লাইফস্টাইল: ডাঃ হামজা ভাইয়ের বিয়ে || প্রথম পর্ব
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম আমাদের প্রিয় খালাতো ডাক্তার ভাইয়ের বিবাহ উপলক্ষে আমার অনুভূতিমূলক পোস্ট। আমি বেশ কিছু পর্বে নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব ভাইয়ার বিবাহর বিস্তারিত অনুভূতি শেয়ার করার জন্য। আজকে আমি হামজা ভাইয়ের বিবাহের প্রথম পর্ব শেয়ার করতে চলেছি। আশা করব বিয়ের অনুষ্ঠানের আনন্দের কিছু অংশ আপনারাও অনুভব করতে পারবেন আমার পোস্ট এর মাধ্যমে। তাহলে চলুন আর দেরি না করি, প্রথম পর্ব শেয়ার করি।
ডাঃ আমির হামজা, আমাদের খালাতো ভাই। উনি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের ডাক্তার। বেশ চঞ্চল ও সবার সাথে সুন্দর সম্পর্ক বজায় রেখে চলা একজন ভালো মানুষ। বেশ কিছুদিন ধরে ভাইয়ার বিয়ের কথা চলছে। বিভিন্ন স্থান থেকে পাত্রের সন্ধান আসছেন। ঠিক এরই মধ্যে আমরা একটি মেয়ের সন্ধান উনাকে দিয়েছি। মেয়েটা আমাদের বড় ভাইয়ের শ্যালিকা। সন্ধান দেওয়ার পর উভয় পক্ষের দেখাশোনা হয়ে যায় এবং মতামত ফিক্সড হয়ে যায় ভাইয়ার সাথে তার বিয়ে হবে। মেয়েটার নাম মল্লিকা। যতদিন যেতে থাকলো যেন বিয়ের বিষয়ে বিভিন্ন কেনাকাটা ও তাড়াহুড়ো সৃষ্টি হতে থাকলো। এরপর কাঙ্ক্ষিত গায়ে হলুদ দেওয়ার দিন চলে আসলো। তবে গায়ে হলুদ দেওয়ার আগেই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো ভাইয়ায় সাথে কেনাকাটা করা হলো। ভাইয়া বেশ আনন্দের সাথে মেয়ের জন্য গায়ে হলুদ দেওয়ার মুহূর্তে যা প্রয়োজন তা কেনাকাটা করে ফেলল। যেন মনে হল ভাইয়ার চারিপাশে আনন্দের শেষ নেই। সে সব সময় যোগাযোগ রাখতে আমাদের সাথে এবং মেয়ে আলার পরিবারের সাথে।
ভাইয়া প্রথমে বিয়ের বাজার করার জন্য কি কেনাকাটা করতে হবে সেই সমস্ত বিষয়টা জানার জন্য আমার কাছে ফোন দিয়েছিলেন। এরপর উনি বিয়ের বাজার করার জন্য একটি লিস্ট ম্যানেজ করে আমার কাছে এনেছিলেন। আমি প্রথমে ভাইয়াকে প্রশ্ন করেছিলাম ভাইয়া আপনার বাজেট কেমন কত টাকা খরচ পরিমাণ উপলক্ষে। উনি এক কথায় বলে দিয়েছিলেন ১ লাখ টাকা খরচ করবেন। এরপর আমি হামজা ভাইয়া এবং পরিবারের বেশ কয়েকজন মিলে সিদ্ধান্ত নিলাম এবং লিস্টে টিক মারলাম কোন কোন জিনিস গুলো বিয়ে উপলক্ষে কিনতে হবে। আসলে ভাইয়া এই বিষয়ে তত বেশি জানত না যে কোন কোন জিনিসগুলো নেওয়া লাগতে পারে। তাই সিদ্ধান্তটা আমি করেছিলাম এবং কি কি নিতে হবে সে বিষয়টা ফিক্সড করেছিলাম কলম দিয়ে টিক মেরে।
