সিলেটের জনপ্রিয় প্রাকৃতিক নিলাভুমি লালাখাল ভ্রমণ(পর্ব-৪)[10% beneficiary @shy-fox]
হ্যালো বন্ধুরা,
সবাই কেমন আছেন।আশা করছি মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়ায় সবাই ভালো আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।সবার কাছে আশা করবো সবাই সাবধানে থাকবেন।গত পর্বে আপনাদের সাথে সিলেটের অনেক জনপ্রিয় একটা স্থান লালাখালের ভ্রমণের গল্প আপনাদের সামনে প্রথম ,দ্বিতিয় এবং তৃতীয় পর্ব তুলে ধরেছিলাম।এরই ধারা বাহিকতায় আজকে আপনাদের সাথে চতুর্থ পর্ব তুলে ধরবো।গত পর্বে আমি লালাখালের জিরো পয়েন্টাকে তুলে ধরেছিলাম।আজকে আপনাদের সাথে লালাখালের সব চেয়ে সুন্দর যে চা বাগান রয়েছে এর বর্ণনা আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো। আমার এর আগের আরও তিনটা পর্ব রয়েছে এই লালাখালের সৌন্দর্য নিয়ে,আপনারা চাইলে দেখে আসতে পারেন। আমি এই পোস্টের শেষে লিঙ্ক দিয়ে দেবো।আজকে আর বেশি কথা না বাড়াইয়ে চলেন শুরু করি লালাখাল ভ্রমণ পপর্ব- ৪।
আপনারা জানেন যে আমাদের বাংলাদেশের সৌন্দর্যের অভাব নেই।এর মধ্যে সিলেট অন্যতম।এই সিলেটকেই আবার চা এর দেশ বলা হয়। কারন দেশের সিংহভাগ চা এই সিলেট থেকেই উৎপন্ন হয়ে থাকে।আবার এই সিলেট কে বলা হয়ে প্রকৃতির আধার এবং প্রকৃতির নিলভুমি।সৃষ্টিকর্তা যেন নিখুঁত হাতে গড়েছেন।যাই হোক গত ৩ টা পর্ব থেকে আমি লালাখালের বর্ণনা দিচ্ছি।আজকে এই লালাখালের ভিতরে একটা চা এর বাগান রয়েছে এইটার সম্পর্কে কিছু বর্ণনা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।তাই বেশি কথা না বলে চলেন শুরু করি।
উপরের ছবিতে যে চা বাগানটি দেখতে পাচ্ছেন এইটা হচ্ছে লালাখাল চা বাগান।এইটা মূলত জিরো পয়েন্ট থেকে ফেরার পথে পড়বে। আপনারা নৌকা ভাড়া করার সময় ঠিক করে নিলে তারাই আপনাকে নিয়ে যাবে।আমরা জিরো পয়েন্ট থেকে এসে চা বাগানে গিয়েছিলাম।নৌকা থেকে নেমে সুন্দর একটা রাস্তা।খুব সুন্দর পরিবেশ।যা দেখে আপনি মুগ্ধ হয়ে যাবেন। আমরা সবাই হেটে হেটে যাচ্ছিলাম আর চা বাগানের সৌন্দর্য দেখতেছিলাম।
বিকেলের রোদ পরে চা বাগানের চিত্রটা যে পাল্টে গিয়েছিলো।এক কথায় অসাধারণ লাগতেছিল।চারদিকে সবুজ চা বাগান এক কোথায় যেন অসাধারণ।চোখ জুড়িয়ে যাওয়ার মতো দৃশ্য।
চা বাগানের সৌন্দর্য দেখে আমরা আর দাড়ায় থাকতে পারলাম না।সবাই চা বাগানের ভিতরে ঢুকে একটা ছবি তুলে নিলাম।আপনারা হয়তো ভাবতে পারেন যে সবাই এখানে তাইলে ছবি তুলে দিল কে।আসলে তখন ওখানকার একজন কর্মী আমাদের ছবি তুলে দিয়েছিল।
যদিও আমাকে দেখা যাচ্ছে না তবে আমি একটা সিংগেল ছবি তুলেছিলাম।আমার চেয়ে চা বাগানটি বেশি সুন্দর। বিকেলের আলোয় যেন আরও বেশি ফুটে উঠেছে।
চা বাগান থেকে বাহির হয়ে ভিতরে যেতে দেখলাম ছোট একটা নদী। যদিও পানি নাই। বর্ষাকালে হয়তো থাকে। যা দেখতে ভালো লাগতেছিল।
নদীর পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম ছোট একটা ব্রিজ আমরা সবাই মিলে একটা সেলফি তুলে নিলাম।সবাই অনেক হাসিখুসি।
