লাইফ স্টাইল।। পাট চাষী প্রশিক্ষণ ২০২৪।।
হ্যালো বন্ধুরা
আসসালামু আলাইকুম/আদাব আমার বাংলা ব্লগ স্টিমেট কমিউনিটির বন্ধু গণ আপনারা সবাই কেমন আছেন? আমি @biplob89 বাংলাদেশ থেকে বলছি আজ (২০/০৮/২০২৪) রোজ: মঙ্গলবার।
💞 শুভ দুপুর 💞
আপনারা জানেন আমি ইতিপূর্বে আমার এই ইন্টার ফাইনাল পরীক্ষা অর্থাৎ এইচএসসি বোর্ড পরীক্ষার জন্য আমি সাময়িক ছুটি নিয়েছি। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে আবার কাজের ধারাবাহিকতাই ফিরে আসার চেষ্টা করছি।
তাহলে চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পোস্টটি শেয়ার করা যাক।
পাট শিল্পের অবদান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।

প্রতিবছর এই পাটের সময় প্রতিটি উপজেলায় প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে। আমাদের মেহেরপুর জেলায় তিনটি উপজেলা রয়েছে। আর মুজিবনগর উপজেলায় যে দায়িত্বে রয়েছেন যে কৃষি উপসহকারী তিনি হচ্ছেন আমার দুলাভাই মোঃ রাশেদ মিলটন। আর আমাদের গাংনী উপজেলায় যিনি দায়িত্ব আছেন আমার দুলাভাই সহপাঠী মোঃ মেহেদী হাসান। প্রতিবছর এই প্রশিক্ষণে আমি অংশগ্রহণ করি। ঠিক এবারও করেছি। গতকালকে দুলাভাই ফোন দিয়ে জানিয়ে দিয়েছিল আজকে এই প্রশিক্ষণ হওয়ার কথা। তাই সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। এরপর ঠিক দশটার সময় বাসা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আমি মেজ বাবা ও আমার ফুফাতো ভাই তিনজন বেরিয়ে পড়লাম। এদিকে দুলাভাই ফোন দিয়ে বলছে তোমরা দ্রুত চলে আসো। মোরা ঠিক দশটা পনেরো মিনিটে গাংনী উপজেলা পৌছায়। প্রতিবার এই প্রশিক্ষণ হয়ে থাকে গাংনী উপজেলায় সভা কক্ষে। তাই সেখানে পৌছালাম। আর আমাদের এই উপজেলায় যিনি দায়িত্ব রয়েছেন তিনি তার কার্ড আমাদের তিনজনের একটি করে তিনটি দিয়ে দিল। কার্ড হাতে পেয়ে আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি।
এবার সভাকক্ষে প্রবেশ করলাম। প্রবেশ করে দেখি প্রতিবারের ন্যায় এবার একটু সুন্দর করে সাজানো হয়েছে। গিয়ে উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন অনেক কৃষক এখানে খুব সুন্দর ভাবে বসে রয়েছেন। এরপরে আমরাও গিয়ে বসলাম।
আমরা টেবিলে বসতেই সকলের মাঝে একটি খাতায় এবং একটি কলম দিয়ে দিল। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন ছোট একটি নোটবুক সাথে একটি কলম। মূলত প্রশিক্ষণ এগুলো দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এগুলো পেয়ে উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি।
আমরা পৌঁছানোর পরে যখন ঘড়িতে ১০:৩০ বাজে তখন আমাদের ইয়োনো মহোদয় জনাব প্রিত্তম সাহা যিনি ছিলেন এই প্রশিক্ষণের সভাপতি। তিনি সর্বপ্রথম এই প্রশিক্ষণ শুরু করলেন। এমন সময় উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি। আপনার উপরের ছবিটির দিকে লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ই ও নো মহোদয় তিনি খুব সুন্দরভাবে তিনার বক্তব্য দিচ্ছেন।