এদিকে হামজা ভাইয়া এবং তার এক ফ্রেন্ড গায়ে হলুদের জন্য যে সমস্ত জিনিসগুলো প্রয়োজন সে সমস্ত জিনিসগুলো কিনে আমার বাসায় রেখে গেলেন। যেহেতু ভাইয়া তাদের হসপিটালের কোয়ার্টারে থাকেন, কখন সেখানে থাকেন আবার কখন নিজের বাসা থেকে আসা-যাওয়া করে তার ঠিক নেই। তাই যেহেতু মেয়ের বাসা আমাদের বাসা থেকে কিছুটা নিকটে, এজন্য আমাদের বাড়িতে রাখলেন। বেশ ভালো লাগছিল, ভাইয়ার বিয়ে এদিকে মনের মধ্যে টান টান উত্তেজনা। যতদিন যেতে থাকল তত বিয়ের বিষয়টা এগিয়ে আসতে থাকলো।
গায়ে হলুদের আগেই লক্ষ্য করে দেখা গেল মেয়ের জন্য ভাইয়া গায়ে হলুদের জিনিসপত্রের সাথে হিল সহ আরো অনেক কিছু কেনাকাটা করেছেন। তবে এই জিনিসটা আমি খুব মনোযোগ সহকারে আমার হাতে ধরে দেখছিলাম। হঠাৎ লক্ষ্য করে দেখি সুমন ভাইয়া, হামজা ভাইয়ার সাথে ইয়ার্কি করে বলে ওঠেন ভাইয়া বিয়ের জন্য তো এই সমস্ত জিনিস কেনা শুরু করেছেন তবে মেয়ের জন্য একটি নতুন বদনা কিনতে পারতেন। ভাইয়া বলল লিস্টে যদি থাকে তাহলে অবশ্যই কিনে দেবো। কিন্তু দেখা গেল লিস্টে এটা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তারপর এই নিয়ে বেশ হাসাহাসি হল আমাদের মাঝে। তখন ভাইয়া বল বিয়ের পর কিনে দিলে সমস্যা। সুমন ভাইয়া বললেন, বিয়ের আগে কিনে দিলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। তাহলে অনেকে বলাবলি করবে বিয়ে উপলক্ষে বর এটা কিনে দিয়েছিল। এতে বেশ আনন্দ হতে পারে।
এরপর দেখলাম গায়ে হলুদের শাড়ি আর প্রয়োজনীয় সিট কিনে এনেছেন ভাইয়া। বেশ ভালো লাগলো তার বাজেট এবং কেনাকাটা দেখে। গায়ে হলুদ উপলক্ষে যে সমস্ত জিনিসগুলো তার বন্ধুর সাথে কিনে এনেছিল বেশ ভালই লেগেছিল। এরপর ভাইয়া বলেছিলেন বিয়ের বাজারে আমাকে সাথে নিয়ে যাবেন। এ কথা শুনে আমার খুবই ভালো লেগেছিল। কারণ বিয়ের বাজার করতে যদি আমি যেতে পারি তাহলে অনেক ফটো ধারণ করতে পারবো এবং তা আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে পারব। ঠিক এই আনন্দে আমিও দিন গুনছিলাম, কবে বিয়ের বাজারে উপস্থিত হব সবাই মিলে। তবে যাই হোক সেই দিনটা এসেছে কেনাকাটা হয়ে গেছে বিয়ে হয়ে গেছে। বিস্তারিত পরবর্তী পর্বে অবশ্যই শেয়ার করব।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | হামজা ভাইয়ের বিয়ে |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s/Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর নার্সিং কোর্স করে বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আপু আপনার খালাতো ভাইয়ের বিয়ে জেনে ভালো লাগলো। আপনার খালাতো ভাই নতুন জীবন শুরু করেছে এটা সত্যি অনেক আনন্দের। অনেক ভালো লাগলো আপনার এই পোস্ট পড়ে। আশা করছি আবারো নতুন কোন পর্ব নিয়ে হাজির হবেন।
ভাইয়ার জন্য দোয়া করবেন।