ক্ষমা করতে শিখুন
আমি @rahnumanurdisha বাংলাদেশ থেকে। কেমন আছেন আমার বাংলা ব্লগ এর সকল ইন্ডিয়ান এবং বাংলাদেশি বন্ধুরা?আশা করছি সকলেই অনেক ভালো আছেন?আমিও ভালো আছি আপনাদের দোয়ায়।ফিরে এলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে।
মানুষকে ক্ষমা করতে শেখাটা মহৎ গুণ গুলোর মধ্যে অন্যতম।আমরা বেশিরভাগ মানুষ সহজে কাউকে ক্ষমা করতে পারিনা।আর এই ক্ষমা করতে না পারার ব্যাপারটা আমাদের জীবনেই পীড়াদায়ক হয়ে ওঠে।বিভিন্ন মোটিভেশনাল সেমিনার গুলোতে এই বিষয়টিকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।তাছাড়া আজ থেকে ৬০-৭০ বছর আগের আধ্যাত্বিক বই গুলোতেও এই বিষয়টির গুরুত্ব দেওয়া হয়েছিল চরমভাবে।আমাদের জীবনে চলতি পথে অনেক মানুষের সাথে দেখা হয়।অনেকে আমাদের শুভাকাঙ্খী আবার অনেকেই আমাদের শত্রু হিসেবে পরিচিত থাকে মনে।
তবে মজার বিষয় আমরা ওই শত্রু গুলোকে আগে খুব ভালো একটি অবস্থানে রাখতাম মনের মধ্যে।যার জন্য তাদের প্রতি এক্সপেক্টেশন বেশি থাকায় তাদের অন্যায় কাজগুলো আমরা মেনে নিতে পরিনা।আসলে এই মেনে নিতে না পারার ব্যাপারটা আমাদের জন্য খুব একটা ভুল এমনটি নয়।মনে করুন আপনার একজন প্রিয় বন্ধু সে আপনাকে সবসময় সাহায্য করতেন।আর আপনিও ঠিক একইভাবে তার বিপদে এগিয়ে যেতেন।কিন্তু হঠাৎ করেই তার এমন কিছু আচরণ আপনার সামনে আসলো যেগুলো আপনি অন্তত তার থেকে আশা করেন নি।আর যার ফলে আপনি বিষয়টি কোনোমতে মেনে নিতে পারছেন না। এতে করে আপনি মানসিকভাবে প্রচুর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
একদিন হৃদয় নামের একজন ব্যক্তি তার প্রিয় বন্ধুর থেকে ঠিক একইরকম ভাবে ধোঁকা খায়।আর তারপর সে দুইদিন যাবৎ কোনোভাবেই নিজের কাজে মনোযোগ দিতে পারেনা।হঠাৎ করেই এক সময় সে অনুধাবন করে আমি যদি আমার বন্ধুকে ক্ষমা করে দিই তাহলে আমি এই কষ্ট থেকে মুক্তি পেতে পারি।কিন্তু ক্ষমা করে দিলাম বললেই তো ক্ষমা করা যায়না।এজন্য কি করতে পারি ?হৃদয় অনেকক্ষণ চিন্তা করলো এবং সে তাদের ভালো সময় গুলোকে মনে করলো।তার বন্ধু তাকে কি কি সাহায্য করেছিলেন ইত্যাদি।যেহেতু মানুষের মধ্যে ভালো খারাপ উভয় দিক রয়েছে।তাই হৃদয় তার বন্ধুর খারাপ দিকগুলোকে ক্ষমা করে।তারপর তার বন্ধুর জন্য শুভকামনা ,ভালোবাসা ও প্রার্থনা পাঠায়।এভাবেই হৃদয়ের মন শান্ত হয়ে যায়।
এখন প্রশ্ন হলো আমি কিভাবে বুঝব যে ,আমার সাথে অন্যায় করা ব্যক্তিকে ক্ষমা করে দিয়েছি?যখন কোনো ব্যক্তি তার নামে দুর্নাম বা সুনাম করবে তখন আপনার সেই বিষয়ে কোনো প্রকার ইন্টারেস্ট জাগবেনা।আপনি তার বিষয় নিয়ে আর কখনোই মাথা ঘামাবেন না।আপনার মনে তার জন্য ঘৃণা বা ভালোবাসা কোনোটিই আর থাকবেনা।আর এটি সম্ভব শুধুমাত্র মানুষকে ক্ষমা করার মাধ্যমেই।ক্ষমা করার অভ্যাসটা আমাদের থাকতে হবে এজন্য যে,শুধুমাত্র নিজেদের স্বার্থ বিবেচনা করে।আপনি কাউকে পুরোপুরি মন থেকে ক্ষমা করে দিলে সেই ব্যক্তির উপস্থিতি আপনার মন আর মাথায় উদ্দীপনা সৃষ্টি করবেনা।এজন্যই গুণীজনরা সবসময় ক্ষমা করতে শিখতে বলেছেন। কারণ ক্ষমাই তো মহৎ গুণ।