ইউনো মহোদয় এই প্রশিক্ষণে সংক্ষিপ্ত সময় পেয়েছিল। কেননা তিনি অনেক ব্যস্ত। যাইহোক অল্প পরিসরে আমাদের মাঝে উপস্থিত হতে পেরেছে। তিনি খুব সুন্দরভাবে এই পাট চাষে প্রশিক্ষণের ধারাবাহিকতা দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেছিল। তিনি অনুষ্ঠান শুরু করে দিয়ে আবার চলে গেলেন। এমন সময় উপরের ছবিগুলো আমি ধারণ করি।
পাট চাষে প্রশিক্ষণ এখানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম সিনিয়র সহকারী পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয় ঢাকা। এবার তিনি এ অনুষ্ঠানে অর্থাৎ এই প্রশিক্ষণে সরাসরি এসে যুক্ত হয়েছেন। এতে সকল চাষিরা অনেক খুশি। তিনি খুবই সুন্দর করে তিনার বক্তব্য শুরু করলেন। এমন সময় আমি পরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। এছাড়া এখানে আমাদের মেহেরপুর জেলার পাট অফিসার সহ ছিলেন।
এই প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি তিনি প্রথমে সবার পরিচয় নিলেন। উপরের ছবিটিতে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন ডান পাশে একজন কৃষক তিনি দাঁড়িয়ে তিনার পরিচয় দিচ্ছেন। এমন সময় আমি উপরের ছবিটি আমার ফোনে ধারণ করি। এভাবে তিনি সকলের পরিচয় নিয়ে তিনার বক্তব্য শুরু করলেন। এই প্রশিক্ষণে গিয়ে এবার আমি অনেক কিছু জানতে পেরেছি। এছাড়াও বারবার এ প্রশিক্ষণে যাওয়ায় আমার পাটের প্রতি একটা অভিজ্ঞতা জন্ম নিয়েছে। যে কিভাবে পাট পচন দিতে হয়। এ বিষয়ে আমি একটা পোস্টও শেয়ার করেছি। তাই সে বিষয়ে আর কিছু বলতে চাচ্ছি না।
তবে আজকে প্রশিক্ষণের প্রধান অতিথি জনাব মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের কাছ থেকে জানতে পারলাম পাটের তিনটা অংশ খুবই উপকারী।
১. পাটে আশ
২. পাটখটি
৩.পাটের পাতা
আর এই তিনটি বিষয় তিনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বুঝিয়ে বক্তব্য শেয়ার করলেন। আসলে এই তিনটি বিষয় যে এত উপকারী তা আজকে এ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিষয়টা আরো জানতে পারলাম। পাটের আঁশ এটা হচ্ছে বাংলাদেশের সোনালী ফসল। যা অনেকেই মুগ্ধ করে এমনকি এই পাটের তৈরি বিভিন্ন কিছু ব্যবহার করতে পেরেও বেশ ভালো লাগে। এদিক থেকে অর্থনৈতিকভাবে বেশ উন্নতি দেশ বাংলাদেশ। এছাড়া পাটখটি যা দিয়ে রান্না সহ বিভিন্ন কার্য সম্পাদন হয়। অন্যদিকে পাটের শাক খুবই জনপ্রিয় একটি শাক। যা আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া আরও একটা বিষয় জানতেই পারলাম যে সেটা হচ্ছে আমাদের উপজেলার কৃষি অফিসারের কাছ থেকে জানতে পেরেছিলাম । সেটা হচ্ছে এক হেক্টর জমিতে যদি পাট চাষ করা হয় তবে সেখানে ১০ লক্ষ কার্বন ডাই অক্সাইড এই পাট শোষণ করে। কার্বন ডাই অক্সাইড অনেক ক্ষতি কর আমাদের জন্য । আর এগুলো পাট শোষণ করে যা পরিবেশ ভারসাম্য রক্ষা করে। তাছাড়া এক হেক্টর জমিতে পাট আমাদের সাড়ে সাত মেট্রিক টন অক্সিজেন দিয়ে থাকে । সত্যি বিষয়টা খুবই দারুণ।