এই পথ ধরে হেটে যাওয়ার সময় হটাৎ করে চোখে পড়লো একজন কাঠুরিয়া কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছে সেই অনেক দুর থেকে।তাকে বললাম একটা ছবি তুলবো উনি সাথে সাথে খুশি মনে দাড়িয়ে গেলো।আসলে তার উদারতা দেখে আমি মুগ্ধ।এতো দুর থেকে ক্লান্ত অবস্থায় এসে আমার ছবি তোলার জন্য দাড়িয়ে গেলো।আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে তাকে।
এরপর আমি হাঁটার সময় নিজের বিদ্ধস্ত একটা ছবি তুলে নিলাম।যা দেখেই বুঝতে পারতেছেন যে কি অবস্থা আমার।
এরপর ভিতরে গিয়ে দেখলাম যে,চা এর কারখানা।যেখানে মূলত চা তৈরি করা হয়।যদিও আমাদের ভিতরে ঢোকার অনুমতি ছিল না।তবে আমার কাছে একটা জিনিস খুব ভালো লেগেছে সেটা হল এখানকার পরিবেশ।হয়তো ছবিতে দেখেও আপনারা কিছুটা বুঝতে পারতেছেন।চারদিকে ফুলের বাগান করা। যা এক কোথায় অসাধারণ।
এইটা হচ্ছে চা বানানোর ঘর বাহির থেকে দেখে মূলত এইটাই বুঝতে পারতেছিলাম। আসলে সবকিছুর পরিবেশ আমাকে মুগ্ধ করেছে।আর এই দিকে আজকে আমাদের চা বাগানের ভ্রমনের এই পর্বের শেষের দিকে চলে এসেছি।কারন এখন আমাদের এখানকার প্রায় সবকিছুই দেখা শেষ।এবার আমাদের ফেরার পালা।
দেখতে দেখতে আমাদের চা বাগানের ভ্রমনের পর্ব শেষ হয়ে গেলো। আমরা সবাই নৌকার কাছে চলে আসলাম।নৌকাটি চা বাগানের এক পাশে বাধা ছিল।সবাই যখন নৌকায় উঠে পড়লাম তখন দেখি নৌকার আর নড়ে না।পরে আমার বন্ধু আকিব মাঝি মামারে সাহায্য করলো,যা ছবিতে দেখতেই পারতেছেন।আজকে এখানেই শেষ করলাম চা বাগান ভ্রমণ।
Note:প্রথম,দ্বিতিয় এবং তৃতীয় পর্ব যারা মিস করেছেন তারা চাইলে দেখে আসতে পারেন।
এপিসোড | পোস্ট লিংক |
---|---|
০১ | লিংক |
০২ | লিংক |
০৩ | লিংক |
আর এখানেই আমি শেষ করলাম আমাদের লালাখালের ভ্রমনের চতুর্থ পর্ব।এর পরের পর্বে আমি আমাদের শেষ পর্ব তুলে ধরব।যেখানে ফুটে উঠেছে বিকালের লালাখালের সৌন্দর্য। দেখার জন্য আমন্ত্রন রইল সবার।আমি জানি না কতটুকু তুলে ধরতে পেরেছি আপনাদের মাঝে চার নাম্বার পর্বে।যদি কোন ভুলত্রুটি হয়ে থাকে ক্ষমার চোখে দেখবেন।সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকে এখানেই বিদায় নিচ্ছি।
ফটোগ্রাফি | রবিউল ইসলাম |
---|---|
ডিভাইস | Realme 7 Pro |
ছবি তোলার স্থান | লোকেশন |
আমি রবিউল ইসলাম। আমার স্টীমিট আইডি @rabiul365। আমি একজন বাংলাদেশি।আমি আমার দেশকে নিয়ে গর্ববোধ করি।কারন আমি আমার মায়ের ভাষায় কথা বলি।দেশ আমার ভাষা আমার।আমি বর্তমানে শাহজালাল বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করছি।আমি একজন সপ্ন বিভোর মানুষ।সপ্ন দেখতে পছন্দ করি।ভ্রমন আমার খুব পছন্দের কাজ।ভ্রমন ভালবাসি।মাঝে মাঝে নিজের মনের ভাবকে প্রকাশ করতে আঁকাআঁকি করে থাকি।চেষ্টা করি নতুন কিছু করার,কারন সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে হয়।

250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।

সিলেটের অপরূপ সৌন্দর্যময় প্রকৃতির মধ্যে ভ্রমণ করলেন এবং সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। বিশেষ করে চা বাগানের ফটোগ্রাফি গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে। দেখে ভ্রমণ করতে ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য। আপনার কাছে আমার ফটোগ্রাফি গুলো ভাল লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।
