"অনেকদিন পরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার চেষ্টা"
হ্যালো..!!
আমার সুপ্রিয় বন্ধুরা,
আমি @aongkon বাংলাদেশের নাগরিক।
আজ- ২৭ শে মার্চ, বৃহস্পতিবার, ২০২৫ খ্রিঃ।
আমি আশা করি, আপনারা সবাই সুস্থ এবং সুন্দর আছেন। আমার মাতৃভাষা বাংলার একমাত্র ব্লগিং কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ফাউন্ডার, এডমিন প্যানেল, মডারেটর প্যানেল এবং সকল সদস্য ও সদস্যাদের আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন রইল।
কভার ফটো
কয়েকটি ফটোগ্রাফি একত্রিত করে সুন্দর একটি কভার ফটো তৈরি করে নিয়েছি।
আমি আজকে আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি প্রতিনিয়ত আমার বাংলা ব্লগে নতুন নতুন পোস্ট শেয়ার করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রতিটি মানুষের শৈশব অনেক সুন্দর হয়। যখন মানুষ বড় হয় তখন শৈশবে স্মৃতিগুলো মানুষের কাছে মধুময় হয়ে থাকে। আমার কাছে মনে হয় গ্রামীণ মানুষের শৈশব একটু বেশি সুন্দর হয়। আমি শৈশবে ভীষণ দূরান্ত ছিলাম এখনো আছি। শৈশবে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে কিংবা পুকুরের জল ছেচে মাছ ধরতে ভীষণ ভালো লাগতো। এভাবে মাছ ধরা যে কতটা আনন্দের সেটা যারা মাছ ধরেছে তারা একমাত্র বলতে পারে। সারাদিন বসে নিয়ে ধৈর্য সহকারে বসে থাকার পরে যখন বড়শিতে মাছ ঠোকর দেয় তখন মনের ভেতর ভীষণ ভালো লাগে। কয়েকদিন হল সিলেটের সুনামগঞ্জে পিসিমণির বাসায় এসেছি। এখানে এসে সবার সাথে বেশ ভালই সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি। গতকালকে আমার দাদা আর ছোট ভাইদের সাথে পুকুরের বরশি দিয়ে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। আমি আজকে সেই অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো।
আমি যখনই আমার পিসিমণির বাসায় আসি তখনই এখানে এসে অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করি। আমার ছোট দুটো ভাই আছে এদেরকে সাথে নিয়ে ঘুরে বেড়াতে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। আসার পর থেকে প্রায় দিনই ছোট ভাইদের কে নিয়ে কোথাও না কোথাও ঘুরতে যাই। গতকালকে বিকালের দিকে হঠাৎ পিসেমশাই বললো যে, বরশি দিয়ে মাছ ধরবে নাকি!
আমি তখন পিসেমশাইকে বললাম যে অনেকদিন হলো বরশি দিয়ে মাছ ধরা হয় না তো যদি বরশি থাকে তাহলে ধরা যায়। তখন পিসেমশাই বলল যে, তাদের মাছের হ্যাচারিতে মাছ ধরার জন্য বরশি রয়েছে। আমার পিসেমশাই মাঝেমধ্যেই আমার ছোট ভাইদেরকে নিয়ে বরশি দিয়ে মাছ ধরতে যায়। যাই হোক আমি পিসেমশাইকে বললাম যে, তাহলে আচ্ছা ঠিক আছে আমরা তাহলে মাছ ধরার জন্য যাচ্ছি।
আমার পিসিমণির বাসা থেকে অল্প একটু দূরেই মাছের হ্যাচারী। তারপর আমার দাদা, ছোট ভাই দুটো আর আমি মাছ ধরার জন্য হ্যাচারিতে গেলাম। যেহেতু আমাদের কাছে বরশি দিয়ে মাছ ধরার জন্য আটা বা ময়দা ছিল না তাই আমরা একটি দোকান থেকে পাউরুটি কিনে নিলাম। তারপর পাউরুটির লাল অংশ ফেলে দিয়ে সাদা অংশ দিয়ে টোপ বানিয়ে নিলাম।
আমার পিসেমশাইয়ের মাছের হ্যাচারিতে গেলে ভীষণ ভালো লাগে আমার কাছে। বিশেষ করে বিকালের দিকে এই জায়গা সৌন্দর্য দেখে মুগ্ধ হয়ে যাওয়া লাগে। কয়েকদিন আগেও আমি আর আমার কাকা দুজনে এসে হ্যাচারিতে একটা নৌকা আছে এটা নিয়ে পুরো হ্যাচারি ঘুরে ছিলাম। যাইহোক হ্যাচারীতে যে পাহাড়া দেয় তার কাছেই তিনটি বরশি ছিলো।
তারপর আমরা তার কাছে থেকে বরশি গুলো নিলাম। অনেকদিন পরে বড়শি দিয়ে মাছ ধরবো এটা ভাবতেই ভীষণ ভালো লাগছিল। আমরা তিনজন মিলে মোটামুটি ঘন্টা খানেক সময় ধরে বরশি দিয়ে মাছ মারার জন্য চেষ্টা করলাম কিন্তু সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হলাম। অনেকটা সময় ধৈর্য সহকারে বসে থাকার পরেও মাছ পেলাম না। অনেক বড় হ্যাচারি অনেক মাছ রয়েছে কিন্তু আমাদের ভাগ্যটা মনে হয় একটু খারাপ ছিল।
আমাদের তিনজনের কাছে তিনটা বড়শির ভেতরে শুধুমাত্র আমার বশিতেই দুইবার ঠোকর দিয়েছিল কিন্তু মাছ ধরতে পারিনি। বরশি দিয়ে মাছ ধরা যে, কতটা ধৈর্যের ব্যাপার সেটা অবশ্য আগেই জানতাম। যদি ভাগ্যে থাকে তাহলে অল্প সময়ের ভেতরেই অনেক মাছ ধরা যায় কিন্তু যদি ভাগ্যে না থাকে তাহলে সারাদিন বসে থেকেও কোন মাছ ধরা যায় না। যাই হোক আমরা সবাই মিলে বড়শি নিয়ে বসে থাকার মুহূর্তটাই উপভোগ করেছিলাম। আবার অন্য কোনদিন অবশ্যই বরশি দিয়ে মাছ ধরে সবাইকে দেখিয়ে দেবো 😎
