আসসালামু আলাইকুম আমার স্টিম বন্ধু গন আশা করি আপনারা অনেক ভালো আছেন । আপনাদের দোয়ায় আমিও অনেক ভালো আছি। আমি
@kibreay001 আমি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধ। আসলে আজকে সকাল থেকেই বেশ ব্যস্ত সময় পার করছি। সকাল বেলায় ঘুম থেকে উঠেই প্রাইভেটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম আজকে প্রাইভেটে মাসিক পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষা শেষ করে হোটেলে খাওয়া দাওয়া করে কলেজের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলাম। কলেজ থেকে মেসে ফিরতে প্রায় বারোটা পার হয়ে গিয়েছিল। তারপরে গোসল শেষ করে খাওয়া-দাওয়া শেষ করলাম। তারপরে ভাবলাম আপনাদের মাঝে একটা পোস্ট শেয়ার করা দরকার। অনেক সময় মোবাইলের গ্যালারিতে ছবি খোঁজার পরে ছবিগুলো পেয়ে পোস্ট করার জন্য আবারো চলে আসলাম। তবে চলুন আজকের পোস্টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করা যাক......
গত কয়েকদিন আগে আমাদের মেসের এক ছোট ভাই অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। অসুস্থ হয়েছিল ঠিক দুপুর বেলার দিকে। তারপর আমরা কয়েকজন মিলে তাকে ধরে মেসের পাশে সরকারি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে কিছুক্ষণ জরুরি বিভাগে ডক্টর তাকে দেখেছিল তারপরে কয়েকটি ইনজেকশন করেছিল। তারপরে ডক্টর তাকে ভর্তি করার জন্য নির্দেশ দেয়। তারপর আমরা খালিদ আহমেদের বাড়িতে ফোন দিয়ে তার বাবা-মাকে এই বিষয় জানাই। ছেলেটির নাম ছিল খালিদ। এভাবেই ছেলেটিকে নিয়ে কিছুক্ষণ আমরা হাসপাতালেই বসেছিলাম। তার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ বাইরে অনেক জোরে একটি আওয়াজ শুনতে পাই আমি তারপরে হাসপাতাল থেকে বাইরে বেরিয়ে এসে দেখতে পারি ডেঙ্গু প্রতিরোধ মিশন চলছে। আসলে এই মেশিন দিয়ে যে এত জোরে ধোঁয়া বের হয় আমি এর আগে কখনো দেখেছিলাম না। আসলে আমার কাছে দেখতে বেশ ভালো লেগেছিল।
এবার আপনার উপরের ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ধোঁয়া দিতে দিতে লোকটি অনেক জোরে হেঁটে সামনের দিকে চলে আসছে। সে সময় আমি অনেক সুন্দর ভাবে একটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। আসলে এই ডেঙ্গু প্রতিরোধ এই কাজের সাথে যুক্ত ছিল সেখানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার। প্রত্যেক সরকারি কর্মকর্তা কাজ ঠিক রকম করছে কিনা সবকিছু দেখার জন্য তিনি এখানে এসেছিল। আসলে সেই দিন মূলত সরকারি হাসপাতালের চারি সাইডে ডেঙ্গু প্রতিরোধ মিশন চলছিল।
এবার আপনারা উপরে ছবির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন লোকটি ধোঁয়া বের হওয়া মেশিনটি হাতে ধরে রেখেছিল তখন মেশিন দিয়ে অনবরত ধোঁয়া বের হচ্ছিল। তখন আমি অনেক সুন্দর ভাবে কয়েকটি ছবি তুলে রেখেছিলাম আপনাদের মাঝে শেয়ার করব বলে। আসলে সেখানে ধোঁয়ার একটা গন্ধ ছিল কিছু মানুষ সহ্য করতে পেরেছিল না সেখানে তারপর সবাই হাসপাতালের ভিতরে উঠে আসে এবং হাসপাতালের গ্লাস দরজা লাগিয়ে দেয় যাতে ধোঁয়া হাসপাতালের ভিতরে প্রবেশ না করতে পারে। তারপর সেখান থেকে আমিও হাসপাতালের মধ্যে প্রবেশ করেছিলাম আসলে নিজের চোখে এত সুন্দর একটা দৃশ্য দেখতে পেয়ে সত্যি বেশ ভালো লেগেছিল। গত কয়েক মাস ধরে আমাদের দেশে ডেঙ্গু জ্বরে অনেক রোগে আক্রান্ত হয়েছে এবং কিছু মানুষ মারা গেছে। আশা করি পোস্টি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লাগবে । সকলের মতামত নিচে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাবেন। সকলের জন্য আমার পক্ষ থেকে শুভকামনা রইল।
