লাইফ স্টাইল: " বাড়ির পাশে ইফতার করার অনুভূতি "
আমার বাংলা ব্লগ
আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও ভালো আছি। আজকে আপনাদের মাঝে নিয়ে আসলাম আমার একটি পোস্ট। খুবই ভিন্ন ধরনের এই পোস্ট। আমি আশা করি সকলে এই পোস্ট মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার সুন্দর মন্তব্য শেয়ার করবেন।
আজকে আবার আপনাদের মাঝে একটি লাইফ স্টাইলের পোস্ট নিয়ে আসলাম৷ একদম ভিন্ন ধরনের একটি পোস্ট আমি আপনাদের মাঝে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করবো৷ এই পোস্টটি হল আমাদের রমজান মাসে আমরা যে সকল মুহূর্ত উপভোগ করে থাকি সে মুহূর্তের ছোট্ট একটি অংশ৷ যা আমি আপনাদের মধ্যে শেয়ার করবো৷ এটি হলো ইফতার করার কিছু মুহূর্ত৷ আশা করি এই বিষয়টি আপনাদের অনেক ভালো লাগবে৷
আসলে সব সময় আমাদের এলাকার যে সকল মসজিদ মাদ্রাসা গুলো রয়েছে সেখানে বিভিন্ন ধরনের ইফতারের আয়োজন করা হয়ে থাকে৷ তবে সকল ইফতারের দাওয়াতে যাওয়া হয়না৷ মাঝেমধ্যে যাওয়া হয়ে থাকে৷ তা থেকে আজকে যখন সময় পেলাম তখন এই স্থানে গিয়ে আমরা ইফতারি করে নিলাম৷ সেখানে আমাদের অনেক বন্ধু-বান্ধব ছিল এবং অনেক মুরুব্বিরাও সেখানে অবস্থান করছিলেন৷
সকলে মিলে সেখানে ইফতার করার মুহূর্তগুলো একেবারে অন্যরকম ছিল৷ সকলে যখন আমরা একসাথে ইফতার করার জন্য আসি তখন সেই অনুভূতি মুখে বলে প্রকাশ করা যাবে না৷ আসল প্রতিদিন ঘরে সকলের সাথে ইফতার করতে যে ভালো লাগে তার থেকেও বেশি ভালো লাগে যখন বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকার সকলে মিলে একসাথে ইফতার করা হয়৷ সেই মুহূর্তগুলো একেবারে অন্যরকম হয়ে থাকে৷
এখানেও আমাদের সাথে অনেকেই ছিল৷ যখন আমরা বন্ধু-বান্ধবরা সেখানে হাঁটতে হাঁটতে চলে গেলাম এবং সেখানকার যারা ছিল তারা অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে আমাদের গ্রহণ করেছেন৷ ওনারা খুব ভালো ব্যবহার করছেন আমাদের সাথে৷ ওনারা এমনিতে অনেক ভালো৷ প্রতিবছরই আমাদেরকে দাওয়াত করে থাকেন৷ প্রতিবারই আমরা সেই অনুষ্ঠানে যাওয়ার চেষ্টা করি৷ আজকের এই অনুষ্ঠানে আমরা গেলাম এবং তারা যেভাবে আমাদেরকে প্রথমেই গ্রহণ করলো সেরকম গ্রহণ আমাদেরকে কেউই কখনো করেনি৷
এরপর যখন ধীরে ধীরে ইফতারি সময় আসলো তখন আমাদেরকে বসালেন৷ সকলকে খুব সুন্দরভাবেই বাহিরে বসানো হলো৷ সেখানে বসানোর পরে সকলকে ধীরে ধীরে ইফতারি দেওয়া হচ্ছিল৷ একের পরে একজনকে ইফতার দেওয়ার পর অনেকেই অনেক ধরনের শুনাম ওনাদের পূর্ববর্তী সময়ের করছিলেন৷ কারণ ওনারা পূর্ববর্তী সময় থেকেই এরকম৷ এখনো তাদের মনোভাব একই রকম রয়েছে৷ তারা সবসময় মানুষকে ভালোভাবে আপ্যায়ন করার চেষ্টা করে এবং আজকেও তার ব্যতিক্রম নয়৷
আমরা যখন এখানে বসলাম এবং ইফতার করার জন্য সকলে একসাথে একত্রিত হয়ে ইফতার করা শুরু করলাম তখন ওনারা বারবার আমাদেরকে এসে জিজ্ঞাসা করছিলেন আর লাগবে কিনা৷ যদি কিছু প্রয়োজন হয় তাহলে তাদেরকে বলার জন্য৷ এরপর আমরা আমাদের যা কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস রয়েছে তা ওনাদেরকে বললাম । এরপর তারা আমাদেরকে সবকিছু দিয়ে ভালোভাবে আপ্যায়ন করলেন৷ ইফতার খাওয়ার পরে নামাজ পড়লাম৷ এরপর ওনাদের থেকে বিদায় নিয়ে আমরা চলে আসলাম৷
