বাবুর জন্য শীতের পোশাক কেনার অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বাবুর প্যান্ট জামা কাপড় কিনতে বামুন্দি বাজারে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে উপস্থিত হয়েছিলাম। আর সে কেনাকাটা মুহূর্তের অনুভূতি আজকে আপনাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য উপস্থিত হলাম। আশাকরি এই পোস্ট পড়ার মধ্য দিয়ে আপনারা অনেক কিছু জানতে পারবেন।
চলে আসছে শীতের সময়। এই সময় বাচ্চাদের সহ আমাদের সকলের এক্সট্রা কাপড় প্রয়োজন। একদিকে আমার বাবুর প্যান্ট জামা গুলো পুরনো হয়ে গেছে। নতুন নতুন জামা কাপড় প্রয়োজন। তাই একদিন সময় করে বাবার বাড়ি থেকে তিন কিলো পথ অতিক্রম করে আমরা বাজারে উপস্থিত হলাম। উদ্দেশে ছিল অনেকগুলো প্যান্ট ও হুডি কিনবো। দেখলাম মার্কেটগুলো যেমন খোলা রয়েছে ঠিক তেমনি খোলা বাজারের জামাকাপড়ের দোকান গুলো চালু রয়েছে। খোলা বাজারে জামাকাপড় অনেক বেশি পাওয়া যায়। আর কিছুটা সুলভ মূল্যে পাওয়া যায়। তাই আমরা মার্কেটে দিকে না তাকিয়ে খোলা বাজারে দিকে চলে গেলাম।
বাজারে উপস্থিত হয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম এখানে ছেলেদের মেয়েদের ছোটদের বড়দের সকল শ্রেণীর মানুষের জামা প্যান্ট গেঞ্জি আন্ডার সবকিছুই বিক্রয় হচ্ছে। এ বাজারে অনেক কিছু কম দামে পাওয়া যায়। তাই প্রথমে বাবুর আব্বা একেক দোকানে উপস্থিত হলো আর দাম জানতে চাইলাম। এদিকে আমিও আমার মত করে সুন্দর সুন্দর হাফপ্যান্ট ফুল প্যান্ট ফুডি গেঞ্জি বা টি শার্ট দেখতে থাকলাম। শীতের আগমন হয়েছে তাই শীতের অনেক জামাকাপড় চলে এসেছে বাজারে। বিভিন্ন ডিজাইনের বিভিন্ন রকমের কাপড় থাকায় দেখতে ভালো লাগছিল। তবে প্রথম অবস্থায় যেন মনে হল একটু দাম বেশি বলছে একেক দোকান এর বিক্রেতারা।
আমার প্রথম উদ্দেশ্য ছিল বাবুর জন্য ১০ টা প্যান্ট নিব। এই সময় বাবুদের জন্য বেশি বেশি প্যান্ট প্রয়োজন হয়ে থাকে। দেখলাম ৪০ টাকা থেকে শুরু করে ১০০ টাকা দামের অনেক রকমের প্যান্ট রয়েছে। তবে আমি মনে করি এই মুহূর্তে ৩০-৪০ টাকা দামের গুলোই বেটার হয়। কারন ছোটদের প্যান্ট বেশি দামি নিয়ে কোন লাভ নেই। বিভিন্ন রকমের প্যান্টগুলো দেখতে চাইলাম এবং দাম জানতে চাইলাম। তবে আমরা প্রথম যে দোকানটাতে অবস্থান করেছিলাম। সে দোকানে তেমন ভালো মানের প্যান্ট পেলাম না। যেগুলো রয়েছে সেগুলোর দাম একটু বেশি বেশি বলছিলেন।
