কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আমাদের পুকুরপাড়ের শীতকালীন শিম সবজি সম্পর্কে পাশাপাশি থাকবে সুন্দর সুন্দর শিম ও তার ফুলের ফটোগ্রাফি।। তাহলে চলুন বিস্তারিত আলোচনা করি।

photography device: Infinix Hot 11s
আপনারা জানেন শীতের সময় আমাদের পুকুরপাড়ে বেশ অনেক রকমের শাকসবজি উৎপাদন করা হয়েছিল এবার। তবে সেই সমস্ত শাকসবজি গুলোর মধ্যে শিম ছিল অন্যতম। আমাদের পুকুর পাড়ে মোট তিনটা বাগান রয়েছে। বাগান তিনটা পুকুরের পাড়ের উপর। আর তিনটা বাগানে এবার অনেক অনেক শিম গাছ লাগানো হয়েছিল। শিম গাছগুলো আসার শ্রাবণ মাসে লাগানো হয়েছিল। আর তারপর থেকে গাছগুলো আস্তে আস্তে বড় হতে থাকে এবং শীতের সময় অর্থাৎ পৌষ মাসের শুরু থেকে গাছে অনেক ফুল ফুটতে থাকে এবং ফল ধরতে থাকে। আর ঠিক সেই মুহূর্তে আমি বাগানের মধ্যে বিভিন্ন প্রকার শাকসবজি তোলার জন্য ও মাছ ধরার জন্য উপস্থিত হতাম। বড়শি দিয়ে মাছ ধরতে আমি খুবই পছন্দ করি। মাঝেমধ্যে মাছ রান্না করার জন্য বড়শি নিয়ে পুকুরপাড়ে উপস্থিত হতাম এবং এই সমস্ত ফটো ধারণ করতাম। ফটোগুলো তো দেখেই বুঝতে পারছেন কত সুন্দর শিম ধরেছিল আমাদের গাছগুলোতে। তবে তার পূর্বে বাগানে এত সুন্দর ফুল ফুটেছিল যা স্বচক্ষে না দেখলে সুন্দর বুঝতে পারবেন না।



এখানে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন সারা সবজির বান জুড়ে রয়েছে শুধু ফুল আর ফুল। দুপুর বেলায় যখন রোদ হতো তখন এই ফুলগুলো দেখতে অনেক ভালো লাগতো। তবে রোদের মুহূর্তে ফটো ভালো হতো না। আমি লক্ষ্য করে দেখেছি পড়ন্ত বিকেলে অনেক সুন্দরভাবে ফটো ধারণ করা যেত এই শিমের ফুল। হয়তো এখন গাছগুলো নেই তবে ফটো ধারণ করে রেখেছিলাম বলে তার সৌন্দর্য এখনও দৃশ্যমান রয়ে গেছে আমার মোবাইলের গ্যালারিতে। সবচেয়ে বেশি ভালো লাগতো যখন সারা গাছ জুড়ে এমন ফুল ফুটতো। তবে শিমের ফুল কিন্তু অনেক সুন্দর্য বৃদ্ধি করেছিল আমাদের পুকুরপাড়ের বাগান গুলোর মধ্যে। তবে একটা বিষয় আমার সবচেয়ে বেশি খারাপ লাগতো, শিমের ফুল কিন্তু বেশিদিন ফুটে থাকে না। বড়জোর দুই থেকে তিন দিন একটা ফুল ফুটে থাকে। তবে একটা শিষে অনেকগুলো ফুল ফোটে একথা সত্য।



এখানে আমি শিমের যে ফটোগুলো দেখিয়েছি এবং সিম দেখিয়েছি তা কিন্তু বিভিন্ন বানের। কারণ আমাদের মোট পাঁচটা বড় বড় শিমের বান ছিল এবার। একটা সিমের পান তো ছিল একটানা আটটা খুঁটির বান। বুঝতে পারছেন তাহলে কত বড় হতে পারে। আরো সহজ করে বললে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ ফিট লম্বা। তাহলে এবার বুঝতে পারছেন কত বড় ছিল শিমের বানটা। আর সেই সমস্ত বান থেকে প্রায় চার পাচ মোন শিম উত্তোলন করা হয়েছে এবার। শিম উত্তোলন করতে গিয়েও কিন্তু এভাবে ফটো ধারণ করেছি অনেক। এবারও আশা করি অনেক অনেক শিম উৎপাদন হবে আমাদের পুকুরপাড়ে। তবে গত বছর এই সময় যত শাকসবজি ছিল এবার কিন্তু নেই। কারণ প্রচন্ড গরমের কারণে সেভাবে শাক-সবজি চাষ করা হচ্ছে না। ইনশাল্লাহ খুব শীঘ্রই ভাইয়া এবং রাজের আব্বু কাজ শুরু করবে পুকুর পারে শাকসবজি উৎপাদনের। পাশাপাশি বিকেল মুহূর্তে আমিও তাদের সহায়তা প্রদান করার চেষ্টা করব।





সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

বিষয় | পুকুর পাড়ের শিম বাগান |
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।

আপনাদের পুকুর পাড়ের সুন্দর শিম বাগান দেখতে খুবই ভালো লাগে। এর আগেও সুমন ভাইয়ের ভিডিওগ্রাফির মাধ্যমে শিম বাগানের দৃশ্য গুলো দেখেছিলাম। এত সুন্দর ফলন হয়েছে উনার ভিডিওগ্রাফি ফটোগ্রাফি দেখে বেশ উপভোগ করতে পেরেছিলাম। আজকে আপনি শিম বাগান থেকে নেওয়া খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন অনেক ভালো লেগেছে দেখে।
আমরা সবাই একসাথেই পুকুরে যেতাম
শীতের সময় পুকুরপাড়ে বেশ ভালোই সবজির চাষ হয় দেখছি আপনাদের এলাকায়। আবার সবজিতে বেশ ভালো ফলন হয়েছে ছবি দেখে সেটা তো বোঝাই যাচ্ছে। হ্যাঁ সুন্দর ছবি তোলার ক্ষেত্রে রোদের সময় খুব একটা ক্লিয়ার আসে না বিশেষ করে বিকেল বেলায় যখন সূর্য হেলে পড়ে সেই মুহূর্তে ছবি তুললে সেটা বেশি সুন্দর দেখায়।
হ্যাঁ ঠিক বলেছেন।
মাঝেমধ্যেই আপনাদের বিভিন্ন পোস্টে দেখা হয় আপনাদের পুকুর পাড়ে সবজির গাছগুলো। নিজেদের এরকম সবজির বাগান থাকলে সত্যিই খুব ভালো লাগে। আমরা সাধারণত এরকম নিজেদের গাছ থেকে সবজি খেতে পারি না। নিজেদের গাছের ফ্রেশ সবজিগুলো ভালই লাগে খেতে। আপনার বিভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। শিম গাছে ভালোই শিম ধরেছিল তাহলে।
গ্রামীন পরিবেশ তো ভালোই মিস করেন আপনারা।
আপনাদের পুকুর পাড়ের শিম বাগানে তো বেশ ভালো শিম ধরেছে। মাছ ধরতে আমিও পছন্দ করতাম। তবে এখন আর পুকুরে মাছ ধরা হয়না। আপনার লেখা এবং ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
মাছ ধরার মধ্যে অন্যরকম আনন্দ আছে।