আবোল তাবোল জীবনের গল্প [ স্বার্থের মানসিকতা ]
হ্যালো বন্ধুরা,
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই ভালো আছেন এবং সুস্থ আছেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমিও ভালো আছি। হৃদয়ের চঞ্চলতায় সব কিছু আড়াল করে আরো বেশী সতেজ থাকার চেষ্টা করছি। যদিও গরমের আমেজ ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে হি হি হি, আর তাতে আমাদের সতেজতা করতে শুরু করেছে। একদিকে রমজানের রোজ আর অন্য দিকে গরমের উষ্ণতা, হতে পারে এটাও আমাদের জন্য এক বিরাট পরীক্ষা। আমার ছেলে অবশ্য গতকালের গরমের তীব্রতা দেখে এখনই বলতে শুরু করে দিয়েছে, গরম বাড়তে থাকলে সে আর রোজা রাখতে পারবে না।
আমাদের শহরের বিষয়টি হয়তো একটু ভিন্ন কারণ এখানে প্রতিনিয়ত দূষণের মাত্রা বেড়েই চলেছে। তাই হয়তো উষ্ণতার মাত্রা স্বাভাবিক নিয়মের তুলনায় একটু বেশী বাড়ছে বা বাড়তে থাকবে। তবে ঢাকার বাহিরে হয়তো এখনো অনেক অঞ্চলে গরমের মাত্রা কিছুটা হলেও সহনীয় পর্যায়ে আছে। কারণ দূষিত পরিবেশ আমাদের তুলনায় কিছুটা কম হওয়ার জন্য তারা কিছুটা সতেজ পরিবেশ এখনো উপভোগ করার সুযোগ পাচ্ছেন। আর সবুজ পরিবেশ থাকার মানেই হলো উষ্ণতার পরিমান কিছুটা কম থাকা। একটা সময় চট্টগ্রামকে বলা হতো স্বাস্থ্যসম্মত সুন্দর নগরী, এখন অবশ্য সেটা আর নেই।
কারণ আমাদের ভিন্ন মানসিকতার কারণে পরিবেশ ও পরিস্থিতি দুটোই নিদারুণভাবে চেঞ্জ হয়ে গেছে। ছোট বড় অসংখ্য পাহারের সবুজ প্রকৃতির কারণে অন্য রকম একটা পরিবেশ ছিলো চট্টগ্রামে, কিন্তু এখন সেটা আর কোথায়? আমি ছোট বেলায় যখন চট্টগ্রাম যেতাম তখন সড়কের পাশেই অনেক পাহাড় দেখার সুযোগ পেতাম, জানালায় বসে দৃষ্টি রাখতাম কখন পাহাড় দেখা যাবে। অনেক সড়কই ছিলো তখন উচুঁ নিচু, এখনকার মতো এমন সুন্দর ছিলো না সড়কগুলো। সময়ের সাথে সাথে আমরা উন্নয়নের দিকে হেঁটেছি আর প্রকৃতির বারোটা বাজিয়ে ধ্বংসের খেলায় মেতে উঠেছি।
এটা সত্যি এক নিদারুণ মানসিকতার পরিচয়, বিশ্বের অনেক দেশই রয়েছে যারা উন্নয়ন করছে বা উন্নয়নের সুন্দর দৃষ্টান্ত উপস্থাপন করছেন। কিন্তু তারা প্রকৃতি বারোটা বাজিয়ে নয়, প্রকৃতির সবুজভাব ধ্বংস করে নয় বরং প্রকৃতির সুন্দর অবস্থান বজায় রেখেই তারা ভিন্ন কৌশলে উন্নয়নের দিকে ধাবিত হচ্ছে। তারা প্রকৃতি নিয়ে চিন্তা করে, তাদের সামাজিক অবস্থানের সুন্দর ভবিষ্যত নিয়ে চিন্তা করে। কিন্তু আমরা চিন্তা করি দ্রুত সময়ের মাঝে বড়লোক হওয়ার বিষয় নিয়ে, তাতে পকৃতি থাকুক বা না থাকুক, সেটা নিয়ে ভাবার দরকার নেই। এই হলো আমাদের মানসিকতার সাথে তাদের মানসিকতার পার্থক্য।
শেষ করছি, শ্যামলী হতে আগারগাঁও সড়কটি দারুণ ছিলো, একটু প্রশস্ত এবং সড়কের মাঝে লাগানো গাছগুলো দারুণ সবুজ হয়ে উঠেছিলো। যার কারনে এই সড়কটি বেশ সুন্দর ও আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছিলো। কিন্তু সেদিন দেখলাম সড়কের মাঝে বিজ্ঞাপনের জন্য বোর্ড বসানো হয়েছে এবং বড় সাইজের গাছগুলোকে নির্মমভাবে কেটে ফেলা হয়েছে। আমাদের লোভী মানসিকতার কারণে শহরের প্রতিটি সড়কের দৃশ্য আজ এমন। ঘুমন্ত কর্তৃপক্ষ কখনো এসবের প্রতি দৃষ্টি দেন না, টাকার একটা বড় অংশ তাদের পকেটে যায় বলে। এমন অবস্থার পরিবর্তন যতদিন না হবে, ততোদিন গরমের উষ্ণতার যন্ত্রণা সহ্য করেই হয়তো বেঁচে থাকার লড়াই করে যেতে হবে।
https://pixabay.com/photos/road-forest-countryside-rural-7260175/
Image Taken from Pixabay
ধন্যবাদ সবাইকে।
@hafizullah
আমি মোঃ হাফিজ উল্লাহ, চাকুরীজীবী। বাংলাদেশী হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করি। বাঙালী সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য লালন করি। ব্যক্তি স্বাধীনতাকে সমর্থন করি, তবে সর্বদা নিজেকে ব্যতিক্রমধর্মী হিসেবে উপস্থাপন করতে পছন্দ করি। পড়তে, শুনতে এবং লিখতে ভালোবাসি। নিজের মত প্রকাশের এবং অন্যের মতামতকে মূল্যায়নের চেষ্টা করি। ব্যক্তি হিসেবে অলস এবং ভ্রমন প্রিয়।