এরপর আমরা তারপরে আরেকটি দোকানে উপস্থিত হলাম। সেই দোকানে উপস্থিত হয়ে দেখলাম শীতের আলাদা মোটা প্যান্ট রয়েছে। এছাড়াও বাবুদের আগে যেগুলো পরায় সে জাতীয় প্যান্ট গুলোর রয়েছে। এছাড়াও সেখানে রয়েছে অনেক সুন্দর সুন্দর হুডি। যতক্ষণ আমরা কেনাকাটা করলাম তখন খেয়াল করে দেখলাম আশেপাশের খোলা বাজারের দোকানগুলোর বিক্রেতারা সব চলে গেছে। মাগরিবের পরে খোলা বাজারে বিক্রেতারা বেশিক্ষণ থাকে না। তাই যে কয়টা দোকান খোলা ছিল তারা একটু দাম বেশি বেশি বলছিল। এরপরেও আমরা অনেকগুলো নিব এই জায়গায় দেখলাম ছেলেটা আমাদের পছন্দের প্যান্টগুলো 30 টাকা দামে রাখতে চাইলেন। গত বছর বাবুর জন্য যে সমস্ত প্যান্টগুলো নিয়ে হয়েছিল সেগুলো ২৫ টাকা পিস নেয়া হয়েছিল। তাই ভেবে দেখলাম ৫ টাকা বেশি বলছে এতে কোন বিষয় না। বারবার তো বাজারে আসা যায় না। এদিকে দেরি হলে বাবু কান্না করবে। বাবুকে মায়ের কাছে রেখে গেছিলাম। তাই দ্রুত ১২ টি প্যান্ট নিলাম, দুইটা হুডি নাম। এছাড়া আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে সমস্ত কিছুর দাম একসাথে হিসাব করে টাকা দিয়ে দিলাম। আর এভাবে বাজার থেকে শীতের পোশাক কেনাকাটা করলাম।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | বামুন্দি বাজার থেকে কেনাকাটা |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix Hot 11s |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
বাবুর জামাকাপড় কেনার মুহূর্তগুলো আমাদের সাথে খুব সুন্দর ভাবে শেয়ার করেছেন। আসলে খোলা বাজারে জিনিসপত্র অনেক কম দামে পাওয়া যায় আর একটু ঘাঁটাঘাটি করলে ভালো ভালো জিনিসও পাওয়া যায়।
যে জিনিস বেশি ব্যবহার করতে হয় আর দ্রুত নষ্ট হয় সেগুলো খোলা বাজার থেকে নেওয়াটাই বেটার।
X-promotion
আজকের কাজ সম্পন্ন
সিজন অনুযায়ী আমাদের জীবনযাপন চেঞ্জ হয়। শীতকাল আসলে নতুন করে অনেক কিছুই কিনতে হয়। বিশেষ করে বাচ্চাদের জন্য তো আরো বেশি কেনাকাটা করতে হয়। যাইহোক আপনাদের কেনাকাটার মুহূর্ত দেখে ভালো লাগলো। দিন দিন আসলে সব কিছুরই দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে। যাইহোক সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এই জন্যই তো খোলা বাজার থেকে কম দামে নেওয়ার চেষ্টা।
আগে থেকে শীতের প্রস্তুতি নিয়ে ভালোই করেছেন। বাচ্চাদের জন্য শীতের সময় অনেক পোশাকের প্রয়োজন হয়। আর আপনি আপনার বাবুর জন্য প্রয়োজনীয় পোশাকের কিনেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো।
হ্যাঁ একটা জায়গায় দশটা লাগে
বাচ্চাদের কেনাকাটা যেন শেষই হয় না আপু। কিছুদিন আগে আমিও ছেলের জন্য কেনাকাটা করতে শহরে গিয়েছিলাম।এবার শীতে জামা কাপড়ের দাম বেশ চড়া দেখলাম। আমার ছেলের জন্য প্যান্ট কিনেছিলাম ১৫০ টাকা করে আর গেঞ্জি কিনেছিলাম ২৫০ টাকা করে।গত বছরে এর হাফ দাম দিয়ে কিনেছিলাম।যাইহোক ছেলের জন্য কেনাকাটার মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
মার্কেটে দাম আরো বেশি কিন্তু শীতের তো লাগবে অনেক, তাই কম দামের গুলো নেওয়াটাই বেটার।