হাসি কখনো বিপদের কারণ হতে পারে। তারপরেও হাসুন প্রাণ খুলে
আসসালামু আলাইকুম
আশা করি সকলে ভাল আছেন
আলহামদুলিল্লাহ আমিও ভাল আছি। আমি আজ আপনাদের সামনে আমাদের জীবনের একটি অতিবেগ গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হাসি এবং এর উপকারিতা এবং সমাজের প্রভাব সম্পর্কে আলোচনা করতে চাই।
SRC
একটি প্রবাদ আছে, হাসি দাও এবং খুশি থাকো
আসলে এই প্রবাদটি আমাদের সমাজে যদিও একটি প্রচলিত প্রবাদ তারপরেও এর ব্যাখ্যা কিংবা এর ফলাফল কিন্তু খুব একটা ভালো না। যদিও আমি একজন হাসি প্রিয় মানুষ। সব সময় হাসতে আমি খুব বেশি ভালোবাসি। আমি মনে করি যত হাসা যাই তত হার্ট ভালো থাকে । তবে আমাদের সমাজে এই হাসিটাকে কিভাবে নিয়েছে কিংবা এর প্রতিক্রিয়া কি সে সম্পর্কে হয়তো আমি অবগত না???
আমরা আমাদের জীবিকা এবং জীবনে প্রয়োজনে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় কর্মরত অবস্থায় থাকি । তবে এই কর্মরত অবস্থায় থাকাকালীন কিংবা যেকোনো কাজ করা অবস্থায় আমি কিন্তু বিশেষ করে হাসিটাকে খুব বেশি পছন্দকরি।
তবে আমার এই অতিরিক্ত হাসির প্রলোভন কিংবা এই অতিরিক্ত আসার কারণটা মাঝে মাঝে আমার জীবনে অতিরিক্ত একটা বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
বেশ কিছুদিন কিংবা বেশ কয়েক বছর আগের আমার একটা কথা এখনো বেশ মনে আছে। যেহেতু আমি হাসি ভালোবাসি এবং সব সময় হাসতে থাকি সে কারণে বিশাল বড় একটা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়েছিল আমাকে
স্কুল ফিল্ডে বিকেল বেলা বন্ধুরা যখন খেলাধুলা করছিল তখন তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একটি জায়গায় রাখা হতো এবং সেখানে আমরা বসে থাকতাম। হঠাৎ একদিন একই রকমের ঘটনা সংঘটিত হলো আমার সঙ্গে
সবাই যখন ফুটবল খেলছিল তখন আমি তাদের অন্যান্য জিনিসগুলো পাহারা দিয়েছিলাম। হঠাৎ খেলা শেষ করে আমার এক বন্ধু যখন তার জিনিসগুলো আমার কাছ থেকে বুঝিয়ে নিয়েছিল তখন ওর ভিতর থেকে একটি জিনিস হঠাৎ উধাও হয়ে গিয়েছিল ্্। আমি হাসি মাখা মুখ নিয়ে তার দিকে তাকে বললাম এই সম্পর্কে আমি জানিনা
হয়তো আমার হাসি মাখা মুখ দেখে সে মনে করেছে তার সেই জিনিসটি আমার কাছে রয়েছে। তবে প্রকৃতপক্ষে ওই জিনিসটা সম্পর্কে আমি কিছুই জানিনা কিংবা আমার কোন জ্ঞান ছিল না। কিন্তু বিষয়টি একপর্যায়ে এমন বড় আকার ধারণ করল এর জন্য আমাকে মানুষের মধ্যে লজ্জিত হতে হয়েছিল।
কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ পরে সেই জিনিসের সন্ধান মিলেছিল তার নিকটস্থ একজন আত্মীয়র কাছে থেকে ্্। যদিও জিনিসটি ছিল অতি নগণ্য তারপরেও হারানোর একটা অপবাদ নিতে হয়েছিল আমাকে শুধুমাত্র এই মুখে হাসি থাকার কারণে।। যাইহোক বড় একটি বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছিলাম আমি।
তবে তখন একটা বড় শিক্ষা নিয়েছিলাম যে আর কখনো, এমন হাসি হাসা যাবে না যেখানে আমার বিপদ ডেকে আসতে পারে। তবে তার পরেও মনে মানে না কি করার???
