পুকুরের পানি ছেঁকে মাছ ধরার অনুভূতি // পর্ব-০২।
হ্যালো বন্ধুগণ,
আমি @bidyut01. একজন বাঙালি ব্লগার।সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি।
আজ শনিবার। ১১ ই জানুয়ারি, ২০২৫ ইং।
আসসালামু আলাইকুম।
সুপ্রিয় বন্ধুগণ, আপনারা সবাই আমার আন্তরিক শ্রদ্ধা এবং ভালোবাসা গ্রহণ করবেন। আমি আশা করি আপনারা সবাই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছেন, সুস্থ আছেন এবং নিরাপদে আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহপাকের দয়ায় অনেক ভাল আছি। আজকে আমি আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।
নাইলনটিকা তেলাপিয়া মাছের পাশাপাশি অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছ অনেকগুলো ছিল। তাই আমি এবং আমার ছোট ভাই সুমন মিলে প্রথমেই তেলাপিয়া মাছগুলো ধরে নিয়েছিলাম। কারণ অতিরিক্ত তেলাপিয়া মাছ থাকার কারণে অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছগুলো ধরা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। তাই পুকুরে হালকা পানির উপর ভেসে থাকা তেলাপিয়া মাছগুলো এবং যে তেলাপিয়া মাছগুলো কাঁদার মধ্যে মাথা ঢুকিয়ে পড়েছিল সেই মাছগুলো প্রথমে ধরে নিয়েছিলাম। মজার বিষয় হলো প্রত্যেকটি তেলাপিয়া মাছ দারুন ভাবে জীবিত ছিল। খুব দ্রুত তেলাপিয়া মাছগুলো ধরার কার্যক্রম শেষ করেছিলাম।
তেলাপিয়া মাছ ধরার পাশাপাশি দেশীয় প্রজাতির তুলনামূলক বড় বড় পুটি মাছ ধরেছিলাম। তাই তেলাপিয়া মাছ ধরার সাথে সাথে পুটি মাছ গুলো ধরে হাড়ির মধ্যে রেখেছিলাম। তবে অধিকাংশ পুটি মাছ আধামরা হয়ে গিয়েছিল তেলাপিয়া মাছের চাপে। তাই পুটি মাছ গুলো ধরা অনেক বেশি সহজ হয়েছিল। তেলাপিয়া মাছ ও পুঁটি মাছগুলো ধরার পরে দশ মিনিটের জন্য মাছ ধরা বন্ধ করেছিলাম। আর এই দশ মিনিট সময় ধরে সমস্ত তেলাপিয়া মাছগুলো এবং পুটি মাছ গুলো আলাদা আলাদা পাত্রে রেখেছিলাম। তারপর তেলাপিয়া মাছগুলো একটি পরিষ্কার ডালির মধ্যে ঢেলে বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধৌত করেছিলাম।
ডালির মধ্যে রেখে তেলাপিয়া মাছগুলো যতবার পানি দিয়ে ধৌত করছিলাম ঠিক ততবারই মাছগুলোর দেহ থেকে কাঁদা বের হচ্ছিল। তারপর একের পর এক মাছগুলো বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধৌত করার মাধ্যমে মাছগুলো এক্কেবারে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়েছিল। আপনার একটি বিষয় মনে রাখবেন, পুকুরের পানি ছেঁকে কাঁদার ভিতর থেকে ধরা মাছগুলো যত বেশি বিশুদ্ধ পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নেওয়া হবে, তত বেশি মাছগুলো থেকে কাঁদার দুর্গন্ধ মুক্ত হবে। তেলাপিয়া মাছগুলোর শরীর যখন কাদা মুক্ত হয়ে গেল তখন তেলাপিয়া মাছগুলো দেখতে অনেক বেশী সুন্দর লেগেছিল। আসলে বিভিন্ন সাইজের তেলাপিয়া মাছ ছিল। আর এরকম তেলাপিয়া মাছ গুলো দেখতে যেমন সুন্দর লেগেছিল ঠিক তেমনি খেতেও অনেক বেশি সুস্বাদু লেগেছিল।