পোস্টের ছবির বিবরন
ক্যামেরা: ১০৮ মেগাপিক্সেল
তারিখ: ২৬ শে মার্চ ২০২৫ খ্রিঃ
লোকেশন:লোকেশন: সুনামগঞ্জ
প্রিয় বন্ধুরা,
আমি স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে প্রতিনিয়ত আমার সৃজনশীলতা দিয়ে ভালো কনটেন্ট শেয়ার করে এই কমিউনিটিকে সমৃদ্ধ করতে চাই এবং উচ্চতার শিখরে নিয়ে যেতে চাই। আমার ব্লগটি কেমন হয়েছে আপনারা সবাই কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই মন্তব্য করবেন, সামান্য ভুল ত্রুটি অবশ্যই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং সুপরামর্শ দিয়ে পাশে থাকবেন। আবার দেখা হবে নতুন কোনো পোস্ট নিয়ে শীঘ্রই, ততক্ষণে সবাই নিজের খেয়াল রাখবেন সুস্থ এবং সুন্দর থাকবেন এটাই কাম্য করি।
আমি কে !
আমি অংকন বিশ্বাস, আমার ইউজার নেম @aongkon। আমি মা, মাতৃভাষা এবং মাতৃভূমিকে সব থেকে বেশি ভালোবাসি। আমি হৃদয় থেকে ভালবাসি সৃষ্টিকর্তা ও তার সকল সৃষ্টিকে। আমি বর্তমানে ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটিতে সিভিল টেকনোলজিতে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে লেখাপড়া করছি। আমি ভ্রমণ করতে, গান গাইতে ও শুনতে, কবিতা লিখতে ও পড়তে, আর্ট করতে, রান্না করতে ও ফটোগ্রাফি করতে খুবই পছন্দ করি। "আমার বাংলা ব্লগ" আমার গর্ব "আমার বাংলা ব্লগ" আমার ভালোবাসা। আমার নিজের ভেতরে লুকায়িত সুপ্ত প্রতিভাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে "আমার বাংলা ব্লগে" আমার আগমন। এই স্বল্প মানব জীবনের প্রতিটা ক্ষণ আমার কাছে উপভোগ্য। আমি মনে করি, ধৈর্যই সফলতার চাবিকাঠি।
@aongkon


Screenshot:
Comment Link:
https://x.com/aongkonbd/status/1905329772118638768?t=rpN_igh3rubT6X4hTJ2Ucg&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1905331059895796184?t=x-PdTZaiSQXObp7Ycqg8sg&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1905331725657665828?t=tRHEpg-zmSzNNyilV_I2Jg&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1905332561309827219?t=Q0VFT1BE2Onab7quM8ElDQ&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1905333606882669004?t=PNKnpkGeWJ8FG6cLvkPQVw&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1905334759154483304?t=kJviznHtd7RBzSLGvjv53w&s=19
https://x.com/aongkonbd/status/1905336405792096769?t=czo4Da9rYoq43j0akDAapA&s=19
0.00 SBD,
0.01 STEEM,
0.01 SP
ভাইয়া আপনার পিসিমনের বাসায় গিয়ে বড়শি দিয়ে মাছ ধরার দারুন মুহূর্ত পার করেছেন। সাথে দুটো ছেলে থাকায় আরো সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন। বড়শি দিয়ে এভাবে মাছ ধরতে সত্যি ভীষণ ভালো লাগে। আমি অনেকদিন আগে এভাবে বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছিলাম। খুবই ভালো লাগলো ভাইয়া আপনার মুহূর্তটা দেখে। খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া।
এ ধরনের অনুভূতিগুলো সত্যিই অন্যরকম। অনেক ছোটবেলায় একবার আব্বুর সাথে এরকম বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছিলাম। এখন আর গ্রামের সেভাবে যাওয়া হয় না তাই এগুলো দেখাও হয় না। আপনি খুব সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো খুব সুন্দর ছিল। দারুন মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে ভেবেছিলাম পিসিমণির বাসায় গিয়ে মাছ ধরার দারুন অভিজ্ঞতা আজ আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। পরবর্তীতে সম্পন্ন পোস্ট পড়ে বুঝতে পারলাম আপনাদের ভাগ্য খুব খারাপ আপনারা একটা মাছও পাননি। এতগুলো মানুষ মিলে এত চেষ্টা করার পরেও মাছ পেলেন না। আসলেই ভাগ্যটা খারাপ। তবে সবাই মিলে দারুন একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। চমৎকার একটি পোস্ট পড়ে ভালো লাগলো। আরো ভালো লাগতো যদি মাছ পেতেন। কিন্তু কি আর বলবো, আপনার ভাগ্য খারাপ।