শীতকালীন ফসলের মাঠের ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। মোবাইলে ধারণ করার শীতকালীন ফসলের মাঠের বিভিন্ন প্রকার ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। মনে করি, আমার এই ফটোগ্রাফি আপনাদের ভালো লাগবে।
রেনডম ফটোগ্রাফি
ইতোমধ্যে শীতকাল আমাদের থেকে বিদায় নিয়েছে। শীতের শেষে বিদায় নিয়েছে শীতকালীন বিভিন্ন ফসল ও শাকসবজি। কিন্তু আমাদের মন থেকে শীতকালের সৌন্দর্য বিদায় নেয়নি। এখনো আমাদের মনের মধ্যে শীতের সেই সৌন্দর্য উপলব্ধি করার সক্ষমতা রয়ে গেছে। শীতকালীন কিছু চিত্র আমরা ক্যামেরাবন্দি করেছি তাই মোবাইলের গ্যালারি পূর্ণ হয়ে রয়েছে। আজকে আপনাদের মাঝে সেই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি উপস্থাপন করার চেষ্টা করলাম। একদিন গাংনী হসপিটাল থেকে বাড়ি ফিরতে সুন্দর একটি লোকেশনে অবস্থান করেছিলাম। সেখানে লক্ষ্য করে দেখেছিলাম সরিষার ফুল গম এর গাছ থেকে শুরু করে বেশ অনেক ধরনের শীতকালীন ফসল দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। সময়টা কিছুটা কুয়াশাচ্ছন্ন থাকলেও আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল নিরিবিলি একটা পরিবেশে এসে থামতে পেরে। গাংনী হসপিটালে যেতে হলে আমাদের এদিক থেকে দুইটা পথ রয়েছে। একটা পথ হচ্ছে হাইরোড দিয়ে যাওয়া যায়। আর একটা পত্র রয়েছে গ্রামের রাস্তা দিয়ে সোজাসুজি গাংনীর হাইরোডে ওঠা যায়। যাওয়ার সময় সোজাসুজি হাই রোড গিয়েছিলাম। কিন্তু বাড়ি ফেরার সময় গ্রামীণ সৌন্দর্য উপলব্ধি করার জন্যই গ্রামীণ পথ বেছে নিয়েছিলাম আমি। তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েই এমন সুন্দর লোকেশন দিয়ে বাসার দিকে অগ্রসর হয়েছি।
আমি খেয়াল করে দেখেছিলাম এই রাস্তায় তেমন কোন মানুষের চলাচল নেই। রাস্তাটা বেশ নীরব। শুধু ফসলের মাঠগুলোতে কয়েকজন কৃষকদের দেখা যাচ্ছিল। কিছুক্ষণের জন্য আমাদের গাড়ি সেখানে থামানো হয়েছিল। আমিও গাড়ি থেকে নেমে অবস্থান করছিলাম সেখানে। এরপর রাস্তা থেকে বেশ কিছু ফটোগ্রাফি করার চেষ্টা করেছিলাম। ইচ্ছে ছিল ফসলের মাঠের দিকে এগিয়ে যাব কিন্তু সেভাবে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। একদম নিকোট থেকে কয়েকটা ফটো ধারণ করার চেষ্টা করলাম। গমের জমিতে গমের গাছগুলো খুব ভালো লাগছিল তখন। যেদিকেই তাকায় শুধু সবুজার সবুজ তার মাঝখানে শুধু সরিষার ফুল গুলো একটু হলুদ। মনে হচ্ছিল যেন রাজার মাথা রাজ মুকুট।
এখানে অবস্থান করে আমি এটাও জানতে পেরেছিলাম যে, যেই গ্রাম দিয়ে গাংনীর হাই রোডে উঠা যায় সে গ্রামে আমাদের গেস্ট রয়েছে। এরপর একদিন সে গ্রামের গেস্ট আমাদের বাসায় এসেছিল তার সাথে পরিচয় হয়েছিলাম। অনেকদিন ধরে এসেছিল ফটোগুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করব কিন্তু সেভাবে সম্ভব হয়ে ওঠেন। আজকে যতটুক পারলাম আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি। ভালোলাগার একটা মুহূর্ত কিন্তু ছিল এই দিনটাতে। এই জায়গাটাতে অসংখ্য তালগাছ আর অর্জুন গাছ রয়েছে। সেভাবে ফটো ধারণা করতে পারলেও ফসলীয় জমি গুলো দেখে মুগ্ধ হয়েছিলাম আর সেখানে অবস্থান করেছিলাম। এখানে অবস্থান করার মেন উদ্দেশ্য ছিল বেশ কয়েকটা পানি খাওয়া কল রয়েছে সেখানে। আবার সেখানে পানি পান করার জন্য গ্লাস রেখে দেওয়া হয়েছে। যতটা জানতে পেরেছিলাম কৃষকরা যেন সবসময় পানি পান করার সুযোগ করতে পারে তাই এই ব্যবস্থা। দেখলাম খুবই নিকটে দুইটা টিউবওয়েল বসানো রয়েছে। তবে জায়গাটা এত সুন্দর নিরিবিলি ছিল যার জন্য আমাদের অবস্থান করতে ভালো লেগেছিল। স্থানটা আমাদের বাসা থেকে গাংনী শহরের ঠিক মধ্যবর্তী স্থান। সেখানে একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যার নাম লুৎফরনেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
ডিভাইস | Huawei P30 Pro-40mp |
---|---|
বিষয় | ফসলের মাঠ |
লোকেশন | গাংনী- মেহেরপুর |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
দেশ | বাংলাদেশ |
পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
একটা চমৎকার ও মন ছুঁয়ে যাওয়া পোস্ট।শীতকালীন ফসলের মাঠ আর আপনার বর্ণনা গ্রামীণ সৌন্দর্যকে জীবন্ত করে তুলেছে। ছবি আর আপনার লেখাটা সত্যিই উপভোগ করেছি। এমন শান্ত এক মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।