তেলাপিয়া মাছগুলো পরিষ্কার করার পরে পুটি মাছ গুলো সুন্দরভাবে পরিষ্কার করেছিলাম। পুটি মাছ গুলোর শরীর থেকে যখন কাঁদা গুলো ধুয়ে যাচ্ছিল তখন পুটি মাছ গুলোর শরীর আরো বেশি চকচক করছিল। পুটি মাছের পাশাপাশি কয়েকটা চিংড়ি মাছও ধরেছিলাম। সেই চিংড়ি মাছগুলো দেখতে অনেক বেশি চমৎকার লেগেছিল। মাছগুলো পরিষ্কার করার পরে তেলাপিয়া মাছের তুলনায় চিংড়ি মাছ গুলো দেখতে আরো বেশি আকর্ষণীয় লেগেছিল আমার কাছে। বিশেষ করে পুটি মাছের দেহের কালারটা অত্যন্ত আকর্ষণীয়। যাহোক, পুটি মাছ গুলো খাওয়ার জন্য বাড়িতে রেখেছিলাম। আর এরকম পুটি মাছ ভেজে খেতে সবথেকে বেশি সুস্বাদু লাগে। তেলাপিয়া মাছ এবং পুটি মাছ গুলো পরিষ্কার করে সুন্দরভাবে সংরক্ষণ করার পরে পুনরায় পুকুরে নেমেছিলাম চ্যাং মাছ ও অন্যান্য দেশীয় প্রজাতির মাছ ধরার জন্য।
আমার পরিচয়।

আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
১০% বেনিফিসারী প্রিয় লাজুক খ্যাকের জন্য বরাদ্দ।

আমার নাম মোহাঃ নাজিবুল ইসলাম (বিদ্যুৎ)। আমি বাংলাদেশের নাগরিক এবং আমি অতিশয় ক্ষুদ্র জ্ঞানের একজন মানুষ। আমি মেহেরপুর জেলার ছোট্ট একটি গ্রামে বসবাস করি। আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ শুরু করার মধ্য দিয়ে আমার স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে যাত্রা শুরু হয়। আমার স্টিমিট আইডি নাম (#bidyut01). প্রথম প্রথম স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ কিছুই পারতাম না। কিন্তু আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সম্মানিত ফাউন্ডার, এডমিন এবং মডারেটরদের সার্বিক সহযোগিতায় খুব সহজেই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মের কাজ গুলো সম্পর্কে জানতে পারি ও শিখতে পারি। এরপর থেকে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি সম্পর্কে আমার এলাকাতে আমি ব্যাপকভাবে প্রচার করি। যার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে আমার এলাকার অনেকেই এখন আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্য। যাহোক, এখন আমার মাতৃভাষায় লেখালেখি করতে আমার খুবই ভালো লাগে। যদিও আমার প্রধান পেশা শিক্ষকতা এবং পাশাপাশি মাছের চাষাবাদ করা। আমার পরিবারের মোট সদস্য সংখ্যা ৮ জন। আমার পরিবারের প্রধান হলো আমার বাবা ও মা। আমার পছন্দের কাজ সমূহ হলো-ছবি অঙ্কন করা, যেকোনো জিনিসের অরিগ্যামি তৈরি করা, বিভিন্ন প্রকারের রেসিপি তৈরি করা, কবিতা লেখা, ভ্রমণ করা ও ফটোগ্রাফি করা। আর একটু সময় সুযোগ পেলেই পুরনো দিনের মুভি গুলো দেখতে আমি খুবই পছন্দ করি।
Twitter promotion link
তেলাপিয়া মাছ এবং পুটি মাছ এই দুটি আমার কাছে মাছের মধ্যে সবথেকে বেশি প্রিয়। তবে পুটি মাছটা নদীর হলে সব থেকে বেশি টেস্টি লাগে। নিজের পুকুরের পানি পরিষ্কার করে মাছ ধরার অনুভূতি খুবই সুন্দর করে বর্ণনা করেছেন। সেই সাথে কয়েকটি মাছের সুন্দর করে ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। পুটি মাছ গুলো আসলেই দেখতেছি চকচক করতেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনার পুকুরের মাছ ধরার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর কমেন্ট করেছেন ভাই। আপনার কমেন্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো আমার।