আশাকরি আপনাদের সবার আমার এই পোস্টটি ভালো লেগেছে। ভালো থাকবেন নিজের যত্ন নিবেন। আপনাদের প্রতি আমার গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল। দেখা হবে নতুন একটি পোস্ট।
মোবাইলের বিবরণ
ক্যামেরা | স্যামসাং গ্যালাক্সি |
---|---|
ধরণ | ফটোগ্রাফি |
মডেল | M34 5g |
ক্যাপচার | @bijoy1 |
অবস্থান | ফেনী |
BIJOY1
আমার সম্পর্কে কিছু কথা
আমি বাংলাদেশ থেকে আবদুল্লাহ আল সাইমুন। আমার ডাক নাম বিজয়। আমি একজন ছাত্র। আমি ফেনী জেলায় বসবাস করি। আমি এই প্ল্যাটফর্মের নিয়মিত ব্যবহারকারী। আমি এই প্ল্যাটফর্মে আমার কাজগুলো সবার সাথে শেয়ার করতে পছন্দ করি। আমি আশা করি ভবিষ্যতে এই স্টিমিট প্ল্যাটফর্মে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবো। আমি ঘুরতে পছন্দ করি। তার পাশাপাশি বাইক চালানো,ফটোগ্রাফি করা,বই পড়া, নতুন নতুন কাজ করা ইত্যাদি আমার অনেক ভালো লাগে। আমার স্টিমিট আইডির নাম @bijoy1 এবং আমার একই নামের একটি ডিসকর্ড অ্যাকাউন্ট রয়েছে এবং আমার টুইটার আইডির নাম Bijoy1। সর্বশেষ একটাই কথা,বাঙালী হিসেবে আমি গর্বিত।
মাঝেমধ্যে এরকম বন্ধু-বান্ধব এবং এলাকার সবাই মিলে ইফতার করতে ভালই লাগে। এই ধরনের মুহূর্ত আসলেই অন্যরকম। বেশ ভালোই আয়োজন ছিল ইফতারে। আর তারা খুব আন্তরিকতার সাথেই সবকিছু করেছে। ভালো লাগলো সুন্দর মুহূর্ত গুলো দেখে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে তাদের আন্তরিকতা থেকে আমরা সকলেই অনেক মুগ্ধ।
https://twitter.com/bijoy1__2024_SB/status/1777153488344269075?t=hENN922Vyaay6d-z4dPJ-Q&s=19
সময় ছোটবেলার সেই দিনগুলোর কথা খুব মনে পড়ে যখন পাশের বাসায় সবার জন্য ইফতার দিয়ে আসতাম। আর পাশের বাসা থেকে আমাদের বাসায় ইফতার আসতো। কি কি ইফতার আছে এসব দেখার কি যে আগ্রহ ছিল। এ ধরনের জিনিসগুলো খুব কম দেখা যায় তবে আপনি পাশের। বাসায় গিয়ে ইফতার করেছেন। খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন আপনাকে খুব ভালো আপ্যায়ন করেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া এতো সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে তাদের এই আপ্যায়ন অনেক আগ থেকেই অনেক প্রশংসনীয় ছিল৷ এখনো তার কোনো কমতি হয়নি৷
আসলে এরকম ভাবে সবাই একসাথে ইফতার করার মধ্যেও আলাদা রকম আনন্দ অনুভূতি রয়েছে। আর প্রত্যেকটা এলাকার মসজিদে ইফতারের আয়োজন করা হয় রোজার সময় যে কোন একদিন। আপনি এই জায়গাতে গিয়ে সবার সাথে ইফতার করেছিলেন শুনে অনেক বেশি ভালো লাগলো। অনেক কিছুই ছিল ইফতারের আয়োজনে। অনেক মজা করে খেয়েছিলেন সবাই মিলে নিশ্চয়ই খাবার গুলো। সবাই একসাথে ইফতার করতে মনে হয় অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপনাদের ইফতার করার মুহূর্তটি শেয়ার করার জন্য।
আসলেই। রোজার সময় অনেকে অনেকভাবে চেষ্টা করে ইফতার আয়োজন করার৷ তেমনি ওনারাও চেষ্টা করেছেন।
