পুকুরের পানি ছেঁকে মাছ ধরার অনুভূতি // পর্ব-০৩(শেষ পর্ব).
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ বুধবার। ২২ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
পুঁটি মাছ গুলোর শরীর থেকে সমস্ত কাঁদা ধুয়ে দিয়েছিলাম এবং পুঁটি মাছ গুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লেগেছিল। তারপর নাইলনটিকা তেলাপিয়া মাছগুলো এবং পুঁটি মাছ গুলো সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করে রেখেছিলাম। এরপর পুনরায় আমি এবং আমার ছোট ভাই সুমন পুকুরে নেমেছিলাম চ্যাং মাছ ধরার জন্য। চ্যাং মাছ অত্যন্ত চালাক প্রকৃতির একটি মাছ। চ্যাং মাছ মূলত কাঁদার মধ্যে থাকতে সব থেকে বেশি পছন্দ করে। যার কারণে কাঁদার ভিতর থেকে চ্যাং মাছ বের করে ধরাটা অত্যন্ত কঠিন। আর এমনিতেই আমাদের পুকুরে কাঁদার পরিমাণটা অতিরিক্ত। আমাদের পুকুরের মাঝখানে এতটাই বেশি কাঁদা যে, কাঁদার মধ্যে নিজেদের নিয়ন্ত্রণ করাই কঠিন।
পুকুরের নেমেই কাঁদার উপর থেকে বেশ কয়েকটা চ্যাং মাছ ধরতে পেরেছিলাম। কারণ অনেকক্ষণ আগেই পুকুরের পানির ছেঁকে ফেলা হয়েছিল এবং কিছুক্ষণ তেলাপিয়া এবং পুঁটি মাছ ধরা হয়েছিল, আর তেলাপিয়া মাছ ধরার সময় পুকুরের কাঁদা একবার করে বেশ ভালো রকম নাড়াচাড়া করতে হয়েছিল। যার কারনে চ্যাং মাছগুলো আর বেশিক্ষণ কাঁদার মধ্যে লুকিয়ে থাকতে পারেনি। বেশিরভাগ চ্যাং মাছগুলো কাঁদার উপর থেকে ধরার পরে যেখানে হালকা পানি জমেছিল সেখানে একটি থালা দিয়ে যখন পানিগুলো জোরে নাড়া দিয়েছিলাম তখন সেই পানি-কাঁদার ভিতর থেকে এমনিতেই চ্যাং মাছগুলো ভেসে উঠেছিল। তবে কয়েকটা চ্যাং মাছ কাঁদার এতটাই গভীরে প্রবেশ করেছিল যে, পায়ের তলায় যখন চ্যাং মাছ বেধেছিল তখন মনে হচ্ছিল যেন হয়তো সাপ পড়েছে পায়ের নিচে।
এমনিতেই প্রচুর পরিমাণে কুচিয়া সাপের বাচ্চা দেখতে পেয়েছিলাম মাছ ধরতে গিয়ে। আমার ছোট ভাই সুমন চ্যাং মাছ মনে করে ধরেছিল একটি মোটা কুচিয়া সাপ। তারপরে কুচিয়া সাপ দেখে সে সত্যিই অনেক বেশি চমকে উঠেছিল। আসলে কাঁদার মধ্যে থেকে চ্যাং মাছ ধরার সময় এমনিতেই কাঁকড়া ও কুচিয়া প্রাণীটির সাথে সাক্ষাৎ হয়ে যায়। তবে কাঁকড়া দেখে কেউ ভয় পায় না। যাহোক, আমাদের পুকুরের কাঁদার মধ্য থেকে যে সমস্ত চ্যাং মাছগুলো ধরেছিলাম সেগুলো প্রায় সবগুলো একই সাইজের ছিল। কয়েকটা চ্যাং মাছ তুলনামূলক বড় সাইজের ছিল।
চ্যাং মাছ ধরার কার্যক্রম খুব দ্রুত শেষ করেছিলাম। তারপরে, সবগুলো চ্যাং মাছ বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধৌত করেছিলাম। চ্যাং মাছগুলো পরিষ্কার করার সময় একটি চ্যাং মাছ আমার আঙ্গুল কামড়িয়ে ধরেছিল। আসলে নতুন পানি পেয়ে চ্যাং মাছগুলো মনে করেছিল হয়তো নতুন আরেকটি পুকুর পেলাম। তাই একটি চ্যাং মাছ তার রাক্ষসের স্বভাবটা প্রদর্শন করেছিল। যাহোক সমস্ত চ্যাং মাছগুলো পরিষ্কার করার পরে চ্যাং মাছগুলো গণনা করেছিলাম। কয়েকটা বড় চ্যাং মাছ সহ মোট ১২৮ টি চ্যাং মাছ পেয়েছিলাম। তারপর কিছু মাছ রান্নার জন্য আমার মায়ের কাছে দিয়েছিলাম এবং বাকি মাছগুলো একটি বড় নান্দার মধ্যে পানি দিয়ে রেখেছিলাম। যাতে মাছগুলো বেশ কয়েকদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে।
আমার পরিচয়।

আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।

আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
X-promotion link
আজকের কাজ সম্পন্ন।
পুকুর থেকে মাছ ধরার খুব সুন্দর অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ভাইয়া। আপনার মাছ ধরার মুহুর্তগুলো দেখে ভালো লাগলো। পুকুর থেকে এরকম তাজা মাছ খাওয়ার মজাটাই আলাদা। পুটি মাছ গুলো আসলেই খুব সুন্দর লাগছে দেখতে। ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভালো লাগলো। সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুন কমেন্ট করেছেন আপনি। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুকুর ছেঁকে মাছ ধরা মাছগুলো দেখে খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে। অনেক সুন্দর সুন্দর মাছের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আসলে মাছ ধরতে আমারও খুবই ভালো লাগে। তাই সুযোগ পেলে পুকুর ছেঁকে মুহূর্তে এভাবে মাছ ধরা হয়।
অনেক সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আজকে দেখছি আপনি পুকুরের পানি ছেঁকে মাছ ধরার অনুভূতি পর্ব-০৩ শেয়ার করেছেন। আপনার তিনটি পর্ব আমি পড়েছি, আমার কাছে এই শেষ পর্বটি পড়ে অনেক বেশি ভালো লাগলো। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে আপনার অনুভূতি শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুকুরের পানি ছেঁকে তো দেখছি আপনি অনেক মাছ ধরেছিলেন । আসলে এ ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করার ফলে অনেক বেশি মাছ ধরার মতো সুযোগ হয়ে যায়। অনেকদিন পর পুঁটি মাছ দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
অনেক সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাছ ধরা সেই দিনগুলো যেন আবারও মনে পড়ে গেল আজকের এই পোস্টটা দেখে। এ মাছগুলো আমার কাছে বেশ ভালো লাগে আর অনেক সুন্দর ভাবে রান্না করা হয়েছিল। এ জাতীয় মাছ খাওয়া অনেক ভালো। বেশ ভালো লাগলো সুন্দর সেই অনুভূতি দেখতে পেরে।
খুব সুন্দর গঠনমূলক কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনি ধন্যবাদ ।