আজকের কাজ সম্পন্ন।
পুকুর থেকে এভাবে তাজা মাছ তোলার মুহূর্তগুলো এত বেশি আনন্দের এটা বলে বোঝানোর মত না।আপনি যতবার মাছগুলো বিশুদ্ধ পানি দিয়ে ধুয়েছেন মাছগুলো তত পরিষ্কার হয়েছে। আর এই বিষয়টা আমার কাছে দেখতে বেশ ভালোই লাগে। আপনাদের মাছ ধরার অনুভূতিটা পড়তে পেরে আরো বেশি ভালো লাগলো ভাইয়া।
আমার পোস্টটি পড়ে অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতকাল চলে আসলেই আমাদের দেশের প্রায় পুকুর গুলোর পানি একদম শূন্য হয়ে যায়। আপনি দেখছি আপনার পুকুরের পানি সেচ দিয়ে বেশ কয়েকটি প্রজাতির মাছ ধরেছেন।মাছ গুলো দেখে আমার ও ধরতে ইচ্ছে করছে ভাইয়া। আসলে মাছ ধরার মজা একটু অন্যরকম। ছোট বেলায় আমি ও এরকম মাছ ধরতাম।
অনেক সুন্দর কমেন্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
পুকুরের পানি থেকে মাছ ধরা সুন্দর দৃশ্য আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। ছোট ছোট এই মাছগুলো আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। যদি প্রতিনিয়ত খাওয়া যায়, তাহলে খুবই ভালো হয়। সুন্দর এই মাছ ধরার অনুভূতি আমাদের মাঝে ব্যক্ত করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
নিজের পুকুর থেকে এমন তাজা মাছ ধরা সত্যি অনেক আনন্দের। আপনার মাছ গুলো দেখে মনে হচ্ছে কিছু এনে ভেজে খায়। এই মাছ গুলো ভেজে খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনাদের মাছের প্রজেক্ট এবং মাছ দুটোই আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। খুব সুন্দর আজকে মাছ ধরার অনুভূতিটা আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। দেখতেছি কত বড় বড় পুঁটি মাছ পেয়েছেন। পুঁটি মাছ গুলো দেখে জিভে জল চলে আসলো। এই পুঁটি মাছ গুলো যদি ভেজে কুড়মুড় করে খেতে পারতাম তাহলে হয়তো ভালো লাগতো। পরবর্তীতে মাছ ধরলে আমাদের জন্য কিছু পাঠিয়ে দিবেন ভাইয়া।
অনেক সুন্দর কমেন্ট করার জন্য সত্যিই আমি আপনার প্রতি কৃতজ্ঞ।
বেশ অনেকগুলো মাছ পেয়েছেন দেখলাম। সবচেয়ে বেশি পুঁটি মাছ এবং তেলাপিয়া মাছ দেখা যাচ্ছে। পুঁটি মাছগুলো মনে হচ্ছে খুবই বড় বড়। তাছাড়া তেলাপিয়া মাছও আমার খেতে বেশ ভালো লাগে। আপনাদের ওদিকে কিন্তু সব সময় প্রচুর মাছ পান আপনারা। এরকম তাজা মাছ খেতে কার না ভালো লাগে। বেশ ভালো একটি পোস্ট শেয়ার করুন আজকে।।
গঠনমূলক কমেন্ট করে পাশে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আপনি আপনার পুকুরের পানি সেঁকে মাছ ধরেছেন এবং সেটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে মাছ ধরা দেখার থেকে মাছ ধরতে অনেক বেশি মজা লাগে।আর নিজের পুকুর থেকে মাছ ধরলে তো সেটা আরো আনন্দের হয়।
সত্যিই মাছ ধরতে অনেক বেশি মজা লাগে এবং এটা খুবই আনন্দের।