মসজিদ মাদ্রাসা গুলোতে আগে ইফতার করা হতো। তবে কয়েক বছর থেকে করা হয়নি। এভাবে সবাই মিলে ইফতার করলে চমৎকার একটি অনূভুতি কাজ করে। ছোট বেলায় আমি মসজিদ এবং মাদ্রাসায় গিয়ে ইফতার করতাম। আজকে আপনার পোস্ট দেখে মনে পড়ে গেলো ধন্যবাদ আপনাকে ভাই।
আসলে এখন আমাদেরও তেমন একটা সময় হয়ে উঠে না৷ আপনি ছোটবেলায় মসজিদ মাদ্রাসায় ইফতার আয়োজনে যেতেন শুনে খুব ভালো লাগলো৷
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
আপনার প্রতি ভালোবাসা সবসময় আমাকে সাপোর্ট করে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
রোজার দিনে প্রত্যেকটা জায়গায় ইফতার পার্টির আয়োজন করা হয়ে থাকে। আর এই বিষয়টা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। কারণ এই দিনে এলাকার সবাই সেখানে উপস্থিত হয়ে থাকে। অনেকে যায় আবার অনেকে যায় না। তবে একসাথে ইফতার করায় নিশ্চয়ই খুব ভালো সময় অতিবাহিত করা হয়। আপনারা সকলে একসাথে ইফতার করেছেন। নিশ্চয়ই আলাদা একটা অনুভূতি কাজ করছিল মনের ভেতর। খুব সুন্দর করে আপনি পুরো মুহূর্তটাকে তুলে ধরেছেন। যেটা অনেক বেশি ভালো লাগলো।
একেবারে আলাদা একটি অনুভুতি ছিল৷ তাদের আপ্যায়ন দেখে আরো মুগ্ধ হয়ে গেলাম।
সবসময় সময় না পেলেও, আপনি দেখছি আজকে আপনার বাড়ির পাশের ইফতার পার্টিতে অংশগ্রহণ করে দিনটি খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন। আসলেই, সকলের সাথে বসে একসাথে খাওয়ার মজাটাই আলাদা। সেখানে যাওয়ার পর সকলে আপনাদেরকে খুব সুন্দর ভাবে আপ্যায়ন করেছিলেন শুনে ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে সুন্দর একটি উপস্থাপনা ছিল এটি
আসলে বাড়িতেই বেশিরভাগ সময় ইফতারি করা হয়ে থাকে। তাই কোথায় যাওয়ার সময় হয়ে উঠে না৷ তবে চেষ্টা করেছি এই স্থানে যাওয়ার।
ইফতারি করার সুন্দর অনুভূতি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরছেন। আপনার এই অসাধারণ অনুভূতি কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। আসলে ঈদ আমাদের মমিন মুসলমানদের বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়তে সহায়তা করে। গ্রামের অনেকে মিলিয়ে একসাথে ইফতারি করার মজা আলাদা। বেশ ভালো লাগলো আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে।
আসলেই৷ গ্রামের সকলে মিলে যখন ইফতারি করলাম তখন অনেকটাই ভালো লাগলো
সবাই একত্রিত হয়ে ইফতার করার মজাই আলাদা। তবে এখন মসজিদ বা মাদ্রাসা অনেকে সুন্দর ইফতারের আয়োজন করে। আর বন্ধুবান্ধব ছোট বড় এবং মুরুব্বী সবাই একসাথে ইফতার করতে পারলে নিজের কাছে অন্যরকম ভালো লাগে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি দেখেই বোঝা যাচ্ছে ইফতার করতে গিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। আর এরকম সবাই মিলে খোলামেলা ইফতার করলে নিজের মধ্যে ভালো লাগে। ইফতার করে নামাজ পড়ে সবাইকে বিদায় দিয়ে চলে আসলেন শুনে ভালো লাগলো। খুব সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
একদম ঠিক বলেছেন৷ সকলে মিলে ইফতার করার মজাই আলাদা৷ আর সকলে খুব সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করেছিলাম।