কাচ্চি ডাইনে কাটানো মুহূর্তের বাকি অংশ।
♥️আসসালামুআলাইকুম♥️
আমি @bristy1, আমার বাংলা ব্লগ এর একজন সদস্য। আর আমার এই প্রিয় কমিউনিটির প্রিয় বন্ধুগণ, আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি৷সবার সুস্থতা কামনা করেই আজকের পোস্টটি শুরু করতে যাচ্ছি।আজ শেয়ার করব কাচ্চি ডাইনে কাটানো বাকি অংশ।
খাবার অর্ডার করার কিছুক্ষণের মধ্যেই খাবার দিয়ে গেল আর সবাই যেহেতু আলাদা আলাদা টেবিলে বসেছে সেই হিসেবে সবার খাবার ধীরে ধীরে দিতে দিতে এদিকে আমরাও কিছু ফটোগ্রাফি করলাম। আসলে এই কাচ্চি দেখলে সবারই লোভ লাগে। আর আমার তো খুব পছন্দের। আমি নিজেই বাসায় কয়েকবার তৈরি করেছি। রেস্টুরেন্টের কাচ্চি খেয়ে মনে হল আমার বাসার কাচ্চি তাদের থেকে কোন অংশে কম ছিল না। নিজের প্রশংসা যদিও করছি না তবুও বললাম আর কি হাহাহা।
যাইহোক নিভৃত তো এদিকে শশা দেখেই লাফালাফি করছিল। তাই তাকে শসা দিয়েই বসিয়ে দিলাম। শসা সে খুব পছন্দ করে।আর আমরা খাবারের দিকেই মনোযোগ দিলাম। সেদিন অবশ্য নিভৃত তার বাবার কোলে বসেই খেয়েছে তাই আমার সমস্যা হয়নি।মূলত সে সবসময়ই আমার খাওয়ার সময় এসে বিরক্ত করে,কোলে উঠে যায় নয়তো পিঠে বসে।এভাবে কি আর শান্তিতে খাওয়া যায় বলেন!যদিও সে বারবার আমার কাছে আসতে চাইছিল কিন্তু কোনোমতে শসা দিয়েই তাকে বসিয়ে রেখেছিলো।আর কাচ্চির আলু টা আমাদের কপালে জোটেনি, হাহাহা।সেটার ভাগ একান্তই নিভৃতের ছিল।
প্রথমে যখন কাচ্চি দেখলাম ভাবলাম কম হয়ে যাবে। কিন্তু খেতে খেতে দেখলাম পেট অনেকটাই ভরে গেছে। শেষের কিছুটা প্রায় রয়েই যাচ্ছিলো।কিন্তু খাবার অপচয় করা একদমই ভালো না,তাই একটু অসুবিধা হলেও খেয়ে নিলাম।আমার জন্য এই কাচ্চির প্লেট একদম পারফেক্ট ছিল। তবে যারা ভালোই খেতে পারে তাদের জন্য হয়তো কম হয়ে গিয়েছে হাহাহা।যাই হোক আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে কিছুক্ষণ বসে ছিলাম এদিকে ফটোগ্রাফি নিয়ে ব্যস্ত।
খাওয়ার পর অবশ্য আমরা রকি ভাইয়া সহ কিছু ফটোগ্রাফি করেছিলাম। অন্যান্য সময় নিভৃত ফটোগ্রাফি করতে অনেক বেশি বিরক্ত করে। কিন্তু সেদিন দেখলাম খুব সুন্দর করে বসে সে ফটোগ্রাফি করেছে। যেহেতু অনেক লেট হয়ে গিয়েছে তাই আমরা দুজনে তাড়াতাড়ি বের হয়ে গিয়েছি।কারণ হাইছে করে যেহেতু যাবো না ভাবলাম আমরা আগে বের হয়ে যাই। সে অনুযায়ী আমরা দুজন বের হয়ে গেলাম নিভৃতসহ। পরবর্তীতে সেখান থেকে দোয়েল চত্বর গেলাম।আর সিএনজিতে করে ফিরলাম।আসলে হাইছে করে জার্নি করতে আমার ভালোই লাগে না।
যাইহোক এই ছিল সেদিনকার মুহূর্ত।আর আজকে বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও শেয়ার করলাম। যদিও পরে কবে সুযোগ পাই কাচ্চি ডাইনে যাওয়ার সেটা জানা নেই। তবে ইচ্ছে আছে একদিন সময় নিয়েই সেখানে ঘুরে আসবো,ফেনীতে ঘুরাঘুরি করা হয় না অনেকদিন।
সবাই অনেক অনেক ভালো থাকবেন,সুস্থ থাকবেন। সবার জন্য আন্তরিক ভালোবাসা রইল। সম্পূর্ণ পোস্টে আমার ভুল-ত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। |
---|
♥️আল্লাহ হাফেজ♥️ |
---|
মোবাইল ও পোস্টের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | লাইফস্টাইল |
লোকেশন | ফেনী |
আমি তাহমিনা আক্তার বৃষ্টি। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি বাংলায় কথা বলি,আমি বাংলায় নিজের মনোভাব প্রকাশ করি। আমি নিজের মত করে সবকিছু করার চেষ্টা করি। আমি বিভিন্ন জিনিস আঁকতে পছন্দ করি। বিভিন্ন ধরনের ছবি আঁকা, রঙ করা, নতুন নতুন কিছু তৈরি করা আমার পছন্দের কাজ। তবে রান্নাবান্না আমার ভালোলাগা, চেষ্টা করি সবসময় নিজে নতুনভাবে কিছু রান্না করার। ভ্রমণপ্রেমীদের মত আমিও ঘুরতে পছন্দ করি। পরিবারের সবাইকে নিয়ে আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
কাচ্চি ডাইনের কাচ্চি বেশ দারুন। সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন রেস্টুরেন্টে। আপনি তাহলে ভালোই কাচ্চি বিরিয়ানি তৈরি করেন। একদিন আপনার হাতে রান্না করা কাচ্চি খাওয়াবেন কিন্তু 😜
সবাইকে দেখে বেশ ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্টের ইনডোর তো খুব সুন্দর ভাবে সাজানো দেখছি। সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমি চিনিগুড়া চাল দিয়ে তৈরি করেছিলাম।আর বাদ বাকি সবই সেইম। খেতে এগুলাও মজার ছিল আপু।দাওয়াত রইলো চলে আসবেন একদিন। অবশ্য গতরাতে স্বপ্নে দেখলাম আপনি আমাদের বাসায় এসেছেন,😂😂।

সবাই মিলে অনেক সুন্দর মুহূর্ত কাটানো গিয়েছে। আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছিল। আসলে আমি নিজেও প্রথমে ভেবেছিলাম কাচ্চি হয়তো কম হবে। পরে বুঝতে পেরেছি এটা একটা মানুষের খাওয়ার জন্য একেবারে পারফেক্ট। আমরা কিন্তু আপনার হাতের কাচ্চিটাও খেতে চাই আপু। এত সুন্দর করে এটি দুই পর্বের মাধ্যমে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
অবশ্যই আপু,আপনি তো কাছেই আছেন একদিন রান্না করে খাওয়াবো।