লেবু যখন মাল্টার দাম!!
03-03-2025
১৯ ফাগুন , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
৩ রমজান, ১৪৪৬ হিজরি
🌼আসসালামুআলাইকুম সবাইকে🌼
কেমন আছেন সবাই? আশা করছি রহমত ও বরকতের এ মাসে আপনারা ভালো থাকার চেষ্টা করছেন। তবে ভালো কি আর থাকা যায় বলেন তো! রহমতের এ মাসে পণ্যদ্রব্যের যে ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করছি সেটা দেখে তো ভালো থাকা যাচ্ছে না। অথচ এ মাসে দাম কম থাকার কথা ছিল। আমাদের দেশে হয় কি কোনো একটা উৎসব বা কোনো একটা বিশেষ সময়কে কেন্দ্র কতিপয় সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা সবকিছুর দাম লাগামহীনভাবে বাড়িয়ে দেয়! তারা ভাবে এখনই সময় সবকিছুর দাম বাড়ানোর। কারণ যে পণ্যের চাহিদা মার্কেটে বেশি থাকবে সেটার দাম বাড়ালে উপায় না পেয়ে হলেও কিনতে হবে।
তারই একটি উদাহরণ হলো লেবুর দাম! মনে হয় ১৫ দিন আগের কথা। যখন এক হালি লেবুর দাম ছিল ১৫ টাকা করে। তারও আগে কেজিপ্রতি লেবু বিক্রি করতো ব্যবসায়ীরা। এখন রমজানে শরবত বানাতে প্রধান উপকরণ লেবু। আবার ইফতারে মুড়ির সাথে হালকা লেবু না দিলে হয়ও না। আর সে লেবুর দাম এখন আকাশচুম্বী! বিশেষ করে আমাদের মতো যাদের অবস্থা তাদের কাছে লেবুর দাম আকাশচুম্বী বলা চলে। এক হালি লেবুর দাম এখন ৫০ টাকার উপরে! তার মানে তিনশ টাকা কেজি যদি মাল্টার দাম হয় তাহলে এক মাল্টার দামই লেবু বিক্রেতা নিয়ে নিচ্ছে!!
এখন কথা হলো এভাবে দাম বাড়ায় কারা! আমার আপনার মতো রক্তে মাংসে গড়া মানুষই তো দাম বাড়ায় কমায়! এখানে ন্যায্য মূল্যটা পায়না আবার কৃষকরা। তারা অধিকহারে লেবু ফলায়। তারপর তারা সেটা পাইকারী মূল্যে বিক্রিয় করে দেয়। তখন ধরেন পার কেজিতে লেবুর দাম পরে ১৫-২৫ টাকার মতো! এর বেশি হওয়ার কথা না! এখন কৃষকদের কাছ থেকে পণ্যটা পাওয়ার পর সিন্ডিকেট করে ব্যবসায়ীরা! ইচ্ছে করেই তারা দাম বাড়িয়ে দেয়। আর আমাদেরও তো কোনো উপায় নেই। সারাদিনের ক্লান্তি শেষে একটু লেবুর শরবত না হলেও তো হয় না।
যেহেতু এখন রমজান মাস চলছে। সে হিসেবে লেবুর দামটা কমানো দরকার। বিশেষ করে যেগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র রয়েছে সবগুলোর দামই আমি মনে করি কমানো দরকার। ভালো লাগার বিষয় হলো সরকারের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত করা হয়েছে। কিন্তু কথা হলো সিন্ডিকেট কি কমাতে পারবে সরকার? আমাদের মানসিকতার যদি পরিবর্তন না হয় তাহলে দাম তো আরও বাড়িয়ে দিবে। মানসিকতার চরম অবক্ষয় লক্ষ্য করছি।
আবার আমরাও কিন্তু ভুল করি। সেটা হচ্ছে যখন একটা পণ্য আমাদের বেশি দরকার হয় যে টাইমে সে টাইমের আগেই আমরা করি কি বেশি করে কিনে ফেলার চেষ্টা করি। যারা বিত্তবান তারা এ কাজটা বেশি করে। এতে হয় কি ব্যবসায়ীরাও একটা সুযোগ লুফে নেয়। যেহেতু পণ্যটা বেশি করে কেনা হচ্ছে তাই তারা ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়ে দেয়। তখন তো চাইলেও কিছু করার থাকে না। এজন্য সমাজের যারা বিত্তবান আছে তাদেরকে আমি বলবো বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য একেবারে বেশি পণ্য কিনে রাখবেন না। আপনার চাহিদা যতটুকু ততটুকুই কেনার চেষ্টা করুন।
10% beneficary for @shyfox ❤️
ধন্যবাদ সবাইকে
আমি কে?
