নিজেদের গাছ থেকে ডাব বিক্রয়ের অনুভূতি
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। আজকে আমি আপনাদের মাঝে ফল বিক্রয়ের অনুভূতি শেয়ার করব। আমি মনে করি যে,আপনাদের ভাল লাগবে আমার এই সুন্দর ব্লগ টা দেখে।
আমাদের বাড়িতে সাতটা নারিকেল গাছ রয়েছে। মাঝেমধ্যে গাছে নারিকেল রাখা হয়। কিন্তু নারিকেল পাড়ার লোক পাওয়া যায় না। বেশ কিছুদিন ধরে এক কাইন নারিকেল পেড়ে নিতে হবে এমনটাই আশা করছিলাম। রাজের আব্বুকে বলেছিলাম। সে বলেছিল পাড়াগায়ের কোন মানুষকে দিয়ে পাড়িয়ে নিবে। কিন্তু দেখল কেমন কোন মানুষ পাওয়া যাচ্ছে না। অতঃপর এক ডাব ক্রেতা এসেছিলেন। আমাদের বেশ সুযোগ-সুবিধা হয়ে গেল নারিকেল গুলো পেড়ে নেওয়ার জন্য। ওই গেছে এক কাইন নারিকেলসহ দুই কাইন পাড়ার মতো ডাব ছিল। তাই ডাব ক্রেতা মানুষটা যখন এসেছে তখন রাজের আব্বু তাকে বলেছিলেন ওই গাছটাতে উঠে ডাব কিনে নিয়ে যেতে। এরপর সেই লোকটার সাথে ডাবের দাম নির্ধারণ হল। পিসপতি ৬০ টাকা।
লোকটা তার মত রেডি হয়ে গেছে উঠে পড়লেন। এদিকে আমার ছেলে তো ডাবের জল খাওয়ার জন্য রেডি। তখন আমার হাতে মোবাইলটা ছিল আমিও রেডি হয়ে পড়লাম। যতক্ষণ না লোকটার কাছ থেকে নামছে ততক্ষণ আমাদের চোখ গাছের দিকে। সেই সুযোগে বেশ কয়েকটা ফটো ধারণ করে নিলাম। এত বড় গাছে কি করে মানুষটা উঠে চলে গেল। সেই গাছের মধ্য থেকে বড় রশি দিয়ে ডাবের কাইন নামালো। আমি শুধু বারবার চেয়ে চেয়ে দেখতেই থাকলাম আর অবাক হলাম। এটা কিন্তু বড় রিক্সের কাজ ছিল। যা আমার কাছে কল্পনার বাইরে। এদিকে হালকা বাতাস হচ্ছিল। এমন অবস্থায় গাছে ওঠা প্রবেশ কঠিন ব্যাপার স্যাপার। আমি গেটের বাইরে গিয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম ডাব ক্রেতার গাড়িতে অনেক ডাব রয়েছে।
মানুষটা হয়তো আমাদের বাড়িতে আসার আগে অন্যান্য মানুষের বাড়িতে গাছে উঠে ডাব কিনে এনেছেন। বেশি ভালো লাগছিল অনেকদিন পর ডাব খাওয়া হবে এটা ভেবে। জয় হোক আমরাও রেডি থাকলাম খাওয়ার জন্য। এতটা সময়ের পর মানুষটা গাছ থেকে নেমে এসে যখন ডাবগুলো পরিষ্কার করছিল তখন আমি আমার ছেলে আমাদের মত রেডি হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলাম। এদিকে গাছ থেকে কাঙ্খিত নারিকেল গুলো পেড়ে দিয়েছে। বাবুর আব্বু গাছের গোড়ায় সেই নারিকেল গুলো গোছাইছিল। বেশ অনেকগুলো নারিকেল হয়েছিল। এছাড়াও অনেকগুলা ডাব। নারিকেল গুলো ফিরিয়ে দেওয়া বাবদ লোকটাকে একটি নারিকেল এমনিতে দেওয়া হল।
লোকটা ডাবগুলো খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে নিল। ডাবের কাইনের সাথে থাকা অন্যান্য আগাছাগুলো দূর করে দিলেন। এরপর গুনে যে কয়টা ডাব হল সেই ডাবের মূল্য দিয়ে লোকটা ডাবগুলো সব তার গাড়িতে উঠিয়ে নিলেন। এদিকে আমরাও বললাম আমাদের খাওয়ার জন্য রাখা ডাবগুলো কেটে দিতে। আমাদের খাওয়ার জন্য ডাব গুলো উনি খুব সুন্দর ভাবে কেটে দিলেন। সমস্ত ডাবগুলো বাজার থেকে কিনতে গেলে ১২০ বা ১৪০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। নিজেদের গাছ আছে বলে কয়েকটা খাওয়ার সুযোগ হয়। তাও আবার এমন ডাব ক্রেতা বাড়িতে আসলে। এরপর নারিকেল গুলো আমি বাড়ির মধ্যে নিয়ে আসলাম। এদিকে ডাব ক্রেতা লোকটা তার গাড়িটা নিয়ে চলে গেলেন। এভাবে ডাব বিক্রয় ও নারিকেল সংরক্ষণ করা হয়ে গেল।