এভাবে একটানা তিন ঘন্টা এ প্রশিক্ষণ হয়েছিল। বারবার এই প্রশিক্ষণে যুক্ত হতে পেরে এবং অনেক বিষয় জানতে পেরে ভালো লাগে। তাছাড়া এই পাট নিয়ে অনেক চিন্তাভাবনা হচ্ছে। যাতে এই পাট আরো বেশি উন্নত হতে পারে সে বিষয় নিয়ে সবাই ভাবছে। এমনকি আজকের এই প্রশিক্ষণে বলা হয়েছে আগামীতে এই পাট আরো উন্নতি লাভ করবে। এভাবে অনুষ্ঠানিক পর্যায়ে শেষ হয়ে গেল। আমাদের এ প্রশিক্ষণ শেষে পাটের তৈরি একটা করে ব্যাগ দেয়া হয়েছে। উপরের ছবিটিতে আপনারা দেখতে পাচ্ছেন পাটের ব্যাগ বিতরণ করা হচ্ছে। এমন সময় উপরের ছবিটি আমি আমার ফোনে ধারণ করি।
উপরের ছবিটির দিকে আপনারা লক্ষ্য করলে দেখতে পাবেন একটা ব্যাগ দেখা যাচ্ছে। এটা হচ্ছে সোনালী আঁশ পাটের তৈরি ব্যাগ। সত্যি দেখতেই না কত সুন্দর। তাছাড়া আমাদের সকলের জন্য দুপুরের খাবারের জন্য কিছু সম্মান দেওয়া হয়েছে। এভাবে দুপুর গলাতেই এই প্রশিক্ষণের কার্যক্রম শেষ হয়ে যায় এবং সকলে নিজ নিজ স্থান থেকে বাসায় রওনা দেয়। তবে এবার আমি এই প্রশিক্ষনে গিয়ে অনেক বিষয় জানতে পেরেছি ।
সোনালী আঁশে সোনার দেশ
পরিবেশ বান্ধব বাংলাদেশ।
টেবিল ০১ | টেবিল ০২ |
---|---|
ডিভাইস | OPPO A15 |
পোস্ট তৈরি | @biplob89 |
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
এই সমস্ত প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ করলে অনেক কিছু জানা যায়। ছেলেদের জন্য মেয়েদের জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণ এভাবে হতে দেখা যায়। আমাদের এদিকেও প্রশিক্ষণ দেওয়ার জন্য অনেক বিষয়ে মানুষ এসে থাকে। আপনি পাট প্রশিক্ষণের এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। এখানে আপনি অনেক কিছু জানার সুযোগ পেয়েছেন।
একদম ঠিক বলেছেন আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত শেয়ার করার জন্য।
অনেক সুন্দর একটি প্রশিক্ষণ নিয়েছেন দেখছি। এমন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিতে আমারও ভালো লাগে। তবে মেয়েদের প্রশিক্ষণ বিষয়ে কোন কিছু গ্রামে আসে কিনা টের পায় না। এ সমস্ত প্রশিক্ষণ থেকে অনেক কিছু জানা যায় ও শেখা যায়।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
পাট চাষ প্রশিক্ষণের প্রোগ্রামে যাওয়া ভালো ।তাহলে অনেক কিছু শেখা যায়।আপনি গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও ধন্যবাদ আপু।
আমাদের দেশে কৃষকের জন্য সঠিক তথ্য জানানোটা অনেক জরুরী। আমাদের দেশে কৃষকেরা যদি সঠিক দিকনির্দেশনা পায় তাহলে তারা এই বাংলার মাটিতে সোনা ফলাতে পারে। অনেকে না বুঝে নানা রকম ফসল চাষ করে ক্ষতির মুখে পড়ছে। তাই তাদেরকে সঠিক গাইড লাইনের মাধ্যমে শিখাতে হবে যেন তারা সঠিক জিনিস চাষাবাদ করতে পারে।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই আপনার গঠনমূলক মন্তব্য শেয়ার করার জন্য।
শুকরিয়া ভাই ভালো থাকবেন।