|| আমার বাংলা ব্লগ-শুরু করো বাংলা দিয়ে ||




>>>>>|| এখানে ক্লিক করো ডিসকর্ড চ্যানেলে জয়েন করার জন্য ||<<<<<


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
Support @Bangla.Witness by Casting your witness vote
VOTE @bangla.witness as witness

OR
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আসলে আমরা উন্নতি বলতে বুঝি গাছপালা কেটে বিল্ডিং কিংবা কলকারখানা নির্মাণ করা হোক। আর বাহিরের দেশের মানুষজন ভাবে, প্রকৃতিকে বাঁচিয়ে রেখে কিভাবে বিল্ডিং কিংবা কলকারখানা নির্মাণ করা যায়। তাদের সাথে আমাদের মন-মানসিকতার পার্থক্য অনেক। আমরা নিজেদের স্বার্থের কারণে পরিবেশের বারোটা বাজিয়েছি বলেই তো, প্রকৃতি আমাদের উপর চরম প্রতিশোধ নিচ্ছে। সামনে হয়তোবা আরও ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
একদমই, আর প্রকৃতির প্রতিশোধ অনেক বেশী ভয়ানক হয়ে থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকেও
যুগের হাওয়ায় গা ভাসিয়ে উন্নতি করতে হলে প্রকৃতির ধ্বংস করতে হবে এমন উন্নতি আসলে আমরা চাই না।আমরা চাই সবার আগে সবুজ প্রকৃতির সজীবতাকে।দেশ যখন শীতল থাকবে তখন দেশের মানুষ গুলো ও সুস্থ থেকে যেকোনো ভাবে উন্নয়নের কাজে নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখে দেশের কল্যান সাধিত করতে পারবে।এই বিষয়টি কেন আমরা বুঝতে চাই না তা আমার সত্যি ই জানা নেই।
বাস্তবতার নির্মম চিত্র তুলে ধরেছেন ভাই। আমরা উন্নয়ন বলতে শুধুই বিল্ডিং ও রাস্তা বানানো বুঝি, অথচ প্রকৃতির সজীবতা রক্ষা করাই টেকসই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। পরিবেশ ধ্বংসের এই মানসিকতা পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যতে আমাদেরই চরম মূল্য দিতে হবে। প্রকৃতিকে সংরক্ষণ করেই উন্নতি করা সম্ভব, শুধু প্রয়োজন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি ও দায়িত্বশীল মানসিকতা।গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে এত সুন্দর আলোচনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।