বাজারে কেনাকাটা করতে গিয়ে আত্মীয়র বাসায় উপস্থিত
কেমন আছেন আপনারা? আশা করি মহান সৃষ্টিকর্তার সহায়তায় ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিকে ভালোবেসে উপস্থিত হলাম সুন্দর একটি পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য। বেশ কয়েকদিন কেন জানি আনারসে খাওয়ার ইচ্ছে হচ্ছে। ঠিক তেমনি অনুভূতির মুহূর্ত ফটো হিসাবে গ্যালারিতে রয়েছে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার সেই ভালো লাগার অনুভূতি তুলে ধরব।
একদিন বেশ কিছু কেনাকাটার উদ্দেশ্যে বাজারে উপস্থিত হলাম। বাজার থেকে একটু সামনের দিকে এগিয়ে গেলে আমাদের এক খালাম্মার বাসা। বাজারে আসলে খালাম্মার বাসাতে যাওয়ার চেষ্টা করে থাকি। তবে সব সময় খালা আম্মুর বাসাতে উপস্থিত হওয়া হয় না। যেদিন একটু কাজকর্ম গুছিয়ে আগে থেকে বের হতে পারি, মূলত সেই দিনটাই একটু সুযোগ করার চেষ্টা করি খালাম্মাদের বাসাতে উপস্থিত হওয়ার জন্য। যাইহোক বাজারে এসে আমরা পোশাকের মার্কেটে গেছিলাম। তবে প্রথম দিকের মার্কেটে তেমন সুবিধা জনক কেনাকাটা হলো না। খালাম্মাদের বাসা অতিক্রম করে আরো বামুন্দি বাজারের ভালো ভালো মার্কেট রয়েছে। এরপর যখন ভাবলাম খালাম্মুর বসাতে যাব, তখন ভাবলাম খালাম্মুর বাবুর জন্য কয়েকটা আনারস কিনে নিয়ে যায়। মূলত সেই মুহূর্তে বামুন্দী বাজারের তিন রাস্তার মোড় থেকে আনারস কেনা হয়েছিল এবং ফটো ধারণ করেছিলাম। একসময় আনারস এর মূল্য ১০০ টাকা পিস হয়ে গেছিল। তবে ঐদিন আমরা ৫০ টাকা করে বেশ ভালো রকমের আনারস কিনতে পারছিলাম।
এরপর খালাম্মার বাসাতে উপস্থিত হয়ে লক্ষ্য করে দেখলাম খালাম্মা বেশ অসুস্থ। বেশিটা সময় তো আমরা সেখানে উপস্থিত থাকবো না। যেহেতু এখনো কিছু কেনাকাটা আমাদের হয়নি। তাই উপস্থিত হয়ে খালাম্মাকে আনারস কেটে দিলাম এবং আমরাও খেলাম। কিন্তু এরই মধ্যে যথেষ্ট সময় পার হয়ে গেল। প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে গিয়ে যেন অপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনা হয়েছে। প্রয়োজনীয় জিনিস কেনার সুযোগই পেলাম না। অতঃপর বাজার থেকে বেশ কয়েকটা আনারস কিনে বাড়িতে আনা হয়েছিল। কিন্তু সেই দিন কোন কারনে খাওয়ার সৌভাগ্য হয়নি। পরবর্তীতে গ্রামে আনারস বিক্রয় করতে এসেছিল সেখান থেকে কিনে খাওয়া হয়। অনুভব করে দেখেছিলাম বাজারের আনারস আর গ্রামে বিক্রয় করা আনারস একই রকমের সাধের ছিল। শুধু পার্থক্য পেয়েছিলাম তারও আগে বেশি দাম দিয়ে কিনে খাওয়া আনারসের স্বাদ ছিল না। যাই হোক,এরপর দেখা সাক্ষীতে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলাপ আলোচনা। খালাম্মুরা বামুন্দি বাজারের উপর বেশ বিশাল একটা মার্কেট নির্মাণ করছেন। অলরেডি তিনতলার কাজ শুরু হয়ে গেছে। নিচ তলায় মার্কেটের বিভিন্ন জিনিস বেচাকেনা শুরু হয়ে গেছে। তাই খালু অনেক ব্যস্ত থাকেন সেখানে। খালাম্মাকে ভালোভাবে দেখা ও যত্ন নিতে পারেন না। অসুস্থতার মধ্য দিয়ে খালাম্মা তার বাবুকে দেখাশোনা করেন।