আপনি যদি প্রাণবন্ত মনের মানুষ হয়ে থাকেন তবে পশুর সঙ্গেও আপনি আপনার ভালোবাসাগুলো শেয়ার করতে পারেন এবং পশুর সামনে যদি আপনি আপনার হাসি মুখ নিয়ে যান হয়তো আপনার পোষ মানতে বাধ্য সেই পশু। কিন্তু দিনশেষে আপনি যদি দেখেন সেই হাসির কারণে কিংবা পশুকে ভালোবাসার কারণে মানুষের কাছে আপনাকে হাসির পাত্র হতে হচ্ছে তাহলে বিষয়টি কিন্তু খুবই খারাপ।।
তবে দিনশেষে আমি এখনো অনেক অনেক হাসি ভালোবাসি এবং হাসতে আমার খুবই বেশি ভালো লাগে। তবে এ বিষয়ে মানুষ কি বলবে কিংবা না বলবে আমার কোন মাথা ব্যথা নাই বিন্দুমাত্র। তবে মাঝে মাঝে বিপদের সম্মুখীন হতে হয় এটা নিয়ে খুব বেশি ভয় হয়।
আমি সবসময় মনে করি আমার সরল মনে মুখের হাসি কখনোই বিপদ ডেকে আনবে না। তবে শুধু ভাগ্যের উপর ভরসা করে লাভ কি??
আশেপাশের মানুষগুলো সত্যি এখন ্্বড় নির্দয়। কারো হাসি কি কেউ সহ্য করতে পারে? সমাজে এখন এমন একটি আইন প্রচলিত যে কেউ যদি ভালো কিছু পোশাক ব্যবহার করে কিংবা ভালো মন্দ প্রতিনিয়ত খাওয়া দাওয়া করে তাহলে হিংসার চোখ সেই পরিবারকে কিংবা সেই মানুষটাকে পুড়িয়ে ভাষ্য করে দেয় । তবে এই ভালো মন্দের মাঝেই আমাদের বেঁচে থাকতে হবে???
তবে আমার একটা সত্যিই হাসির মাঝে খারাপ অভ্যাস রয়েছে যে বিশাল সিরিয়াস মুহূর্ত আমি মুখে হাসি রাখি। কোন সিরিয়াস বিষয়ে আমার কাছে সিরিয়াস মনে হয় না র। হয়তো সে কারণেই আমার এত হাসির মাঝে আমি বিপদের আনাগোনা।
তবে ইনশাল্লাহ এখন চেষ্টা করব নিজেকে আরও একটু শক্ত কঠরে বন্ধ করার জন্য ্্ যেন কোন অপশক্তি আমার হাসির বাধা হয়ে দাঁড়াতে না পারে ্।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
ভাইয়া খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন। ভাইয়া হাসিঁ দেওয়া ভাল কিন্তুু সেটা জায়গা বুঝে। আপনার হাসিঁটা ভুল জাগায় ছিল যার জন্য সাময়িক ভাবে লজ্জিত হয়েছিলেন। ধন্যবাদ।
একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাই। তবে আমি নিজেকে কোনভাবে কন্ট্রোল রাখতে পারি না। যেকোনো সময় মুখ থেকে হাসি বের হয়ে যায় এ কারণে বিপদে পড়ে যাই।
ভাইয়া সর্বস্থানে হাসি দেওয়াটা উচিত নয়। শুধুমাত্র হাসির জায়গায় হাসি দেওয়া উচিত। তারপরও হাসির ক্ষেত্রে নিজেদের কে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখাই ভালো। তবে আমি হাসির ক্ষেত্রে কোন ধরনের কাজের কার্পণ্য করি না। আমি মন প্রাণ খুলে হাসি দিতে পছন্দ করি এবং যারা মন প্রাণ খুলে হাসি দেয় তাদের কেউ পছন্দ করি। এতে কেউ মনে কিছু করলে আমার কিছু করার নেই।