" ঐতিহ্য কে ধরে রাখা "
হ্যালো বন্ধুরা,
মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার প্রিয়"আমার বাংলা ব্লগ"এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগন,কেমন আছেন সবাই?আশা করি সবাই ভালো আছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ আল্লাহ্র অশেষ রহমতে এখন কিছুটা ভালো আছি।
বন্ধুরা,আমি @shimulakter"আমার বাংলা ব্লগ" এর একজন নিয়মিত ও অ্যাক্টিভ ইউজার।বাংলায় ব্লগিং করতে পেরে আমার অনেক বেশী ভালো লাগা কাজ করে মনের মাঝে।তাইতো আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত মনের নানান অনুভূতি গুলো নিয়ে নানা রকমের পোস্ট শেয়ার করে থাকি।আজ ও আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিযে।আশাকরি সবাই সঙ্গেই থাকবেন।
ঐতিহ্য কে ধরে রাখাঃ
বন্ধুরা,আজ আবার হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি ব্লগ নিয়ে। আজকের ব্লগ লাইফ স্টাইল ব্লগ।আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন ব্লগ শেয়ার করার।ঈদ চলে গেলেও ঈদের আমেজ কিন্তু এখনো শেষ হয়নি।ঢাকা শহর এখনো ভীষণ ফাঁকা। এমন ফাঁকা সব সময় থাকলে সত্যি ই খুব স্বস্তি পেতাম।কিন্তু তা তো আর হবে না।সবকিছু মিলিয়েই থাকতে হবে।আজকের ব্লগের বিষয়টি নিয়ে আসুন আলোচনা করি।
ঐতিহ্য আসলে কি??এর উত্তর হলো দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কোন নিয়মনীতি।ঐতিহ্য আমাদের অতীত সময়ের সাথে সংযোগ স্থাপন করে।আর যেকোনো ঐতিহ্য কে ধরে রাখা ভীষণ দরকার।আজকে আমার ব্লগ মূলত সেই ঐতিহ্য কে ঘিরেই।এবার ঈদুল ফিতরের ঈদ আমি শ্বশুরবাড়িতে করেছিলাম তা আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন আমার লেখা ব্লগের মাধ্যমে।আজকে আমি ঈদের সময়কার একটি ঐতিহ্য কে আপনাদের মাঝে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
আমার শ্বশুরবাড়িতে ঈদের দিন সকালবেলা পায়েস,জর্দ্দা পোলাও রান্না করা হয়।সত্যি কথা বলতে প্রতিটি মুসলিম ঘরেই ঈদকে কেন্দ্র করে নানা রকমের মজার মজার খাবার রান্না হয়ে থাকে।আমার শ্বাশুড়ি মা কে দেখেছি সব সময় তিনি অনেক বেশি পায়েস আর জর্দ্দা রান্না করতেন।আর সকালবেলাই এসব রান্না করা আইটেম গুলো আমাদের ভাড়াটিয়াদের বাসা,প্রতিবেশীদের বাসায় পাঠাতেন।আবার সবাইকে তো দাওয়াত দিতেন ই দুপুর ও রাতের খাবারের জন্য।আর এখন যেহেতু শ্বশুর আর শ্বাশুড়ি বেঁচে নেই।আর দেবর -ননদ সবাই দেশের বাইরে থাকেন।তাই বাড়িতে গেলে আমি একাই।বড় ননদ বরিশাল শ্বশুরবাড়িতে আছেন।আমি বাড়িতে ঈদ করতে এলেই শ্বাশুড়ির করা এই কাজটি আমি করি।এবার ও রান্না করেছিলাম।আপনারা ফটোগ্রাফিতে দেখতে পাচ্ছেন কতো বেশী পায়েস আমি ঈদের দিন রান্না করেছিলাম।আর দুপুরে কিংবা রাতের খাবারের জন্য সবাইকে দাওয়াত করেছিলাম।ঈদের দিন বিকাল চারটা পর্যন্ত আমি একা ই অনেক অনেক আইটেম রান্না করেছিলাম।
আমাদের ভাড়াটিয়া ছয় পরিবার।আর প্রত্যেকেই হিন্দু সম্প্রদায়ের।আর আত্মীয় -স্বজন ছাড়া প্রতিবেশীরা বেশীর ভাগই হিন্দু সম্প্রদায়ের।তাদের সবাইকে আমার শ্বাশুড়ি সব ঈদেই দাওয়াত করতেন।আর তারা আসতেন ও।তারা সবাই আমাকে ও ভীষণ পছন্দ করেন।আমি আমার শ্বাশুড়ি মায়ের কাছে জানতে চেয়ে জেনেছিলাম,আমি বলেছিলাম মা,সব আত্মীয়ের বাসায়ই মিষ্টি জাতীয় খাবার ঈদের দিন রান্না করা হয়।তবুও কেন আপনি সব বাড়িতে এসব খাবার গুলো দেন?? তখন আমার শ্বাশুড়ি মা বলেছিলেন,ঈদের দিন সব ছেলে মানুষ সব বাসায় গেলেও মহিলারা বের হতে পারেন না।