোল গোল চোখ করে আপনাকে দেখছে।আসলে ঠিক বলেছেন পরিচিত হয়ে গেছে আপনার সাথে।আপনাকে নিরাপদ মনে করেছে জন্যই আপনি ছবি তুলছেন কিন্তুু সে উড়াল দেয়নি।অসাধারণ সুন্দর পোস্ট।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আমি যখন ঘুঘুর ফটোগ্রাফি করছিলাম তখন আমার দিকে অনেক সুন্দর ভাবে তাকিয়ে ছিল।
এমন দৃশ্য একদিন আমিও দেখেছিলাম একদম হাতের কাছে আমড়া গাছে ঘুঘুর বাসা কিন্তু ফটোগ্রাফি করবো এই মুহূর্তে কি কাজে যেন আর মনে ছিল না। তাই সেই দিনের কথা স্মরণ হয়ে গেল আজকের এই পোস্ট দেখতে পেরে। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই পোস্টটা আমার কাছে।
আসলে মামা এরকম ঘুঘুর বাসা খুব কম দেখা যায় আপনিও যে নিজের চোখে দেখেছেন সত্যি বেশ দারুন মুহূর্ত।
এমন দৃশ্য দেখতে অসম্ভব ভালো লাগে। গ্রামে আসলেই এমন ঘুঘুর বাসা দেখা যায়। অনেকদিন হলো এমন পাখির বাসা খুঁজে পাওয়া যায়। ছোটবেলায় গাছে গাছে খুব খুঁজে বেড়াতাম । ছবিটা অসম্ভব সুন্দর হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
ঠিক বলেছেন ভাই আপনি গ্রামে এমন ঘুঘুর বাসা প্রায় জায়গায় দেখা যায়।
বর্তমানে একটা বিষয় লক্ষ্য করে দেখছি চারিপাশে ঘুঘুর মেলা। আমি আমার বাবাদের মুখ থেকে শুনেছিলাম একটা গাছের চারটা পাঁচটা করে ঘুঘুর বাসা থাকতো। এখন দেশে সেই কথা আসলেই সত্য। আর এটা দেখতে বেশ ভালো লাগে। আমরা দেশের ঘুগর বাসা থেকে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ এত সুন্দর একটা দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আমি লক্ষ্য করে দেখেছি এখন আমাদের এলাকাতে প্রচুর পরিমাণে ঘুঘু পাখি বৃদ্ধি পেয়ে গিয়েছে। আর তারা এখন অনেকটা গৃহপালিত পাখির মতো হওয়ার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। এখন তারা বাড়ির আশেপাশেই তাদের বাসা তৈরি করে থাকছে।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি আমাদের দেশে অনেক ঘুঘু পাখির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে ভাইয়া আমড়া গাছের ডাল হলো নরম সেখানে উঠে ফটোগ্রাফি করা দূরের কথা। যাইহোক আপনি জুম করে বেশ সুন্দর ঘুঘুর ফটোগ্রাফি করেছেন।ঘুঘু কি সুন্দর চোখ মিলে তাকিয়ে রয়েছে। ঘুঘু দেখে অনেক ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু আমি আমড়া গাছের নিচে দাঁড়িয়ে ফটোগ্রাফি গুলো করেছিলাম।
বন্ধু হবু বুঝতে আমার খুবই ভালো লাগে ছোটবেলায় অনেক ঘুগুর পেয়েছে ঘুরেছি। দেখছি আমড়া গাছে ঘুঘুর বাসা তুমিও দেখে ফেলেছ। তবে জানতে পারলাম ঘুঘুর বাসা এখনো কেউ দেখেনি। কেউ যেহেতু এখনো দেখেনি তাই কাউকে দেখানোর দরকার নেই কারণ ছোটরা দেখলে ঘুঘুর থেকে উড়িয়ে দিবে। ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর একটি শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ বন্ধু এত সুন্দর ভাবে তোমার মূল্যবান মতামত শেয়ার করার জন্য। প্রথম ঘুঘু বানানে একটু সমস্যা আছে আশা করি ঠিক করে নিবে ।
https://x.com/GKibreay/status/1722512490649784596?s=20