ধন্যবাদ সকলকে
বিষয় | গাছ থেকে ডাব বিক্রয় |
---|---|
স্থান | জুগীরগোফা |
লোকেশন | জুগীরগোফা,গাংনী-মেহেরপুর |
মোবাইল | Huawei P30 Pro-40mp |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
দেশ | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
আজকের কাজ সম্পন্ন
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
বাহ আপনাদের গাছে তো অনেকটা ডাব হয়েছে তাহলে।এত কম দামে ডাব বিক্রি করছেন আপু আর আমরা তো বাজার থেকে কত বেশি দামে ডাব কিনে থাকি। বেশ ভালো লাগলো আপনার ডাব বিক্রি করার অভিজ্ঞতা পড়ে।
হ্যাঁ বাজারে আমিও কিনে খেয়েছি সেখানে ১২০ টাকা ৪০ টাকা করে।
আপু এত কমদামে বিক্রি করে দিলেন। কিছু ডাব পাঠিয়ে দিতেন,ঢাকায় এমন একটি ডাবের দাম ১৮০- ২৫০ পর্যন্ত হয়ে থাকে। এইতো কিছুদিন আগে ডাব কিনতে গিয়েছিলাম একটু বড় সাইজ ২৫০ টাকার কমে দিবে না। এদিকে আপনাদের গাছে ডাবের অভাব নেই। ডাবের পানি খুবই উপকারী। আমার তো দেখেই সবগুলো নিয়ে আসতে ইচ্ছে করছে। যাই হোক আপনার অনুভূতি পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ সুন্দর একটি ব্লগ শেয়ার করার জন্য।
আমাদের এদিকে দাম অনেক কম।
গ্রামের বাড়িতে আমাদের প্রচুর পরিমানে নারিকেল গাছ ছিল, আমরাও আগে ডাব বিক্রি করতাম।অবশ্য অনেক কম দাম ছিল তখন কিন্তু আপনারা বেশ ভালো দামে বিক্রি করেছেন দেখছি।ভালো লাগলো আপনার অনুভূতি পড়ে, ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ গ্রামে থাকলে এ সমস্ত ফল গাছ লাগানো যায় এবং ফল খাওয়া যায়।
কি সুন্দর গোল গোল সবুজ তরতাজা ডাব আপু আপনার গাছে।আপনার দেখছি সাতটি ডাব গাছ।ডাব গুলো বেশ বড়ো।আমি তো অবাক হলা ডাব মাত্র ৬০ টাকা।আমাদের এলাকায় এই সুন্দর বড়ো ডাব কিনতে হলে দেরশো টাকা গুনতে হবে।আর একদমই ছোট ডাব একশো টাকা।খুব ভালো লাগলো এতো গুলো ডাব দেখে। ধন্যবাদ ডাব বিক্রি করাও খাওয়ার চমৎকার অনুভুতি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
হ্যাঁ বাইরে এর দাম অনেক বেশি।
প্রতি পিস ডাব ৬০ টাকা দরে বিক্রি করা হয়েছে জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। নিজেদের গাছের যদি এরকম ফল হয় তাহলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি মাঝে মাঝে বিক্রি করতেও ভালো লাগে। আপনার এই পোস্ট দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু যখন ধরে তখন বিক্রয় করা সম্ভব হয়
নিজেদের এরকম একটা ডাব গাছ থাকলে ভালোই হয়। ডাব খেতে আমার বেশ ভালো লাগে। নিজেদের গাছের ডাব বিক্রি করেছে এবং সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। অনেকগুলো ডাব পেড়েছেন দেখছি। যাইহোক সুন্দর এই মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু নিজের গাছের ফল বলে কথা।
বর্তমান সময়ে ডাব নারিকেলের দাম অনেক বেশি বাজারে। আপনাদের সাতটি নারিকেল গাছ আছে তাহলে তো মোটামুটি ভালোই গাছ আছে। তবে আমাদের এই দিকে গাছের মধ্যে ডাব থাকে না কাঠবিড়ালির মত একটি পোকা আছে সেগুলো খেয়ে ফেলে। তবে লোকটি প্রতি পিস ৬০ টাকা করে ডাব কিনেছেন তাহলে সে ভালো মোটামুটি ভালোই লাভ করবে। আর সেই সুবাদে আপনারা নারিকেল খেতে পারলেন। ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি পড়ে।
হ্যাঁ ভাইয়া বাজারে দাম অনেক বেশি।