তাই তিনি সব বাসায় খাবার গুলো পাঠাতেন।তার এই লজিক আমার কাছে সঠিক বলে মনে হয়েছে।মহিলারা বাসায় সারাদিনই রান্না নিয়ে ব্যস্ত থাকে।তাই তারা ইচ্ছে হলেও বের হতে পারেন না।তাই আমি ও এখন এই কাজটি করে যাচ্ছি।দিনের পর দিন যেকোনো কাজকে ধরে রাখা সেই পরিবারের একটি ঐতিহ্য।আর ঐতিহ্য কে ধরে রাখা আমাদের উচিত বলে আমি মনে করি।আমি যতদিন বেঁচে থাকবো ঈদের সময়টাতে বাড়িতে এলে এই ঐতিহ্য কে ধরে রাখার চেষ্টা করবো।আমাকে দেখে হয়তো আমার ছেলের বউ ও একদিন এমনটা করবে।এই রেওয়াজটি ধরে রাখার চেষ্টা করবে।আমি মনে প্রানে তাই বিশ্বাস করি।
আজ আর নয়।আমি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের মাঝে শেয়ার করে নিলাম।আশাকরি আমার অনুভূতি গুলো আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।সবাই সুস্থ থাকবেন,ভালো থাকবেন।আবার দেখা হবে অন্য কোন ব্লগে।
ধন্যবাদ সবাইকে
পোস্ট বিবরন
শ্রেনি | লাইফ স্টাইল |
---|---|
প্রয়োজনীয় ডিভাইস | Samsung A 20 |
ফটোগ্রাফার | @shimulakter |
স্থান | ঝালকাঠি |
আমার পরিচয়
আমি শিমুল আক্তার।আমি একজন বাংলাদেশী।আমি এম এস সি(জিওগ্রাফি) কমপ্লিট করি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে।আমি বিবাহিতা।আমি একজন গৃহিণী।আমি স্বাধীনচেতা একজন মানুষ।ভালোবাসি বই পড়তে,নানা রকমের রান্না করতে,ফটোগ্রাফি করতেও আমি ভীষণ পছন্দ করি।বাংলায় লিখতে আর বলতে পারার মধ্যে অনেক বেশী আনন্দ খুঁজে পাই।নিজের মধ্যে থাকা সৃজনশীলতাকে সব সময় প্রকাশ করতে পছন্দ করি।এই বাংলার মাটিতে জন্মগ্রহণ করেছি বলে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
https://x.com/shimulakter002/status/1907763612858679750?t=i8nU7B2TUjEYlzJJuPWEvQ&s=19
https://x.com/shimulakter002/status/1907735812642619473?t=kE0gqFk7nLVRsCsNcHdVcw&s=19
https://x.com/shimulakter002/status/1907765311530823957?t=XLYoC3VOnFCIBy9JtvbbDA&s=19
প্রত্যেকটি পরিবারের আলাদা আলাদা ঐতিহ্য থাকে। আপনাদের এই নিয়মটা বেশ ভালো লাগলো। ঈদের দিন আসলেই বাড়ির মেয়েরা কোথাও যেতে পারে না। তাদের জন্য এরকম ব্যবস্থা বেশ ভালো।আপনার শাশুড়ির করে আসা এই ঐতিহ্য আপনিও ধরে রাখবেন যেন ভালো লাগলো। ব্যাপারটা বেশ দারুণ। সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করে নিলেন। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু আপনার চিন্তাভাবনাকে কুর্ণিশ জানাই। আপনি যে আপনার শাশুড়ির প্রচলন করা অলিখিত নিয়ম যা তিনি মন থেকে আর পাঁচটা বাড়ির বউদের জন্য করেছিলেন তা সত্যি পরিচয় দেয় শাশুড়ির বৃহৎ মনের। আর আপনি যে সেটাকে ধরে রেখেছেন তার জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সংসারে একটা কথা প্রচলিত আছে যে মেয়েরাই মেয়েদের শত্রু সেই জায়গা থেকে আপনি অন্যান্য মেয়েদের কথা ভেবে শাশুড়ির প্রচলন করা কথাটি বয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এটা সত্যিই সাধুবাদ জানানোর মত কাজ। ঈদের দিন আমরাও অনেক আমন্ত্রণ পেতাম এবং কখনো কখনো বন্ধুদের বাড়ি গিয়েছি তবে বেশিরভাগ সময়ে বাড়িতে খাবার পৌঁছে দিয়ে যেত।
মতামত শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ দিদি।
@tipu curate
;) Holisss...
--
This is a manual curation from the @tipU Curation Project.
Upvoted 👌 (Mana: 6/7) Get profit votes with @tipU :)