ধন্যবাদ সবাইকে আমার ব্লগটি পড়ার জন্য।আমার আজকের ব্লগটি কেমন লেগেছে কমেন্টে জানতে ভুলবেন না কিন্তু বন্ধুরা । আবার নতুন কোনো ব্লগ নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হবো।
Post by-@rahnumanurdisha
Date -3rd November,2024
VOTE @bangla.witness as witness

OR
VOTE @bangla.witness as witness

X-Promotion
ভীষণ সুন্দর একটি প্রাসঙ্গিক পোস্ট শেয়ার করলেন। মানুষের জীবনে ক্ষমা করার থেকে উপরে কিছু নেই। ক্ষমা করলে নিজের মন-মানসিকতাও ভালো থাকে। একটা জিনিস দেখেছি। মন থেকে ক্ষমা যতক্ষণ না করা যায় ততক্ষণ মনে যেন ঝড় চলতে থাকে। কিন্তু ভালো সময় গুলো মনে করলে মন বদলে যায় আপনা থেকেই। সেক্ষেত্রে নিজেও ভালো থাকা যায়। আর সম্পর্কের লালন হয়।
মনের ঝড় কমাতেই ক্ষমা করতে হয়,ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু আমাদের সকলেরই ক্ষমা করতে শেখা উচিত। কারণ ক্ষমার উপরে কোন কিছু হয় না। কাউকে ক্ষমা করলে সে কখনো ছোট হয়ে যায় না বরং উদারতার পরিচয় দেয়। একজন মানুষ যখন ভুল করে তখন তার সেই ভুলগুলোকে না দেখে সে আমাদের সাথে কি কি ভালো কাজ করেছে সেটা খুঁজে বের করে তার ভুল গুলোকে দূরে সরিয়ে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। যেমনটা হৃদয় করেছিল তার বন্ধুর সাথে।খুব সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন আপু। পড়ে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু।
ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন বই পুস্তক এ পড়েছি ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। কাউকে ক্ষমা করে দেওয়ার গুণ আমাদের সকলের থাকা উচিত। কাউকে মন থেকে ক্ষমা করে দিলে মন শান্ত হয়ে যায়। আর ক্ষমা না করে সেই বোঝা মনে নিয়ে বেড়ালে সেটা আমাদের অশান্তি দেয়। সুন্দর একটি পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। পোস্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আমার পোস্টটি ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম।
ক্ষমা করা একটি মহৎ গুণ। আমরা আমাদের কাছের মানুষগুলোর উপরেই সব সময় অভিমান করি। তাই তাদেরকে যদি ক্ষমা করে দেই তাহলে নিজেরা যেমন ভালো থাকতে পারবো তেমনি তাদের সাথেও সম্পর্কটা ভালো হবে। গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদ ভাইয়া।
ক্ষমা করলৃ শান্তি পাওয়া যায় হৃদয়ে একটা প্রশান্তি কাজ করে। কথাটা কিন্তু একেবারে ঠিক আপু। বেশ লাগল আপনার লেখাটা। যারা ক্ষমা করে তারা ভালো থাকে। তবে কীনা জানেন তো সবসময় ক্ষমা করাও ঠিক না।
জি ক্ষমা করা সবসময় ঠিক না তবে নিজের জন্য তো করতেই হয় ,ধন্যবাদ।
নিঃসন্দেহে ক্ষমা হচ্ছে একটি মহৎ গুণ। যে বা যারা ক্ষমা করতে জানে,তারা সত্যিই অনেক বড় মনের মানুষ। তাছাড়া ক্ষমা করলে আল্লাহ তায়ালা আমাদের উপর অনেক খুশি হোন। যাইহোক দারুণ লিখেছেন আপু। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।