আমি মোঃ কিবরিয়া হোসেন। আমি বাংলাদেশ খুলনা বিভাগে মেহেরপুর জেলার গাংনী থানায় কামারখালী গ্রামে বসবাস করি। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমি বর্তমানে একাদশ শ্রেণীর ছাত্র। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে এবং লিখতে অনেক ভালোবাসি। সব থেকে আমি বেশি পছন্দ করি ফটোগ্রাফি করতে। আমি বেশিরভাগ সময় বিভিন্ন জায়গা ঘোরাঘুরি করে থাকি। কয়েকটি শখের মধ্যে আমার প্রধান শখ হচ্ছে ঘোরাঘুরি করা। সংক্ষিপ্ত আকারে আমি আমার নিজের পরিচয় শেয়ার করলাম আপনাদের মাঝে। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল।
https://x.com/GKibreay/status/1713835071478886897?s=20
যেভাবে চারিদিকে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব বাড়ছে তাতে করে এরকম ডেঙ্গু প্রতিরোধ অভিযান সবদিকে চালানো উচিত। সত্যিই ভালো লাগলো এরকম উদ্যোগ দেখে। সবাই সুস্থ এবং নিরাপদে থাকুন এই কামনা করছি।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান সময়ে ডেঙ্গুর উপদ্রব অনেক বেশি। এতে অনেক মানুষ অসুস্থ হয়ে যাচ্ছে। এটি প্রতিরোধ করার সামাজিক কাজটি আপনি পোস্টের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন। আমাদের নিজেদেরও দায়িত্ব ডেঙ্গু মোকাবেলায় সচেতন হওয়া। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমাদের সবার উচিত ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা।
আশা করি আপনাদের বন্ধু খালিদ এখন সুস্থ আছেন। আসলেই ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে পড়ছিল বহু মানুষ । সেই জন্যই এই রকমের বহু পদ্ধতির অবলম্বন করা হয়েছিল রোগ প্রতিরোধের জন্য । তবে মেশিনটি থেকে যে এতটা পরিমান ধোঁয়া বের হয়, এটা আমিও কখনো দেখিনি। প্রথমবার আপনার পোষ্টটি থেকে দেখার সুযোগ হলো।
জি আপু আমার বন্ধু খালিদ এখন আগের তুলনায় অনেকটাই সুস্থ আছে।
এই ধরনের ডেঙ্গু প্রতিরোধ মিশন আরো অনেক আগে হওয়া দরকার ছিল। আসলে সরকার ব্যবস্থা নেয় কিন্তু অনেক বেশি লেট হয়ে যাওয়ার পরেই করে। যাক কিন্তু মাঝে মধ্যে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কিংবা প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান গুলো এমন ব্যবস্থা নিচ্ছে। অনেক সুন্দর একটি দৃশ্য শেয়ার করলেন আপনি ফটোগ্রাফির মাধ্যমে। অনেক ভালো লাগলো বিষয়টি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু আপনি আসলে সরকার ব্যবস্থা নিতে একটু বেশি লেট করে ফেলেছে তার কারণেই এত মানুষ আক্রান্ত হয়ে পড়েছে।
বাহ্ দারুন তো। এমন করে নতুন নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করা হলে ডেঙ্গু প্রার্দুরভাব অনেকটাই কমে যাবে। দেরিতে হলেও এমন উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। তবে আমাদের সচেতনতার পাশাপাশি যদি এমন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় তাহলে আগামীতে ডেঙ্গুর প্রাদুরভাব থেকে আমরা বেশ সহজে রক্ষা পেতে পারি।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।
বর্তমান ডেঙ্গুর প্রভাব অনেক বেড়ে গেছে। এখন হাসপাতাল ক্লিনিকে গেলেই বেশিরভাগ রোগী ডেঙ্গু ঝরে আক্রান্ত দেখা যায়। ডেঙ্গু প্রতিরোধ করার জন্য অনেক সুন্দর একটি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। আপনার বন্ধুর সুস্থতা কামনা করছি। সবাই সুস্থ ও ভালো থাকুক এই কামনাই করি।
ধন্যবাদ পোস্টি পড়ে এত সুন্দর ভাবে আপনার গঠনমূলক মতামত শেয়ার করার জন্য।