ভাই পোস্ট পড়ার পরে যা যা বলতে ইচ্ছে হয়েছে সব বললে কমেন্ট টাই একটা পোস্ট হয়ে যাবে। প্রথমেই বলি আপনার সিংগেল ছবিতে দেখা না গেলেও ভালোই লাগছিলো। আর হ্যা এটাও সত্যি বাংলাদেশে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। সিলেট তার ভিতর সেরা একটা জায়গা। জিরো পয়েন্ট থেকে ফেরার পথে এখানে ভালো সময় কাটিয়েছেন। সব মিলিয়ে ভালো ছিলো ভাই জান।
আপনার কাছে ভাই ভালো লেগেছে এটাই আমার সার্থকতা। আর আপনার এত সুন্দর মন্তব্য করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
সিলেট যাওয়ার খুব ইচ্ছে রয়েছে আমার। আমি অনেকদিন পর্যন্ত যাওয়ার পরিকল্পনার নেওয়ার পরেও এখনো যেতে পারেনি। আপনি সিলেটের ছবিগুলো দেখে খুবই ভাল লেগেছে। আমি হযরত শাহাজালাল রহমাতুল্লাহ আলাইহি এর মাজার শরীফ জিয়ারত করার উদ্দেশ্যে যাওয়ার খুব ইচ্ছে রয়েছে। এত অসাধারন একটি জায়গার ঘুরাঘুরি পোস্ট করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
চায়ের জগতে আপনাকে স্বাগতম ভাই। সিলেটে আসার আমন্ত্রণ রইল। অবশ্যই যোগাযোগ করবেন। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।
আপনার সিলেটে ভ্রমণ পর্বটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাইয়া । আপনি সুন্দর ভাবে ভ্রমণ করার পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন ।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল
ধন্যবাদ ভাই আপনার মতামত প্রকাশ করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
প্রথম কয়েকটি পর্বের মতো এবারের পর্বটিও অনেক সুন্দর ছিল ভাই।প্রাকৃতিক নিলাভুমি লালাখাল ভ্রমণ করার চতুর্থ পরবর্তী খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। সেই সঙ্গে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর ছিল।সবকিছু সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা রইলো।
ধন্যবাদ ভাই আপনার এত সুন্দর মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য।
সিলেটের চা বাগান দেখলেও লালাখালের চা বাগান দেখি হয়নি। নৌকায় করে আপনারা চা বাগান দেখতে গিয়েছিলেন দেখে অবাক হলাম। নৌকা ভ্রমনের মজাই আলাদা। চা বাগানের পরিবেশ এক কথায় মনমুগ্ধকর। খুবই ভালো লাগলো আপনার ফটোগ্রাফি। সেইসঙ্গে বর্ণনা। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করে আমার পাশে থাকার জন্য। আর আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভাল লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।
বাংলাদেশ এর লন্ডন বলা হয় সিলেট কে অনেক ইচ্ছা নিজের পায়ে পদাচরন করবার।বেশ দারুন ভাবে আপনি আপনার ঘুরাঘুরির মুহুরত টি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহিত করার জন্য।
সিলেটের জনপ্রিয় প্রাকৃতিক নিলাভুমি লালাখাল ভীষণ ভালো লাগল। চমৎকার ভাবে বর্ণনার মাধ্যমে উপস্থাপন করেছেন ভাইয়া। সবগুলো ফটোগ্রাফি ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বেশ ভালই মজা করেছেন আপনারা। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ভ্রমণকৃত জায়গাটির অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার কাছে আমার কাজটি ভালো লেগেছে জেনে অনেক খুশী হলাম। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশ করেই আমার পাশে থাকার জন্য।