এরপর সেখান থেকে বাসায় ফিরে আসি। বাসায় ফিরে এসে শুনলাম আগামীকাল আমাদের পুকুরে মাছ ধরার জন্য জেলেরা আসবে। বাবুর আব্বা বলল হাট বোয়ালিয়া বাজারে নিকটে তার এক গেস্টের বাসায় মাছ দিবে। তবে সেই দিন মনে করলাম বামুন্দি বাজারে বেশ কয়একটা জিনিস আমি পাই নাই। যদি সম্ভব হয় হার্ট বোয়ালিয়া বাজারে সেই জিনিসটা কিনতে পারা যায় কিনা। তাই মাছ ধরা শেষে বাবুর আব্বাকে বলছিলাম। আমাকেও যেন সাথে নিয়ে যায়। গতকাল বামুন্দিবাজারে আমি একটা জিনিস পাই নাই। সেটা যদি এই বাজারে নিতে পারি। আমি বাজারে দোকান থেকে আমার প্রয়োজনীয় জিনিসটা কিনে নিতে পারব। ততক্ষণে সে গেস্টের বাসায় যেতে পারবে। কিন্তু দেখা গেল সে একলা গেলে কেমন হয়। আমি আর বাজারে দাঁড়ালাম না। একই সাথে সেখানে গেলাম এবং গেস্টের বাসাতে দেখাশোনা করলাম। তবে মাথায় রাখলাম কালকে গেস্টের বাসায় উপস্থিত হয়ে সময় চলে গেছে আজকে বেশি সময় লস করব না গেস্টের বাসায়। হালকা খাওয়া-দাওয়া করলাম। এরপর সেখান থেকে বিদায় হয়ে আসলাম। বামুন্দি বাজারে সময় সুযোগ করে কিনতে না পারলেও পরের দিন হার্ট বোয়ালিয়া বাজার থেকে ঠিকই আমার প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিতে পারলাম। ঠিক এভাবে পরপর দুই দিনে দুই জায়গায় বেড়াতে গেছিলাম। তবে আজ কয়দিন কেন জানি আনারসের কথা বারবার মনে পড়ছে। তাই মোবাইলের গ্যালারি লক্ষ্য করতে গিয়ে খুঁজে পেলাম সেই দিনের অনুভূতিগুলো। তাই ভাবলাম এই বিষয়ে আপনাদের মাঝে পোস্ট উপস্থাপন করি।
সাথে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
বিষয় | লাইফ স্টাইল |
---|---|
What3words Location | Gangni-Meherpur |
মোবাইল | Infinix mobile phone |
ক্রেডিট | @jannatul01 |
ব্লগার | আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি |
আমার পরিচয়
আমার নাম মোছাঃ জান্নাতুল ফেরদৌস শশী। আমার বাসা গাংনী মেহেরপুর, বাংলাদেশ। আমি আপনাদের সুপ্রিয় বিদ্যুৎ জিরো ওয়ান এর পরিবার। আমি একজন গৃহিণী। স্বামী সন্তান সহ আমাদের যৌথ পরিবার। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির চারজন সদস্য রয়েছে আমাদের পরিবারে, তার মধ্যে আমি একজন। এইচএসসি পাশ করার পর বিয়ে হওয়ার মধ্য দিয়ে আমার লেখাপড়া স্থগিত হয়। আমার ইচ্ছে আমি এই কমিউনিটিতে দীর্ঘদিন ব্লগ করব। পাশাপাশি আমার নিকটস্থ প্রিয়জনদের সহায়তা করব এই কমিউনিটিতে কাজ করার জন্য।
X--promotion
আজকের কাজ সমাপ্ত
আনারস খেতে খুব ভালো লাগে আপু। যে কোন সিজনে এখন আনারস দেখা যায় বাজারে। তবে দামের একটু এদিক ওদিক হয় আরকি মাঝেমধ্যে। আনারস কিনে খালামণির বাসায় গেলেন। বাজার করে আবার বাসায় নিয়ে আসলেন। সুন্দর কেনাকাটার মুহূর্ত এবং মজার আনারস খাওয়ার মুহূর্তে শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা মুহূর্তটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু ঠিক বলেছেন
আপনার খালাম্মার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। বাড়িতে দেখাশুনার কেউ না থাকলে সত্যিই সুস্থ হতে অনেক সময় লাগে। আপনি যে গিয়ে একদিন হলেও পাশে থেকেছেন এটাই সাধুবাদ জানাই।
আনারস খাওয়ার ঘটনা গুলো পড়লাম। যদিও আমি খুব একটা আনারস প্রিয় নই তবে আপনার আনারস কেনার এবং খাওয়ার গল্প শুনে বেশ লোক হচ্ছে।
বাসা বাড়িতে লোকজন কম।