আমার নাম হায়দার ইমতিয়াজ উদ্দিন রাকিব। সবাই আমাকে ইমতিয়াজ নামেই চিনে। পেশায় আমি একজন ছাত্র। বর্তমানে ডুয়েটে অধ্যয়নরত আছি। পাশাপাশি লেখালেখি করে আসছি গত তিন বছর ধরে। ভালো লাগার জায়গা হলো নিজের অনুভূতি শেয়ার করা, আর সেটা আমার বাংলা ব্লগের মাধ্যমেই সম্ভব হয়েছে। নিজেকে সবসময় সাধারণ মনে করি। অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দেয় এবং তা মেনে চলার চেষ্টা করি। বাংলা ভাষায় নিজের অভিমত প্রকাশ করতে ভালো লাগে। তাছাড়া ফটোগ্রাফি,কবিতা লেখা,গল্প লেখা ,রিভিউ,ডাই এবং আর্ট করতে ভালো লাগে। অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে ভালো লাগে। বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করি। ভবিষ্যতে প্রিয় মাতৃভূমির জন্য কিছু করতে চাই।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
Twitter share
Puss tweet
রমজান মাস আসলে এমন দাম বেড়ে যায়। গত বছর ঠিক এমনই দাম হয়েছিল। কিন্তু রমজান মাস চলে গেলে দেখা যাচ্ছে যে লাউ সেই কদু। তবে লেবু আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী এইজন্য খাওয়াটা প্রয়োজন।
একদম ভাই। দাম বেশি হলেও না খেয়ে উপায় নেই।
ভাই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে ব্লগ শেয়ার করেছেন। লেবুর কাছে তো যাওয়াই যায় না। লেবুর হালি জিজ্ঞেস করলেই ৮০ টাকা ১০০ টাকা হালি বলে। জিজ্ঞেস করেই চলে আসি কেনার মত সাহস হয় না, হা হা হা।
হাহাহা! এতো দাম বেড়ে গেলে কেনার সাহস পাওয়াটাই কঠিন ভাই
আসলে ভাইয়া ঠিক কথা বলেছেন। লেবু এখন মাল্টার দামে। আমি তো সারা বছরই লেবু খাই। মাঝে মাঝে কিনতে ভুলে যাই সেজন্য খাওয়া হয় না। কিছুদিন আগে বাজারে গিয়ে ২০ টাকা হালিতে ভালো লেবু কিনে এনেছিলাম। আর গত পরশুদিন বাজারে গিয়ে লেবু কিনতে গিয়ে দেখি ৪০ টাকা হালিতে লেবু বিক্রি হচ্ছে। তাও আবার সবচেয়ে কমা লেবুটার দাম ৩৫ টাকা হালি ছিলো।আর একটা লেবু ছিল যেটা ৬০ টাকা হালিতে বিক্রি হচ্ছিল। আমি শেষমেষ চল্লিশ টাকা হালি লেবু নিয়ে এসেছি। আসলে এখন রমজানের সময় লেবুর চাহিদা বেশি থাকার কারণে দামের এই পরিবর্তন। যেটা চাহিদা যত বেশি সেটার দাম তত বেশি।
বাংলাদেশে যেটার চাহিদা যতবেশি সেটার দামও ততবেশি। তবে লাগামহীনভাবে দাম বাড়ায় সিন্ডিকেটরা
একদম ঠিক বলেছেন। আমি গত পরশু লেবু কেনার জন্য গেলে সবজি ভাইয্যার কাছে লেবুর দাম জানতে চাইলে উনি এক হালি লেবু ৮০ টাকা চাইলেন।আর সামান্য ছোট সাইজের গুলো হালিতে ৫০ টাকা করে চাইলেন।আমি লেবু আনিনি রাগ হয়ে।কি একটা অবস্থা। মনে মনে বলেছি লেবু খাব না।🤣
হাহাহা! না কিনে ভালো করেছেন আপু।
আপনার লেখাটি বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। রমজানের মতো পবিত্র মাসে পণ্যের দাম কম থাকার কথা, অথচ উল্টো লাগামহীনভাবে বেড়ে যাচ্ছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টকর। সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কারণে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম এমনভাবে বাড়ানো হয় যে মানুষ বাধ্য হয় বেশি মূল্যে কিনতে। তবে শুধু ব্যবসায়ী নয়, আমাদের ভোক্তাদের মধ্যেও সচেতনতার প্রয়োজন আছে। অপ্রয়োজনীয় মজুতদারি কমানো গেলে বাজারের স্থিতিশীলতা কিছুটা হলেও রক্ষা পাবে। সমাজের সকল স্তরের মানুষ যদি ন্যায্যতার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়, তাহলে হয়তো এমন অসহায় পরিস্থিতি তৈরি হবে না। ভাবনাগুলো সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন।
আসলেই ভাই আপনি ঠিক বলেছেন। সমাজের প্রত্যেকটা মানুষেরই সচেতনতা দরকার।
লেবুর দাম বৃদ্ধি ও সিন্ডিকেট ব্যবসার প্রসঙ্গ তুলে খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম কমার কথা থাকলেও উল্টো দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সচেতনতা ও ন্যায্যতার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে বাজার স্থিতিশীল করা সম্ভব হতে পারে।
সচেতনতা বৃদ্ধি করা দরকার সেই সাথে প্রশাসনেরও সজাগ থাকা দরকার ৃ
অসাধু ব্যবসায়ীরা মূলত আমাদের জন্যই সুযোগ টা পেয়ে যায়। যখন কোন পণ্যের দাম অতিরিক্ত নেওয়া শুরু হয় আমাদের উচিত সেটা বর্জন করা। কিন্তু আমরা সেটা একেবারেই করি না। যার ফলে বাজারে এমন অবস্থা তৈরি হয়। ঠিক রোজা কে কেন্দ্র করে লেবু নিয়ে যেমন টা শুরু হয়েছে।
একদম ঠিক বলেছেন আপনি।